ছহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
দুনিয়াদার ধর্মব্যবসায়ী উলামায়ে-‘সূ’দের হাক্বীকত সম্পর্কে (৪)
, ০৬ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১৩ রবি , ১৩৯২ শামসী সন , ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ২৬ ভাদ্র , ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
ফিকির করতে হবে, হুজ্জাতুল ইসলাম ইমাম গাযযালী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে মুসলমান মাত্রই চিনে থাকে। তিনি এ কথা বললেন কি কারণ?
যে ওয়াক্বিয়া বর্ণনা করা হয়েছে কিতাবে, হুজ্জাতুল ইসলাম হযরত ইমাম গাযযালী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইসলামের প্রতিটি বিষয়ে মুহাক্কিক্ব মুদাক্কিক্ব করেছেন। তিনি ইমাম ছিলেন। একদিন তিনি উনার মজলিসের মধ্যে উলামায়ে ‘সূ’দের কিছু হাক্বীক্বত প্রকাশ করলেন।
কারণ উনার যামানাটা ছিলো ফিৎনার যামানা। উলামায়ে ‘সূ’দের খুব প্রাধান্য ছিলো, খুব প্রভাব ছিলো; যার কারণে দেখা যায়, উনার বিরুদ্ধে উলামায়ে ‘সূ’রা অনেক আন্দোলন করেছিল। উনার সমস্ত কিতাবাদী যা ছিলো পবিত্র হাদীছ শরীফ, তাফসীর, ফিক্বাহ, ফতওয়া, তাছাওউফের কিতাব প্রায় অনেকগুলি উলামায়ে ‘সূ’রা একত্রিত হয়ে বাদশাহ্র কাছে নালিশ করে উনার কিতাবগুলি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছিলো। নাউযুবিল্লাহ! এবং উনাকে দেশ থেকে বের করে দেয়ারও তারা ষড়যন্ত্র করেছিলো।
যেহেতু উলামায়ে ‘সূ’দের প্রভাব ছিলো, প্রাধান্য ছিলো, তাদের হাক্বীক্বত প্রকাশ করা প্রয়োজন ছিলো। যার কারণে তিনি উনার তা’লীম গাহে, দর্সগাহে যেখানে তিনি তা’লীম দিতেন সেখানে উলামায়ে ‘সূ’দের হাক্বীক্বত প্রকাশ করতেন।
একদিন তিনি উলামায়ে ‘সূ’দের কোন কোন উলামায়ে ‘সূ’ নির্দিষ্ট করে তাদের দোষ ত্রুটি বর্ণনা করতেছিলেন যে, এরা উলামায়ে ‘সূ’, বাদশাহর সাথে এদের সম্পর্ক রয়েছে, এরা গাইরুল্লাহ হাছিলের জন্য মশগুল রয়েছে।
তিনি যখন উলামায়ে ‘সূ’দের হাক্বীক্বত বর্ণনা করতেছিলেন তখন একজন আলিম ছাহেব সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বললেন, হে শায়েখ! আপনি উলামায়ে ‘সূ’ দের দোষ-ত্রুটি বর্ণনা না করে পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ আলোচনা করলে উত্তম হতো।
এটা যখন সে বললো তখন তিনি গোস্বা করলেন, তাকে ধমক দিয়ে বললেন যে, তোমার আদব-কায়দা শেখা উচিৎ, কখন কি আলোচনা করতে হবে সেটা আমার জানা রয়েছে, সেটা তোমার থেকে আমাকে জানতে হবে না। তখন তিনি বললেন-
ایک زمانہ بدنام علماء سوء + بہتر از شست سال طاعت بے ریاء
‘কিছুক্ষন সময় উলামায়ে ‘সূ’দের দোষ-ত্রুটি বর্ণনা করে দেয়া, তাদের হাক্বীক্বত প্রকাশ করে দেয়াটা হচ্ছে ষাট বৎসর মকবুল নফল ইবাদত থেকে উত্তম। ’ সুবহানাল্লাহ!
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িয
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
খেলাধুলা নাজায়িয ও হারাম হওয়া সম্পর্কে সম্মানিত ইসলামী শরীয়তের ফায়সালা
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মানুষকে আমলের প্রতি নিরুৎসাহিত করতেই পবিত্র হাদীছ শরীফ নিয়ে মওজু-জয়ীফ ইত্যাদি অপপ্রচার করছে বাতিল ফিরক্বারা
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
একটা আদেশ মুবারক অমান্য করে আরেকটা মান্য করা জায়িয নেই
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন হাসান চীশতী আজমিরী সাঞ্জারী রহমতুল্লাহি আলাইহি (৩০)
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মাজার শরীফে হামলাকারী বেয়াদব ও লানতপ্রাপ্ত
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে হালাল ও হারাম উভয়ের গুরুত্ব সম্পর্কে -৪
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম ও মুসলমানগণের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে আইনী কার্যক্রম
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মক্কা শরীফ বিজয় (৬)
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)