আর ইস্তিব্রা কিভাবে করতে হবে সে সম্পর্কে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে- যেমন “যখীরা” কিতাবের ১ম খ-ের ২১১ র্পষ্ঠায় উল্লেখ আছে,
رَوَى ابْنُ الْمُنْذِرِ مُسْنَدًا: إنَّهٗ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ - قَالَ: إذَا بَالَ أَحَدُكُمْ فَلْيَنْتُرْ ذَكَرَهُ ثَلَاثًا وَيَجْعَلُهٗ بَيْنَ أُصْبُوْعَيْهِ السَّبَّابَةِ وَالْإِبْهَامِ فَيُمِرُّهُمَا مِنْ أَصْلِهِ إلَى كَمَرَتِهِ
অর্থ: “হযরত ইবনে মুনযির রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি সনদসহ হাদীছ শরীফ বর্ণনা করে বলেন, নিশ্চয়ই মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ বাকি অংশ পড়ুন...
فَلَمْ يَنْتَهُوا
তারা বিরত হলো না। তারা উল্টা বললো, সেই আলিমদেরকে বললো, তোমরা কেন বাধা দিচ্ছো। সাধারণ লোক দুনিয়াবী ফায়দা লাভ করতেছে, অনেক কিছু লাভ করতেছে। তোমরাও তাদের সাথে শরিক হয়ে যাও। তোমরাও দুনিয়ার একটা অংশ লাভ করবে। নাউযুবিল্লাহ!
نَهَتْهُمْ عُلَمَاؤُهُمْ فَلَمْ يَنْتَهُوا فَجَالَسُوهُمْ فِى مَجَالِسِهِمْ وَوَاكَلُوهُمْ وَشَارَبُوهُمْ
যখন আম লোকরা বললো, হে আলিম ছাহেবরা! তোমরা কেন বাধা দিচ্ছ? তোমরাও এর একটা অংশ নিয়ে নাও। তোমরাও মন্ত্রী মিনিস্টার হও, তোমরাও এমপি হও, প্রেসিডেন্ট পারলে হয়ে যাও। অসুবিধার কি আছে। তোমরা একটা দায়িত্ব নিয়ে নাও। তোমরাও দল মত করো। বাকি অংশ পড়ুন...
৪. শুরুর সময়কাল
আত-তাক্বউয়ীমুশ শামসী : নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশের বছর, ১১ হিজরী এবং সে বছরের সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ (পবিত্র ১২ই রবী‘উল আউয়াল শরীফ)। উক্ত মুবারক মাস উনার ১ম দিন থেকে এই আত-তাক্বউয়ীমুশ শামসী উনার ০ বছর ১ম মাস ১ম দিন শুরু হয়েছে।
আর প্রতিটি দিন গণনা করা শুরু করা হয় ছুবহে সাদিক থেকে। কেননা ছুবহে সাদিক উনার মুবারক মুহুর্তে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্ বাকি অংশ পড়ুন...
নিম্নে সে বিষয়সমূহ সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো-
সনদ ছহীহ না হলেও উলামায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের
আমলের দ্বারা তা ছহীহ সাব্যস্ত হয়
হযরত উলামায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা যদি গ্রহণ করে নেন তবে তা ছহীহ বলে সাব্যস্ত হয়। এ বিষয়ে আলোচনা করতে গিয়ে বিখ্যাত আলিমে দ্বীন হযরত খতীব বাগদাদী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি কয়েকটি হাদীছ শরীফ উল্লেখ করেন যা সনদগতভাবে দুর্বল।
কিন্তু সকল আলিম এই হাদীছ শরীফগুলো আমল করে আসছেন। আর তাই তিনি বলেন-
وَإِنْ كَانَتْ هٰذِهٖ أَحَادِيْثَ لَا تُثَبِّتُ مِنْ جِهَةِ الْإِسْنَادِ لٰكِنَّ لَـمَا تَلَقَّتْهَا الكَافَّةُ عَنِ الْكَافَّةِ বাকি অংশ পড়ুন...
সেটাই আবার পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে স্বয়ং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, তিনি বলেন-
عَنْ حضرت عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ رضى الله تعالى عنه قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم لَمَّا وَقَعَتْ بَنُو إِسْرَائِيلَ فِى الْمَعَاصِى نَهَتْهُمْ عُلَمَاؤُهُمْ فَلَمْ يَنْتَهُوا فَجَالَسُوهُمْ فِى مَجَالِسِهِمْ وَوَاكَلُوهُمْ وَشَارَبُوهُمْ فَضَرَبَ اللَّهُ قُلُوبَ بَعْضِهِمْ بِبَعْضٍ وَلَعَنَهُمْ عَلَى لِسَانِ دَاوُدَ عليه السلام وَعِيسَى ابْنِ مَرْيَمَ عليه السلام ذَلِكَ بِمَا عَصَوْا وَكَانُوا يَعْتَدُونَ
হযরত আ বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কালামে পাক উনার অসংখ্য স্থানে “গান-বাজনা” নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন। যেমন “সূরা লুকমান শরীফ” উনার ৬নং আয়াত শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন-
وَمِنَ النَّاسِ مَنْ يَشْتَرِي لَهْوَ الْحَدِيثِ لِيُضِلَّ عَنْ سَبِيلِ اللَّهِ بِغَيْرِ عِلْمٍ وَيَتَّخِذَهَا هُزُوًا أُولَئِكَ لَهُمْ عَذَابٌ مُهِينٌ
অর্থ: “মানুষের মধ্যে কিছু লোক রয়েছে যারা لَهْوَ الْحَدِيثِ “লাহ্ওয়াল হাদীছ” খরীদ করে থাকে। যেন বিনা ইলিমে মানুষদেরকে মহান আল্লাহ পাক উনার পথ থেকে বিভ্রান্ত করে এবং উহাকে হাসি-ঠাট্টারূপে ব্যবহার করে। এদের জন্যে অপমানজনক শাস্তি রয়েছে। ”
অসুসরণীয় মুফাস্সিরীনে কিরাম রহ বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَتَّخِذُوا الْكَافِرِينَ أَوْلِيَاءَ مِن دُونِ الْمُؤْمِنِينَ ۚ أَتُرِيدُونَ أَن تَجْعَلُوا لِلَّهِ عَلَيْكُمْ سُلْطَانًا مُّبِينًا ﴿١٤٤﴾
অর্থ: হে ঈমানদারগণ! তোমরা মু’মিন ব্যতীত কাফিরদেরকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করো না। (কাফিরদেরকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করে) তোমরা কি চাও, তোমাদের বিরুদ্ধে মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য স্পষ্ট প্রমাণ পেশ করতে? (পবিত্র সূরা নিসা শরীফ, পবিত্র আয়াত শরীফ-১৪৪)
উক্ত আয়াত শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি স্পষ্টভাবেই নিষেধ করে দিয়েছেন যেন কোন মু’মিন মুস বাকি অংশ পড়ুন...
১. উদ্দেশ্য
আত-তাক্বউয়ীমুশ শামসী :
মুসলমানরা যেন কাফিরদের গ্রেগরিয়ান বর্ষপঞ্জি অনুসরণ না করেন বরং এই মুবারক বর্ষপঞ্জি অনুসরণ করার মাধ্যমে পবিত্র কুরআন শরীফ এবং পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের পূর্ণ অনুসরণ করতে পারেন।
গ্রেগরিয়ান বর্ষপঞ্জি :
ইউরোপের খ্রিস্টানরা ২১শে মার্চে ইস্টার দিবস পালন করতো (যেদিন দিন-রাত সমান হয়)। কিন্তু দেখা গেলো জুলিয়ান বর্ষপঞ্জি অনুসরণ করলে ইস্টার ডে চলে আসে ১১ই মার্চ। ফলে তারা তাদের এই ইস্টার ডে পালনের জন্যই জুলিয়ান বর্ষপঞ্জি সংশোধন করে গ্রেগরিয়ান বর্ষপঞ্জি তৈরি করে। উল্লেখ্য, ইস্টার ডে হচ্ছে কাফিরদে বাকি অংশ পড়ুন...












