ছহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ অনুসরণ করার গুরুত্ব ও ফযীলত (৪০)
, ০৭ ছফর শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১৫ ছালিছ, ১৩৯২ শামসী সন , ১৩ আগষ্ট, ২০২৪ খ্রি:, ২৯ শ্রাবণ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
মূলতঃ রিযিক মহান আল্লাহ পাক তিনি দান করেন, বরকতও মহান আল্লাহ পাক তিনি দিয়ে থাকেন। যেমন বলা হয়ে থাকে, বরকতের ব্যাপারে, হযরত সুলায়মান আলাইহিস সালাম উনার উদাহরণ।
যখন মহান আল্লাহ পাক তিনি উনাকে সমস্ত জিম্মাদারী দিলেন, উনি খুব খুশী হয়ে শোকরানা জানানোর উদ্দেশ্যে মহান আল্লাহ পাক উনাকে বলেছিলেন, আয় মহান আল্লাহ পাক! আমি শোকরানাস্বরূপ সমস্ত মখলুকাতকে এক বৎসর খাওয়াতে চাই।
মহান আল্লাহ পাক তিনি বললেন, না আপনি সেটা পারবেন না।
তাহলে মহান আল্লাহ পাক! ছয় মাস।
“তাও পারবেন না।
এক মাস।
মহান আল্লাহ পাক তিনি বললেন, না, তাও পারবেন না।
১৫ দিন।
মহান আল্লাহ পাক তিনি বললেন, না, তাও পারবেন না।
৭ দিন।
“তাও না।
উনি বললেন, মহান আল্লাহ পাক! আপনি আমাকে কমপক্ষে একদিন দেন, শোকরানাস্বরূপ সমস্ত মাখলুককে কিছু খাওয়াই।
মহান আল্লাহ পাক তিনি বললেন, দেখেন এটা কঠিন ব্যাপার। আমি রিযিকের জিম্মাদার, এটা কেউ পারবে না।
উনি বললেন, মহান আল্লাহ পাক! আমাকে একটু এজাযত দেন।
মহান আল্লাহ পাক তিনি বললেন, বেশ চেষ্টা করুন। উনি এক বছর ধরে খাদ্য জমা করতে লাগলেন। জমা করতে করতে খাদ্যের পাহাড় করে ফেললেন।
যেদিন খাওয়ার সময় হয়ে গেল, সমস্ত মখলুকাত আসলো খাওয়ার জন্য। সমুদ্রের থেকে একটা বড় মাছ উঠে আসলো।
এসে বললো- হে হযরত সুলায়মান আলাইহিস সালাম! কোথায় খাওয়া রেখেছেন? আপনি যে মেহমানদারীর জন্য দাওয়াত দিয়েছেন, আমাদের খাদ্যের বন্দোবস্ত করেছেন, কোথায় আপনার খাবার?
উনি বললেন, ঐ যে দেখ আকাশ পরিমাণ পাহাড় দেখা যায়। খাদ্যের পাহাড়টা মনে হয় আকাশে গিয়ে ঠেকেছে। এত খাদ্য জমা করেছি তোমাদের জন্য, যাও। মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরত, ঐ মাছ এক লোকমায় সব খেয়ে ফেললো। সুবহানাল্লাহ!
খেয়ে বললো- হে হযরত সুলায়মান আলাইহিস সালাম! আমি প্রতিদিন এ রকম তিন লোকমা খেয়ে থাকি, আর কোথায়?
হযরত সুলায়মান আলাইহিস সালাম তিনি সিজদায় পড়ে গেলেন। মহান আল্লাহ পাক! এটা কি? এত খাদ্য জমা করলাম। বাতাসকে হুকুম করলাম। বাতাস তুমি প্রবাহিত হতে থাক। খাদ্যকে বললাম, হে খাদ্য তুমি নষ্ট হয়োনা। পাহাড় পাহাড় খাদ্য জমিয়ে ফেললাম। কিন্তু সেই খাদ্য এক মাছই খেয়ে ফেললো। তাহলে অন্য মখলুকাত কি খাবে?
মহান আল্লাহ পাক তিনি বললেন, হে হযরত সুলায়মান আলাইহিস সালাম! আমি না বলেছিলাম, আমার কুদরত এটা। আপনি অস্থির হবেন না। আমি সমস্ত মখলুকাতকে কুদরতীভাবে পেট ভরায়ে এখান থেকে ফিরায়ে দেব। সুবহানাল্লাহ! তাই হলো। সকলেই পেট ভরে সেখান থেকে চলে গেলো।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িয
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
খেলাধুলা নাজায়িয ও হারাম হওয়া সম্পর্কে সম্মানিত ইসলামী শরীয়তের ফায়সালা
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মানুষকে আমলের প্রতি নিরুৎসাহিত করতেই পবিত্র হাদীছ শরীফ নিয়ে মওজু-জয়ীফ ইত্যাদি অপপ্রচার করছে বাতিল ফিরক্বারা
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
একটা আদেশ মুবারক অমান্য করে আরেকটা মান্য করা জায়িয নেই
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন হাসান চীশতী আজমিরী সাঞ্জারী রহমতুল্লাহি আলাইহি (৩০)
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মাজার শরীফে হামলাকারী বেয়াদব ও লানতপ্রাপ্ত
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে হালাল ও হারাম উভয়ের গুরুত্ব সম্পর্কে -৪
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম ও মুসলমানগণের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে আইনী কার্যক্রম
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মক্কা শরীফ বিজয় (৬)
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)