ক্বিয়ামতের দিন হাশরের ময়দানে সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার বেমেছাল সম্মানিত শান মুবারক উনার বহিঃপ্রকাশ মুবারক
, ২৭ যিলহজ্জ শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০৬ ছানী, ১৩৯২ শামসী সন , ০৪ জুলাই, ২০২৪ খ্রি:, ২০ আষাঢ়, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন,
عن حضرت ابن عباس رضى الله تعالى عنه عن النبي صلى الله عليه وسلم ينادي مناد يوم القيامة أين الفاروق فيؤتى بحضرت عمر عليه السلام إلى الله تعالى فيقال مرحبا بك يا حضرت أبا حفص عليه السلام هذا كتابك إن شئت فاقرأه وإن شئت فلا فقد غفرت لك فيقول الإسلام يا رب هذا حضرت عمر عليه السلام أعزني في دار الدنيا فأعز في عرصات القيامة فعند ذلك يحمل على ناقة من نور ثم يكسى حلتين لو نشرت أحدهما لغطت الخلائق ثم يسير بين يديه سبعون ألف ملك ثم ينادي مناد يا أهل الموقف هذا حضرت عمر بن الخطاب عليه السلام فاعرفوه
অর্থ: “হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকে বর্ণনা করেন, ক্বিয়ামতের দিন একজন ঘোষণাকারী ঘোষণা দিবেন- সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি কোথায়? অতঃপর সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনাকে মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত খিদমত মুবারক-এ আনা হবে। অতঃপর মহান আল্লাহ পাক তিনি বলবেন, হে হযরত আবূ হাফস আলাইহিস সালাম! আপনাকে মারহাবা। সুবহানাল্লাহ! (এরপর উনার সম্মানিত আমলনামা মুবারক দেখিয়ে বলা হবে। ) এটা আপনার সম্মানিত আমলনামা মুবারক। আপনি ইচ্ছা করলে তা পড়তে পারেন, আর ইচ্ছা করলে নাও পড়তে পারেন। অবশ্যই আমি আপনার সমস্ত কিছু ক্ষমা করে দিয়েছি। সুবহানাল্লাহ! অতঃপর সম্মানিত ইসলাম বলবেন, হে বারে ইলাহী! ইনি হচ্ছেন সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম। তিনি আমাকে দুনিয়ার যমীনে সম্মানিত করেছেন, (দয়া করে) আপনি উনাকে কিয়ামতের ময়দানে সম্মানিত করুন! সুবহানাল্লাহ! সে সময় উনাকে একটি নূরের উটনীতে আরোহণ করানো হবে। সুবহানাল্লাহ! অতঃপর উনাকে এমন এক জোড়া সম্মানিত লিবাস মুবারক পড়ানো হবে যে, তার একটিও যদি যমীনে প্রকাশ করা হয়, তাহলে সমস্ত কায়িনাত নিষ্প্রভ হয়ে যাবে। সুবহানাল্লাহ! তারপর উনাকে সত্তর হাজার অর্থাৎ অসংখ্য-অগণিত হযরত ফেরেশত আলাইহিমুস সালাম উনাদের মাধ্যমে অভ্যর্থনা করে সমস্ত হাশরের ময়দান ঘুরানো হবে। সুবহানাল্লাহ! এরপর একজন ঘোষণাকারী ঘোষণা দিবেন, হে হাশরবাসী! ইনি হচ্ছেন সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম। সুবহানাল্লাহ! আপনারা সবাই উনাকে চিনে রাখুন, উনার শান-মান, ফাযায়িল-ফযিলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উপলদ্ধি করুন। ” সুবহানাল্লাহ! (নুযহাতুল মাজালিস)
-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ওহাবীদের চক্রান্ত উন্মোচন
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িয
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
হালালকে হারাম করা নিষেধ
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা আঙ্গুলের ছাপ শরীয়তসম্মত, নিখুঁত, ব্যবহারে সহজ এবং রহমত, বরকত, সাকীনা লাভের কারণ (৬)
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
“আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম” কিতাবের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে বিরোধিতাকারীদের আপত্তির জবাব
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পর্দা রক্ষা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া ব্যভিচারের সমতুল্য
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা (৪)
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সারাবিশ্বে একই দিনে ঈদ পালন ও রোযা শুরু করার কথা বলার উদ্দেশ্য পবিত্র ঈদ ও পবিত্র রোযাকে নষ্ট করা, যা মূলত মুনাফিকদের একটি ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত (৬৩)
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে হালাল ও হারাম উভয়ের গুরুত্ব সম্পর্কে (১২)
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িজ
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)