মহিলাদের জন্য মসজিদে গিয়ে জামায়াতে নামায পড়া জায়িয নয়
, ০২ ছফর শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২০ ছালিছ, ১৩৯১ শামসী সন , ১৯ আগস্ট, ২০২৩ খ্রি:, ০৪ ভাদ্র শ্রাবণ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) মহিলাদের পাতা
ويكره للنساء حضور الجماعة يعنى الشواب منهن لما فيه خوف الفتنة والفتاوى اليوم على الكراهة فى الصلاوات كلها لظهور الفسق فى هذا الزمان.
অর্থ: প্রাপ্তা বয়স্কা মহিলাদের জামায়াতের জন্য মসজিদে আসা মাকরূহ্ তাহরীমী বা নিষিদ্ধ ফিৎনার আশঙ্কায়। বর্তমান যামানায় ফাসেকী প্রকাশ পাওয়ার কারণে উলামায়ে মুতায়াখ্খিরীনগণ ফতওয়া দেন যে, প্রাপ্তা বয়স্কা হোক অথবা বৃদ্ধা উভয়ের জন্য যে কোন নামাযের জামায়াতে উপস্থিত হওয়া মাকরূহ্ তাহরীমী বা নিষিদ্ধ। (আল জাওহারাতুন নাইয়্যারাহ ৭৮ পৃষ্ঠা, মারাকিউল ফালাহ ২০৫ পৃষ্ঠা, মুহীত্ব, কুদূরী ৩৬ পৃষ্ঠা)
ফতওয়ার কিতাবসমূহে আরো উল্লেখ রয়েছে, পরবর্তী ফক্বীহ রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণ ফতওয়া দেন যে, মহিলাদের পাঁচ ওয়াক্ত, জুমুয়াহ, ঈদসহ যে কোন নামাযের জামায়াতে উপস্থিত হওয়া মাকরূহ্ তাহরীমী বা নিষিদ্ধ। এ ফতওয়া সকল স্থানের জন্যই প্রযোজ্য অর্থাৎ চাই হেরেম শরীফে হোক অথবা মসজিদে নববী শরীফে। হিন্দুস্থানে হোক অথবা আরব দেশে সকল স্থানেই মাকরূহ্ তাহরীমী বা নিষিদ্ধ। (ফতওয়ায়ে রহীমিয়াহ্ ১ম খ- ১৭৩ পৃষ্ঠা, ফতওয়ায়ে নঈমিয়াহ্ ৩৫ পৃষ্ঠা, তরীকুল ইসলাম ৭ম খ- ৩৩ পৃষ্ঠা)
ফতওয়ার কিতাবসমূহে আরো উল্লেখ রয়েছে, “মহিলাদের মসজিদে গিয়ে জামায়াতে নামায পড়া মাকরূহ্ তাহরীমী বা নিষিদ্ধ। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সময় মহিলাদের মসজিদে আসা এবং পরবর্তীতে তা নিষিদ্ধ অর্থাৎ হারাম হয়ে যাওয়া পবিত্র হাদীছ শরীফ দ্বারা প্রমাণিত। এ বিষয়ে দুররুল মুখতার কিতাবে ইঙ্গিত রয়েছে। ” (আযীযুল ফতওয়া ১ম খ- ২১৩ পৃষ্ঠা, ফতওয়ায়ে দারুল উলুম দেওবন্দ ৩য় খ- ৪৯ পৃষ্ঠা, মাশারিকুল আনওয়ার ১৩৭ পৃষ্ঠা, ইমদাদুল আহ্কাম ১ম খ- ৪২৫ পৃষ্ঠা, দুররুল মুখতার)
ফতওয়ার কিতাবসমূহে আরো উল্লেখ রয়েছে, মহিলাদের মসজিদে গিয়ে জামায়াতে নামায পড়া মাকরূহ্ তাহরীমী। বৃদ্ধা মহিলাদের রাত্রে হলেও জামায়াতে যাওয়া মাকরূহ্ তাহরীমী বা নিষিদ্ধ। (আহসানুল ফতওয়া ৩য় খ- ২৮৩ পৃষ্ঠা, কিফায়াতুল মুফতী ৩য় খ- ২৪৪ পৃষ্ঠা, বেহেস্তী জিওর ৭ম খ- ২৯ পৃষ্ঠা)
ফতওয়ার কিতাব সমূহে আরো উল্লেখ রয়েছে-
الفتاوى فى زمننا على انهن لاتخرجن وان كن عجائز الى الجماعات لا فى الليل ولا فى النهار لغلبة الفتنة.
অর্থ: “বর্তমান যামানার ফতওয়া হলো- মহিলাদের জামায়াতের জন্য মসজিদে যাওয়া নিষিদ্ধ, যদিও বৃদ্ধা হোক না কেন। রাত্রে হোক অথবা দিনে (প্রত্যেক অবস্থায়ই) ফিৎনার আশঙ্কায় হারাম। ” (ফতওয়ায়ে মাহমূদিয়াহ্ ২য় খ- ২৩৯ পৃষ্ঠা)
-আল্লামা সাইয়্যিদ আবূ খুবাইব
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
যেভাবে দ্বীন ইসলাম উনার দুইজন সম্মানিত খলীফা সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীকে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি এবং সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইসি সালাম উনারা মনোনীত হয়েছিলেন
২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার নছীহত মুবারক:
২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মহিলাদের জামায়াতের জন্য মসজিদে ও ঈদগাহে যাওয়া হারাম ও কুফরী (২)
২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের বেমেছাল দানশীলতা মুবারক (৮)
২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
শিরক কি? শিরক সম্পর্কে আলোচনা
২০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
শোকরগোযারী দ্বারা নিয়ামত বৃদ্ধি পায় শোকর গোযার না করলে নিয়ামত বন্ধ হয়
২০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
শিরক কি? শিরক সম্পর্কে আলোচনা
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
শোকরগোযারী দ্বারা নিয়ামত বৃদ্ধি পায় শোকর গোযার না করলে নিয়ামত বন্ধ হয়
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
শিরক কি? শিরক সম্পর্কে আলোচনা
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
“মানুষের পেট কবরের মাটি ছাড়া অন্য কিছু দ্বারা পূর্ণ হবে না”
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পুরুষদের ন্যায় মহিলাদেরও দ্বীনী তা’লীম গ্রহণ করা ফরযে আইন
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
জন্মের তৃতীয় মাসে যে বিষয়গুলো লক্ষণীয়
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)