আপনাদের মতামত
পহেলা বৈশাখ নামক অপসংস্কৃতির পক্ষে অযৌক্তিক দাবির খন্ডন
, ১৩ শাওওয়াল শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১৩ হাদি আশির, ১৩৯২ শামসী সন , ১২ এপ্রিল, ২০২৫ খ্রি:, ২৯ চৈত্র, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) আপনাদের মতামত

অনেকে নানা রকম যুক্তির মাধ্যমে পহেলা বৈশাখকে বৈধতা দিতে চায়। যেমন তারা বলে থাকে-
(১) “ধর্মের কথা বলে বা অন্য কোনো আজুহাতে অন্য কারো সংস্কৃতিকে অবজ্ঞা করার সুযোগ নেই। ”
কথাটি সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর। কেননা পবিত্র কুরআন পাকে স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে- “যে ব্যক্তি দ্বীন ইসলাম ছাড়া অন্য কোনো নিয়মনীতি তালাশ করে, তা কখনোই তার থেকে গ্রহণ করা হবে না এবং সে পরকালে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে। ” (পবিত্র সূরা আল ইমরান: আয়াত শরীফ ৮৫)
এছাড়া পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, ঐ ব্যক্তি উম্মতের অন্তর্ভুক্ত নয়, যে বিজাতীয়দের সাথে সাদৃশ্য রাখে।
মুসলমান কোনো বিজাতীয় সংস্কৃতি গ্রহণ করতে পারবে না, মুসলমান থাকতে চাইলে আগে ইসলামী তাহযীব-তামাদ্দুন গ্রহণ করবে এবং আদেশ-নিষেধ মেনে চলবে।
(২) অনেকে পোশাক-আশাক, খাবার পদ্ধতি নিয়ে এলাকা ভিত্তিক সংস্কৃতি ভাগ করে এসবের পক্ষে যুক্তি দেয়, যা সম্পূর্ণ ভুল। সঠিক হচ্ছে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যেমন পোশাক মুবারক পরিধান করেছেন, তিনি খাদ্য মুবারক যেভাবে গ্রহণ করেছেন- সেভাবে গ্রহণ করাই সুন্নত, সেটা পৃথিবীর যে প্রান্তেই হোক। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন, “যে ব্যক্তি আমার কোনো সুন্নতকে অস্বীকার করবে সে আমার উম্মত নয়। ”
(৩) তাদের দাবি- “আসমানের কোনো কিতাব বা মহান আল্লাহ পাক উনার কোনো প্রতিনিধি কোনো যুগেই কোনো জাতির সংস্কৃতির সংস্কার বা সংশোধনে হাত দিয়েছেন এরকম নজির ইতিহাসে নেই। ”
অথচ সত্য হচ্ছে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যখন হিজরত করে মদীনা শরীফ যান, তখন সেখানে দুটি উৎসব জারি ছিলো। একটি হচ্ছে বছরের প্রথম দিন উদযাপন বা নওরোজ, অন্যটির নাম ছিলো মিহিরজান। তিনি দুটো উৎসব বন্ধ করে দুই ঈদ চালু করেন। সুবহানাল্লাহ!
উল্লেখ্য, বর্তমান বাজারে যারা সুশীল দাবি করে ও পহেলা বৈশাখের পক্ষে কথা বলে তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা ও পড়াশুনার দৌড় যে অনেক লো লেভেলের, সেটা বারবারই প্রমাণিত হচ্ছে। কিন্তু খোলস পাল্টানোর পারঙ্গমতায় তারা অবশ্যই পশুদের চেয়ে অগ্রগামী।
-আইনুল হক্ব কাসেমী।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ভারতীয় মুসলিমদের উপর জাতিগত নিধন: হিন্দুত্ববাদের ভয়াবহ রূপ
২৬ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
গযব কাহিনী (২)
২৫ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
গযব কাহিনী
২৩ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সৌদিসহ আরব দেশগুলোর সরকারের কর্তাব্যক্তিরা আসলে ইহুদী- এ অভিযোগ তাহলে সম্পূর্ণ সত্যি? না হলে তারা কীভাবে ইসরায়েলকে সহায়তা করছে?
২০ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার তাজদীদের ছায়াতলে না থাকলে যা হয় প্রমাণিত হলো মার্চ ফর গাজা পুরোটাই ধোকা আর খ্যাতি মোহ মিডিয়া কভারেজের ব্যবসা
১৯ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বাংলাদেশে যদি ১৭০টি মন্দির বন্ধ করে হিন্দুদের উৎখাত করা হতো তাহলে ভারত কী বলতো? কী করতো? কিন্তু ভারতের উত্তরাখন্ডে ১৭০ মাদরাসা বন্ধ করে মুসলমানদের উৎখাত করার পরেও বাংলাদেশ সরকার তথা গোটা মুসলিম বিশ্ব এবং তথাকথিত বিশ্ব নিশ্চুপ ও নিষ্ক্রিয় কেন? ভারত নামে কোন রাষ্ট্র থাকার অধিকার আর নাই
১৮ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন নিয়ে কিছু বাস্তব কথা
১৭ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
প্রতিটি আমেরিকান, ইসরায়েলি এবং ভারতীয় পণ্য বর্জন করুন
১৬ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক পূজা মন্ডপে যাওয়া মুসলমানদের জন্য কঠিন গুনাহ
১৬ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রতিটি আমেরিকান, ইসরায়েলি এবং ভারতীয় পণ্য বর্জন করুন
১৪ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
বৈশাখী অপসংস্কৃতি লালন-পালনের নেপথ্যের কুশীলবরা কেউ হিন্দুত্ববাদী, কেউ ইসলামবিদ্বেষী
১৪ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নববর্ষ তথা পহেলা বৈশাখ পালন করাকে ‘জায়েজ’ বলার চেষ্টা করাও কুফরী
১৩ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)