জীবনী মুবারক
হযরত আবদুল্লাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু (৩)
বিলাদত শরীফ: (তারিখ উল্লেখ নেই) বিছাল শরীফ: ১২ হিজরী (৬৩৩ খৃ:)
, ১৯ মুহররমুল হারাম শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২৮ ছানী, ১৩৯২ শামসী সন , ২৬ জুলাই, ২০২৪ খ্রি:, ১১ শ্রাবণ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
শাহাদাত বরণ:
হযরত আবদুল্লাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি খলীফাতু রসূলিল্লাহ, আফদ্বালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া, সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার খিলাফত মুবারককালে ভন্ডনবী মুসায়লামাতুল কাজ্জাবের বিরুদ্ধে ১২ হিজরী সনের সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূর, শাহরুল আ’যম শরীফ পবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ মাসে সংঘটিত ইয়ামামার জিহাদে অংশগ্রহণ করেন এবং শাহাদাত বরণ করেন। (ইছাবা)
ফযীলত ও মর্যাদা:
হযরত আবদুল্লাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ছিলেন অতি মর্যাদাবান ছাহাবীর অন্তর্ভুক্ত। তিনি খুব সুন্দর করে লিখতে জানতেন এবং মাঝে মাঝে ওহী মুবারক লিখার দায়িত্বও পালন করেছেন। (ইছাবা)
উহুদের জিহাদে তিনি উনার নাক হারিয়েছিলেন, যে কারণে পরবর্তীতে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনাকে স্বর্ণের নাক লাগানোর জন্য বিশেষ অনুমতি দিয়েছিলেন, যদিও পুরুষদের জন্য স্বর্ণ ব্যবহার নিষিদ্ধ। ইহা উনার বিশেষ মর্যাদার পরিচায়ক। (ইছাবা, সিয়ারু আ’লামিন নুবালা)
হযরত আবদুল্লাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি যেভাবে পিতার সম্মুখে তরবারি নিয়ে দাঁড়িয়ে পিতাকে তার কপটতাপূর্ণ কথার প্রতিউত্তরে তাকে হেয় সাব্যস্ত করেছিলেন এবং তার নিকট থেকে তার নীচতার স্বীকৃতি নিয়েছিলেন, তা থেকেই উনার ঈমানী জোশের পরিচয় পাওয়া যায়। তাছাড়া নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অনুমতি মুবারক পেলে পিতাকে হত্যা করতেও প্রস্তুত ছিলেন।
তিনি ছিলেন মুনাফিক পিতার একজন সুসন্তান। পিতার কপটতাপূর্ণ জীবন সর্বদা উনাকে পীড়া দিত। (তাবাকাত)
বিপথগামী পিতাকে সত্য ও সঠিক পথে ফিরিয়ে আনার জন্য চেষ্টার কোন ত্রুটি তিনি করেননি। পিতার এ বিপথগামীতা সত্ত্বেও সন্তান হিসাবে তার প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্য যতটুকু পালন করা সম্ভব তিনি পালন করেছেন। ইসলামী হুকুম-আহকামের আওতায় থেকে এবং আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নির্দেশ মুবারক অনুযায়ী সবসময় পিতার জন্য হিদায়েত কামনা করেছেন। পিতার মৃত্যুর পরেও মুক্তির আশা হিসাবে যা কিছু করার সবই করেছেন।
সূত্র: উসুদুল গাবা, ইছাবা, তাবাকাত, সিয়ারু আ’লামিন নুবালা। (সমাপ্ত)
-আল্লামা সাঈদ আহমদ গজনবী।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে হালাল ও হারাম উভয়ের গুরুত্ব সম্পর্কে (১৩)
২৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
২৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার ঈমানদীপ্ত ঐতিহ্য (৪৭)
২৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সম্মানিত মুসলমানদের সবচেয়ে বড় শত্রু কাফির-মুশরিকরা
২৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ইসলামী শরীয়ত মুতাবিক- ছবি তোলা হারাম
২৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন হাসান চীশতী আজমিরী সাঞ্জারী রহমতুল্লাহি আলাইহি (৩৯)
২৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
২৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কতিপয় সম্মানিত মশহূর লক্বব মুবারক এবং এই সম্পর্কে কিছু আলোচনা
২৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কতিপয় বেমেছাল খুছূছিয়ত বা বৈশিষ্ট্য মুবারক
২৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)