ইন্দোনেশীয় অঞ্চলে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম : আগমন ও বিকাশ (৪)
, ২৬ ছফর শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ০৪ রবি , ১৩৯২ শামসী সন , ০১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ১৭ ভাদ্র , ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) পাঁচ মিশালী
জাপানি উপনিবেশ:
খ্রিস্টীয় ষোড়শ শতাব্দীর শুরু থেকে দীর্ঘ সময় ধরে ডাচরা এ অঞ্চলের একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ করে এবং এ অঞ্চলের সকল উত্তম পণ্য এবং ব্যবসায়িক সুবিধা ভোগ করতে থাকে। এক্ষেত্রে তাদের কোনো প্রতিবন্ধকতা ছিল না বললেই চলে। অবশেষে ১৯৪২ সালে জাপানিরা ইন্দোনেশিয়ার দখল নিয়ে নেয়। ডাচরা তাদের কাছে আত্মসমর্পণ করে।
জাপানিদের উপনিবেশ স্থাপনের এক মাস যেতে না যেতেই এ অঞ্চলের সকল রাজনৈতিক দল এবং অন্যান্য সংগঠনগুলো সক্রিয় হয়ে উঠে এবং জাপানিদের কার্যক্রমে বাঁধা দেয়। নিজ দেশের অভ্যন্তরে তারা তুমুল প্রতিরোধ গড়ে তুলে। ১৯৪৫ সালে জাপানে পারমাণবিক হামলার পর জাপানিরা মিত্রশক্তির কাছে আত্মসমর্পণ করে। এর দু’দিন পরই ১৯৪৫ সালের ১৭ই আগস্ট ইন্দোনেশিয়ার স্বীকৃতপ্রাপ্ত আহমদ সুকর্ণ এবং তার ডেপুটি মোহাম্মদ হাত্তার নেতৃত্বে ইন্দোনেশিয়ার স্বাধীনতা ঘোষণা করা হয় এবং ইন্দোনেশীয় প্রজাতন্ত্র গঠন করা হয়।
দারিদ্র্য এবং খ্রিস্টান মিশনারীর প্রকোপে আক্রান্ত বর্তমান ইন্দোনেশিয়া:
ইন্দোনেশিয়ার সর্ববৃহৎ এই মুসলিম জনপদের বর্তমান অবস্থা খুবই জটিলতাময়। বিশাল আয়তন, বিশাল সংখ্যক জনপদ এবং প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর হলেও অঞ্চলটির উৎপাদন ক্ষমতা ক্রমেই হ্রাস পাচ্ছে। এদিকে সমুদ্রের উচ্চতা বেড়ে যাওয়ার আশংকায় অতি সম্প্রতি দেশটির রাজধানী জাকার্তা থেকে বোর্নিওতে স্থানান্তর করা হয়েছে। দেশের নিরক্ষরতা এবং বেকারত্বের হারও ক্রমেই বেড়ে চলেছে। এমনকি বেকারত্ব ও দারিদ্রের ঊর্ধ্বগতি এবং জীবনযাত্রার মান কমে যাওয়ার তাদের মুদ্রার মান সবচেয়ে কম।
এমন পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে খ্রিস্টান মিশনারীরা এ অঞ্চলে হানা দিয়েছে। বিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগ থেকেই ইন্দোনেশিয়াকে খ্রিস্টান রাষ্ট্র করার লক্ষ্যে তাদের এই কুচক্রী মিশন শুরু হয়েছে। অনেক রাষ্ট্র, মিডিয়া এবং পত্র-পত্রিকা তাদের এ কাজে সমর্থন জোগাচ্ছে। তাদের এই কার্যক্রমের ফল ইতোমধ্যে প্রকাশ পেতে শুরু করেছে। ইন্দোনেশিয়ার মুসলিম জনসংখ্যা শতকরা ৯৭% থেকে ৮৫% এ নেমে গেছে। বহু অঞ্চলে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে খ্রিস্টানদের নিয়ন্ত্রণ। পূর্বাঞ্চলীয় ইস্ট নুসা তেনগারায় মুসলিম জনসংখ্যা নেমে আসে মাত্রা ৯.১২% এ। এ অঞ্চলটি ১১১টি দ্বীপের সমন্বয়ে গঠিত। যার মধ্যে সর্ববৃহৎ দ্বীপটি হচ্ছে তিমুর। এখানকার অধিকাংশ লোকই খ্রিস্ট ধর্ম গ্রহণ করেছে। বর্তমানে পূর্ব তিমুর একটি স্বাধীন রাস্ট্র হিসেবে জাতিসংঘের স্বীকৃতিপ্রাপ্ত এবং এ অঞ্চলের মুসলিম সংখ্যা ১% এরও কম। (সমাপ্ত)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সাতমসজিদ রোডের ঈদগাহ এক অনন্য মোগল পুরাকীর্তি
২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
চাঁদের মাটিতে গাছ
২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
১৭ দিন ধরে মৃত বাচ্চাকে বহন করা সেই ‘তিমি’র বাচ্চা হয়েছে আবার
২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ডায়াবেটিস ও ওজন নিয়ন্ত্রণের মহাঔষধ মেথি শাক!
২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সূর্যের দিকে সবচেয়ে কাছের যাত্রায় মহাকাশযান
২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
১৮০০ বছর পর তুরস্কের প্রাচীন কেস্ট্রোস ফোয়ারা চালু
২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
দিনে তিন কাপ কফি মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি করতে সক্ষম - ক্যানসার-হার্টের মত আত্মঘাতী রোগ-ব্যাধি দূর করে
২০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পশ্চিম আফ্রিকার মুসলিম প্রজাতন্ত্রের দেশ সেনেগাল
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সেনেগালে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম ও ইসলামী আদর্শে নতুন মাত্রা
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ঘরোয়া ঔষধ হিসেবে আদা
১৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
রাশিয়ার আকাশে দেখা মিললো উজ্জ্বল গ্রহাণুর
১৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মসজিদের ভেতরে ৫৪০ বছরের পুরনো জিনের মসজিদ!
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)