ছহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ অনুসরণ করার গুরুত্ব ও ফযীলত (৩৪)
, ০১ ছফর শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ০৯ ছালিছ, ১৩৯২ শামসী সন , ০৭ আগষ্ট, ২০২৪ খ্রি:, ২৩ শ্রাবণ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বললেন, হে আমার সঙ্গী-সাথীরা! আপনারা জেনে রাখুন, আমরা যখন মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে এই রাস্তা দিয়ে সফর করতাম, এখানে একটা গাছের ডাল ছিল। গাছের একটা ডাল ছিল। এখানে যখন মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আসতেন, তখন মাথা মুবারক নোয়াতেন এবং মাথা মুবারক তুলতেন। যদিও গাছের ডালটা এখন নেই। সেই পবিত্র সুন্নত মুবারক পালনের জন্যই আমি আমার মাথা মুবারক নোয়ালাম এবং তুললাম। সুবহানাল্লাহ!
উনারা পবিত্র সুন্নত মুবারকের কতটুকু পাবন্দ ছিলেন। এজন্য মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেছেন-
مَنْ تَمَسَّكَ بِسُنَّتِي عِنْدَ فَسَادِ أُمَّتِي فَلَهُ أَجْرُ مِائَةِ شَهِيدٍ
“যে ব্যক্তি আমার উম্মতের ফিতনা-ফাসাদের যুগে একটা সুন্নত মুবারক আঁকড়ায়ে ধরে রাখবে দায়েমীভাবে অর্থাৎ তার মৃত্যু পর্যন্ত একটা সুন্নত মুবারককে আঁকড়ায়ে ধরে থাকবে, তাকে মহান আল্লাহ পাক তিনি একশ শহীদের ফযীলত দান করবেন। সুবহানাল্লাহ!
একশ শহীদ। হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুগণ উনারা জিজ্ঞাসা করলেন- ইয়া রসূলাল্লাহ ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! একশ’ শহীদ, কেমন একশ’ শহীদ?
মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন যে, তোমাদের মত একশত শহীদের ফযীলত দেয়া হবে। সুবহানাল্লাহ!
একশত শহীদের ছওয়াব দেয়া হবে একটা সুন্নতকে আঁকড়ায়ে ধরে থাকার কারণে।
হযরত হাতেম আসেম রহমতুল্লাহি আলাইহি বললেন- তখন আমি বেশী বেশী সুন্নত মুবারকের ইত্তেবা করতে লাগলাম অর্থাৎ তাকওয়া বেশী করে হাছিল করতে লাগলাম। কারণ পবিত্র সুন্নত মুবারক ছাড়া হাক্বীক্বী মুত্তাক্বী হওয়া সম্ভব নয়। সুন্নত মুবারক ছাড়া হাক্বীক্বী মুত্তাক্বী হওয়া সম্ভব নয়। যে যত বেশী পবিত্র সুন্নত মুবারকের ইত্তেবা করবে সে ততবড় মুত্তাকী, পরহেযগার, আল্লাহওয়ালা হবে।
এজন্য মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেছেন-
وَمَنْ يُطِعِ اللهَ وَالرَّسُولَ
“যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনার ইতায়াত করলো, মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ইতায়াত করল لَعَلَّكُمْ تُرْحَمُونَ ঐ ব্যক্তির প্রতি রহমত নাযিল করা হবে।
এবং পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে তিনি আরো বলেছেন, যদি তোমরা মু’মিন হয়ে থাক, أَطِيعُوا اللهَ وَرَسُولَهُ মহান আল্লাহ পাক উনাকে এবং মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ইতায়াত করো।
إِنْ كُنْتُمْ مُؤْمِنِينَ
“যদি তোমরা মু’মিন হয়ে থাক” অর্থাৎ যারা হাক্বীক্বী মু’মিন হতে চায়, তাদের দায়িত্ব হবে মহান আল্লাহ পাক উনার মতে মত হওয়া, মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পথে পথ হওয়া। এর থেকে সে একবিন্দু পরিমাণও নড়তে পারবে না।
যে ব্যক্তি পবিত্র সুন্নত মুবারক উনার উপরে যতটুকু কায়েম থাকতে পারবে, সেই হাক্বীক্বী মুসলমান, হাক্বীক্বী মুত্তাক্বী, হাক্বীক্বী মু’মিন, প্রকৃতপক্ষে সেই হাক্বীক্বী মু’মিন হবে।
হযরত হাতেম আসেম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বললেন যে- হুযূর! আমি তখন থেকে পবিত্র সুন্নত মুবারক উনার পূর্ণ পাবন্দ হয়ে গেলাম।
হযরত শাক্বীক্ব বলখী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বললেন- হে হাতেম আসেম রহমতুল্লাহি আলাইহি! আপনি উত্তম মাসয়ালা শিক্ষা করেছেন। কারণ পবিত্র সুন্নত মুবারক ছাড়া একটা লোক কখনই খালেছ আল্লাহওয়ালা হতে পারবে না।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ইবনাতু আবীহা, উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আর রবি‘য়াহ্ আলাইহাস সালাম তিনি সমস্ত কায়িনাতবাসীর মহাসম্মানিত মুয়াল্লিমাহ্
১৫ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ইবনাতু আবীহা, উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আর রবি‘য়াহ আলাইহাস সালাম উনাকে জাদু করার কারণে উনার দাসীকে ক্বতল বা মৃত্যুদ-
১৫ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকে তা’লীম গ্রহণ
১৫ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ইবনাতু আবীহা উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আর রবি‘য়াহ আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত ছিফত মুবারক
১৫ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন হাসান চীশতী আজমিরী সাঞ্জারী রহমতুল্লাহি আলাইহি (৪৫)
১৫ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাদিস মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কতিপয় মহাসম্মানিত মু’জিযাহ শরীফ
১৫ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
১৩ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার দৃষ্টিতে লেবাস বা পোশাকের হুকুম-আহকাম (৭)
১৩ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা সত্যের মাপকাঠি
১২ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
পবিত্র “মাক্বামে মাহমূদ” উনার বেমেছাল তাফসীর বিষয়ে খারেজী জাহমিয়া ফিরকার মুখোশ উম্মোচন (৯)
১২ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার মহাসম্মানিত হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে কোনো স্থানেই সরাসরি বরকতময় ইসিম বা নাম মুবারক দ্বারা সম্বোধন মুবারক করেননি। যা উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বুলন্দী শান মুবারক উনারই বহিঃপ্রকাশ মুবারক (৪)
১২ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বাইতুল্লাহ বা পবিত্র মসজিদ ও বাইতুর রসূল বা পবিত্র মাদরাসা সম্পর্কে ইলিম (১)
১২ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)