যামানার তাজদীদী মুখপত্র মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ বিশ্ববাসীর জন্য এক অনবদ্য রহমত মুবারক (২)
, ১৮ যিলহজ্জ শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২৭ আউওয়াল, ১৩৯২ শামসী সন , ২৫ জুন, ২০২৪ খ্রি:, ১১ আষাঢ়, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
আল বাইয়্যিনাত শরীফ মুফতী মাওলানাদের জ্ঞানকে পূর্ণ ও সমৃদ্ধ করে দিচ্ছে :
আল বাইয়্যিনাত শরীফ উনার মধ্যে যে ব্যাপক দলীল দেয়া হয় তা সাধারণভাবে কোন ব্যক্তি তো নয়ই, এমনকি কোন মাদরাসা বা অপর কোন বৃহৎ প্রতিষ্ঠানের জন্যও সংগ্রহ করা সত্যিই দুস্কর। কারণ মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ উনার এই দুর্লভ সংগ্রহশালা গড়ে উঠেছে উনার প্রতিষ্ঠাতা ও পৃষ্ঠপোষক, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইউস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদুয যামান, আওলাদুর রসূল, আহলু বাইতে রসূল ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার বেমেছাল প্রজ্ঞা, প্রচেষ্টা তথা উনার অব্যক্ত রূহানিয়তের সমৃদ্ধি বলে। যা আর কারো পক্ষে আদৌ সম্ভব নয়।
আল বাইয়্যিনাত শরীফ সাধারণ মানুষকে দলীল শব্দের সাথে সম্পৃক্ত করেছে, তাদের দলীল চাওয়ার অধিকার সম্পর্কে সচেতন করেছে :
এতদিন ছিল যখন দলীল চাওয়া-পাওয়া এবং বর্ণনা করা যেন কেবল কথিত আলিম-উলামাদের ব্যাপার ছিল; কিন্তু মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ সে কায়েমী ধারণার ভিত্তিমূলে আঘাত হেনেছে। আল বাইয়্যিনাত শরীফ উনার উছীলায় এখন তারা জেনেছে যে, মুসলমানদের অবস্থা দুটি। এক. যদি তারা না জানে তবে জিজ্ঞেস করা তাদের ন্যায্য অধিকার। মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
فَاسْأَلُوا أَهْلَ الذِّكْرِ إِنْ كُنْتُمْ لَا تَعْلَمُونَ
অর্থ: তোমরা যারা জাননা, যারা আহলে যিকির বা আল্লাহওয়ালা উনাদের কাছে জিজ্ঞেস করে জেনে নাও। (সূরা নহল: আয়াত শরীফ ৪৩, সূরা আম্বিয়া: আয়াত শরীফ ০৭)
মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ উনার সুওয়াল-জাওয়াব, ফতওয়া ইত্যাদি পড়ে সাধারণ মানুষ এখন “এত প্রশ্ন করতে হয়না, এত দলীল জিজ্ঞেস করতে হয়না। ” উলামায়ে “সূ”দের দাবিয়ে রাখার এই ভয়-ভীতিকে উপেক্ষা করতে শিখেছে। তাদের বিশ্বাস জন্মেছে যে, জানতে চাওয়া তাদের ঈমানের অধিকার, আর সে অধিকার বলে শুধু জিজ্ঞাসা করাই নয় বরং জিজ্ঞাসার প্রেক্ষিতে জবাবের দলীল জানতে চাওয়াও তাদের আরো ন্যায্য অধিকার। কারণ মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
هَاتُوا بُرْهَانَكُمْ اِنْ كُنتُمْ صَادِقِيْنَ
অর্থ : তোমরা যদি সত্যবাদী হয়ে থাক তবে দলীলসমূহ পেশ করো। ” (সূরা বাক্বারা: আয়াত শরীফ ১১১, সূরা নমল: আয়াত শরীফ ৬৪)
প্রসঙ্গতঃ আরো উল্লেখ্য যে, মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ পাঠ করে সাধারণ মানুষ এখন আর গৎবাধা একটি বা দুটি দলীল বা কিতাবের নাম শুনেই পরিতৃপ্ত হয় না। মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ উনার মাধ্যমে তারা আজ পেতে অভ্যস্ত হয়েছে ডজন ডজন তথা শত সহ¯্র দলীল বা কিতাবের প্রমাণ। সুবহানাল্লাহ!
তাই সাধারণ মানুষও আজ অবগত হয়েছে, মুয়াত্তা মালিক শরীফ, মুসনাদে আহমদ শরীফ, বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ, আবূ দাঊদ শরীফ, তিরমিযী শরীফ, নাসায়ী শরীফ, ইবনে মাজাহ শরীফ, মিশকাত শরীফ, মিরকাত শরীফ, ত্বীবী, তালীকুছ্ ছবীহ, ফতহুল বারী, ফতহুল ক্বাদীর, হিদায়া, বিক্বায়া, নিহায়া, ইনায়া, আলমগীরী, দুররুল মুখতার, গায়াতুল আওতার, মারাকিউল ফালাহ, নুরুল ইজাহ, মা-লা-বুদ্দা মিনহু, রুদ্দুল মুহতার, শামী, তাতারখানিয়া, খুলাছা, বাহরুর রায়িক ইত্যাদি শত শত প্রামাণ্য কিতাব সম্পর্কে।
আল বাইয়্যিনাত শরীফ সাধারণ মানুষকে, উলামায়ে ‘সূ’দের চ্যালেঞ্জ করার হিম্মত যুগিয়েছে :
আল বাইয়্যিনাত শরীফ সাধারণ মানুষকে, উলামায়ে ‘সূ’দের দাবিয়ে রাখার হুমকীতেও আর তারা থেমে থাকছে না, তারা মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ উনার তাছীরে আজ বুক টান করে উলামায়ে “সূ”দের হারাম আমলসমূহের কারণ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করার এবং তদপ্রেক্ষিতে দলীল চাওয়ার হিম্মত পাচ্ছে। তাদের দেয়া মনগড়া, ভিত্তিহীন জবাবের পরিবর্তে মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ উনার উছলীয় উলামায়ে “সূ”দের কৃত ছবি তোলা, লংমার্চ, হরতাল, ব্লাসফেমী আইন, মেয়েলোকের নেতৃত্ব গ্রহণ, দ্বীন ইসলাম উনার নামে নির্বাচন, গণতন্ত্র ইত্যাদি হারাম হওয়ার দলীল-প্রমাণ জানছে এবং আল বাইয়্যিনাত শরীফ উনার দলীল হাতে নিয়ে তারা উলামায়ে ‘সূ’দেরকে চ্যালেঞ্জ করার মত শক্তি ও সাহস পাচ্ছে।
আল বাইয়্যিনাত শরীফ এমন এক নিয়ামত, যা ফিতনা তথা গৃহযুদ্ধ থেকে হিফাজতের কারণ :
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
اُذْكُرُوا نِعْمَتِيَ الَّتِي أَنْعَمْتُ عَلَيْكُمْ
অর্থ: তোমরা সে নিয়ামতের কথা স্মরণ করো যা মহান আল্লাহ পাক তিনি তোমাদের দিয়েছেন। (সূরা বাক্বারা: আয়াত শরীফ ৪০, ৪৭, ১২২)
বলাবাহুল্য, বর্তমান যামানায় দলীলবিহীন, মনগড়া ও ভ্রান্ত ফতওয়া জনিত কলহ-কোন্দলের প্রেক্ষিতে অকাট্য ও অখ-নীয় ব্যাপক দলীলভিত্তিক পত্রিকা আল বাইয়্যিনাত শরীফ মহান আল্লাহ পাক উনার সে নিয়ামত। যা গ্রহণে আমরা অবাঞ্ছিত সব কলহ-কোন্দল যার পরিণতি একটা সম্ভাব্য গৃহযুদ্ধ, তা থেকে নাযাত লাভ করে মহান আল্লাহ পাক উনার রজ্জুকে শক্তভাবে ধরার একমাত্র উছীলারূপে পেতে পারি।
-আল্লামা আবূ খুবাইব আহমদ।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ওহাবীদের চক্রান্ত উন্মোচন
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িয
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
হালালকে হারাম করা নিষেধ
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা আঙ্গুলের ছাপ শরীয়তসম্মত, নিখুঁত, ব্যবহারে সহজ এবং রহমত, বরকত, সাকীনা লাভের কারণ (৬)
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
“আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম” কিতাবের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে বিরোধিতাকারীদের আপত্তির জবাব
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পর্দা রক্ষা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া ব্যভিচারের সমতুল্য
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা (৪)
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সারাবিশ্বে একই দিনে ঈদ পালন ও রোযা শুরু করার কথা বলার উদ্দেশ্য পবিত্র ঈদ ও পবিত্র রোযাকে নষ্ট করা, যা মূলত মুনাফিকদের একটি ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত (৬৩)
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে হালাল ও হারাম উভয়ের গুরুত্ব সম্পর্কে (১২)
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িজ
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)