পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের আলোকে পবিত্র কুরবানী উনার আহকাম, ফাযায়িল ও মাসায়িল-৭
, ১৯ যিলক্বদ শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ১০ আউওয়াল, ১৩৯১ শামসী সন , ০৯ জুন, ২০২৩ খ্রি:, ২৭ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
‘তাফসীরে মাযহারী’ উনার মধ্যে উল্লেখ আছে, “এ কথা সুনিশ্চিত যে, ‘পবিত্র সূরা ছফফাত শরীফ’ উনার ১০১নং আয়াত শরীফ উনার মধ্যে উদ্ধৃতغلام حليم অর্থাৎ ‘ধৈর্যশীল পুত্র’ বলে বুঝানো হয়েছে-
হযরত ইসমাঈল যবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনাকে। আর উনাকেই পবিত্র কুরবানী করার নির্দেশ মুবারক পেয়েছিলেন হযরত খলীলুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি। অর্থাৎ তিনিই ছিলেন ‘যবীহ’ (কুরবানীকৃত)। কিন্তু ইহুদী, খ্রিস্টানরা বলে, ‘যবীহ’ ছিলেন হযরত ইসহাক্ব আলাইহিস সালাম। নাঊযুবিল্লাহ! তাদের এ উক্তি যে অসত্য, তা বলাই বাহুল্য।
মূলত হযরত ইসহাক্ব আলাইহিস সালাম উনার সম্পর্কিত যে বর্ণনা রয়েছে তা ইসরাইলী বা ইহুদীদের বর্ণনা। ইহুদীরা হিংসার বশবর্তী হয়েই এরূপ মিথ্যা তথ্য প্রচার করেছে ও করছে। কেননা, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যমীনে অবস্থানকালীন সময়ে ইহুদীরা জানত যে, আরবভূমিতে একজন নবী আসছেন এবং উনার জন্য রীতিমত তারা অপেক্ষা করেছিল।
আর সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, ‘আমি দুই যবীহ (কুরবানীকৃত) অর্থাৎ হযরত ইসমাঈল আলাইহিস সালাম ও হযরত খাজা আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনাদের আওলাদ।’ সুবহানাল্লাহ!
অন্যত্র হযরত আবদ ইবনে হুমাইদ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি হযরত ফরাজদাক রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সূত্রে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন-
رَاَيْتُ اَبَا هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ يَـخْطُبُ عَلٰى مِنْبَرِ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَيَقُوْلُ اِنَّ الَّذِىْٓ اَمر بِذَبـْحِهٖ اِسْـمَاعِيْلَ عَلَيْهِ السَّلَامُ.
অর্থ : “হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত মিম্বর মুবারক উনার উপর বসে খুৎবাতে বলেন, হযরত ইসমাঈল আলাইহিস সালাম উনাকেই যবেহ করার নির্দেশ মুবারক দেয়া হয়েছিল।”
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
كَذٰلِكَ نَـجْزِي الْمُحْسِنِيْنَ ◌ اِنَّهٗ مِنْ عِبَادِنَا الْمُؤْمِنِيْنَ ◌ وَبَشَّرْنَاهُ بِاِسْحَاقَ نَبِيًّا مِّنَ الصَّالِـحِيْنَ◌
অর্থ : “আমি নেককার উনাদেরকে এভাবেই প্রতিদান দিয়ে থাকি। তিনি ছিলেন আমার মু’মিন বান্দা উনাদের অন্তর্ভুক্ত। আমি উনাকে সুসংবাদ দিয়েছি হযরত ইসহাক্ব আলাইহিস সালাম উনার, যিনি নেককার উনাদের মধ্য থেকে একজন নবী।” (পবিত্র সূরা আছ-ছফফাত শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ১১০-১১২)
পবিত্র আয়াত শরীফ উনার দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, হযরত যবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনাকে কুরবানী হিসেবে কবুল করার পর প্রতিদান স্বরূপ হযরত খলীলুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনাকে দ্বিতীয় পুত্র হিসেবে হযরত ইসহাক্ব আলাইহিস সালাম উনার সুসংবাদ প্রদান করেন। তাহলে একথা কি করে বলা যেতে পারে যে, হযরত ইসহাক্ব আলাইহিস সালাম তিনি যবীহুল্লাহ? মূলত হযরত ইসমাঈল আলাইহিস সালাম তিনিই যবীহুল্লাহ।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ট্রান্সজেন্ডার বিষয়ে শরঈ ফতওয়া (১)
২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ছবি তোলা শক্ত হারাম, রয়েছে কঠিন শাস্তি
২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মসজিদে ইবাদত করতে বাধা দেয়া বা মসজিদ উচ্ছেদ করা কুফরী
২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পবিত্র মসজিদ নির্মাণের ফাযায়িল-ফযীলত
২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রকাশ্য অপ্রকাশ্য সমস্ত প্রকার অশ্লীলতাই হারাম
২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মসজিদে ইবাদত করতে বাধা দেয়া বা মসজিদ উচ্ছেদ করা কুফরী
২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত বড়পীর ছাহিব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সাওয়ানেহ উমরী মুবারক (১)
২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
একখানা পবিত্র হাদীছ শরীফ ও বর্তমান প্রেক্ষাপট
২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ইসলামী শরীয়ত মুতাবিক- ছবি তোলা হারাম
২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)