ছহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
দুনিয়ার বুরায়ী বা খারাবী (৬০)
, ১২ রমাদ্বান শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১৪ আশির, ১৩৯২ শামসী সন , ১৩ মার্চ, ২০২৫ খ্রি:, ২৬ ফালগুন, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
ঠিক যে দুনিয়াবী জিন্দেগীতে নিজেকে মশগুল করে দিবে, তার থেকে সমস্ত মানুষ ফায়দা হাছিল করে নিবে। সকলে তার ইহকাল-পরকাল কামায়ে নিবে, কিন্তু সে বরবাদ হয়ে যাবে।
সেই পাখিটা বললো- আমার সমজাতীয় পাখিটা আমার জাওয়াব দিয়ে দিয়েছে, সেজন্য আমি তোমার খাঁচার ভিতরে মৃত্যুর ছূরত ধারণ করেছিলাম। তুমি তো মনে করেছ মরে গেছে, আমাকে ছেড়ে দিয়েছ, আমি নাযাত পেয়ে গেলাম।
কাজেই প্রত্যেক লোকের উচিত, দুনিয়ায় থাকা অবস্থায়ই সে যেন দুনিয়া থেকে বের হয়ে যায়। অর্থাৎ দুনিয়ার মোহে যেন সে মোহগ্রস্ত না হয়। দুনিয়া তাকে ত্যাগ করার পূর্বে সে যেন দুনিয়াকে ত্যাগ করে দেয়।
সেটাই মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেছেন-
مُوْتُوْا قَبْلَ اَنْ تَمُوتُوْا
অর্থাৎ “মৃত্যুবরণ করার পূর্বেই মৃত্যুবরণ করে নাও। ” তাহলে তোমার জন্য কামিয়াবী, অন্যথায় তো কোন কামিয়াবী নেই। আফসুস আর দুঃখ-কষ্ট ছাড়া কিছুই নেই।
আর সেজন্যই মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অন্য পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বলেন-
تَعِسَ عَبْدُ النَّفْسِ تَعِسَ عَبْدُ الدُّنْيَا تَعِسَ عَبْدُ الدِّينَارِ وَالدِّرْهَمِ
অর্থ : আফসুস عَبْدُ النَّفْسِ নফসের বান্দার জন্য, عَبْدُ الدُّنْيَا দুনিয়ার বান্দার জন্য, عَبْدُ الدِّينَارِ ও عَبْدُ الدِّرْهَمِ দীনার-দিরহামের, স্বর্ণ-চান্দির বান্দার জন্য আফসুস। যে মহান আল্লাহ পাক উনার বান্দা হতে পারলো না, তার জন্য আফসুস। ”
কাজেই যে নফসের বান্দা, দুনিয়ার বান্দা, দীনার এবং দিরহামের বান্দা হবে, তার জন্য আফসুস। বরং তার উচিত হচ্ছে- عَبْدُ اللهِ বা মহান আল্লাহ পাক উনার বান্দা হয়ে যাওয়া, عَبْدُ النَّفْسِ নফসের বান্দা নয়। আর عَبْدُ الدِّينَارِ ও عَبْدُ الدِّرْهَمِ দীনার-দেরহামের বান্দা নয়, عَبْدُ الدُّنْيَا দুনিয়ার বান্দা নয়। তার উচিত ছিল, عَبْدُ اللهِ অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক উনার বান্দা হয়ে যাওয়া। মূলত প্রত্যেক মানুষের সে দায়িত্ব ও কর্তব্য, যে হবে তার জন্য কামিয়াবী, আর যে হতে পারবে না, তার জন্য কামিয়াবী নেই।
বস্তুতঃ দুনিয়া যে মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে কতটুকু অপছন্দনীয়, সে প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেছেন যে দেখ-
مَنْ تَوَاضَعَ لِغَنِيٍّ صَالِحٍ لِغِنَاهُ ذَهَبَ ثُلُثَا دِينِهِ
মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন যে, কোন ব্যক্তি যদি কোন ধনী ব্যক্তিকে, সে দ্বীনদার হোক, শত দ্বীনদার হোক, তার ধনের জন্য তাকে তা’যীম-তাকরীম করে, তাহলে তার দ্বীনের তিন ভাগের দু’ভাগ ধ্বংস হয়ে যাবে।
এখন ফিকিরের বিষয়, একটা ধনী দ্বীনদার ব্যক্তিকে তার সম্পদের জন্য তাকে যদি কেউ সম্মান করে, তাহলে যে সম্মান করবে তার দ্বীনের তিন ভাগের দু’ভাগ ধ্বংস হয়ে যাবে বা সে মূলত ফাসেক হয়ে যাবে।
কাজেই খুব ফিকির করতে হবে, খুব চিন্তা করতে হবে, তাহলে তার জন্য কামিয়াবী, অন্যথায় কিন্তু কোন কামিয়াবী নেই।
ঐ ব্যক্তির জন্যই কামিয়াবী, যে ফিকির করবে, যে চিন্তা করবে, যে চিন্তা করবেনা, তার জন্য কোন কামিয়াবী নেই। প্রত্যেকটা বিষয় তা পবিত্র কুরআন শরীফ উনার আয়াত শরীফ হোক, হাদীছ শরীফ হোক, বা ইজমা-ক্বিয়াসই হোক তার মধ্যে ফিকির রয়েছে। তাই ফিকির করতে হবে। ফিকির করলেই হিদায়েত লাভ করা সম্ভব। কাজেই দুনিয়াবী মোহ থেকে প্রত্যেককেই দূরে সরে থাকতে হবে। মহান আল্লাহ পাক উনার ধ্যানে খেয়ালে, মুহব্বতে গরক্ব বা মশগুল থাকতে হবে।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
অ্যান্টার্কটিকা নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় বিজ্ঞানীরা
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত আব্বাস ইবনে আবদুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম (৪)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা অবশ্যই সত্যের মাপকাঠি; অস্বীকারকারীরা কাট্টা কাফির (১)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ উনাদের আলোকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দু‘আ বা মুনাজাত (১১তম অংশ)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত আব্বাস ইবনে আবদুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম (৩)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দুনিয়ার যমীনে অবস্থানকালীন সময়ে ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ যে রোযা মুবারক রাখতেন সে রোযা মুবারক মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই শরীফ উনার দিনে হওয়াটা ছিলো একটি বিরল ঘটনা (২)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত হাযির-নাযির শান মুবারক (১)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
প্রাণীর ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িজ
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
আল্লাহওয়ালী মহিলা উনাদের তিনটি বৈশিষ্ট্য-
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)












