সন্তানের প্রতি মা-বাবার হক্ব:
সন্তান লালনপালনকারীদের যে বিষয়গুলোর প্রতি লক্ষ রাখা জরুরী
, ২৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০:০০ এএম ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) মহিলাদের পাতা
সন্তানদের বয়স সাত বছর হলে পবিত্র নামায পড়ার অভ্যাস করাবে এবং দশ বছরের মধ্যে পূর্ণরূপে নামাযে পাবন্দ বানাবে। এজন্য প্রয়োজনে শাসন করবে। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
مروا اولادكم بالصلوة وهم ابناء سبع سنين واضربوا عليها وهم ابناء عشر سنين
অর্থ: “তোমাদের সন্তানরা যখন সাত বছর বয়সে পৌঁছে তখন পবিত্র নামায আদায়ের নির্দেশ দাও। আর যখন তারা দশ বছর বয়সে পৌঁছে, তখন তাদেরকে নামায আদায়ের জন্য প্রয়োজনে প্রহার করো। ”
সন্তানদের মক্তবে যাওয়ার বয়স হলে সর্বপ্রথম পবিত্র কুরআন শরীফ শিক্ষা দিবে। তারপর আরেকটু বয়স হলে পবিত্র ইলমে দ্বীন শিক্ষা দিবে। তারপর অপরাপর বিষয় শিক্ষা দিবে। তবে খুব ছোট থাকতে পড়া লেখার বোঝা চাপিয়ে দিবে না। এতে স্মরণ শক্তি ও স্বাস্থ্য উভয়ই নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এজন্য তাদের ভারসাম্যের প্রতিও খেয়াল রাখতে হবে।
রাগ করা, মিথ্যা বলা, হিংসা করা, চুরি করা, চোগলখুরী করা, অনর্থক নিজের কথার উপর জিদ ধরা, বেহুদা কথা-বার্তা বলা, অযথা হাসি-ঠাট্টা করা, অতিরিক্ত হাসা, কাউকে ধোকা দেয়া, ভাল মন্দ ও আদব-তমীয বিবেচনা করে কথা না বলা ইত্যাদি দোষগুলোর প্রতি যাতে ছেলে মেয়েদের আন্তরিক ঘৃণার সৃষ্টি হয় সেরকম উপদেশ দিবে। ঘটনা ও নছীহতের মাধ্যমে ভাল স্বভাব ও মন্দ স্বভাবের পার্থক্য তাদের মানসপটে এঁকে দিবে।
একইভাবে যখনই কোন একটি দোষ দেখবে, তখনই তাম্বীহ বা সতর্ক করবে এবং বুঝিয়ে উপদেশ দিবে।
সন্তানরা অসাবধানতাবশঃত যদি কোন জিনিস নষ্ট করে ফেলে বা ভেঙ্গে ফেলে কিংবা অন্য কোন ছেলে-মেয়ের সাথে দুষ্টামী করে, মারে বা গালি দেয়, তবে তৎক্ষণাত তার শাস্তির ব্যবস্থা করবে, যেন ভবিষ্যতে সে এরূপ কাজ আর না করে। কেননা, এসব ক্ষেত্রে প্রশ্রয় দিলে সন্তানদের স্বভাব চিরতরে খারাপ হয়ে যেতে পারে।
-সাইয়্যিদ মুহম্মদ আব্দুল হালীম।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
হযরত উম্মে সুরাইকা দাওসিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহা
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা বেমেছাল ফযীলত মুবারকের অধিকারী
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সর্বক্ষেত্রে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে প্রাধান্য দিতে হবে
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সৃষ্টির শুরুতেই মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরত মুবারক উনার মধ্যে ছিলেন, আছেন এবং অনন্তকাল থাকবেন
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি তওবাকারীকে পছন্দ করেন (৩)
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ক্বলবী যিকির জারী না থাকলে শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
দোযখে বেপর্দা হওয়া নারীদের শাস্তির বর্ণনা (১০)
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
জামায়াতের জন্য মহিলাদের মসজিদে ও ঈদগাহে যাওয়া হারাম ও কুফরী (৪)
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্বোধন মুবারক করার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আদব-শরাফত বজায় রাখতে হবে
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
তিন ধরনের লোক বেহেশতে প্রবেশ করবে না
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সর্বাবস্থায় আজল বা তাড়াহুড়া না করে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)












