আজ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১৬ই রজবুল হারাম শরীফ! সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুর রদ্বা‘আহ্ আল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ! এ সুমহান দিবস মুবারক উনার তাৎপর্য অনুধাবন করা গোটা মুসলিম উম্মাহর জন্য ফরয।
, ১৬ রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ৩১ সামিন, ১৩৯১ শামসী সন , ২৯ জানুয়ারি, ২০২৪ খ্রি:, ১৪ মাঘ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) সম্পাদকীয়
মুসলমান আজ আমলহীন। আমল করাটাকে তারা কষ্টসাধ্য মনে করে। অথচ মুসলমানরা যদি দ্বীন ইসলাম উনার সম্মানিত দিবস মুবারক উনাদেরকে যথাযথ তা’যীম-তাক্বরীমের সাথে পালন করতো, তাহলে রহমত-বরকত মুবারক নাযিল হতো। এতে মুসলমানরা খুব সহজেই নেককার, পরহিযগার তথা খালিছ আল্লাহওয়ালা ও আল্লাহওয়ালীতে পরিণত হতে পারতো। সুবহানাল্লাহ!
খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি সম্মানিত ও পবিত্র হাদীছে কুদসী শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, “আমি আপনাকে এবং আপনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র প্রথম ভাগ নূর মুবারক তথা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র একই নূর মুবারক থেকে সৃষ্টি মুবারক করেছি।” সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ!
উক্ত পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার আলোকে নি¤েœাক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ মুবারক নাযিল হয়, “নিশ্চয়ই খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি চান হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে পবিত্র মুবারক করার মতো পবিত্র মুবারক করতে অর্থাৎ উনাদেরকে পবিত্র করার মতো পবিত্র করেই মহান আল্লাহ পাক তিনি সৃষ্টি করেছেন।” সুবহানাল্লাহ! (পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৩৩)
মূলতঃ হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মূল সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনি এবং উনার মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারাই সম্মানিত আহলু বাইত শরীফ উনাদের বিষয় পরিপূর্ণ ও গভীরভাবে জানেন এবং আখাচ্ছুল খাছ ক্ষমা ও ইহসান মুবারক করে কিছু ব্যক্তও করেন। সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! তবে তা ধারণ করার যোগ্যতাও বা ক’জনের আছে?
হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমু সালাম উনাদের মধ্যে বিশেষ ব্যক্তিত্বা মুবারক হলেন সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুর রদ্বা‘আহ্ আল ঊলা আলাইহাস সালাম। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পর যিনি সর্বপ্রথম নূরে মুজাস্সাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পবিত্র দুধ মুবারক পান করানোর সৌভাগ্য লাভ করেছেন, তিনি হচ্ছেন সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, হযরত ছুয়াইবিয়া আলাইহাস সালাম।
ইতিহাসে সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুর রদ্বা‘আহ্ আল ঊলা আলাইহাস সালাম উনাকে বাদী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। নাউযুবিল্লাহ! কিন্তু আমরা দ্ব্যর্থহীন কন্ঠে বলতে পারি, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুর রদ্বা‘আহ্ আল ঊলা আলাইহাস সালাম তিনি নসবগতভাবে বাদী ছিলেন না। অভিজাত এবং সম্ভ্রান্ত পরিবারেই তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। তবে আইয়্যামে জাহিলিয়াতের সেই কঠিন সময়ে কিছু লোক বিভিন্ন কাফেলাতে হামলা করে কাফেলার শিশুদেরকে ধরে নিয়ে বিভিন্ন বাজার বা মেলাতে গোলাম-বাদী হিসেবে বিক্রয় করে দিতো। সেক্ষেত্রে অধিকাংশ সময় আরবের অভিজাত ও সম্ভ্রান্ত পরিবারের শিশুরাই এ জুলুমের শিকার হতো। সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুর রদ্বা‘আহ্ আল ঊলা আলাইহাস সালাম উনাকেও অন্যায়ভাবে বাদী হিসেবে বিক্রি করে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু সে অবস্থায় উনাকে বেশি দিন অতিবাহিত করতে হয়নি।
এ প্রসঙ্গে বিশ্বখ্যাত ঐতিহাসিক আল্লামা হযরত ইয়াকুব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ‘তারিখু ইয়াকুবী’ গ্রন্থের ১ম খ-, ৩৬২ পৃষ্ঠায় লিখেন- “নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আমি আবু লাহাবকে দেখেছি জাহান্নামের আগুনে নিমজ্জিত অবস্থায় চিৎকার করে বলছে, পানি দাও! পানি দাও!! পিপাসা পিপাসা! অতঃপর তার বৃদ্ধাঙুলীর গিরা দিয়ে পানি পান করানো হচ্ছে। আমি বললাম, কি কারণে এ পানি পাচ্ছো? আবু লাহাব বললো, আপনার মহাসম্মানিত বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, হযরত ছুয়াইবিয়াহ আলাইহাস সালাম উনাকে আজাদ ঘোষণা করার কারণে এই ফায়দা পাচ্ছি। কেননা তিনি আপনাকে দুধ মুবারক পান করিয়েছেন।” সুবহানাল্লাহ!
‘মাদারেজুন নুবুওওয়াত’ কিতাবে উল্লেখ রয়েছে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি দুধ মাতা সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুর রদ্বা‘আহ্ আল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার জন্য পবিত্র মদীনা শরীফ থেকে খাদ্য, কাপড়-চোপড় ও অন্যান্য সামগ্রী পবিত্র মক্কা শরীফ-এ হাদিয়া স্বরুপ পাঠাতেন।” সুবহানাল্লাহ! প্রাধান্যপ্রাপ্ত মতে, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, হযরত ছুয়াইবিয়া আলাইহাস সালাম তিনি খায়বার জিহাদের পর এবং পবিত্র মক্কা শরীফ বিজয়ের পূর্বে অর্থাৎ ৭ম হিজরী সনের ১৬ই রজবুল হারাম শরীফ, পবিত্র জুমুয়াবার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন।
মূলত: উনার শান-মান মুবারক সম্পর্কে আলোচনা ও উপলব্ধি উম্মাহর প্রথম কাজ। রহমত-বরকত-নাজাত মুবারক হাছিলের প্রধান উসীলা। কিন্তু ইহুদী-খ্রিষ্টান মদদপুষ্ট এজেন্ট ওহাবী খারেজী জামাতী-দেওবন্দী তথা উলামায়ে সূ’রা সে পথটিকেই, সে প্রক্রিয়াটিকেই দীর্ঘদিন যাবত বাধাগ্রস্থ ও অবরূদ্ধ করে রেখেছে। যে কারণে উম্মাহ আজ বিজাতীয়, বিধর্মী, বিদয়াতীদের ভক্ত হয়ে উঠেছে এবং বেপর্দা বেশরায় লিপ্ত হয়েছে। নাউযুবিল্লাহ! মুসলমান হারাচ্ছে ঈমান। হারাচ্ছে নৈতিকতা। হারাচ্ছে দ্বীন দুনিয়া উভয়ই।
এমনই এক ক্রান্তিকালে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এবং উনার মহাসম্মানিত মহাপবিত্র আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মারিফাত মুহব্বত মুবারক আজকের প্রায় ঈমানহারা উম্মাহর মাঝে তৈরী করে দিচ্ছেন- ঢাকা রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি এবং কায়িম মাকামে হযরত উম্মাহাতুল মুমিনীন সাইয়্যিদাতুন হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনি। সুবহানাল্লাহ!
সঙ্গতকারণেই উনাদের মুবারক ছোহবত ব্যতিরেকে বর্তমান উম্মাহর মাঝে দোসরা কোনো পথ খোলা নেই। এ অমোঘ সত্য যে, এ উম্মাহ যত তাড়াতাড়ি অনুধাবন করবেন তত তাড়াতাড়িই তারা দ্বীন দুনিয়ার ভালাই কামাতে পারবেন।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। (আমীন)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
দ্রব্যমূল্যের আগুনে ঝলসে যাচ্ছে মানুষ। মূল্যস্ফীতির চাপে পিষ্ট হচ্ছে জনসাধারণ। সরকারের কর্তাব্যক্তিদের রকমফের চটকদার কথার পরিবর্তে এক্ষনি মূল্যস্ফীতিকে সংকুচিত করে দেশবাসীকে বাঁচাতে হবে ইনশাআল্লাহ।
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
৭ হাজার ৮০০ মিলিয়ন টন কয়লা মজুদের দেশে কয়লার ঘাটতিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র বন্ধ কেন? বিগত মাফিয়া সরকারের পথ থেকে সরে এসে কয়লা উত্তোলন শুরু করুন।
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
প্রসঙ্গঃ মোবাইল ফোনের ব্যবহার ও অপব্যবহার।
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
হোল্ডিং ট্যাক্স ছাড়, তাপ মুক্তি নিরাপদ ফল-সবজি প্রাপ্তি, পরিবেশ উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় শহরের প্রতিটি বাড়ির ছাদ হোক একটুকরো বাগান
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
৪০ শতাংশের বেশি ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প বন্ধ হয়েছে যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করলে ইনশাআল্লাহ ঘুরে দাঁড়াবে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প
০৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মুদি দোকান, স্টেশনারি দোকান, শপিং মল, পার্লার, সুপার শপ সবখানেই ভেজাল কসমেটিক্স। মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ব্যবহারকারীরা। সরকারের কঠোর নজরদারী ও নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন।
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
দেশের ৪ কোটি মানুষ না খেয়ে থাকে। অথচ দেশে মাথাপিছু খাদ্য অপচয় হয় প্রায় ৯০ কেজি। বছরে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা।
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আজ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২৮শে রবীউছ ছানী শরীফ! সাইয়্যিদাতুনা উম্মুর রদ্বাআহ আল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত আওলাদ, আখু রসূলিল্লাহ মিনার রদ্বাআহ সাইয়্যিদুনা হযরত মাসরূহ্ আলাইহিস সালাম উনার বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
০১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
শিক্ষা খাতে পতিত সরকারের বাজেটে নিম্নবিত্ত-মধ্যবিত্তদের স্বার্থ সংরক্ষিত হয়নি শিক্ষার্থীরা যাতে ঝরে না পড়ে- শিক্ষা উপকরণের দাম কমিয়ে বর্তমান সরকারকে তা নিশ্চিত করতে হবে ইনশাআল্লাহ
৩১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
শব্দ দূষণ এখন শব্দ সন্ত্রাস ও নীরব ঘাতকে পরিণত হয়েছে। নারিকেল দ্বীপ নয় শব্দ দূষণে বিপর্যস্থ ঢাকাকে উপযোগী করার জন্য ঢাকার জনযট সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে হবে।
৩১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
‘২০৪১ সালে মাছ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৮৫ লাখ মেট্রিক টন’ ৩৯ বছরের ব্যবধানে মাছের উৎপাদন বেড়েছে ৬ গুণ উৎপাদন বাড়ছে মাছের, তবুও নাগালে নেই দাম
৩০ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নাটক-সিনেমার মাধ্যমে মুসলিম প্রজন্মকে দ্বীন ইসলাম থেকে দূরে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। পরকালের কথা স্বরণ করে মুসলিম উম্মাহকে বিধর্মীদের এসব ষড়যন্ত্র থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
৩০ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)