ছহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ অনুসরণ করার গুরুত্ব ও ফযীলত (৩৫)
, ০২ ছফর শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১০ ছালিছ, ১৩৯২ শামসী সন , ০৮ আগষ্ট, ২০২৪ খ্রি:, ২৪ শ্রাবণ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
আপনার পঞ্চম মাসয়ালাটা কি? আপনার পঞ্চম মাসয়ালা?
উনি বললেন, হুযূর! আমি আবার পবিত্র কুরআন শরীফ ফিকির করতে লাগলাম। পবিত্র কুরআন শরীফ নিয়ে গবেষণা করতে লাগলাম। গবেষণা করতে করতে আমি একটা পবিত্র আয়াত শরীফ পেয়ে গেলাম।
আমি দেখলাম- মানুষের মধ্যে মারামারি-কাটাকাটি, পরের সম্পদ আহরণ করার জন্য বৈধ-অবৈধভাবে মানুষ কোশেশ করে। অথচ মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেছেন-
نَحْنُ قَسَمْنَا بَيْنَهُمْ مَعِيشَتَهُمْ فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا
“আমি তোমাদের প্রত্যেকের যিন্দেগীতে যা দরকার, মায়ীশাতে যিন্দেগীতে যা দরকার আমি প্রত্যেককেই তা যথাযথ বণ্টন করে দিয়েছি। প্রত্যেককেই যথাযথ বণ্টন করে দিয়েছি।
মানুষের জন্য হালাল রিযিক রয়েছে, অস্থির হয়ে মানুষ হারাম খেয়ে থাকে। প্রত্যেকের জন্য মহান আল্লাহ পাক তিনি হালাল খাদ্য, হালাল রিযিক যথাযথভাবে বণ্টন করে দিয়েছেন।
হালাল রিযিক প্রত্যেকের আছে, কিন্তু মানুষ অস্থির হয়ে হারাম ভক্ষণ করে। অর্থাৎ -
حُبُّ الدُّنْيَا رَأْسُ كُلِّ خَطِيئَةٍ
“দুনিয়ার মহব্বত সমস্ত গুণাহের মূল।
تَرْكُ الدُّنْيَا رَأْسُ كُلِّ اِطَاعَةٍ
“দুনিয়ার মহব্বত তরক করা সমস্ত ইবাদতের মূল।
দুনিয়ার মহব্বতের কারণে মানুষ একজন আরেকজনের সম্পদ লুটপাট করে থাকে। সম্পদ আহরনের সময় বৈধ-অবৈধ সে খেয়াল করে না, যার জন্য সে গুণাহ্গার হয়ে যায়।
হযরত হাতেম আসেম রহমতুল্লাহি আলাইহি বললেন, আমি যখন চিন্তা করলাম এবং এই পবিত্র আয়াত শরীফ ফিকির করলাম যে, মহান আল্লাহ পাক তিনি প্রত্যেককেই তার সম্পদ যথাযথভাবে বণ্টন করে দিয়েছেন, চিন্তা ফিকিরের কোন ব্যাপারই নেই। আমার যা রয়েছে, তকদীরে সেটা তো অবশ্যই আসবে। কাজেই ইসলামী শরীয়ত সম্মত যা কোশেশ করা দরকার, সেই কোশেশ আমি করে যাব, আর আমার যেটা সেটা আমার কাছে আসবেই।
কাজেই বৈধ-অবৈধ অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে, অবৈধ জিনিস গ্রহণ করা যাবে না। কারণ দুনিয়ার মহব্বত থেকে দূরে থাকতে হবে।
এ প্রসঙ্গে বলা হয়ে থাকে- হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি একদিন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দরবার শরীফে গেলেন। পবিত্র হুজরা শরীফে গিয়ে দরজায় বসে বসে কাঁদতে লাগলেন।
মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, হে ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম! আপনি কাঁদছেন কেন? আপনার কি হয়েছে?
উনি বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ্, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনার শান মুবারক দেখে আমার কান্না আসছে।
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, কি আমার শান?”
হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি জবাব দিলেন যে, আপনি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, আপনি ইমামুল মুরসালীন, আপনাকে সৃষ্টি না করা হলে আরশ-কুরসী, লৌহ-কলম, বেহেশত-দোযখ, আসমান-যমীন কিছুই সৃষ্টি করা হতোনা, কিছুই সৃষ্টি হতোনা। অথচ আপনি একটা খেজুরের চাটাইয়ের মধ্যে শোয়া অবস্থায় রয়েছেন। আপনার হুজরা শরীফে মশকের মধ্যে পানি, আর একটা পাত্রে কিছু যবের ছাতু। অথচ রোম পারস্যের শাসক, যারা চির জাহান্নামী, যারা কাফের, যারা মরলে জাহান্নামে যাবে, তাদের কত শান-শওকত, কত বিলাসিতা। এটা স্মরণ হচ্ছে আমার, আপনাকে দেখে দেখে, যার কারণে আমার কান্না আসছে। আমি সেজন্যই কাঁদছি, আমার মনের দুঃখে, মনের ব্যাথায়।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, মুজাদ্দিদে আ’যম, আহলু বাইতে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম উনার কতিপয় কামালত মুবারক
১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, মুজাদ্দিদে আ’যম, আহলু বাইতে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম উনার কতিপয় কারামত মুবারক
১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
ছাহিবু ক্বাবা ক্বাওসাইনি আও আদনা, ছাহিবু লাওলাক, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশকালে প্রকাশিত বেমেছাল মু’জিযা শরীফসমূহ
১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
এক নজরে ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত আন নূরুছ ছালিছ আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র পরিচিতি মুবারক
১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক-এ আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের বিশুদ্ধ আক্বীদাহ্ মুবারক
১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িজ
১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল হাদী আশার মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত কারামত ও কামালত মুবারক
১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
এক নজরে সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, ত্বহিরাহ, ত্বইয়্যিবাহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত সিবত্বতু রসূল আর রবি’য়াহ আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত পরিচিতি মুবারক
১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
এক নজরে ইবনু রসূলিল্লাহ, আশবাহুল খলক্বি বি-রসূলিল্লাহ, সাইয়্যিদুল বাশার, সাইয়্যিদুল আসইয়াদ, আল মুবাশ্শির, আল আবাররু, আল আজওয়াদ সাইয়্যিদুনা হযরত আন নূরুর রবি’ আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত পরিচিতি মুবারক
১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)