পেয়াজ, সরিষা, ধান এমনকি ভরা মৌসুমে আলুর নিম্নমানের বীজে মহা ক্ষতির মুখে চাষিরা। বহুদিন ধরে বিভিন্ন কোম্পানীর বীজে প্রবঞ্চিত হবার পর এখন খোদ সরকারের প্রণোদনার বীজেও প্রতারিত কৃষক। কৃষিপ্রধান দেশে কৃষক ও কৃষিপণ্য নিয়ে এমন ছিনিমিনি খেলা আর কতদিন চলবে?
, ০৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ ১২:০০:০০ এএম ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) সম্পাদকীয়
সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য; যিনি সকল সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক।
আলুর ভরা মৌসুমে বিপণনের জন্য এক আলুর পরিবর্তে অন্য আলুর বীজ, অঙ্কুরিত হবে না এমন বীজ ও মেয়াদোত্তীর্ণ বীজ বিক্রির চেষ্টা চলছে।
রংপুরে এক আলুর পরিবর্তে অন্য আলুর বীজ ও অঙ্কুরিত হবে না এমন বীজ সংরক্ষণ এবং মেয়াদোত্তীর্ণ বীজ বিক্রির অপরাধে ২ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও জেলা বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সি।
ফরিদপুরের নগরকান্দায় অসাধু পেঁয়াজ বীজ ব্যবসায়ীদের প্রতারণার ফাঁদে পড়ে কৃষকরা প্রতারিত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার কোদালিয়া শহিদনগর ও পুরাপাড়া ইউনিয়নের অধিকাংশ পেঁয়াজ চাষি এই প্রতারণার শিকার হন। ফলে এসব এলাকার কৃষকরা দুশ্চিন্তায় দিন পার করছেন।
গাইবান্ধার সাতটি উপজেলায় উজালা-২ ও উজালা-৮ হাইব্রিড ধানের চাষ করে সহস্রাধিক কৃষক প্রতারিত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
প্রতি বিঘায় ২৫-২৮ মণ ধান উৎপাদনের প্রলোভন দেখিয়ে কৃষকদের কাছে এই ধানের বীজ বিক্রি করা হলেও উৎপাদন হয়েছে সাত থেকে ১১ মণ। একটিভ পাওয়ার এগ্রো লিমিটেড নামে গাইবান্ধার একটি বীজ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এই বীজ বাজারজাত করে।
বারি-১৪ সরিষা বীজ বলে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের এক কৃষকের সাথে প্রতারণা করা ও ধোকা দেওয়ার অভিযোগে চকবাজার এলাকার মেসার্স বীজ ঘরকে আর্থিক জরিমানা আরোপ ও কৃষকের ফসলের ক্ষতিপূরণ আদায় করা হয়েছে।
রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে প্রতারণায় পড়ে নিম্নমানের ইন্ডিয়ান পেঁয়াজের বীজ আবাদ করে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছেন চাষিরা। উচ্চ ফলনশীল লালতীর ও রেড কিং পেঁয়াজ বীজের জায়গায় নিম্নমানের ইন্ডিয়ান বীজ কিনে প্রতারণার শিকার পাঁচ শতাধিক চাষি।
প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ এ দেশে এমনিতেই কৃষি খাত আক্রান্ত হয় ফিরে ফিরে। এরপর রয়েছে আরো নানা প্রতিকূলতা। এত প্রতিকূলতা কিংবা বৈরী পরিস্থিতি মোকাবিলা করেও কৃষক সমাজ উৎপাদনের চাকা অধিকতর গতিশীল করতে সচেষ্ট। এই উৎপাদন বৃদ্ধির প্রথম শক্তি ভালো কিংবা শুদ্ধ বীজ এবং অন্যান্য উপকরণের যথাযথ জোগান। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, এসব নিয়ে একটি অসাধু মহলকে বরাবরই অপতৎপরতা চালাতে দেখা যাচ্ছে।
অপরদিকে ফসলের উৎপাদন বাড়াতে সরকার নানাভাবে কৃষি সহযোগিতা ও সম্প্রসারণ কর্মসূচি পালন করছে। এরই অংশ হিসেবে কৃষকদের প্রতিবছর বিনা টাকায় প্রণোদনার বীজ দেওয়া হয়। সেই বীজে যদি চারা না গজায়, তাহলে ক্ষতির মুখে পড়তে হয় প্রথমত কৃষককে। এ নিয়ে ‘চারা হয় না প্রণোদনার বীজে’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে গত শুক্রবার।
খবরে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) থেকে কৃষকদের মধ্যে নিম্নমানের চীনাবাদাম বীজ সরবরাহ করা হয়। কিন্তু বিতরণ করা ওই বীজের বড় অংশ থেকেই চারা না গজানোর অভিযোগ উঠেছে।
উল্লেখ্য দুরে্যাগ, মন্দা কিংবা কোন সংকট কাটিয়ে ওঠা কিংবা ফসলের উৎপাদন বাড়াতে সরকার নানাভাবে কৃষি সহযোগিতা ও সম্প্রসারণ কর্মসূচি পালন করে। এর ভেতর বীজ প্রণোদনা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কিন্তু দেখা যাচ্ছে সরকারি প্রণোদনার বীজে দেশের কৃষি খাত আরো নিম্নগামী হচ্ছে। কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সরকারি প্রণোদনার বীজ চাষ করে কৃষকের সময়, শ্রম, জমি, অর্থ নষ্ট হচ্ছে। আর এসব বীজের মান পরীক্ষা বা জবাবদিহিতা নিশ্চিত হচ্ছে না। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের পাশে রাষ্ট্র দাঁড়াচ্ছে না। এ ঘটনা দেশের সামগ্রিক কৃষি উৎপাদন ও খাদ্যব্যবস্থায় এক চাপও তৈরি করছে। কারণ উৎপাদন কাক্সিক্ষত না হওয়ায়, খাদ্যের পূর্বাভাস ও ফলনের পরিমাণে গরমিল ঘটছে। দেশে বহুদিন ধরে বিভিন্ন করপোরেট কোম্পানির বীজ ব্যবহার করে কৃষক প্রতারিত ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
কিন্তু কোনো ঘটনার ন্যায়বিচার নিশ্চিত না হওয়ায় এর যাবতীয় ভোগান্তি একা কৃষক ও কৃষক পরিবারকে টানতে হয়। তবে করপোরেট কোম্পানি আর রাষ্ট্রের বীজ প্রণোদনা এক বিষয় নয়। যদি কোম্পানির মতো রাষ্ট্রের সরবরাহ করা বীজেও কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয় তবে দেশের কৃষিসমাজ দাঁড়াবে কোথায়? এই ঘটনা বেশি দেখা যাচ্ছে বোরো মৌসুম ও রবি শস্যের মৌসুমে। আমরা আশা করব দেশের বীজ খাতকে রাষ্ট্র সর্বাধিক গুরুত্বের জায়গায় বিবেচনায় নিবে। কারণ এটি আমাদের কৃষি ও খাদ্যের মৌলভিত্তি। বীজের অন্যথা হলে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নানামুখী প্রশ্নের মুখে পড়বে। বীজ সরবরাহ, বীজ বিক্রয় এবং বীজ প্রণোদনার মতো বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দিতে হবে। বীজ ব্যবহারের মাধ্যমে কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হলে সব ঘটনার তদন্ত ও সুবিচার নিশ্চিত করতে হবে।
২০১০ সালে রাজশাহীর গোদাগাড়ীর কৃষকরা সিনজেনটার হাইব্রিড সবল টমেটো বীজ চাষ করে প্রতারিত হয় এবং দীর্ঘ আন্দোলন গড়ে তুলে। সিনজেনটার বিরুদ্ধে মামলা হয়। সিনজেনটা বাজার থেকে সবল টমেটো বীজ তুলে নিতে বাধ্য হয়। কিন্তু এরপরও কৃষকের সঙ্গে কোম্পানির বীজ-প্রতারণা বন্ধ হয়নি। হাইব্রিড ঝলক ধান কিংবা মনস্যান্টোর হাইব্রিড ভুট্টা বীজ বুনেও কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একটি বীজ প্রতারণারও বিচার হয়নি।
প্রতিদিন কৃষি জমি কমছে, বাড়ছে পানিবায়ু সংকট। নানা আঘাত আর সংকট সামলে গ্রামীণ কৃষি পরিবারগুলো এখনো কৃষি নিয়ে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখে। দীর্ঘ করোনা মহামারীতে দেশ দুনিয়া সব তথাকথিত লকডাউন হয়ে থাকলেও কৃষকসমাজ ছিল নির্ঘুম। আমাদের সামনে হাজির করেছে খাবার ভর্তি থালা। কৃষকের সম্মান ও মর্যাদা এখনো আমরা নিশ্চিত করিনি। কিন্তু বারবার বীজ নিয়ে কৃষকের সঙ্গে নানামুখী অনাচার প্রতারণা ও ক্ষতি কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না। যে বীজ আমাদের ভবিষ্যতের বেঁচে থাকবার শর্তপূরণ করে, সেই বীজ ব্যবস্থাপনাকে রাষ্ট্র সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে দেখবে এবং শক্তিশালী পাবলিক কাঠামো গড়ে তুলবে এটি দীর্ঘদিনের দাবি।
প্রসঙ্গত আমরা মনে করি, ভেজাল ও নিম্নমানের বীজ এবং অন্য সব কৃষি উপকরণ বিক্রেতারা জাতীয় শত্রু। এসব বন্ধে সরকারের সার্বক্ষণিক মনিটরিং দরকার। ফসলের ক্ষতি হলে কৃষক যেন শস্যবীমার সুযোগ পান, সে উদ্যোগ নেওয়াও জরুরি। কৃষিক্ষেত্রকে জাতীয় রন্ধনশালা বললে অত্যুক্তি হবে না। কাজেই এ ক্ষেত্রে যারা তুঘলকি কা- চালায় তাদের শিকড় উপড়ে ফেলতে হবে। দেশের মোট বীজ চাহিদার ২২ শতাংশ (মতান্তরে ১১ শতাংশ) সরবরাহ করে বেসরকারি বীজ কম্পানিগুলো। এ ক্ষেত্রে সরকারের বিশেষ দৃষ্টি দরকার। বীজ যদি নষ্ট হয়, তাহলে উৎপাদন ব্যাহত হবেই। আর উৎপাদন ব্যাহত হওয়া মানে জাতীয় ক্ষতি আরো স্ফীত হওয়া। কোনোভাবেই এ ব্যাপারে উদাসীনতা কিংবা কালক্ষেপণ কাম্য নয়। ধান বা বীজ গবেষণা প্রতিষ্ঠানের দ্রুততার ভিত্তিতে এ ব্যাপারে গবেষণা ও বীজ উৎপাদন ক্ষেত্র বিস্তৃত করার উদ্যোগ নেওয়াও জরুরি।
মূলত, এমন চেতনা ও দায়বোধ আসে ইসলামী অনুভূতি ও প্রজ্ঞা থেকে।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। (আমীন)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ব্যাংক গ্রাহকদের খালি হাতে বা নাম মাত্র অর্থে ফেরানো যাবে না কথিত অন্তর্বর্তী সরকারকেই নিশ্চয়তার পাশাপাশি যথাযথ ব্যবস্থা প্রদান করতে হবে ইনশাআল্লাহ
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বিশ্বে জ্বালানীর দাম এমনেই কমছে পাশাপাশি শুধুমাত্র কাঠামো সংস্কারই ১৫ টাকা কমানো সম্ভব হলেও সেদিকে নজর দিচ্ছে না কেন অন্তর্বর্তী সরকার? জ্বালানী তেলের দাম কমালে দ্রব্যমূল্যের দাম সহজেই কমবে
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বাংলাদেশে মিডিয়াগুলো ইহুদীদের অদৃশ্য ইশারায় দেশে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার বিরূপ পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাইছে। বাংলাদেশের মুসলমানদের উচিত- দেশের সব মিডিয়া বর্জন করে আলাদাভাবে সম্মানিত ইসলামী মিডিয়া গঠন করা।
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
বাংলাদেশের জন্য মারাত্মক হুমকী স্বরূপ আরাকান আর্মিকে এক্ষুনি প্রতিহত করতে হবে ইনশাআল্লাহ
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
দেশে সাড়ে ৩ কোটি শুধু শিশুই সিসার বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত এবং সব প্রাপ্ত বয়স্করাও ক্ষতিগ্রস্থ সিসার ক্ষতি থেকে বাঁচতে সুন্নতী তৈজসপত্র ব্যবহার এবং আন্তর্জাতিক সুন্নত প্রচার কেন্দ্রের জিনিস ক্রয়ে নিবেদিত হতে হবে ইনশাআল্লাহ
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মহাব্যার্থ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সশস্ত্র বাহিনীকে আরো ক্ষমতা দিয়ে প্রতিকার পাওয়া যেতে পারে
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
জ্বালানী তেলের দাম এক্ষুনি কমাতে হবে ইনশাআল্লাহ
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
অনেক কিছু করার প্রচারনা চালালেও জিডিপি এবং দেশের উন্নয়নের মূল ভিত্তি অর্থনীতির লাইফ লাইন এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য অন্তর্বর্তী সরকার কিছুই করছে না
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রসঙ্গ: রাষ্ট্রদ্বীন ইসলাম, মুসলমানের দ্বীনি অধিকার, পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাকে পালনের আবহ এবং রাষ্ট্রযন্ত্রের দায়।
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সিঙ্গাপুর, রাশিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সন্ত্রাসী সংগঠন ইসকন নিষিদ্ধ বাংলাদেশেও বিভিন্ন মহলে ইসকন নিষিদ্ধের দাবী জোরদার হচ্ছে, সংস্কারের দাবীদার সরকার কী করে নির্বিকার থাকতে পারে?
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ব্যাপকভাবে বাড়ছে সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকি ও হয়রানী জান-মাল এবং সম্মান হিফাজতে সরকারকে এক্ষুনি পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিতে হবে ইনশাআল্লাহ
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
পাচারকৃত ১৭ লাখ কোটি টাকা ফেরত আনতে শামুকের মত ধীর গতি বরদাশতের বাইরে
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)