সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল খ্বমিসাহ আলাইহাস সালাম উনার সংক্ষিপ্ত সাওয়ানেহ উমরী মুবারক
, ০৭ রবীউছ ছানী শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২৪ খ্বমীছ ১৩৯১ শামসী সন , ২৩ অক্টোবর, ২০২৩ খ্রি:, ০৭ কার্তিক, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) মহিলাদের পাতা
সম্মানিত পরিচিতি মুবারক:
সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল খ¦মিসাহ আলাইহাস সালাম উনার নাম মুবারক হযরত যয়নাব আলাইহাস সালাম। উনার সম্মানিত পিতার নাম হযরত খুযায়মা ইবনুল হারিছ আলাইহিস সালাম। তিনি বনু হিলাল গোত্রের লোক ছিলেন। সম্মানিতা মাতার নাম হযরত হিন্দ বিনতে আওফ আলাইহাস সালাম। সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল খ¦মিসাহ আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত পিতার দিক থেকে ১৭তম পুরুষে যেয়ে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে মিলিত হয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! উনার ৬ষ্ঠতম পূর্বপুরুষ হচ্ছেন হযরত হিলাল ইবনে আমির আলাইহিস সালাম। হযরত হিলাল ইবনে আমির আলাইহিস সালাম ছিলেন আরবের প্রসিদ্ধ গোত্র বনু হিলাল গোত্রের প্রথম পুরুষ। তিনি ছিলেন গোত্রের একজন প্রসিদ্ধ এবং অনুসরণীয় ব্যক্তিত্ব, সকলেই উনাকে ইজ্জত করতেন। সে জন্য উনার নাম মুবারক অনুযায়ী উনার বংশ বা গোত্র মুবারকের নামকরণ হয়েছে। এজন্য সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল খ¦মিসাহ আলাইহাস সালাম উনাকে ‘হিলালিয়া’ বলা হয়ে থাকে। সুবহানাল্লাহ! উনার সম্মানিতা মাতার দিক থেকে তিনি সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ আশার (হযরত মায়মুনা) আলাইহাস সালাম উনার বোন ছিলেন। (সিয়ারু আলামিন নুবালা)
হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মধ্যে এই দুইজনই ছিলেন বনু হিলাল গোত্রের।
সম্মানিত বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশকাল:
সম্মানিত নবুওওয়াত ও রিসালত প্রকাশের ১৪ বছর পূর্বে পবিত্র মাহে শাওওয়াল শরীফ উনার ২০ তারিখ, পবিত্র ইয়াওমুছ ছুলাছা শরীফ (মঙ্গলবার) তিনি পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। (সূত্র: দৈনিক আল-ইহসান শরীফ)
প্রথম শাদী মুবারক:
সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল খ¦মিসাহ আলাইহাস সালাম উনার প্রথম শাদী কার সাথে হয়েছিল এ নিয়ে কিছু মতভেদ আছে। তবে প্রাধান্যপ্রাপ্ত মত হচ্ছে, উনার প্রথম শাদী হয়েছিল তুফায়েল ইবনুল হারিছের সাথে। তুফায়েল ইবনুল হারিছের সাথে উনার জুদায়ী হয়ে যায়। অতঃপর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ফুফাতো ভাই এবং বিশিষ্ট ছাহাবী হযরত আবদুল্লাহ ইবনে জাহাশ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার সঙ্গে উনার শাদী মুবারক অনুষ্ঠিত হয়।
যেহেতু নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে নিসবাতুল আযীমাহ শরীফ অনুষ্ঠিত হওয়ার পূর্বে সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল খ¦মিসাহ আলাইহাস সালাম উনার জওয মুকাররম ছিলেন বিশিষ্ট ছাহাবী হযরত আবদুল্লাহ ইবনে জাহাশ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার সম্পর্কে আমাদের জানা প্রয়োজন।
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে জাহাশ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ছিলেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আপন ফুফাতো ভাই। উনার সম্মানিত মাতা ছিলেন হযরত উমাইমা বিনতু আবদিল মুত্তালিব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা।
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে জাহাশ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু “আস-সাবিকুনাল-আউয়ালুন” অর্থাৎ দ্বীন ইসলাম উনার প্রথম দিকে দ্বীন ইসলাম গ্রহণকারীদের অন্যতম ছিলেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দারে আরকামে প্রবেশের পূর্বেই তিনি দ্বীন ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন। দ্বীন ইসলাম গ্রহণের পর কুরাইশদের জুলুম অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উনার পরিবারের সব সদস্যসহ হাবশায় হিজরত করেন।
হাবশায় কিছুকাল অবস্থানের পর হযরত আবদুল্লাহ বিন জাহাশ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে পবিত্র মক্কা শরীফে ফিরে আসেন। পবিত্র মক্কা শরীফে ফিরে এসে দেখেন উনার গোত্র বনু গানাম এর সকল সদস্য দ্বীন ইসলাম গ্রহণ করেছেন। অতঃপর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অনুমতি নিয়ে তিনি পরিবারের সকলকে সঙ্গে করে পবিত্র মদীনা শরীফে হিজরত করেন। উনাদের পূর্বে কেবল হযরত আবু সালামা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু পবিত্র মদীনা শরীফে হিজরত করেছিলেন।
পবিত্র মক্কা শরীফে হযরত আবদুল্লাহ ইবনে জাহাশ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার মহল্লার মধ্যে উনার ঘরটিই ছিল সবচেয়ে সুন্দর ও প্রাচুর্যময়। উম্মুল মাসাকীন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল খ¦মিসাহ আলাইহাস সালাম তিনি ছিলেন অত্যন্ত দানশীলা, গরীব দুঃখীদেরকে অকাতরে দান করতেন। উনার সম্মানিত আহাল হযরত আবদুল্লাহ ইবনে জাহাশ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার প্রাচুর্যময় সংসারে অবস্থান মুবারক করে দানশীলতার অতুলনীয় আদর্শ স্থাপন করার বিশেষ সুযোগ তিনি পেয়েছিলেন। তবে তিনি স্বভাবগতভাবেই জাহেলী যুগ থেকেই দানশীলা ছিলেন। সে জন্যই উনাকে “উম্মুল মাসাকীন” বলা হতো। উনার হিজরতের সময় আবু জাহেল হযরত আবদুল্লাহ ইবনে জাহাশ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার ঘরের জিনিসপত্র, ধনসম্পদ ইচ্ছামত লুটপাট করে। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে জাহাশ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট আবু জাহেলের লুটপাটের কথা উল্লেখ করলে তিনি সান্তনা দিয়ে বলেন, আবদুল্লাহ, তুমি কি খুশী নও যে, এর বিনিময়ে খালিক মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি তোমাকে জান্নাতে একটি বাড়ী দান করবেন? শুনে হযরত আবদুল্লাহ ইবনে জাহাশ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি অত্যন্ত খুশী হন।
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে জাহাশ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বদর ও উহুদের জিহাদে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তিনি ছিলেন “মুস্তাজাবুদ দাওয়াত” (مستجاب الدعوة) (যাঁর দোয়া নিশ্চিতভাবে কবুল হতো)।
তাছাড়া (المجدع فى الله) (অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় নাক-কান কাটা) এই সম্মানজনক লক্বব মুবারক তিনি লাভ করেছিলেন। মহান আল্লাহ পাক ও উনার রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মুহব্বত মুবারক উনাকে দুনিয়ার সব কিছু থেকে উদাসীন করে দিয়েছিল। প্রিয় জীবনটি মহান আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় বিলিয়ে দেয়াই ছিল উনার একমাত্র বাসনা। উনার সে বাসনা পূর্ণ হয়েছিল। সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল খ¦মিসাহ আলাইহাস সালাম উনার উম্মুল মু’মিনীন শান মুবারক প্রকাশ হওয়ার পূর্বে এরূপ একজন বুযূর্গ ছাহাবী তিনি সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল খ¦মিসাহ আলাইহাস সালাম উনার ছোহবত মুবারক পেয়ে ধন্য হয়েছেন।
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে জাহাশ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি উহুদের জিহাদে শাহাদাতী শান মুবারক প্রকাশ করেছিলেন। এই জিহাদে তিনি অসীম সাহসিকতা ও চরম আত্মত্যাগের পরিচয় দেন।
হযরত সা‘দ বিন আবী ওয়াক্কাছ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বর্ণনা করেছেন, সম্মানিত উহুদের জিহাদের একদিন আগে আমি ও হযরত আবদুল্লাহ ইবনে জাহাশ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু আমরা দোয়া করলাম। আমার ভাষা ছিল, আয় মহান আল্লাহ পাক! আগামীকাল যে দুশমন আমার সাথে লড়বে সে যেন অত্যন্ত সাহসী ও রাগী হয়। যাতে আপনার রাস্তায় আমি তাকে হত্যা করে তার অস্ত্রশস্ত্র কেড়ে নিতে পারি। আমার এ দোয়া শুনে হযরত আবদুল্লাহ ইবনে জাহাশ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু আমীন বলে উঠেন। তারপর তিনি হাত উঠিয়ে দোয়া করলেন, আয় মহান আল্লাহ পাক! আমাকে এমন প্রতিদ্বন্দ্বী দান করুন যে হবে ভীষণ সাহসী ও দ্রুত উত্তেজিত। আমি আপনার রাস্তায় তার সাথে জিহাদ করব। সে আমাকে হত্যা করে আমার নাক কান কেটে ফেলবে। যখন আমি আপনার সাথে মিলিত হব এবং আপনি জিজ্ঞাসা করবেন, হে আবদুল্লাহ! তোমার নাক কান কিভাবে কাটা গেল? তখন আমি বলব, আপনার ও আপনার রসূল উনাদের নিসবত, কুরবত, মুহব্বত মুবারক হাছিলের লক্ষ্যে। (উসুদুল গাবা, ইছাবা)
হিজরী তৃতীয় সনে পবিত্র শাওওয়াল শরীফ মাসে উহুদ প্রান্তরে যখন তুমুল লড়াই শুরু হয়, তখন হযরত আবদুল্লাহ ইবনে জাহাশ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এমন তীব্র আক্রমণ চালালেন যে, উনার তরবারিটি ভেঙ্গে টুকরা টুকরা হয়ে গেল। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে একটি খেজুর শাখা দান করেন। ইহা উনার হাতে তরবারিতে রূপান্তরিত হয় এবং ইহার নাম হয় “উরজুন” (عرجون) (খেজুর গাছের ডাল)। তিনি ইহা নিয়ে জিহাদ করতে থাকেন। অবশেষে আবুল হাকাম বিন আখ্নাস সাক্বাফীর এক প্রচ- আঘাতে উনার শাহাদাতের বাসনা পূর্ণ হয়ে যায়। মুশরিকরা উনার দেহের বিকৃতি সাধন করে। নাক-কান কেটে সূতার মালা গাঁথে।
হযরত সা‘দ বিন আবী ওয়াক্কাছ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এ দৃশ্য দেখে বলেন, মহান আল্লাহ পাক উনার কসম! হযরত আবদুল্লাহ ইবনে জাহাশ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার দোয়া আমার দোয়া অপেক্ষা উত্তম ছিল। “উরজুন” (عرجون) নামের উনার পরিত্যক্ত তরবারিটি পরবর্তীতে দুইশত দীনারে বিক্রিত হয়। (ইছাবা)
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সঙ্গে নিসবাতুল আযীমাহ শরীফ:
ইতিপূর্বে আমরা উল্লেখ করেছি যে, হযরত আবদুল্লাহ ইবনে জাহাশ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু পবিত্র মক্কা শরীফে একজন সম্পদশালী ব্যক্তিত্ব ছিলেন। হিজরতের পরে আবু জেহেল উনার বাড়ী এবং স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ লুটপাট করে নেয়। পবিত্র মদীনা শরীফে তিনি সে সব সম্পদ আনয়ন করতে পারেননি। তাছাড়া হিজরতের পরপরই বদর ও উহুদ এ দু’টি জিহাদে অংশগ্রহণ করেন। উহুদের জিহাদে হযরত আবদুল্লাহ ইবনে জাহাশ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি শাহাদাতী শান মুবারক প্রাপ্ত হলে সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল খ¦মিসাহ আলাইহাস সালাম অত্যন্ত বেদনাভিভূত হয়ে পড়েন। বিশেষ করে উনার শাহাদাতের পরে কাফিরগণ উনার জিসিম মুবারকের যেভাবে বিকৃতি সাধন করে, তা শুনে তিনি অত্যন্ত মর্মাহত হন। তদুপরি তিনি খুবই হুজনী শান মুবারকে দিনাতিপাত করতে থাকেন। এ সময় অন্যান্য স্থান হতে উনার শাদী মুবারকের জন্য অনেক প্রস্তাব এসেছিলেন। কিন্তু তিনি সব প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন।
সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল খ¦মিসাহ আলাইহাস সালাম উনার জওয মুকাররম হযরত আবদুল্লাহ ইবনে জাহাশ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার চরম আত্মত্যাগের কথা এবং উনার শাহাদাতী শান মুবারক প্রকাশের পর সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল খ¦মিসাহ আলাইহাস সালাম উনার হুজনী শান মুবারক নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র নূরুল আছল মুবারক (অন্তর মুবারক) নাড়া দিয়ে থাকবেন। তিনি মহাসম্মানিত ওহী মুবারক মুতাবিক উনার সাথে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল খ¦মিসাহ আলাইহাস সালাম উনার নিসবাতুল আযীমাহ শরীফ উনার প্রস্তাব পাঠান। সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল খ¦মিসাহ আলাইহাস সালাম তিনি উনার এরূপ অবস্থায় এ প্রস্তাবকে নিজের জন্য এক মহাসৌভাগ্যের বিষয় মনে করেন। অতঃপর উনার সম্মতিতে পবিত্র নিসবাতুল আযীমাহ শরীফ অনুষ্ঠিত হয়। পবিত্র নিসবাতুল আযীমাহ শরীফ উনার মধ্যস্থতা করেন হযরত কুবায়সা ইবনে আমর আল-হিলালী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এই নিসবাতুল আযীমাহ শরীফে দেনমোহর বাবদ ১২ উকিয়া স্বর্ণ প্রদান করেন। উহুদের জিহাদের পর হিজরী তৃতীয় সনে পবিত্র মাহে যিলহজ্জ শরীফ উনার ২৬ তারিখ, পবিত্র ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ (সোমবার) এই পবিত্র নিসবাতুল আযীমাহ শরীফ অনুষ্ঠিত হয়। সুবহানাল্লাহ! (দৈনিক আল-ইহসান শরীফ)
এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সব নিসবাতুল আযীমাহ শরীফ অনুষ্ঠানে জাহেরীভাবে কোন না কোন বিশেষ কারণ বা উদ্দেশ্য ছিলেন। তবে হাক্বীক্বত হচ্ছেন ওহী মুবারক। সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল খ¦মিসাহ আলাইহাস সালাম উনার সাথে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এই পবিত্র নিসবাতুল আযীমাহ শরীফেও জাহেরীভাবে অনুরূপ একটি বিশেষ উদ্দেশ্য লক্ষণীয়। উহুদের জিহাদে প্রায় ৭০ জন ছাহাবী শহীদ হয়েছিলেন। একসঙ্গে এত অধিক সংখ্যক পুরুষ ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম শহীদ হয়ে যাওয়ার ফলে উনাদের আহলিয়াগণ বিধবা হয়ে পড়েন এবং অনেকেই অস্বচ্ছল এবং নিরাশ্রয় হয়ে পড়েন। এমতাবস্থায় এসব বিধবাদের বিবাহ করে আশ্রয় দান করার তাৎক্ষণিকভাবে সামাজিক প্রয়োজন দেখা দেয়। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল¬াম উনার সাথে যখন সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল খ¦মিসাহ আলাইহাস সালাম উনার নিসবাতুল আযীমাহ শরীফ অনুষ্ঠিত হয়, তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্ল¬াল্ল¬াহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে অন্যান্য অনেক হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ অনুরূপ আশ্রয়হীনা বিধবাগণকে বিবাহ করেন। ফলে আকস্মিক জটিল একটি সামাজিক সমস্যার তাৎক্ষণিক সমাধান হয়ে যায়। সুবহানাল্লাহ!
বিছালী শান মুবারক প্রকাশ:
সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল খ¦মিসাহ আলাইহাস সালাম উনার নিসবাতুল আযীমাহ শরীফ অনুষ্ঠিত হওয়ার পর মাত্র কয়েক মাস তিনি দুনিয়াবী হায়াত মুবারকে ছিলেন। হিজরী ৪র্থ সনে পবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ উনার ২৭ তারিখ অর্থাৎ ২৭শে রবীউল আউওয়াল শরীফ, ইয়াওমুস সাবত শরীফ (শনিবার) তিনি পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন। উনার বিছালী শান মুবারকের পর স্বয়ং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার পবিত্র জানাযায় ইমামতি করেন। জান্নাতুল বাকীতে উনাকে দাফন মুবারক করা হয়। এ সময় উনার বয়স মুবারক হয়েছিলেন ৩০ বছর ৫ মাস ৭ দিন। (দৈনিক আল-ইহসান শরীফ)
মহাসম্মানিত ফযীলত ও মর্যাদা মুবারক:
হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা সংখ্যায় ছিলেন ১৩ জন। তন্মধ্যে সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল খ¦মিসাহ আলাইহাস সালাম তিনি ছিলেন ৫ম উম্মুল মু’মিনীন। সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আর রবি’য়াহ ইবনাতু আবিহা আলাইহাস সালাম অর্থাৎ ৪র্থ উম্মুল মু’মিনীন (হযরত হাফছাহ) আলাইহাস সালাম উনার পরেই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে উনার পবিত্র নিসবাতুল আযীমাহ শরীফ অনুষ্ঠিত হয়। সুবহানাল্লাহ!
সার্বিকভাবে পবিত্র কুরআন শরীফ এবং পবিত্র হাদীছ শরীফে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের অতুলনীয় ফাযায়িল ফযীলত মুবারক সম্পর্কে উল্লেখ রয়েছে।
পবিত্র সূরা আহযাব শরীফের ৬ নং আয়াত শরীফে মহান আল্লাহ পাক তিনি উনাদেরকে ‘উম্মাহাতুল মু’মিনীন’ বলে উল্লেখ করেছেন, যেমন-
ألنَّبِيُّ أوْلَى بِالْمُؤْمِنِيْنَ مِنْ أنْفُسِهِمْ وَ أزْوَاجُهُ أمُّهَاتُهُمْ
অর্থ: নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এবং হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা মু’মিনদের নিকট নিজেদের জানের চেয়েও অধিক প্রিয় এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হচ্ছেন সমস্ত সৃষ্টির মহাসম্মানিত পিতা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা হচ্ছেন সমস্ত সৃষ্টির মহাসম্মানিত মাতা আলাইহিন্নাস সালাম। (পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৬)
এই আয়াত শরীফের প্রেক্ষিতে উনাদের একটি লক্বব মুবারক أمَّهَاتُ الْمُؤْمِنِيْنَ (মু’মিনগণের মাতা) অর্থাৎ হযরত আদম ছফীউল্লাহ আলাইহিস সালাম থেকে অর্থাৎ সৃষ্টির শুরু থেকে ক্বিয়ামত পর্যন্ত যত মু’মিন ছিলেন, এখন আছেন এবং ভবিষ্যতে থাকবেন উনাদের সকলেরই মাতা হচ্ছেন হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা। সুবহানাল্লাহ!
খালিক মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি উনাদেরকে বেমেছাল পূতঃপবিত্রা ও সুমহান চরিত্র মুবারকের অধিকারিণী করে মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জন্য খাছ করে সৃষ্টি করেছেন। সে জন্য উনাদের আরেকটি লক্বব মুবারক হচ্ছে أزواج مطهرات (আযওয়াজে মুত্বাহহারাত অর্থাৎ পুতঃপবিত্রা আহলিয়াগণ) অর্থাৎ উনাদের চরিত্র সকল প্রকার কলুষমুক্ত। সুবহানাল্লাহ!
পবিত্র সূরা আহযাব শরীফের ৫৩ নং আয়াত শরীফে উল্লেখ করা হয়েছে-
وَلَا أنْ تَنْكِحُوْا أزْوَاجَهُ مِنْ بَعْدِهِ أبَدًا
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশের পর অর্থাৎ দীদার মুবারকে তাশরীফ মুবারক নেওয়ার পর উনার আযওয়াজে মুত্বাহহারাত আলাইহিন্নাস সালাম উনাদেরকে তোমরা বিবাহ করতে পারবে না। এই একই সূরার ৩২ নং আয়াত শরীফে উল্লেখ করা হয়েছে-
يَا نِسَاءَ النَّبِيِّ لَسْتُنَّ كَاَحَدٍ مِّنَ النِّسَاءِ
অর্থ: হে নবী পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আযওয়াজে মুত্বাহহারাত অর্থাৎ উম্মুল মু’মিনীনগণ! আপনারা অন্যান্য নারীদের মত নন। মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যেমন অন্য কোন পুরুষ বা সাধারণ মানুষের মত নন, উনারাও অন্য কোন সাধারণ নারীর মত নন।
এই সব আয়াত শরীফ থেকে বুঝা যায়, মহান আল্লাহ পাক উনাদের মর্যাদাকে অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যতের সকল স্ত্রী জাতি, নারী জাতির উপরে স্থান দিয়ে উনাদেরকে পৃথক করে সম্মান দিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ!
সাধারণভাবে সকল হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদেরকে মহান আল্লাহ পাক তিনি অসাধারণ মর্যাদা-মর্তবার অধিকারিনী করেছেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে সংশ্লিষ্ট হওয়ার কারণেই। এতদ্ব্যতীত সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল খ¦মিসাহ আলাইহাস সালাম উনার অন্যান্য অনেক বৈশিষ্ট্যপূর্ণ গুণাবলীও ছিলেন।
সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল খ¦মিসাহ আলাইহাস সালাম তিনি গরীব দুঃখীদেরকে অত্যধিক দান খয়রাত করতেন। এজন্যই উনাকে “উম্মুল মাসাকীন” (দরিদ্রদের মাতা) বলে ডাকা হতো। জাহেলী যুগ থেকেই উনাকে এই সম্মানিত লক্বব মুবারকে সম্বোধন করা হতো। সুবহানাল্লাহ! (আল-ইসতিয়াব)
ইবনে হিশাম রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন-
وكانت تسمىّ أُمُّ المساكين لِرحمتها إيَّأهم و رِقَّتِهَا عليهم
অর্থাৎ গরীব-মিসকিনদের প্রতি উনার দয়া ও সহমর্মিতার কারণে উনাকে “উম্মুল মাসাকীন” বা “মিসকিনদের মা” বলা হতো। ইবনে হাজার আসকালানী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন-
وكانت يقال لها أُمُّ المساكين لِأنّها كانت تُطعمهم و تَصدّق عليهم
অর্থাৎ তিনি গরীব-মিসকিনদের আহার করাতেন এবং তাদেরকে দান-খয়রাত করতেন, এ জন্য উনাকে উম্মুল মাসাকীন বলা হতো। সুবহানাল্লাহ!
বর্ণিত আছে যে, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল খ¦মিসাহ আলাইহাস সালাম উনার একজন কালো দাসী ছিলেন। একদিন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট তিনি দাসীটিকে আযাদ করে দেয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আপনি ওকে আপনার ভ্রাতুষ্পুত্র অথবা ভগ্নিপুত্রদেরকে ফিদ্য়া হিসাবে দিয়ে দিন।
সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা কুবরা আলাইহাস সালাম উনার পরে সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল খ¦মিসাহ আলাইহাস সালাম তিনি এই সৌভাগ্য লাভ করেন যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জমিনে পবিত্র উপস্থিতিতে তিনি বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন এবং স্বয়ং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জানাযায় ইমামতি করেন। সুবহানাল্লাহ! (উসুদুল গাবা, ইছাবা)
হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা সকলেই পবিত্র হাদীছ শরীফ এবং সুন্নাহ শরীফ উনার প্রচার প্রসারে এবং বিশেষভাবে নারী জাতির তা’লীম তালক্বীনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছেন। সুবহানাল্লাহ! নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দুনিয়াবী হায়াত মুবারকেও অনেক মহিলা ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের নিকট তা’লীমের জন্য আসতেন। তবে যেহেতু নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে উনার নিসবাতুল আযীমাহ শরীফ অনুষ্ঠিত হওয়ার পর দুনিয়াতে উনার অবস্থান মুবারক ছিলেন মাত্র কয়েক মাস, সে জন্য উনার সম্পর্কে উল্লেখযোগ্য বিস্তারিত তথ্যাবলী কোন কিতাবে দেখা যায় না।
সূত্র: উসুদুল গাবা, তাবাকাত, যারক্বানী আলাল মাওয়াহিব, দৈনিক আল-ইহসান শরীফ, অন্যান্য সীরত গ্রন্থাবলী।
-আল্লামা সাঈদ আহমদ গজনবী।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
হযরত বিবি শা’ওয়ানাহ রহমতুল্লাহি আলাইহা
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নিকাহ বা বিবাহের ফযীলত (১৯)
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
ইলিম চর্চায় কতবেশি মনোযোগ!
০৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
শিশু সন্তান জন্ম গ্রহণের ৭ম দিনে সুন্দর অর্থবোধক নাম রাখা
০৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
দেনমোহর নিয়ে কিছু কথা.... (১)
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের বেমেছাল দানশীলতা মুবারক (১)
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ইতিহাস কথা বলে: নারী নির্যাতনের সাথে বিধর্মীদের সম্পৃক্ততার অনুসন্ধানে
০১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
হাত-পা, চেহারা খোলার মাধ্যমে অবশ্যই সৌন্দর্য প্রকাশ পায়
০১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ইতিহাস কথা বলে- ‘বোরকা’ বাঙালি মুসলমানদের আদি সংস্কৃতি
৩১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
৩১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
আপনি চান, আপনার সন্তান সুশ্রী এবং সুন্দর হয়ে জন্মগ্রহণ করুক?
৩০ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
শৈশবকাল থেকেই সন্তানকে ব্যক্তিত্ব বা আত্মসম্মানবোধ সম্পন্ন হওয়ার শিক্ষা দান করতে হবে
৩০ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)