ছহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
দুনিয়াদার ধর্মব্যবসায়ী উলামায়ে-‘সূ’দের হাক্বীকত সম্পর্কে (৫)
, ০৭ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১৪ রবি , ১৩৯২ শামসী সন , ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ২৭ ভাদ্র , ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
এর ব্যাখ্যায় যা বলা হয়েছে সেটা হলো, একজন মানুষ যদি কোন উলামায়ে ‘সূ’-এর ধোঁকাতে পড়ে যায় তাহলে তার জীবনটা নষ্ট হয়ে যায়, সে বিভ্রান্ত, গোমরাহ হয়ে যায়। এখানে ষাট বৎসর বলতে বলা হয়েছে, একটা মানুষের জীবন।
সাধারণভাবে একজন মানুষের স্বাভাবিক হায়াত ধরা হয়েছে ষাট বৎসর। অর্থাৎ একজন মানুষ যদি কোন উলামায়ে ‘সূ’র বিভ্রান্তিতে পড়ে যায় বা ধোঁকায় পড়ে যায়, তাহলে তার জীবনটা বরবাদ হয়ে যায়। কারণ সে তার গুমরাহীতে গোমরাহ হয়ে বেঈমান হয়ে মারা যাবে।
তাই উলামায়ে ‘সূ’দের বিভ্রান্তি থেকে, কুফরী থেকে, বেঈমানী থেকে বাঁচানোর জন্য উলামায়ে ‘সূ’দের হাক্বীক্বত প্রকাশ করার প্রয়োজন রয়েছে।
সেটাই হুজ্জাতুল ইসলাম হযরত ইমাম গাযযালী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বললেন যে, উলামায়ে ‘সূ’দের হাক্বীক্বত প্রকাশ করা ফরয এবং ওয়াজিবের অন্তর্ভুক্ত। সুবহানাল্লাহ!
এখন এই বিষয়ে কেউ কেউ চু-চেরা, ক্বীল-ক্বাল করে থাকে। এরা মনে করে থাকে যে, উলামায়ে ‘সূ’ সে দুনিয়াদার মালানা, তার দোষ-ত্রুটি বললে সেটা কেমন হবে, সেটা গীবত হবে কি-না? আসলে গীবতের যে সংজ্ঞা রয়েছে এ সম্পর্কে তাদের ইলিম যথেষ্ট নয়।
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
وَلا يَغْتَبْ بَعْضُكُمْ بَعْضًا أَيُحِبُّ أَحَدُكُمْ أَنْ يَأْكُلَ لَحْمَ أَخِيهِ مَيْتًا فَكَرِهْتُمُوهُ وَاتَّقُوا اللهَ إِنَّ اللَّهَ تَوَّابٌ رَحِيمٌ
মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে-
وَلا يَغْتَبْ بَعْضُكُمْ بَعْضًا
তোমরা একজন আরেকজনের গীবত করো না। গীবত করলে কি হবে? মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজেই বলেন-
أَيُحِبُّ أَحَدُكُمْ أَنْ يَأْكُلَ لَحْمَ أَخِيهِ مَيْتًا فَكَرِهْتُمُوهُ
তোমরা কি এটা পছন্দ করবে বা করো, তোমার কোন মৃত ভাইয়ের গোস্ত খাওয়াটা। কখনই সেটা পছন্দ করবে না। অবশ্যই তোমরা সেটা অপছন্দ করবে। এ বিষয় মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করো। তিনি ক্ষমাশীল তাওবা কবুলকারী, দয়াশীল।
এ পবিত্র আয়াত শরীফ উনার ব্যাখ্যায় হুজ্জাতুল ইসলাম হযরত ইমাম গাযযালী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বর্ণনা করেন, যেহেতু তিনি উনার যামানায় উলামায়ে ‘সূ’দের হাক্বীক্বত প্রকাশ করেছেন। এ কারণে তিনি প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছিলেন। উলাময়ে সূ দের দোষত্রুটি বর্ণনা করলে সেটা গীবত হবে কি-না?
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িয
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
খেলাধুলা নাজায়িয ও হারাম হওয়া সম্পর্কে সম্মানিত ইসলামী শরীয়তের ফায়সালা
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মানুষকে আমলের প্রতি নিরুৎসাহিত করতেই পবিত্র হাদীছ শরীফ নিয়ে মওজু-জয়ীফ ইত্যাদি অপপ্রচার করছে বাতিল ফিরক্বারা
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
একটা আদেশ মুবারক অমান্য করে আরেকটা মান্য করা জায়িয নেই
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন হাসান চীশতী আজমিরী সাঞ্জারী রহমতুল্লাহি আলাইহি (৩০)
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মাজার শরীফে হামলাকারী বেয়াদব ও লানতপ্রাপ্ত
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে হালাল ও হারাম উভয়ের গুরুত্ব সম্পর্কে -৪
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম ও মুসলমানগণের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে আইনী কার্যক্রম
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মক্কা শরীফ বিজয় (৬)
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)