হিজাব বা পর্দা ফরযে আইন হওয়ার প্রমাণ ও তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (পর্ব-৪৮)
, ০১ রবীউর আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১৯ রবি’ ১৩৯১ শামসী সন , ১৭সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ০২ আশ্বিন, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) মহিলাদের পাতা
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার পক্ষ হতে পর্দার আহকাম সাধারণভাবে অনেক বড় ইহসান। বিশেষভাবে উম্মতের মায়েদের জন্য এটি যে কত বড় ইহসান তা বলে শেষ করা যাবে না। পর্দার আহকাম মূলত সম্মানিত শরীয়ত উনার যথার্থতা, পূর্ণাঙ্গতা ও সর্বকালের জন্য এক প্রচ্ছন্ন আহকাম। পর্দা একদিকে যেমন নারীর মর্যাদার প্রতীক তেমনিভাবে তা নারীর পবিত্রতা প্রমাণের একমাত্র উপায়।
মুসলমানদের মাঝে একটি কুধারণা প্রচলিত আছে। তা হচ্ছে, অনেকে মনে করে যে, পর্দার হুকুম শুধুমাত্র নারীর জন্য। মূলত এ ধারণা মোটেও শুদ্ধ নয়। নারীর জন্য যেমন পর্দার আহকাম ফরয বা অত্যাবশ্যক তেমনি তা পুরুষের জন্য ফরয বা অত্যাবশ্যক। তবে উভয়ের পর্দার ক্ষেত্রে পার্থক্য রয়েছে। যার জন্য যে পর্দার উপযোগী তাকে সেভাবে পর্দা পালনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ন্যায়নিষ্ঠ ব্যক্তিমাত্রই মহাসম্মানিত মহাপবিত্র কুরআন শরীফ ও মহাসম্মানিত মহাপবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের মধ্যে বর্ণিত পবিত্র আয়াত শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফসমূহ গভীরভাবে অধ্যয়ন করলে এই বাস্তবতা স্বীকার করবেন যে, সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে পর্দার আহকামটি অন্যান্য হিকমতের পাশাপাশি নারীর সম্মান ও সমাজের পবিত্রতা রক্ষার জন্যই দেয়া হয়েছে। এজন্য এই আহকামের কারণে প্রত্যেককে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকা উচিত। পাশাপাশি কৃতজ্ঞ হয়ে এ আহকাম সম্পর্কে অযথা আপত্তি করা থেকেও বিরত হওয়া অপরিহার্য।
আগেই উল্লেখ করা হয়েছে যে, নারী-পুরুষ উভয়ের পবিত্রতা রক্ষার অতীব কার্যকর উপায় হচ্ছে পর্দা। এই পর্দার হুকুম অনুসরণের মাধ্যমেই হৃদয়-মনের পবিত্রতা অর্জন করা সম্ভব। পর্দার এই সুফলের কথা স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজেই ঘোষণা করেছেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে। ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
ذَلِكُمْ أَطْهَرُ لِقُلُوبِكُمْ وَقُلُوبِهِنَّ
“পর্দার আহকাম তোমাদের ও তাদের অন্তরের জন্য অধিকতর পবিত্রতার কারণ। (পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৩)
অর্থাৎ মানবসমাজকে পবিত্র ও পঙ্কিলতামুক্ত রাখতে পর্দার আহকামের কোনো বিকল্প নেই।
পর্দা সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার ষষ্ঠ ফরয:
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার ভিত্তি বা প্রধান ফরয হচ্ছে পাঁচটি (১) পবিত্র কালিমা শরীফ বা ঈমান, (২) নামায, (৩) যাকাত, (৪) হজ্জ (৫) পবিত্র রমাদ্বান শরীফ উনার রোযা।” অতঃপর পুরুষদের জন্যে ৬ষ্ঠ ফরয হচ্ছে হালাল কামাই করা। আর মহিলাদের জন্যে ৬ষ্ঠ ফরয হচ্ছে পর্দা করা। যা ফরযে আইন। পঞ্চম হিজরী সনে পবিত্র যিলক্বদ শরীফ মাসের ৮ তারিখ পর্দা ফরয করা হয়। তাই উক্ত মাসের ৮ তারিখ দিবসটিকে ‘বিশ্ব পর্দা দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। সুবহানাল্লাহ!
-০-
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মেয়ে সন্তান জন্মগ্রহণ মহান আল্লাহ পাক উনার দয়া ইহসান মুবারক
২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক উনার অনুসরণই সম্মানিত দ্বীন ইসলাম
২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ঝগড়া-বিবাদের কু-স্বভাবটি পরিহার করা অপরিহার্য কর্তব্য
২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যেভাবে দ্বীন ইসলাম উনার দুইজন সম্মানিত খলীফা সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীকে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি এবং সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইসি সালাম উনারা মনোনীত হয়েছিলেন
২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার নছীহত মুবারক:
২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মহিলাদের জামায়াতের জন্য মসজিদে ও ঈদগাহে যাওয়া হারাম ও কুফরী (২)
২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের বেমেছাল দানশীলতা মুবারক (৮)
২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
শিরক কি? শিরক সম্পর্কে আলোচনা
২০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
শোকরগোযারী দ্বারা নিয়ামত বৃদ্ধি পায় শোকর গোযার না করলে নিয়ামত বন্ধ হয়
২০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
শিরক কি? শিরক সম্পর্কে আলোচনা
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
শোকরগোযারী দ্বারা নিয়ামত বৃদ্ধি পায় শোকর গোযার না করলে নিয়ামত বন্ধ হয়
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)