দেশীয় চিনিকল বন্ধের সিদ্ধান্ত ছিল জনগণের স্বার্থবিরোধী (১)

, ০৪ যিলক্বদ শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ২৫ ছানী ‘আশার, ১৩৯০ শামসী সন , ২৫ মে, ২০২৩ খ্রি:, ১২ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) আপনাদের মতামত

দিন কয়েক আগে দশ দোকান ঘুরেও এক কেজি চিনি কিনতে পারিনি। এক পরিচিত মুদি দোকানি দয়া করে এক কেজি চিনি ১৪০ টাকা দামে বিক্রি করতে রাজি হলেন। কী অবাক কান্ড! বাজার থেকে হঠাৎ চিনি উধাও হয়ে গেল। এক খুচরা চিনি ব্যবসায়ী বললেন, গতকাল পর্যন্ত ফ্রেস ও তীরের ৫০ কেজি ওজনের বস্তা খোলা চিনির পাাইকারি দাম ছিল ৬ হাজার ৪০০ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কেজি চিনির পাইকারি দাম ১২৮ টাকা। ফলে অনেক ব্যবসায়ী এত দামের চিনি কিনতে সাহস পাননি। অথচ সরকার প্রতি কেজি খোলা চিনির দাম নির্ধারণ করেছে ১০৪ টাকা এবং প্যাকেটজাত চিনির মূল্য নির্ধারণ করেছে ১০৯ টাকা।

দেশে বার্ষিক চিনির চাহিদা ২০ থেকে ২২ লাখ টন। গ্রীষ্মকালে বা রমাদ্বান শরীফে চিনির চাহিদা বেড়ে হয় প্রতি মাসে তিন লাখ টন। চিনির বাজার স্থিতিশীল রাখা এবং রমাদ্বান শরীফে ও গ্রীষ্মকালীন মৌসুমে স্থিতিশীলতা ধরে রাখতে আমদানি শুল্ক ৫ শতাংশ কমিয়ে দেয় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। এছাড়া গত ২৬ ফেব্রুয়ারি জারি করা গেজেটে অপরিশোধিত চিনি আমদানিতে টনপ্রতি ৩ হাজার টাকা, পরিশোধিত চিনি আমদানিতে টনপ্রতি ৬ হাজার টাকা স্পেসিফিক ডিউটি প্রত্যাহার করার পরও পাইকারি বাজারে চিনির দামে কোনো প্রভাব দৃশ্যমান হচ্ছে না।

-মুহম্মদ আবু ইয়াকুব ইসহাক রাসেল

সাবেক শিক্ষার্থী, এ টি আই, শেরপুর।

ট্যাগসমূহঃ চিনিকল বন্ধ স্বার্থবিরোধী