ফক্বীহুল উম্মত হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার আহলিয়া (স্ত্রী) হযরত যয়নব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা তিনি বলেন, একজন ইহুদী বৃদ্ধা মহিলা আমাদের নিকট আসতো। চর্ম প্রদাহে (চামড়া লাল হওয়া, চুলকানো ও ব্যথা রোগে) ঝাড়, ফুঁক করতো। আমাদের একটি লম্বা পায়া বিশিষ্ট চৌকি ছিল। সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি উচু স্বরে গলা খাকর বা কাশি দিয়ে বাড়ীতে প্রবেশ করতেন।
তিনি একদিন বাড়ীতে প্রবেশ করলেন। উনার গলার আওয়াজ শুনে উক্ত বৃদ্ধা মহিলা আড়াল হলেন।
فَجَاءَ فَجَلَسَ إِلَى جَانِبِي فَمَسَّنِي فَ বাকি অংশ পড়ুন...
মুসলিম শরীফে বর্ণিত পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে রয়েছে, মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
اُنْظُرُوا عَمَّنْ تَأْخُذُونَ دِينَكُمْ
তোমরা লক্ষ্য করো, কার কাছ থেকে দ্বীন শিক্ষা করতেছো।
কাজেই উলামায়ে ‘সূ’রা টিভি চ্যানেলে প্রোগ্রাম করে। নাউযুবিল্লাহ! এদের ঈমান নষ্ট হয়ে গেছে অনেক আগেই। এদের থেকে সম্মানিত ইসলাম শিক্ষা গ্রহণ করার কোন প্রয়োজন নেই। এদের থেকে শিক্ষা করা আর কাফির মুশরিকদের থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা একই হুকুম।
কাজেই এর থেকে ইস্তিগফার তওবা করতে হ বাকি অংশ পড়ুন...
কাজেই, ফিকির করতে হবে। এবং মুসলমানদের ঈমান হিফাযত করতে হবে। পর্দা করা ফরয মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে, আপনারা মনে রাখবেন। পর্দা করতেই হবে। এ বিষয়ে কোন চূ-চেরা চলবে না।
যদি কেউ করতে না পারে সে তওবা করবে, সে ইস্তিগফার করবে, বেপর্দা হারাম জানবে, ঈমানদার থাকবে। আর যদি উলামায়ে “সূ”দের সাথে মিলে মনে করে, এতো পর্দার দরকার নেই তাহলে সে ঈমানদার থাকতে পারবে না। তার কোন সন্তান বৈধ হবে না। সে মুরতাদ হবে। ঠিক ছবি তোলা, রাখা, আঁকা হারাম। এটা সরকার কেন, চৌদ্দ সরকারও যদি জায়িয বলে, আমেরিকা, রাশিয়াও যদি জায়িয বলে, যারাই বলুক না কেন তা কখনও গ্রহণয বাকি অংশ পড়ুন...
কাজেই, ফিকির করতে হবে। এবং মুসলমানদের ঈমান হিফাযত করতে হবে। পর্দা করা ফরয মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে, আপনারা মনে রাখবেন। পর্দা করতেই হবে। এ বিষয়ে কোন চূ-চেরা চলবে না।
যদি কেউ করতে না পারে সে তওবা করবে, সে ইস্তিগফার করবে, বেপর্দা হারাম জানবে, ঈমানদার থাকবে। আর যদি উলামায়ে “সূ”দের সাথে মিলে মনে করে, এতো পর্দার দরকার নেই তাহলে সে ঈমানদার থাকতে পারবে না। তার কোন সন্তান বৈধ হবে না। সে মুরতাদ হবে। ঠিক ছবি তোলা, রাখা, আঁকা হারাম। এটা সরকার কেন, চৌদ্দ সরকারও যদি জায়িয বলে, আমেরিকা, রাশিয়াও যদি জায়িয বলে, যারাই বলুক না কেন তা কখনও গ্রহণয বাকি অংশ পড়ুন...
আল বাইয়্যিনাত শরীফ মুফতী মাওলানাদের জ্ঞানকে পূর্ণ ও সমৃদ্ধ করে দিচ্ছে :
আল বাইয়্যিনাত শরীফ উনার মধ্যে যে ব্যাপক দলীল দেয়া হয় তা সাধারণভাবে কোন ব্যক্তি তো নয়ই, এমনকি কোন মাদরাসা বা অপর কোন বৃহৎ প্রতিষ্ঠানের জন্যও সংগ্রহ করা সত্যিই দুস্কর। কারণ মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ উনার এই দুর্লভ সংগ্রহশালা গড়ে উঠেছে উনার প্রতিষ্ঠাতা ও পৃষ্ঠপোষক, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইউস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদুয যামান, আওলাদুর রসূল, আহলু বাইতে রসূল ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার বেমেছাল প্রজ্ঞা, প্রচেষ্টা তথা উনা বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি কুরআন শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন-
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَتَّخِذُوا عَدُوِّيْ وَعَدُوَّكُمْ أَوْلِيَاءَ تُلْقُوْنَ إِلَيْهِمْ بِالْمَوَدَّةِ وَقَدْ كَفَرُوْا بِمَا جَاءَكُمْ مِّنَ الْحَقِّ يُخْرِجُوْنَ الرَّسُوْلَ وَإِيَّاكُمْ ۙ أَنْ تُؤْمِنُوْا بِاللهِ رَبِّكُمْ إِنْ كُنْتُمْ خَرَجْتُمْ جِهَادًا فِيْ سَبِيْلِيْ وَابْتِغَاءَ مَرْضَاتِيْ ۚ تُسِرُّوْنَ إِلَيْهِمْ بِالْمَوَدَّةِ وَأَنَا أَعْلَمُ بِمَا أَخْفَيْتُمْ وَمَا أَعْلَنتُمْ ۚ وَمَنْ يَفْعَلْهُ مِنكُمْ فَقَدْ ضَلَّ سَوَاءَ السَّبِيْلِ.
অর্থ: হে মুমিনগণ! তোমরা আমার ও তোমাদের শত্রুদেরকে বন্ধু বা অভিভাবক হিসেবে গ্রহণ করো না। তোমরা তাদের প্রতি মুহব্বত ঢেলে দাও (বন্ধুত্বের বার বাকি অংশ পড়ুন...
সাইয়্যিদুল মুরসালীন ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি রোগ নিরাময় বা সুস্থতার জন্য যে সকল চিকিৎসা পদ্ধতি শিক্ষা দিয়েছেন তন্মধ্যে ঝাড়, ফুঁক ও তা’বীয অন্যতম।
ঝাড়, ফুঁক করা, তা’বীয দেয়া ও ব্যবহার করা সুন্নত মুবারকের অন্তর্ভুক্ত। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি স্বয়ং নিজেই দোয়া-কালাম মুবারক পড়ে ঝাড়, ফুঁক করেছেন। হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদেরকে শিক্ষা দিয়েছেন।
তবে বাতিল বা পরিত্যাজ্য বাকি অংশ পড়ুন...
তাই যদি হয়ে থাকে তাহলে মুসলমান কি করে বেদ্বীন-বদদ্বীন, ইহুদী-নাছারাদের অনুসরণ করতে পারে। একজন মুসলমান সে ইসলামী লিবাস পরতে লজ্জাবোধ করে।
অথচ দেখা যায়, ইউরোপ, আমেরিকার কোন দেশে খেলাধূলা হলো সেখানে কোন আস্তিক, নাস্তিক, কাফির, মুশরিক, বেদ্বীন-বদদ্বীন সে একটা লিবাস পরলো, মুসলমান ছেলেরা সেই লিবাসটাই পরে মনে করতেছে, তারা কিছু একটা হয়ে গেছে। নাউযুবিল্লাহ!
আবার মুসলমানরাই তাদেরকে বাহবা দেয়। নাউযুবিল্লাহ! এটাতো কঠিন ব্যাপার। খুব সূক্ষ্ম ব্যাপার।
এরা কিন্তু খুব সূক্ষ্মভাবে মুসলমানদের ঈমান নষ্ট করে দিচ্ছে। ইহুদী, নাছারা, কাফির, মুশ বাকি অংশ পড়ুন...












