মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২১শে শাওওয়াল শরীফ হচ্ছেন “আন্তর্জাতিক পবিত্র বাল্যবিবাহ দিবস”। সুবহানাল্লাহ!

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মানিত নুবুওওয়াত-রিসালত মুবারক প্রকাশের দশম বছর পবিত্র শাওওয়াল শরীফ মাসের ২১ তারিখে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত বয়স মুবারক যখন ৬ বছর তখন উনার সাথে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নিছবাতুল আযীম শরীফ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আক্বদ্ মুবারক) সুসম্পন্ন হয় এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৯ বছর বয়স মুবারকে তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হুজরা শরীফে মহাসম্মানিত তাশরীফ মুবারক গ্রহণ করেন। সুবহানাল্লাহ! এ বিষয়টি একটি নয়, দু’টি নয় বরং অসংখ্য ছহীহ্ মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের বর্ণনা মুবারক দ্বারাই অকাট্যভাবে প্রমাণিত। সুবহানাল্লাহ!

কাজেই, এ বিষয়টি অস্বীকার করার অর্থ হচ্ছে বহু মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছহীহ্ হাদীছ শরীফ উনাদেরকে অস্বীকার করা। আর এ ব্যাপারে সকলেই একমত যে, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ অস্বীকার করা কাট্টা কুফরী। আর যে কুফরী করে সেই কাফির হয়। নাউযুবিল্লাহ!

নি¤েœ ছহীহ্ পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার কিতাব মুবারক থেকে এ সম্পর্কিত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উল্লেখ করা হলো-

عَنْ سَيِّدَتِنَا حَضْرَتْ اُمِّ الْمُؤْمِنِيْنَ الثَّالِثَةِ الصِّدِّيْقَةِ عَلَيْهَا السَّلَامُ اَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَزَوَّجَهَا وَهِيَ بِنْتُ سِتِّ سِنِيْنَ وَاُدْخِلَتْ عَلَيْهِ وَهِيَ بِنْتُ تِسْعٍ وَمَكَثَتْ عِنْدَهٗ تِسْعًا.

অর্থ: সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে (সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম) উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নিছবাতুল আযীম শরীফ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আক্বদ্ মুবারক) সুসম্পন্ন হয় যখন উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বয়স মুবারক ৬ বছর। আর তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৯ বছর মহাসম্মানিত বয়স মুবারকে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হুজরা শরীফে মহাসম্মানিত তাশরীফ মুবারক গ্রহণ করেন এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৯ বছর উনার সাথে অবস্থান মুবারক করেন।” সুবহানাল্লাহ! (ছহীহুল বুখারী কিতাবু বাদ্ইল ওয়াহ্ই বাবু ইনকাহির রজুলি ওয়ালাদাহুছ ছিগার)

বাল্যবিবাহের মধ্যে অনেক উপকার রয়েছে। বর্তমানে কাফের-মুশরিকরা চক্রান্ত করে বাংলাদেশের মুসলমানদেরকে সেই সুফল থেকে বিমুখ রাখতে চাচ্ছে এবং নিজেরা বাল্যবিবাহের সুফলের বিষয়টি উপলদ্ধি করতে পেরে নিজেরা ব্যাপকভাবে বাল্যবিবাহ করে যাচ্ছে এবং উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স সেন্টার ফর কমিউনিকেশন প্রোগ্রামস কর্তৃক বাস্তবায়িত ইউএসএআইডির উজ্জীবন এসবিসিসি প্রকল্প বাংলাদেশে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে কাজ করছে। বেশ কিছুদিন পূর্বে তারা সুপার স্টোর আগোরাকে সাথে নিয়ে কথিত বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরি করতে ১০ লাখ স্বাক্ষর সংগ্রহ অভিযান পরিচালনা করেছে।

তাদের বক্তব্য হচ্ছে, বাংলাদেশে নাকি হঠাৎ বাল্যবিবাহ বেড়ে গেছে। সেজন্য তারা স্বাক্ষর অভিযান পরিচালনা করেছে। অথচ যুক্তরাষ্ট্রের ৫০ টি রাজ্যের ৪৫টি রাজ্যে আইনগতভাবেই বাল্যবিবাহের বৈধতা রয়েছে। এছাড়া তাদের দাবি অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র একটি সভ্য ও উন্নত দেশ। যদি কথিত এই সভ্য দেশ বাল্যবিবাহের আইনগতভাবে অনুমতি দিতে পারে তাহলে বাংলাদেশে কেন বাল্যবিবাহের আইনগতভাবে অনুমতি দিতে পারবেনা? ইউএসএআইডি’র উচিত বাংলাদেশে ব্যাপক ভাবে বাল্যবিবাহের পক্ষে প্রচারণা করা।

-আহমদ হুসাইন