পবিত্র হাজরে আসওয়াদ ও মাক্বামে ইবরাহীম শরীফের পাশাপাশি যমযম কূপের পানিও অত্যন্ত বরকতময়
, ০১ মুহররমুল হারাম শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১০ ছানী, ১৩৯২ শামসী সন , ০৮ জুলাই, ২০২৪ খ্রি:, ২৪ আষাঢ়, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
পবিত্র কা’বা শরীফের ঘর মুবারকের দেয়াল থেকে ৩২ গজ দূরত্বে অবস্থিত একটি গভীর কূপকে যমযম কূপ বলা হয়। হযরত খলীলুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি যখন মহান আল্লাহ পাক উনার আদেশে হযরত হাজেরা আলাইহাস সালাম উনাকে ও হযরত ইসমাঈল যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনাকে পবিত্র মক্কা শরীফে রেখে যান, তখন পানির ঘাটতির কারণে যমযম কূপ দেখা যায়। হযরত হাজেরা আলাইহাস সালাম তিনি উনার সম্মানিত আওলাদ উনার জন্য পানি সংগ্রহের চিন্তায় অস্থির হয়ে উঠেন। তখন তিনি পানি সংগ্রহের জন্য ছাফা ও মারওয়া পাহাড়ে ছুটাছুটি করতে থাকেন। হঠাৎ তিনি আওয়াজ শুনতে পেলেন, “থামুন” এবং তাকিয়ে সম্মুখে হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম উনাকে যমযম কূপের স্থানে দন্ডায়মান অবস্থায় দেখতে পেলেন। হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম তিনি নিজ পায়ের গোড়ালী দ্বারা যমযম কূপে আঘাত করলে তা থেকে প্রস্রবণের ন্যায় পানি প্রবাহিত হতে থাকে। হযরত হাজেরা আলাইহাস সালাম এবং হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনারা উক্ত পানি পান করলেন। মহান আল্লাহ পাক উনার বিভিন্ন কুদরতের মধ্যে একটি হলো- যমযম কূপ ও তার পানি। পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার দ্বারা এই পানির একাধারে পানীয় ও আহার্য, এ দু’টি গুণের উল্লেখ পাওয়া যায়।
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ أَبِي ذَرٍ رَضِيَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَكَرَا زَمْزَمَ فَقَالَ إِنَّهَا مُبَارَكَةٌ إِنَّهَا طَعَامُ طُعْمٍ وَشِفَاءُ سُقْمٍ.
অর্থ: “হযরত আবূ যর গিফারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, নিশ্চয়ই যমযমের পানি বরকতপূর্ণ। তা তৃপ্তিকর খাদ্য এবং রোগ নিরাময়ের ঔষধ। ” (মু’জামুছ ছগীর লিত ত্ববারানী ১ম খ- ১৮৬ পৃষ্ঠা: পবিত্র হাদীছ শরীফ নং ২৯৫)
বলা হয়, সমগ্র পৃথিবীতে যদি কোন প্রকার খাদ্যদ্রব্যের সংস্থান না থাকে, তাহলে একমাত্র যমযম কূপের পানি দ্বারাই সমগ্র পৃথিবীবাসীর ক্বিয়ামত পর্যন্ত আহার্য ও পানীয়ের সংস্থান করা যাবে। এই বরকতময় পানি দাঁড়িয়ে পান করা সুন্নত মুবারক।
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنِ حَضْرَتْ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ شَرِبَ مِنْ زَمْزَمَ وَهُوَ قَائِمٌ.
অর্থ: হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি দাঁড়ানো অবস্থায় যমযমের পানি পান করতেন। (মুসলিম শরীফ)
মহান আল্লাহ পাক তিনি সকলকে যথাযথভাবে পবিত্র মক্কা শরীফ, পবিত্র মদীনা শরীফ এবং সংশ্লিষ্ট বরকতময় নিদর্শন মুবারকসমূহের যথাযথ তা’যীম-তাকরীম করার তাওফিক দান করুন। আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের সম্পর্কে বাতিল ফিরক্বা কর্তৃক উত্থাপিত সমালোচনাসমূহের দলীলসম্মত জাওয়াব (২৫)
০৬ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
যে নিজে পর্দা করে না ও অধীনস্তদের পর্দা করায় না সে দাইয়ুস
০৬ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
০৬ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
শরীয়তের দৃষ্টিতে কোন রোগই ছোঁয়াচে নয়, ছোঁয়াচে বিশ্বাস করা কুফরী
০৬ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
শরীয়তের দৃষ্টিতে কোন রোগই ছোঁয়াচে নয়, ছোঁয়াচে বিশ্বাস করা কুফরী
০৬ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
শরীয়তের দৃষ্টিতে কোন রোগই ছোঁয়াচে নয়, ছোঁয়াচে বিশ্বাস করা কুফরী
০৬ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
শরীয়তের দৃষ্টিতে কোন রোগই ছোঁয়াচে নয়, ছোঁয়াচে বিশ্বাস করা কুফরী
০৬ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ইসলামী শরীয়ত মুতাবিক- ছবি তোলা হারাম
০৫ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বদ নযর বা কুদৃষ্টি এবং তার শরয়ী আহকাম (৪)
০৫ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
০৫ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ইমামে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি
০৫ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নিজ থেকে হালালকে হারাম ও হারামকে হালাল বানানো নিষেধ
০৫ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)