বরফদেশের বাড়ি ‘ইগলু’
, ২১ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২৮ রবি , ১৩৯২ শামসী সন , ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ১০ আশ্বিন, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) পাঁচ মিশালী
শীতপ্রধান দেশের বরফের বাড়িকে ইগলু বলে। বরফ খ- দিয়ে তৈরি গম্বুজ আকৃতির ছোট ঘর। শীতপ্রধান কয়েকটি দেশের মতো শীতপ্রধান অঞ্চলে মানুষ থাকার জন্য তুষার (বরফ) দিয়ে ঘর তৈরি করে। এসব গম্বুজ আকৃতির ঘরকে বলে ইগলু।
যেসব দেশে সারাবছর শীত বেশি থাকে সেসব দেশকে বলা হয় শীতপ্রধান দেশ। আমাদের দিন ২৪ ঘণ্টার অর্ধেক রাত আর অর্ধেক দিনের আলো।
এসব দেশে বছরের ছয় মাস রাত থাকার পর ছয় মাস দিন থাকে। আমাদের দেশে শীত বা গরমের অংশের আধিক্য নেই। না শীত না গরম; মাঝামাঝি অবস্থান। এ অবস্থাকে বলে নাতিশীতোষ্ণ। বেশিরভাগ দেশে শীত ও গ্রীষ্মকাল নামে দু’টি ঋতু। আর আমাদের ছয়টি ঋতু। তাই বাংলাদেশকে ষড়ঋতুর দেশ বলা হয়।
উত্তরমেরুর এসব বাসিন্দাদের বলে এস্কিমো। এরাই ইগলু তৈরি করে। গরম রাখার জন্য বরফের তৈরি এই ঘরগুলোর ভেতরের তাপমাত্রা (গরম) বাইরের চেয়ে বেশি থাকে। মজার ব্যাপার হচ্ছে, বরফই ইগলু বাসিন্দাদের গরমে রাখে। কিন্তু কীভাবে! এর প্রধান কারণ, ইগলুতে বরফ তাপ যাওয়া-আসা করতে বাধা দেয়। এ অবস্থাকে তাপ অপরিবাহী বলে। যেসব জিনিসপত্রে বিদ্যুৎ যাওয়া-আসা করতে পারে না সেসব জিনিসপত্রকে বিদ্যুৎ অপরিবাহী পদার্থ বলে। বিশেষভাবে স্থাপিত বরফ খ- তাপ ও উষ্ণতা অপরিবাহী। তাই তাপ ভেতর-বাইরে যাতায়াত খুবই কম পরিমাণে করে। ফলে বরফ খ- দিয়ে তৈরি বাড়ি ইগলুর ভেতরে গরম থাকে।
এস্কিমোরা শিকার করে। বিশেষ করে মাছ। মাছ শিকারের সময় বরফের মাঝে অস্থায়ীভাবে বাসা তৈরি করে। অস্থায়ী বাসা তৈরি করতে কয়েক ঘণ্টা সময় লাগে এস্কিমোদের। পরিবারের জন্য মাঝারি ইগলু তৈরি করে। আর এক প্রকার হচ্ছে ছোট ছোট ইগলু দিয়ে বড় একটি ইগলু। ছোট এক ইগলু থেকে অন্য ইগলুতে যাতায়াত করার জন্য সুড়ঙ্গপথের মতো রাস্তা থাকে। কয়েকটি বড়-মাঝারি ইগলু দিয়ে একটি গ্রাম তৈরি হয়। বুঝা গেছে যে, কতরকমের সমস্যা নিয়ে এরা থাকে!
বলে রাখি, ইগলু বা বরফঘরের তিনটি অংশ থাকে। একেবারে উঁচুতে মানুষ থাকে আর নিচের অংশে পানি থাকে যা ঠা-া। আর মাঝখানে আগুন জ্বালানোর ব্যবস্থা থাকে। কী আশ্চর্যজনক? ইগলুর ভেতরে পরিচলন পদ্ধতিতে (আস্তে আস্তে এগিয়ে যায় পেছনে অন্য বাতাস এসে দখল করে) বাতাস চলাচল করে। আমরা জানি গরম বাতাস হালকা। তাই উপরের দিকে ওঠে। আর ঠা-া বাতাস নিচের দিকে নামে বা শূন্যস্থানে চলে যায়। তাই মানুষ থাকা উপরের অংশ গরম থাকে।
এ ঘরের নিচের অংশ দিয়ে মানুষ যাতায়াত করে। দরজাটি এমনভাবে তৈরি করা হয় যেন এর একটি প্রান্ত বর্গাকার ও বাকি তিনটি অংশ অনেকটা গোলাকার হয়। ফলে অধিক পরিমাণ ঠা-া বাতাস ইগলুর ভেতরে যেতে পারে না। আগুন জ্বালানোর মাধ্যমে ইগলুর ভিতরে তাপমাত্রা আস্তে আস্তে বাড়ানো যায়। আর ইগলুর উপরের ছাদে একটি ছিদ্র থাকে। আমাদের বাসাবাড়ির ভেন্টিলেটরের মতো। ইগলুর বাইরের তাপমাত্রা মাইনাস ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলেও ইগলুর ভিতরে তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর মতো হয়। মানে আমাদের দেশের শীতঋতুর মাঝারি ঠা-ার মতো।
রাশিয়া-চীনের পাশের সাইবেরিয়া, ইউরোপ মহাদেশের আলাস্কা, গ্রিনল্যান্ড বা উত্তর আমেরিকা মহাদেশের কানাডায় গেলে ইগলু দেখতে পাবে। আমাদের মতো বিভিন্ন স্টাইলের ইগলু বা বরফের বাড়ি দেখা যাবে।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
শিশুদের দৃষ্টিশক্তি ক্রমেই বেশি খারাপ হচ্ছে, যে কারণ বলছে গবেষকরা
২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাগরে ছড়িয়ে পড়া তেল যেভাবে অপসারণ করা হয়
২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সবুজের দেখা মিলছে বিরান সাহারায়
২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
নতুন ধরনের মাছের সন্ধান
২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
বরফদেশের বাড়ি ‘ইগলু’
২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
অদ্ভুত পাখি নাম তার পানকৌড়ি
২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
জিভে পানি আনা কদু পাতা ভর্তা
২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
বাড়িকে মশামুক্ত রাখার প্রাকৃতিক উপায়
২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ডায়াবেটিসসহ একগুচ্ছ সমস্যার সহজ সমাধান দেয় ঝিঙে
২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সমুদ্রপাড়ে ফেনা হয় কেন?
২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
বসনিয়ায় দ্বীন ইসলাম ও মুসলমান
২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
শিশু ফোন ব্যবহার করছে, কি হবে জেনে নিন
২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)