মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আলাইহাস সালাম (৫)
, ১৮ যিলক্বদ শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ০৯ আউওয়াল, ১৩৯১ শামসী সন , ০৮ জুন, ২০২৩ খ্রি:, ২৬ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) মহিলাদের পাতা
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ক্বওল শরীফ :
نَـحْمَدُهٗ وَنُصَلِّىْ وَنُسَلِّـمُ عَلـٰى رَسُوْلِهِ الْكَرِيْـمِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَعَلـٰى حَضْرَتْ وَالِدَىْ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَعَلـٰى حَضْرَتْ اُمَّهَاتِ الْـمُؤْمِنِـيْـنَ عَلَيْهِنَّ السَّلَامُ وَعَلـٰى حَضْرَتْ اَهْلِ بَـيْتِهِ الْكَرِيْـمِ عَلَيْهِمُ السَّلَامُ .اَمَّا بَعْدُ:
যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
اَلنَّبِـىُّ اَوْلـٰى بِالْمُؤْمِنِـيْـنَ مِنْ اَنْفُسِهِمْ وَاَزْوَاجُهۤٗ اُمَّهٰتُهُمْ
অর্থ: “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা মু’মিন উনাদের নিকট উনাদের জানের চেয়েও অধিক প্রিয় এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হচ্ছেন সমস্ত সৃষ্টির মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র পিতা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা হচ্ছেন সমস্ত সৃষ্টির মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মাতা আলাইহিন্নাস সালাম। ” সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৬)
এই সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মাধ্যমে যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি সমস্ত জিন—ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলকে জানিয়ে দিয়েছেন যে, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পরেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মাক্বাম মুবারক। সুবহানাল্লাহ!
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা হচ্ছেন একমাত্র যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা ব্যতীত সমস্ত হযরত নবী—রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারাসহ সমস্ত জিন—ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলেরই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মাতা আলাইহিন্নাস সালাম। সুবহানাল্লাহ! উনাদের সম্মানার্থেই সমস্ত হযরত নবী—রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারাসহ সমস্ত জিন—ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলেই সমস্ত প্রকার সম্মানিত নি‘য়ামত মুবারক হাছিল করেছেন, করছেন এবং অনন্তকাল যাবৎ হাছিল করতেই থাকবেন। সুবহানাল্লাহ! মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা শুধু যিনি খ¦ালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন; এছাড়া সমস্ত শান—মান, ফাযায়িল—ফযীলত, বুযূর্গী—সম্মান মুবারক উনাদের অধিকারিণী হচ্ছেন উনারা। সুবহানাল্লাহ! উনারা সমস্ত কিছুর মূল এবং মালিক। সুবহানাল্লাহ! উনারা হযরত নবী—রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদেরও মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মাতা আলাইহিন্নাস সালাম অর্থাৎ উনারা হযরত নবী—রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদেরও মূল এবং মালিক। সুবহানাল্লাহ! নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পরেই উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মাক্বাম মুবারক। সুবহানাল্লাহ!
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন,
عَنْ حَضْرَتْ اَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ النَّبِـىُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَلْـجَنَّةُ تَـحْتَ اَقْدَامِ الْاُمَّهَاتِ
অর্থ: “হযরত আনাস ইবনে মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, সম্মানিত জান্নাত মুবারক সম্মানিতা মাতা উনাদের পায়ের নিচে। ” সুবহানাল্লাহ! (জামি‘উছ ছগীর ১/৫৬৩, আল কুনা ওয়াল আসমা’ ৩/১০৯১, মুসনাদে শিহাব ১/১০২, আল জামি’ লি খত্বীব বাগদাদী ৪/৪৬১, আল ফাওয়াইদ লি আবী শায়েখ ইস্পাহানী ১/২৬, আত তারগীব ওয়াত তারহীব ১/২৮১, মূজিবাতুল জান্নাহ ১/১১০, ফায়যুল ক্বদীর ৩/৪৭৭, আদ দুররুল মুনতাছিরাহ লিস সুয়ূত্বী ১/৯, আল ফাতহুল কাবীর লিস সুয়ূত্বী ২/৬২, জামি‘উল আহাদীছ ১২/৮০, দায়লামী শরীফ ২/১১৬, কাশফুল খফা ১/৩৩৫, কানযুল উম্মাল ১৬/৪৬১, জাম‘উল জাওয়ামি’ ১/১১৬০৭, ইহ্ইয়াউ উলূমিদ্দীন, মিরক্বাত শরীফ ইত্যাদি)
অর্থাৎ সন্তানদের সম্মানিত জান্নাত মুবারক সম্মানিতা মাতা উনাদের পায়ের নিচে। সুবহানাল্লাহ!
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ অনুযায়ী মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা একমাত্র যিনি খ¦ালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা ব্যতীত সমস্ত হযরত নবী—রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারাসহ সমস্ত জিন—ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলেরই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মাতা আলাইহিন্নাস সালাম। সুবহানাল্লাহ! আর বর্ণিত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ অনুযায়ী যিনি খ¦ালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা ব্যতীত সমস্ত হযরত নবী—রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারাসহ সমস্ত জিন—ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলেরই সম্মানিত জান্নাত মুবারক মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুদ দারাজাত মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ক্বদম মুবারক) উনাদের নিচে। সুবহানাল্লাহ!
তাহলে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শান—মান, ফাযায়িল—ফযীলত, বুযূর্গী—সম্মান মুবারক কতো বেমেছাল তা কেউ কস্মিনকালেও ভাষায় প্রকাশ করতে পারবে না, চিন্তা—কল্পনা করে মিলাতে পারবে না। সুবহানাল্লাহ! আর সেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মধ্যে বিশেষ ব্যক্তিত্বা মুবারক হচ্ছেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালুু ইয়াদান আলাইহাস সালাম তিনি। সুবহানাল্লাহ! তাহলে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালুু ইয়াদান আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শান—মান, ফাযায়িল—ফযীলত, বুযূর্গী—সম্মান মুবারক কতো বেমেছাল, সেটা সমস্ত জিন—ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের চিন্তা ও কল্পনার উর্ধ্বে। সুবহানাল্লাহ!
মূলত, কেউ যদি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্পর্কে জানতে চায়, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শান—মান, ফাযায়িল—ফযীলত, বুযূর্গী—সম্মান মুবারক জানতে চায়, উপলব্ধি করতে চায়, উনার হাক্বীক্বী মুহব্বত—মা’রিফত, নিসবত—কুরবত, রেযামন্দি—সন্তুষ্টি মুবারক লাভ করতে চায়, তার জন্য ফরযে আইন হচ্ছেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালুু ইয়াদান আলাইহাস সালাম উনার সম্পর্কে জানা, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শান—মান, ফাযায়িল—ফযীলত, বুযূর্গী—সম্মান মুবারক জানা, উপলব্ধি করা, উনার হাক্বীক্বী মুহব্বত—মা’রিফত, নিসবত—কুরবত, রেযামন্দি—সন্তুষ্টি মুবারক অর্জন করা। সুবহানাল্লাহ! উনার সম্পর্কে জানা ব্যতীত, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শান—মান, ফাযায়িল—ফযীলত, বুযূর্গী—সম্মান মুবারক জানা ব্যতীত, উপলব্ধি করা ব্যতীত, উনার হাক্বীক্বী মুহব্বত—মা’রিফত, নিসবত—কুরবত, রেযামন্দি—সন্তুষ্টি মুবারক লাভ করা ব্যতীত কেউ কস্মিনকালেও নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্পর্কে জানতে পারবে না, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শান—মান, ফাযায়িল—ফযীলত, বুযূর্গী—সম্মান মুবারক জানতে পারবে না, উপলব্ধি করতে পারবে না, উনার হাক্বীক্বী মুহব্বত—মা’রিফত, নিসবত—কুরবত, রেযামন্দি—সন্তুষ্টি মুবারক অর্জন করতে পারবে না।
মহান আল্লাহ পাক তিনি সবাইকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালুু ইয়াদান আলাইহাস সালাম উনার সম্পর্কে জেনে উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শান—মান, ফাযায়িল—ফযীলত, বুযূর্গী—সম্মান মুবারক উপলব্ধি করার এবং উনার হাক্বীক্বী মুহব্বত—মা’রিফত, নিসবত—কুরবত, রেযামন্দি—সন্তুষ্টি মুবারক অর্জন করার তাওফীক্ব দান করুন। (আমীন!)
اَلْمُقَدِّمَةُ (আল মুক্বদ্দিমাহ্)
اَلْـحَمْدُ وَالصَّلـٰوةُ وَالسَّلَامُ لِشَيْخِنَا مَـمْدُوْحْ مُرْشِدْ قِبْلَةْ سَيِّدِنَا حَضْرَتْ سُلْطَانٍ نَّصِيْـرٍ عَلَيْهِ السَّلَامُ وَعَلـٰى اَهْلِ بَيْتِهِ الْكَرِيْـمِ عَلَيْهِمُ السَّلَامُ وَالصَّلـٰوةُ وَالسَّلَامُ عَلـٰى سَيّـِدِ الْاَنْۢبِيَاءِ وَالْـمُرْسَلِـيْـنَ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَعَلـٰى اَهْلِ بَـيْـتِهِ الْكَرِيْـمِ عَلَيْهِمُ السَّلَامُ وَالْـحَمْدُ لِلّٰهِ رَبِّ الْعَالَمِـيْـنَ. اَمَّا بَعْدُ:
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “মুহররমুল হারাম শরীফ মাস উনার পূর্বে (১৪৩৩ হিজরী শরীফ—এ)। আমাকে দেখানো হচ্ছিলো, দেখলাম সরাসরি সাক্ষাৎ হলো যিনি খ¦ালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে। তিনি আমাকে অনেক বড় বড় লেখকদের কতোগুলো আরবী বড় বড় কিতাব দেখালেন। এর মধ্যে অনেক ইবারত, অনেক ভুল। এখন যিনি খ¦ালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি দেখাচ্ছেন, আমি চিন্তা করলাম যে, সরাসরি মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে আমাদের তো নিসবত নেই। আমাদের নিসবত তো নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাধ্যম দিয়ে। এটা কেমন! তখন সাথে সাথে দেখলাম যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উপস্থিত হলেন। তিনি আমাকে বললেন— ‘হ্যঁা, তিনি খ¦ালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক। ’ এখন মহান আল্লাহ পাক তিনি দেখাচ্ছেন এবং দেখালেন কতগুলো অনেক বড় বড় কিতাব, আরবী বড় বড় ইবারত। এখানে তারা যে লিখেছে, একটাও শুদ্ধ না। একটাও শুদ্ধ না, অধিকাংশগুলোতে ভুল আছে। এরা বুঝতে পারে নাই, হাক্বীক্বতটা বুঝে নাই। আমাকে একখানে নিয়ে গেলেন। ঐ সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফখানা—
یٰۤاَیُّہَا الَّذِيْنَ اٰمَـنُـوْا لَا تُـحِلُّوْا شَعَائِرَ اللهِ وَلَا الشَّهْرَ الْـحَرَامَ وَلَا الْـهَدْىَ
এই সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ উনার যে, হাক্বীক্বতটা, মাক্বামটা ওখানে আমাকে নিয়ে গেলেন। সেখানে গিয়ে দেখলাম অনেক বড় কামরা, রুম। এটা ইলিম মুবারক—এ পরিপূর্ণ। এই সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ উনার হাক্বীক্বত, তা’যীম—তাকরীমের বিষয়টা। এরপর বললেন যে, এই যে এতো হাদীছ, তাফসীর যে লেখা হয়েছে— সব কিছু রসম—রেওয়ায এবং অধিকাংশ হচ্ছে পুঁথিগত বিদ্যা, কপি করা। এরপর অনেক ইলিম উনাদের একটা বড় মাক্বাম দেখালেন যে, উনার কোনো কুল—কিনারা নেই। এরপর অপর এক জায়গায় আমাকে আবার নিয়ে আসলেন। একটা জিনিস দেখানো হলো, একটা কোণার মধ্যে, অল্প একটু জায়গার মধ্যে দুনিয়ার সমস্ত কিতাব যা আছে, দুনিয়ার যত কিতাব যা লিখা হয়েছে— সমস্ত কিতাবগুলির হাক্বীক্বতটা এক কোণার মধ্যে, অল্প একটু। আর যিনি খ¦ালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের যে সম্মানিত ইলিম মুবারক অনেক অসীম! সুবহানাল্লাহ! (মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা আনুষ্ঠানিকভাবে আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনাকে উনাদের সেই সম্মানিত অসীম ইলিম মুবারক দেখিয়েছেন এবং সম্মানিত হাদিয়া মুবারক করেছেন। সুবহানাল্লাহ! যার কারণে উনি আনুষ্ঠানিকভাবে ‘মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের যে সম্মানিত ইলিম মুবারকট অনেক অসীম!’ এ বিষয়টি সকলের মাঝে প্রকাশ করেছেন। সুবহানাল্লাহ!) কাজেই, এই যে ইলিম যা প্রকাশ করা হচ্ছে, যা বিন্দু থেকে বিন্দুতম। যেটা আমরা বলি, এটা হলো সেটা। হাক্বীক্বত খুব কম এবং অনেক বইয়ের মধ্যে অনেক ভুল। হযরত নবী—রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের এবং হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনাদের শান মুবারক—এ লেখা যেগুলো আছে, অনেক গলদ আছে। হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের, হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্পর্কে অনেক বড় বড় আলিম—উলামা উনারা অনেকে অনেক হাদীছ, তাফসীর, হাদীছ শরীফ উনার শরাহ লিখেছেন, কিন্তু অনেক গলদ। এ সমস্ত বিষয়গুলো গ্রহণ করা যাবে না।
এরপর কতোগুলো বিষয় জানার ইচ্ছা প্রকাশ করলাম এবং বললাম তাহলে এ রকম হলো কেন? উনারা বললেন যে, ‘প্রকৃতপক্ষে বিষয়টা হচ্ছে— এটা যার যার মাক্বামের সাথে সম্পৃক্ত। যিনি যেই স্তরে পেঁৗছেছেন, যতটুকু বুঝেছেন, ততটুকুই লিখেছেন। হাক্বীক্বত এই লেখাগুলো কোনোটাই পূর্ণ না। পূর্ণ হচ্ছেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ। ’ এখন বুঝ বা সমঝ পূর্ণ হবে উনারা যদি বুঝান। যিনি খ¦ালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অথার্ৎ উনারা যদি বুঝান, তাহলে বুঝ বা সমঝ পূর্ণ হবে। তাছাড়া পূর্ণ হবে না। ” সুবহানাল্লাহ!
আলোচ্য মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ঘটনা মুবারক উনার মাধ্যমে সরাসরি মহাসম্মানিত দীদার মুবারক এবং অসীম ইলিম মুবারক উনাদের বহিঃপ্রকাশের বিষয়টি অত্যন্ত সুস্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছেন। সুবহানাল্লাহ! (চলবে)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
কাফের বিশ্বে নারীরা শুধু কি এখন নির্যাতনের শিকার হচ্ছে?
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
একজন দ্বীনদার পরহেযগার আল্লাহওয়ালী মহিলা উনার পর্দা পালনের বেমেছাল দৃষ্টান্ত
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রসঙ্গ মহিলা জামাত নাজায়িজ
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
শৈশবকাল থেকেই সন্তানকে দ্বীনদার হওয়ার শিক্ষা দান করতে হবে
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সম্মানিতা মহিলা আউলিয়া-ই কিরাম উনাদের পরিচিতি
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
স্বচক্ষে দেখা কিছু কথা
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পারিবারিক তা’লীমের গুরুত্ব ও তারতীব
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সুন্নতী খাবার সম্পর্কিত হাদীছ শরীফ : মেথি
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
খাবার বিষয়ে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
জন্মের প্রথম মাস
১৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের অনুসরণে মু’মীনদের জীবন গড়ে তোলা দায়িত্ব-কর্তব্য
১৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)