সম্পাদকীয়-১
হাজার হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বীন ইসলাম বিষয়ক শিক্ষক নেই। পড়ায় হিন্দু শিক্ষক। সে শূন্যতা পূরণ না করে হারাম গান-বাজনা, চারুকলায় ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দিচ্ছে শিক্ষা উপদেষ্টা। যা ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানের আবেগ অনুভূতি ও দ্বীনি অধিকারের সাথে চরম সাংঘর্ষিক উপদেষ্টাদের প্রতি বীতশ্রদ্ধ জনগণ এখন খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ চায়
, ০৯ জুমাদাল ঊখরা শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১৪ সাবি’, ১৩৯২ শামসী সন , ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ২৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) সম্পাদকীয়
সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য; যিনি সকল সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক।
মন খুলে সমালোচনা করার জন্য গত ১১ই সেপ্টেম্বর প্রধান উপদেষ্টা আহবান জানিয়েছে। এন্তার সমালোচনা শুরু হতেই হচ্ছিল। সমালোচক মহল মনে করছেন, গা বাঁচানোর অভিনব কৌশল হিসেবেই এই আহবান করা হয়েছে। গণমাধ্যম যে মন খুলে সমালোচনা করতে পেরেছে বা পারছে তাও নয়। আর একেবারেই যে কিছুই হয়নি তাও নয়। গণমাধ্যমে যা এসেছে তার সারবত্তা- গণপ্রত্যাশা বাস্তবায়নে যথেষ্ট ঘাটতি বা ব্যর্থতা পরিলক্ষিত হয়েছে। অর্পিত দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে বেশিরভাগ উপদেষ্টা যোগ্যতা ও সক্ষমতার পরিচয় দিতে পারেনি। ৮৪ বছর বয়সী প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসসহ তার উপদেষ্টাদের অধিকাংশই বয়োভারে ন্যুব্জ ও অথর্ব। কেউ কেউ হলিডে মুডে আছে। তারা সময় উপভোগ করছে যেন। অন্তর্বর্তী সরকারকে অনেকে কটাক্ষ করে ‘এনজিওগ্রাম’ সরকার বলে। উপদেষ্টাদের অনেকে এনজিও ও গ্রামীণ ব্যাংক বিশেষত চট্টগ্রাম থেকে আসা বলেই এমন কটাক্ষ করা হয়ে থাকে। অভিযোগ রয়েছে, উপদেষ্টাদের একাংশ সভা-সেমিনারে বক্তব্য দিতে যতটা আগ্রহী, নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনে ততটাই নিরুৎসাহী।
সবচেয়ে বড় অভিযোগ উঠেছে- ভারতের এজেন্টরা অন্তবর্তী সরকারের কাধেও চেপে আছে। অন্তবর্তী সরকারও ভারতের সাথে যোগসাজশ ঠিকই বজায় রেখেছে। ইলিশ পাঠাবে না বললেও পতিত সরকারের চেয়ে বেশি ইলিশ পাঠিয়েছে। আমদানী আগের চেয়ে বেড়েছে।
প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যপুস্তক সংশোধন এবং পরিমার্জন কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন ও সমন্বয়ের লক্ষ্যে গত ১৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবকে আহ্বায়ক করে ১০ সদস্যের সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস এবং হিন্দুত্ববাদী মতবাদ পাঠ্যপুস্তকে ঢুকিয়ে দেয়ার প্রেক্ষিতে পতিত সরকারের প্রতি ক্ষোভ ছিল তুঙ্গে।
দ্বীনদার মুসলমান মনে করেছিলেন যে, ইসলামী মহলের দাবীর প্রেক্ষিতে- শিক্ষাব্যবস্থা পূর্ণ ইসলামীকরণ না হলেও অন্তত অনৈসলামিক বিষয়গুলো থাকবে না। শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তা ইসলামী ব্যক্তিত্ব না হলেও অন্তত: অমুসলিম হবে না। বিশেষ করে প্রাথমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে তো নয়ই।
কারণ মুসলিম শিশুর জবান খুললেই ইসলামী শিক্ষা দেয়া শরীয়তের নির্দেশনা। সাত বছর থেকে নামাজ পড়ানো এবং দশ বছর হলে শাস্তি দিয়ে হলেও নামাজ পড়ানো হাদীছ শরীফের নির্দেশ।
অর্থাৎ শৈশব-কৌশরে ইসলামী ঈমান মূল্যবোধে উজ্জীবিত করাই মুসলমানদের দ্বীনি অধিকার। দেশের ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানের এই আবেগ অনুভূতির প্রতি সম্মান না দেয়ার কারণেই পতিত সরকারের এমন অসম্মানজনক অবসান।
দুঃখজনক হলেও সত্যকে ইতিহাস থেকে কেউ শিক্ষা নেয় না। নিচ্ছে না অন্তবর্তী সরকারও।
গত ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) (৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত ‘প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়ন: আমাদের করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বিধান বলেছে, ‘একটা বিষয় শুনে আমার মনে হয় আপনারা খুশি হবেন, সেটা হচ্ছে- ক্লাস্টারভিত্তিতে আমরা শরীর চর্চা শিক্ষক এবং সংগীতের শিক্ষক নিয়োগ দিতে যাচ্ছি। আর চারুকলা শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছি’।
প্রসঙ্গত প্রাথমিক শিক্ষালয়ে হারাম গান-বাজনার বিস্তার, সঙ্গীত, চারুকলার শিক্ষক নিয়োগ যে ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানকে খুশি না করে বরং চরম অখুশি করবে; এটা যার মনে উদয় হয় না সে উপদেষ্টা হয় কী করে? থাকে কী করে?
এটা যে অমুসলিম হওয়ায় সংশ্লিষ্ট উপদেষ্টা মনে করতে পারেনি বিষয়টি শুধু তা নয়। বরং এটা তার রাষ্ট্রদ্বীন ইসলাম বিরোধিতা, অবহেলা, উপেক্ষার প্রমাণ।
প্রসঙ্গত ৬৫ হাজার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের হাজার হাজার বিদ্যালয়ে দ্বীন ইসলাম পড়ায় হিন্দু ধর্মের শিক্ষক। যারা আরবী উচ্চারণ করতে পারে না এবং দ্বীন ইসলামের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করে তাদের উপরই দেয়া হয়েছে পবিত্র দ্বীন ইসলাম শিক্ষা দেয়ার অপবিত্র দায়িত্ব। (নাউযুবিল্লাহ)
এতবড় একটা স্পর্শকাতর এবং আবেগ, অনুভূতি জনিত বিষয়ে শিক্ষা উপদেষ্টার নজর নেই। বরং তার আগ্রহ ইসলাম বিরোধী বিষয়ে। হারাম গান-বাজনা আর চারুকলার বিষয়ে প্রায় ১১ হাজার শিক্ষকের পদ সৃষ্টি করা হচ্ছে।
সাধারণ মুসলমান, আলেম সমাজ তথা ইসলামী মহলের কাছে এখনও বিষয়টি প্রচার ও পরিষ্কার হয়নি। বলার অপেক্ষা রাখে না এরূপ করলে অতি শীঘ্রই, সংস্কৃতি উপদেষ্টা ফারুকীর চেয়েও অনেক বড় এবং অদমনীয় আন্দোলন হবে অমুসলিম শিক্ষা উপদেষ্টা বিধানের বিরুদ্ধে।
উপদেষ্টাদের মধ্যে সমন্বয় নেই। স্ববিরোধী বক্তব্য ও অবস্থান অনেকবার স্পষ্ট হয়েছে। কিন্তু দায়ভার অন্তবর্তী সরকারকেই নিতে হবে।
বিগত সব সরকারের মত অন্তবর্তী সরকারের অনাচার, আপামর জনসাধারণকে ক্ষত-বিক্ষত বিপর্যস্থ করে তুলছে। জনগণ এখন বাঁচতে চায়। ঈমানের সাথে মরতে চায়। ইসলামী পরিবেশ চায়। খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ চায়। পাশাপাশি অন্তবর্তীকালীন সরকার সংস্কার চায়। সংস্কারের সর্বোৎকৃষ্ট পথ খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্। সরকার সংশ্লিষ্টরা তা অনুধাবনে আগ্রহী হবে এটাই প্রত্যাশা ইনশাআল্লাহ।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
বাজারে বিদেশী পণ্যের আধিপত্য। সরকারের উচিত বাজারে শতভাগ দেশীয় পণ্যের নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করা।
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
শিক্ষার্থীদের মাঝে ব্যাপক আত্মহত্যা প্রবণতারোধে সরকারকে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মহান বিজয় দিবসে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সত্যিকার উপলব্ধি জাগ্রত হোক সবার অন্তরে। সংস্কারের দাবীদার সরকারকে উপলব্ধিতে সক্ষমতা আনতেই হবে- যে, সত্যিকার ইসলামী অনুপ্রেরণাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং সংস্কারের পরিক্রমা
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম, মহাসম্মানিত রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার মহিমান্বিত, মহাপবিত্র ১২ তারিখ উনার সাথে সম্পর্কযুক্ত মহাসম্মানিত ১২ই জুমাদাল উখরা শরীফ আজ। সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার শান মান মুবারক অনুভব করা, মর্যাদা-মর্তবা মুবারক জানা, দয়া-ইহসান মুবারক উপলব্ধি করা সর্বোপরি নেক ছায়াতলে উপনীত হওয়া বর্তমান যামানায় সবার জন্যই ফরজ।
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
শিশুদের খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা মূলতঃ এদেশের শিশু মৃত্যু বাড়িয়ে ও প্রতিবন্ধী তৈরি করে, যা মুসলিম জনসংখ্যার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র সরকারী বেসরকারী পর্যায়ে যুৎপতভাবে এ বিষয়ে সচেতন ও সক্রিয় হতে হবে ইনশাআল্লাহ
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
দুরাবস্থায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উদ্যোক্তারা অন্যসব সরকারের মত বর্তমান উপদেষ্টারাও গুরুত্ব দিচ্ছে না
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বন-জঙ্গল উজাড় করে বিদেশী রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়া আর কচ্ছপ বাঁচানোর জন্য নারিকেল দ্বীপের মানুষ মারা এর চেয়ে বড় বৈষম্য এবং চরম অমানবিকতা আর কী হতে পারে? অবিলম্বে নারিকেল দ্বীপের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে জুলুম আর বৈষম্য বন্ধ করতে হবে
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
শুধু চিকিৎসক ও ওষুধ কোম্পানীর কমিশন বাণিজ্য বন্ধ করলে চিকিৎসা খরচ কমবে ৩০ শতাংশ খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র পরিক্রমায় টেস্ট বাণিজ্যসহ অন্যান্য অন্যায় বাণিজ্য বন্ধ করলে জনগণের বর্তমান চিকিৎসা খরচ কমবে অর্ধেকেরও নীচে
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মুবারক হো মহিমান্বিত ৯ই জুমাদাল ঊখরা শরীফ! আজ ক্বায়িম-মাক্বামে সিবতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সাইয়্যিদুল উমাম আল খ¦মিস আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
১২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে কোনো বিদেশি কোম্পানি সাড়া দেয়নি বলে এতো হা হুতাশ কেনো? বাপেক্সকেই সমুদ্রেও তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেয়ার দায়িত্ববোধ- কেবলমাত্র খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র পরিক্রমাই সম্ভব ইনশাআল্লাহ
১১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ, মহাসম্মানিত রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার মহিমান্বিত, মহাপবিত্র ৭ তারিখ উনার সাথে সম্পর্কযুক্ত পবিত্র ৭ই জুমাদাল ঊখরা শরীফ আজ।
১০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
দৈনন্দিন ৩২ বার পবিত্র সূরা ফাতিহা শরীফ পাঠ করলেও মুসলমান কি পবিত্র সূরা ফাতিহা শরীফ শুধু পাঠের মধ্যেই আবদ্ধ থাকবে? ফিকির আর আমল কী অধরাই থাকবে?
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)