জীবানু অস্ত্র ও সাম্রাজ্যবাদীদের জাতি নিধনের ষড়যন্ত্র (২)
, ১৭ শাওওয়াল শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২৮ হাদী আশার, ১৩৯১ শামসী সন , ২৭ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রি:, ১৪ বৈশাখ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
এইচ আই ভি-১ ভাইরাস দিয়েই আলোচনা শুরু করা যাক। একটি ভাইরাসের বিষয়ে স্বচ্ছ ধারণা থাকলে অন্য ভাইরাসের বিষয়গুলোও স্পষ্ট হবে।
বলা হয় সবুজ বানর থেকে নাকি এইচ আই ভি-১ ভাইরাসের সংক্রমণ। কিন্তু সকল ভাইরোলজিস্টগণ জানে প্রাকৃতিকভাবে এই ভাইরাস বানরের মধ্যে থাকতে পারে না এমন কি কোন প্রাণীর মধ্যেই না। সবুজ বানরের কোষের জেনেটিক গবেষণায় দেখা গেছে বানর থেকে এই ভাইরাস মানুষের মধ্যে সংক্রমিত হওয়া সম্ভব নয় তাছাড়া কৃক্রিম এই ভাইরাসের পক্ষে মানুষ থেকে মানুষের মধ্যেও যাওয়া সম্ভব নয়। যদি না পুশ করে মানুষের শরীরে যথেষ্ট পরিমাণ ভাইরাল লোড না দেয়া হয় এবং পরবর্তীতে একই সিরিঞ্জের ব্যবহার, দৈহিক সম্পর্কের মাধ্যমে কেবল এই ভাইরাস ছড়াতে পারে।
আমরা আগেই বলেছিলাম, কিছু কিছু ভাইরাস প্রাণীর মধ্যে মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে এমনকি ক্যান্সার সৃষ্টি করে কিন্তু মানুষের মধ্যে নয়। যেমন বভিন লিউকমিয়া ভাইরাস (bovine leukemia virus, BLV) গরুর জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর কিন্তু মানুষের জন্যে নয়। আবার শিপ ভিস্না ভাইরাস (sheep visna virus) ভেড়ার জন্য ক্ষতিকর কিন্ত মানুষের জন্যে নয়। এই ক্ষতিকর ভাইরাসগুলোকে বলা হয় রেট্রো ভাইরাস।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন এসকল রেট্রোভাইরাসের সমন্বয়ে এমন একটি ভাইরাস তৈরির পরিকল্পনা নেয় যা মানুষের জন্য ক্ষতিকর হবে। আর এই বিষয়টি জানা যায় ডঃ থিওডোর স্টেকারসের এক গবেষণায়। সে উল্লেখ করে আমেরিকার জাতীয় ক্যান্সার ইন্সটিটিউট এবং ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন সমন্বয়ে ফোরট ডেট্রিকে আর্মির ল্যাবরেটরিতে এই এইচ আই ভি ভাইরাস তৈরি করা হয়। (Fort Detrick is a United States Army Medical Command installation located in Frederick, Maryland. Historically, Fort Detrick was the center of the US biological weapons program from 1943 to 1969.)
এটা এমন নয় যে এই ভাইরাস কোন ভালো উদ্দেশ্যে তৈরির পরিকল্পনা নিয়ে করা হলেও কোন কারণে হাতছাড়া হয়ে তা বাইরে ছড়িয়ে পরে। মূলত পরিকল্পিতভাবেই এই ভাইরাস তৈরি করা হয়েছে মানব জাতিকে (বিশেষ করে নির্দিষ্ট কোন জাতি বা সম্প্রদায়কে) ধ্বংস করার লক্ষ্যে। আর এতে তারা এতটাই সফলকাম যে সেন্ট্রাল আফ্রিকাতে কয়েক বছরে লক্ষ লক্ষ মানুষকে হত্যা করা হয়। ৭৫ মিলিয়ন (৭ কোটি ৫০ লক্ষ) মানুষ এইচ আই ভি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়। যদি একটি বানর থেকেই এই ভাইরাস ছড়িয়ে থাকে তবে স্বাভাবিক হিসেবে ১৪ মাসে ডবল সংখ্যক মানুষের আক্রান্ত হবার কথা। তাহলে সেন্ট্রাল আফ্রিকাতেই ১৫ বছরে এই পরিমাণ হবার কথা ৮০০০ জনে কিন্তু কেন ৭ কোটি ৫০ লক্ষ মানুষ আক্রান্ত হলো? (এই হিসাব ১৯৭২ থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত)
এইচ আই ভি-১ ভাইরাস একই সাথে শুরু হয় হাইতি, সেন্ট্রাল আফ্রিকা, ব্রাজিল ও যুক্তরাষ্ট্রে (বিশেষভাবে কালো মানুষের মাঝে)। সবুজ বানরতো আর জেট পাইলট নয় যে সব দেশে গিয়ে গিয়ে সে ছড়িয়ে দিয়েছে।
এইচ আই ভি ভাইরাসের বিষয়টি প্রকাশ পাবার পর শরীরের ইমিউন (রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা) সিস্টেমের উপর এর কার্যকারিতা কেমন সেগুলো বোঝার জন্য আরও অনেক গবেষণা প্রয়োজন এই নিয়ে আলোচনা হতে থাকে। আর এই গবেষণার কার্যক্রম শুরু হয় ভ্যাকসিনেশন প্রোগ্রামের ছদ্মাবরনে। স্মল পক্স ভ্যাকসিনের সাথে এইচ আই ভি ভাইরাস মিশ্রিত করে দেয়া হতে থাকে ১৯৭২ সাল থেকে। প্রথমে উগান্ডা, হাইতি, ব্রাজিল এবং আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে দেয়া শুরু হয়।
থিওডোর এ স্টেকার একজন ডাক্তার যে এইচ আই ভি ভাইরাসের এই তথ্য প্রথম প্রকাশ করে। সে এই সত্যটি জাতিধর্ম নির্বিশেষে আমেরিকার সকল সংস্থাগুলোতে ছড়িয়ে দেবার চেষ্টা করে।
পরবর্তীতে রাস্তায় তাকে পেছনে হাত বাঁধা অবস্থায় মৃত পাওয়া যায়, পেট্রোল পুলিশ বলেছে, সে নাকি ২০ তলা থেকে লাফিয়ে আত্মহত্যা করেছে। থিওডোর এ স্টেকারের ভাই জানায় যে তাকে মেরে ফেলা হয়েছে।
যে কোন সচেতন মানুষের মনে কয়েকটি প্রশ্ন স্বাভাবিকভাবেই আসবে।
(১) কেন বলা হচ্ছে এই ভাইরাস সবুজ বানর আর সমকামীতার জন্য হচ্ছে? যেখানে এটা জেনেটিক্যালি মেডিফিকেশন করে তৈরি করা হয়েছে।
(২) কেন বলা হচ্ছে এটা সমকামী এবং ড্রাগ ব্যবহারকারীদের মাধ্যমে ছড়ায় যেখানে আফ্রিকায় সমকামীতা নেই বললেই চলে আর খাবার খাওয়াই তাদের জন্য কষ্ট ড্রাগ অনেক দূরের ব্যাপার।
(৩) যদি সবুজ বানর থেকেই হয় তবে কেন কেবল আফ্রিকাতেই দ্রুত ছড়িয়ে যাচ্ছে।
(৪) যখন আমেরিকার স্বাস্থ্য ইন্সটিটিউট তারা নিজেরাই ঘোষণা দিলো যে, এইডস হচ্ছে মানুষের কোষের মধ্যে প্রাণীর বভিন লিউকমিয়া ভাইরাস (bovine leukemia virus, BLV) আর শিপ ভিস্না ভাইরাস (sheep visna virus) কালচার করে তৈরি তখন তারা এটাকে বিজ্ঞানের কোন কাজের জন্য তৈরি করেছিলো?
যখন ১৯৭০ সাল থেকেই মানুষের কোষের মধ্যে এই প্রাণীর মরণ ঘাতক ভাইরাস তৈরি করছে সেখানে ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের একজন প্রতিনিধি সেডরিক মিমস তার নিবন্ধে দোষ স্বীকার করার মত করে উল্লেখ করে যে “আসলে ডঐঙ এর কালচার মিডিয়া এই মরণঘাতী প্রাণীর বভিন ভাইরাস দ্বারা কলুষিত (Contaminated) হয়েছিলো। যদি তাই হয়ে থাকে তবে কেন তারা এই ভ্যাকসিন ব্যবহার করে গেছে? আসলে পরিকল্পিতভাবেই এই ভাইরাস তৈরি করা হয়েছিলো এবং উদ্দেশ্য ছিল ব্যাপক।
(১) এর মাধ্যমে সাম্রাজ্যবাদীরা জাতি নিধনের কাজ করে যাচ্ছে বিভিন্ন দেশের সম্পদ লুণ্ঠনের জন্য।
(২) আবার ওষুধ কোম্পানীগুলো বিলিয়ন ডলার হাতিয়ে নিয়েছে এর প্রতিষেধক তৈরির নাম দিয়ে। (চলবে)
-আল হিলাল।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সম্মানিত মুসলমান উনাদের সবচেয়ে বড় শত্রু কাফির-মুশরিকরা (২)
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
যে সকল ওলামায়ে সূ’রা মন্দির ও মূর্তি পাহারা দিয়েছে, পূজা করতে সাহায্য-সহযোগিতা করেছে এবং সমর্থন করেছে, তারা প্রত্যেকেই মূর্তিপূজারী ও মুশরিক (৬)
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন হাসান চীশতী আজমিরী সাঞ্জারী রহমতুল্লাহি আলাইহি (৩৬)
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ছবি তোলা হারাম, যা জাহান্নামী হওয়ার কারণ
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
বর্তমান এই পরিস্থিতিতে সমগ্র দেশবাসীর জন্য যা আবশ্যিকভাবে করণীয়
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার ঈমানদীপ্ত ঐতিহ্য (৪৪)
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সারাবিশ্বে একই দিনে ঈদ পালন ও রোযা শুরু করার কথা বলার উদ্দেশ্য পবিত্র ঈদ ও পবিত্র রোযাকে নষ্ট করা, যা মূলত মুনাফিকদের একটি ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত (৬১)
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মূর্তি, প্রতিমা, ভাস্কর্য, ম্যানিকিন ও ছবি নাজায়িয ও হারাম
০৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
যে সকল ওলামায়ে সূ’রা মন্দির ও মূর্তি পাহারা দিয়েছে, পূজা করতে সাহায্য-সহযোগিতা করেছে এবং সমর্থন করেছে, তারা প্রত্যেকেই মূর্তিপূজারী ও মুশরিক (৫)
০৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)