পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, হযরত আবূ মুসা আশয়া’রী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যারা মহান আল্লাহ পাক উনার যিকির করে আর যারা যিকির করেনা তাদের মেছাল জীবিত এবং মৃতের ন্যায়।
মহান আল্লাহ পাক উনার যিকিরকারী ব্যক্তি জীবিত আর যে মহান আল্লাহ পাক উনার যিকির করেনা সে ব্যক্তি মৃত।
তাই, প্রত্যেক মুসলমানের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- দুনিয়া পরিত্যাগ করে সম্মানিত শরীয়ত নির্দেশিত তারতীব অনুযায়ী দায়েমীভাবে মহান আল্লাহ পাক উনার যিকির করে মহান আল্লাহ পাক উনাকে এবং মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে হাছিলের কোশেশ করা।
, ৭ই রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১১ ছামিন, ১৩৯২ শামসী সন , ০৮ জানুয়ারী, ২০২৫ খ্রি:, ২৩ পৌষ , ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) মহাপবিত্র ক্বওল শরীফ-২
ছাহিবাতু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, হাবীবাতুল্লাহ, ছাহিবায়ে নেয়ামত, রহমাতুল্লিল আলামীন, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, হযরত আবূ মুসা আশয়া’রী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যারা মহান আল্লাহ পাক উনার যিকির করে আর যারা যিকির করেনা তাদের মেছাল জীবিত এবং মৃতের ন্যায়।
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, মহাসম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মর্মে বুঝা যায়, মহান আল্লাহ পাক উনার যিকিরকারী ব্যক্তি জীবিত আর যে মহান আল্লাহ পাক উনার যিকির করেনা সে ব্যক্তি মৃত। বাহ্যিক দৃষ্টিতে জীবিত ব্যক্তি যেমন সমস্ত নিয়ামত ভোগ করতে পারে, মৃত ব্যক্তি কোনো নিয়ামত ভোগ করতে পারে না। তদ্রুপ যিকিরকারী ব্যক্তি সমস্ত নিয়ামত মুবারক অর্থাৎ রহমত, বরকত, সাকীনা লাভ করতে পারবে। অন্যদিকে যে ব্যক্তি যিকির করেনা সে কোনো রহমত-বরকত, সাকীনা লাভ করতে পারেনা এবং তার কোনো সম্মান-মর্যাদাও থাকেনা।
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, হযরত উম্মুল মু’মিনীন হাদিয়া আশার আলাইহাস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, সৎ কাজের আদেশ, অসৎ কাজ হতে নিষেধ অথবা মহান আল্লাহ পাক উনার যিকির ব্যতীত আদম সন্তানের প্রত্যেক কথাই তার জন্য ক্ষতিকর, কল্যাণকর নয়। এ কারণে পবিত্র হাদীছ শরীফে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনার যিকির ব্যতীত অতিরিক্ত কথা বলো না। কেননা, অতিরিক্ত কথা বলার দ্বারা অন্তর কঠিন হয়ে যায়। আর যার অন্তর কঠিন হয়ে যায় সে মহান আল্লাহ পাক উনার থেকে দূরে সরে যায়। নাঊযুবিল্লাহ!
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, মহান আল্লাহ পাক উনার যিকির না করার কারণে যাদের অন্তর কঠিন হয়ে গিয়েছে তাদের জন্য ধ্বংস বা জাহান্নাম। নাঊযুবিল্লাহ! আর তারা প্রকাশ্য গোমরাহীর মধ্যে রয়েছে। অর্থাৎ গোমরাহী থেকে বাঁচতে হলে সর্বদা মহান আল্লাহ পাক উনার যিকিরে মশগুল থাকতে হবে। আর দায়েমীভাবে যিকির করা তখনই সম্ভব হবে যখন যিকির জারী করা হবে। তাই যিকির জারী না হওয়া পর্যন্ত যিকির জারী করার কোশেশ করতে হবে।
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, হযরত মালিক বিন আনাস রহমাতুল্লাহি আলাইহি থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার নিকট পৌঁছেছে নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, গাফিলদের মধ্যে মহান আল্লাহ পাক উনার যিকিরকারীর ফযীলত হচ্ছে, পশ্চাতে পলায়নকারীদের মধ্যে বীরযোদ্ধাদের ন্যায় এবং গাফিলদের মধ্যে মহান আল্লাহ পাক উনার যিকিরকারীর ফযীলত হচ্ছে, শুষ্ক গাছের মধ্যে কাঁচা ডালের ন্যায়। অন্য বর্ণনায় রয়েছে, সবুজ গাছ শুষ্ক গাছের মধ্যে যেরূপ; গাফিলদের মধ্যে যিকিরকারীর ফযীলতও তদ্রুপ। গাফিলদের মধ্যে যিকিরকারীর ফযীলত হচ্ছে অন্ধকার ঘরে বাতির ন্যায়। আর গাফিলদের মধ্যে যিকিরকারীর ফযীলত বা মর্যাদা হচ্ছে, মহান আল্লাহ পাক তাকে (যিকিরকারীকে) জীবদ্দশায় জান্নাতের স্থান দেখাবেন। আর গাফিলদের মধ্যে যিকিরকারীর ফযীলত হচ্ছে মহান আল্লাহ পাক তিনি মানুষ ও পশুর সংখ্যা পরিমাণ তার (যিকিরকারীর) গুনাহখতা ক্ষমা করে দিবেন। ফাছিহ দ্বারা উদ্দেশ্য আদম সন্তান এবং আ’যমু দ্বারা উদ্দেশ্য পশু। সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, মূলকথা হলো- মহান আল্লাহ পাক উনার যিকিরকারী ব্যক্তি জীবিত আর যে মহান আল্লাহ পাক উনার যিকির করেনা সে ব্যক্তি মৃত। তাই, প্রত্যেক মুসলমানের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- দুনিয়া পরিত্যাগ করে সম্মানিত শরীয়ত নির্দেশিত তারতীব অনুযায়ী দায়েমীভাবে মহান আল্লাহ পাক উনার যিকির করে মহান আল্লাহ পাক উনাকে এবং মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে হাছিলের কোশেশ করা।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
হায়াত, মাল-সম্পদ এবং পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার হক্ব যারা আদায় করবেনা, তাদেরকে কিয়ামতের দিন অসহায় বকরীর ন্যায় উপস্থিত করা হবে।
০৮ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে- সম্মানিত আইয়্যামুল্লাহ শরীফ বা মহান আল্লাহ পাক উনার বিশেষ দিবসসমূহ পালন করা সকলের জন্য আবশ্যক।
০৭ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি “ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম” (সোমবার) পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করার কারণে এ মুবারক দিবসটি হচ্ছেন- পবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ বা শ্রেষ্ঠ দিনসমূহেরও সাইয়্যিদ। সুবহানাল্লাহ!
০৬ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
প্রত্যেক ব্যক্তি বা সম্প্রদায়ের জন্য ফরয হচ্ছে- মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার সম্মানিত রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের প্রতি বিশুদ্ধ আক্বীদা রেখে উনাদের প্রতিটি আদেশ-নিষেধ মুবারক পরিপূর্ণরূপে পালন করা। আর ইহুদী, মুশরিক, নাছারা তথা বিধর্মীদের সর্বপ্রকার নিয়মনীতি, তর্জ-তরীক্বা, তন্ত্র-মন্ত্র অনুসরণ করা থেকে বিরত থাকা।
০৪ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন; এছাড়া সমস্ত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনাদের মালিক হচ্ছেন উনারা।
০৪ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আখেরী যামানার ফিতনা ফাসাদ থেকে নাজাত লাভের একমাত্র উপায় হলো হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরা তথা অনুসরণ অনুকরণ করা, জীবনের সকল ক্ষেত্রে উনাদেরকে আদর্শ রূপে গ্রহণ করা।
০৩ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আব্বা-আম্মা আলাইহিমাস সালাম উনারা হচ্ছেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মধ্যে প্রথম স্তর মুবারক-এ। উনারা শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন; এছাড়া সব।
০১ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
শয়তান আদম সন্তানের ক্বলবে আসন পেতে বসে থাকে। যখন সে যিকির করে, তখন শয়তান পালিয়ে যায়। আর যখন সে যিকির থেকে গাফিল হয়, তখন শয়তান ওয়াসওয়াসা দেয়। ” মহান আল্লাহ পাক উনার যকিরি সমস্ত কামযি়াবীর সোপান।
৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নামায অস্বীকার করা কুফরী এবং নামায না পড়া চরম নাফরমানী ও ফাসিকী। স্বেচ্ছায় নামায তরককারী ব্যক্তি জাহান্নামে কঠিন আযাবের সম্মুখীন হবে। নাউযুবিল্লাহ!
৩০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
দ্বীনি ইলম অর্জন করা ফরয। এই ফরয আদায় না করলে এর জন্য পরকালে জবাবদিহি করতে হবে। এজন্য তাকে শাস্তিও পেতে হতে পারে। তাই, প্রত্যেক মুসলমানের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- নিজে হাক্বীক্বী দ্বীনি ইলম শিক্ষা করা এবং অধীনস্তদেরকে হাক্বীক্বী দ্বীনি ইলম শিক্ষা দেয়া। পাশাপাশি সে অনুযায়ী আমল করা এবং নিজের জীবন পরিচালনা করা।
৩০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
ইহসান উনার মাক্বামই শ্রেষ্ঠ মাক্বাম। প্রত্যেক মুসলমানের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হলো- ওলীআল্লাহগণ উনাদের ছোহবত ইখতিয়ার করে উনাদের দেয়া সবক অনুযায়ী আমল করার মাধ্যমে রূহানী কুওওয়াত অর্জন ও ইহসান উনার মাক্বাম হাছিল করতঃ ইখলাছ অর্জন করে হাক্বীক্বী ওলীআল্লাহ হওয়া।
২৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মহাসম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার ফতওয়া অনুসারে- ‘যে পুরুষ ও মহিলা নিজে পর্দা করে না ও অধীনস্থদের পর্দায় রাখে না, সে দাইয়্যূছ।’ নাউযুবিল্লাহ! তাই প্রত্যেক মুসলমানের জন্য ফরয হচ্ছে- যথাযথভাবে শরয়ী পর্দা পালন করা এবং কাফির-মুশরিকদের সর্বপ্রকার ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে সজাগ ও সতর্ক থাকা।
২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)