মালিকুদ দুনিয়া ওয়াল আখিরাহ সাইয়্যিদুনা হযরত আবূ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সততা, আত্মসংযম ও পর্দাশীলতা
, ০২ রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১৭ সামিন, ১৩৯১ শামসী সন , ১৫ জানুয়ারি, ২০২৪ খ্রি:, ৩১ পৌষ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
এমনকি যাবীহুল্লাহ সাইয়্যিদুনা হযরত আবূ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সঙ্গে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আজিমুশ্শান নিসবাতুল আযীমাহ শরীফ হওয়ার পরেও ‘ফাতিমা বিনতে মূর আল খুছয়ামিয়া’ নামক এক মহিলা উনার সঙ্গে আজিমুশ্শান নিসবাতুল আযীমাহ শরীফের প্রস্তাব দিল এবং ছোহবত মুবারক ইখতিয়ারের ইচ্ছা পেশ করল। কিন্তু সাইয়্যিদুনা হযরত আবূ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সেদিকে দৃষ্টি না দিয়ে সোজা বাড়িতে চলে গেলেন। এক কথায় তিনি কোন মহিলার দিকে দৃষ্টি দিলেন না এবং কোন কৌতুহল প্রকাশ করলেন না। কারণ, তিনি হবেন আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত আব্বাজান।
এ সম্পর্কে “হযরত আবূ নুয়াইম রহমতুল্লাহি আলাইহি হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমা হতে মারফু’ সূত্রে বর্ণনা করেছেন যে, (নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন,) আমার সম্মানিত আব্বাজান ও সম্মানিতা আম্মাজান আলাইহিমাস সালাম উনারা কখনো অশ্লীল ও অশালীন কাজে লিপ্ত হন নাই।” (ইবনে আসাকির, কানযুল উম্মাল, আল্ বারাহীনুল্ ক্বাত্বইয়্যাহ্ ফী মাউলিদি খাইরিল বারিয়্যাহ লিল্ কারামত আলী জৌনপুরী রহমতুল্লাহি আলাইহি, নশরুত্ ত্বীব ১৪ পৃষ্ঠা)
“(নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন) সর্বদা মহান আল্লাহ্ পাক তিনি আমাকে পবিত্র জিসিম মুবারক হতে পবিত্র রেহেম মুবারকে স্থানান্তরিত করতেছিলেন। (যা পূর্ব হতেই) পবিত্র ও সুসজ্জিত ছিল। যখন দুটি শাখা বের হত তখন আমি এ দুই শাখার সর্বোত্তম শাখায় থাকতাম। (অর্থাৎ যখন আমার নসবনামায় পিতা-মাতার মধ্যে কারো দু’সন্তান হতেন, তখন আমি তাদের মধ্যে যিনি উত্তম হতেন উনার জিসিম মুবারক অথবা রেহেম শরীফে আসতে ছিলাম।)” (আল্ বারাহীনুল কাত্বইয়্যাহ্ ফী মাউলিদি খাইরিল বারিয়্যাহ, মাওয়াহিবুল লাদুন্নিয়া ১ম জিঃ ১৩ পৃষ্ঠা, সীরাতে হালাবিয়া ১ম জিঃ ৩১ পৃষ্ঠা, নশরুত্ তীব ১৪,১৫ পৃষ্ঠা)
“তাহক্বীকুল্ মাক্বাম আলা কিফাইয়াতিল্ আওওয়াম’ নামক কিতাবে বলা হয়েছে যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন, “আমি সদা-সর্বদা পবিত্র পুরুষগণের জিসিম মুবারক হতে পবিত্র নারীগণের রেহেম শরীফে স্থানান্তরিত হয়ে আসতেছিলাম।”
এই মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ দ্বারা অধিকাংশ আলিম দলীল পেশ করেছেন যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আব্বাজান ও পিতামহ আলাইহিমুস্ সালামগণ এবং আম্মাজান ও মাতামহ আলাইহিন্নাস্ সালামগণ, আবুল বাশার হযরত আদম আলাইহিস সালাম ও উম্মুল বাশার হযরত হাওয়া আলাইহাস সালাম পর্যন্ত কেউ কাফির ছিলেন না। কেননা, ত্বহারাত বা পবিত্রতা মু’মিন ছাড়া অন্য কারো জন্য ছিফত (গুন, বৈশিষ্ট্য) হতে পারে না। (তাফসীরুল কবীর ১৩ জিঃ ৩৯, ৪০ পৃষ্ঠা, আল বারাহীনুল ক্বাত্বইয়্যাহ্ ফী মাউলিদি খাইরিল বারিয়্যাহ, তাহক্বীকুল মাকাম আলা কিফাইয়াতিল্ আওওয়াম)
উল্লেখিত দলীলভিত্তিক আলোচনা থেকে প্রমাণিত হয় যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত আব্বা-আম্মা আলাইহিমাস সালাম এবং পূর্বতন কেউই ব্যভিচারী, বেপর্দা, কাফির, মুশরিক এবং অশ্লীল ও অশালীন কাজে লিপ্ত ছিলেন না। কল্পনাও করা যায়না বরং সবাই পবিত্র থেকে পবিত্রতম ছিলেন। উনাদের মধ্যে সকলেই ছিলেন মহাসম্মানিত আহলু বাইতে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের অন্তর্ভুক্ত। সুবহানাল্লাহ! কেউ ছিলেন সম্মানিত নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্তর্ভুক্ত।
“বর্ণিত আছে যে, নিশ্চয়ই মালিকুদ দুনিয়া ওয়াল আখিরাত, মালিকুল কায়িনাত, যবীহুল্লাহ্, সাইয়্যিদুনা হযরত আবূ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি একদা বণী আসাদ গোত্রের একজন মহিলার পাশ দিয়ে গেলেন, যে পবিত্র কা’বা শরীফ উনার নিকটে দাঁড়িয়ে ছিল, তার নাম ‘রুক্বাইক্বা বিনতু নাওফাল; অন্য বর্ণনায় ‘কুতাইলা’ উল্লেখ আছে। কুতাইলা ও রুক্বাইকা উভয় নামই তাছগীরের ছিগাহ্।
যখন সে মহিলা মালিকুদ দুনিয়া ওয়াল আখিরাত, মালিকুল কায়িনাত, যাবীহুল্লাহ্, সাইয়্যিদুনা হযরত আবূ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার চেহারা মুবারকের দিকে দৃষ্টি দিল, তখন উনার চমকিত রূপের (নূরের) আশিকা (মাতোয়ারা) হয়ে গেল। আর বলতে লাগল, হে সাইয়্যিদুনা হযরত আবূ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আপনি যদি আমার দিকে আসতেন, আমি ওয়াদা করতেছি পূর্বে আপনার জানের বিনিময়ে যে ১০০ উট কুরবানী করা হয়েছিল, আমি সেই ১০০ উট আপনার পক্ষ থেকে পরিশোধ করে দিতাম। পবিত্রতা ও লজ্জাশীলতা সাইয়্যিদুনা হযরত আবূ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মধ্যে প্রবল হলো। তাই তিনি মহিলার কথা প্রত্যাখ্যান করলেন এবং সেখান থেকে চলে গেলেন। (আল্ বারাহীনুল ক্বাত্ইয়্যাহ ফী মাউলিদি খাইরিল বারিয়্যাহ, মাওয়াহিবুল লাদুন্নিয়া ১ম জিঃ ১৯ পৃষ্ঠা, সীরাতু ইবনে হিশাম, সীরাতে হালাবিয়া)
“এক দিনের ঘটনা। হযরত মালিকুদ দুনিয়া ওয়াল আখিরাত, মালিকুল কায়িনাত, যাবীহুল্লাহ্, সাইয়্যিদুনা হযরত আবূ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ‘খুছয়ামিয়া’ নামের কোন এক বিখ্যাত গণৎকার মহিলার নিকট দিয়ে যাচ্ছিলেন। এ মহিলাটি অত্যাধিক সম্পদশালী ও হুশিয়ার ছিল, সে প্রতারণামূলকভাবে মালিকুদ দুনিয়া ওয়াল আখিরাত, মালিকুল কায়িনাত, যবীহুল্লাহ্, সাইয়্যিদুনা হযরত আবূ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে মাল দেয়ার ইচ্ছা করল। প্রথম মহিলাটি যা বলেছিল এ মহিলাটিও তাই বলল অর্থাৎ বিবাহের প্রস্তাব দিল। হযরত মালিকুদ দুনিয়া ওয়াল আখিরাত, মালিকুল কায়িনাত, যাবীহুল্লাহ্, সাইয়্যিদুনা হযরত আবূ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তার কথায় ধোকা খেলেন না। তিনি পাথর নিক্ষেপের ওজুহাত দিয়ে বাড়ী চলে গেলেন এবং বললেন, পরে আসব। হযরত মালিকুদ দুনিয়া ওয়াল আখিরাত, মালিকুল কায়িনাত, যাবীহুল্লাহ্ সাইয়্যিদুনা হযরত আবূ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বাড়ী এসে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে অবস্থান করলেন। এতে নূরে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জিসিম মুবারক থেকে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র রেহেম শরীফে চলে গেলেন। সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হামেলা শান মুবারক গ্রহণ করলেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খিদমত মুবারকে অবস্থান করতেছিলেন। সাইয়্যিদুনা হযরত আবূ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হঠাৎ একদিন উক্ত খুছয়ামিয়া নামের মহিলাটির নিকট দিয়ে যাচ্ছিলেন। তখন সেই মহিলাটি সাইয়্যিদুনা হযরত আবূ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার চেহারা মুবারকে (কপালে) উক্ত নূর মুবারক দেখতে না পেয়ে জিজ্ঞাসা করল, হে সাইয়্যিদুনা হযরত আবূ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি সেদিন আমার নিকট হতে দ্রুত যাবার পর কোন মহিলার নিকটবর্তী হয়েছিলেন কি? সাইয়্যিদুনা হযরত আবূ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি জাওয়াবে বললেন, হ্যাঁ। রাতে আমার সম্মানিতা আহলিয়া সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকটবর্তী হয়েছিলাম। তখন খুছয়ামিয়া বলতে লাগলো, হে সাইয়্যিদুনা হযরত আবূ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! এখন আর আপনার নিকট আমার কোন প্রয়োজন নাই। কেননা, প্রথমে আমি আপনার কপাল মুবারকে নূর দেখেছিলাম, তাই সেই নূর মুবারক পাওয়ার আশায় তখন বলেছিলাম এখন তো সেই নূর মুবারক অন্য মহিলার ভাগ্যে চলে গেছেন।” (আল্ বারাহীনুল্ ক্বাতইয়্যাহ ফী মাউলিদি খাইরিল বারিয়্যাহ, মাওয়াহিব ১ম জিঃ ১৯ পৃষ্ঠা, নশরুত্ ত্বীব)
-উম্মু মুদ্দাসসির
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ওহাবীদের চক্রান্ত উন্মোচন
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িয
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
হালালকে হারাম করা নিষেধ
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা আঙ্গুলের ছাপ শরীয়তসম্মত, নিখুঁত, ব্যবহারে সহজ এবং রহমত, বরকত, সাকীনা লাভের কারণ (৬)
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
“আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম” কিতাবের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে বিরোধিতাকারীদের আপত্তির জবাব
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পর্দা রক্ষা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া ব্যভিচারের সমতুল্য
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা (৪)
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সারাবিশ্বে একই দিনে ঈদ পালন ও রোযা শুরু করার কথা বলার উদ্দেশ্য পবিত্র ঈদ ও পবিত্র রোযাকে নষ্ট করা, যা মূলত মুনাফিকদের একটি ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত (৬৩)
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে হালাল ও হারাম উভয়ের গুরুত্ব সম্পর্কে (১২)
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িজ
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)