সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বেমেছাল সম্মানিত সৌন্দর্য মুবারক ও শ্রেষ্ঠত্ব মুবারক
, ০১ রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১৬ সামিন, ১৩৯১ শামসী সন , ১৪ জানুয়ারি, ২০২৪ খ্রি:, ৩০ পৌষ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
فَقَالَ سَيِّدُنَا حَضْرَتْ ذَبِيْـحُ اللهِ عَلَيْهِ السَّلَامُ (سَيِّدُنَا حَضْرَتْ عَبْدُ اللهِ عَلَيْهِ السَّلَامُ) لِاُمّـِهٖ عَلَيْهَا السَّلَامُ اُرِيْدُ مِنْكِ اَنْ تَـخْطُبِـىْ لِـىَ امْرَاَةً ذَاتَ حُسْنٍ وَّجَمَالٍ وَّقَدٍّ وَّاعْتِدَالٍ وَّبَـهَاءٍ وَّكَمَالٍ وَّحَسَبٍ وَّنَسَبٍ عَالٍ قَالَتْ حُبًّا وَّكَرَامَةً يَّا وَلَدِىْ ثُـمَّ اِنَّـهَا دَارَتْ اَحْيَاءَ قُرَيْشٍ وَّبَنَاتِ الْعَرَبِ فَلَمْ يُعْجِبْهَا اِلَّا سَيِّـدَتُنَـا حَضْرَتْ اُمُّ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ يَا اُمَّاهُ انْظُرِيْهَا مَرَّةً ثَانِـيَةً فَمَضَتْ وَنَظَرَتْـهَا فَاِذَا هِىَ تُضِىْءُ كَاَنَّـهَا كَوْكَبٌ دُرِّىّ.
অর্থ: “সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি উনার মহাসম্মানিত আম্মাজান আলাইহাস সালাম উনাকে লক্ষ্য করে বললেন, হে আমার মহাসম্মানিত আম্মাজান আলাইহাস সালাম! আমি আশা করি, আপনি আমার পক্ষ থেকে এমন একজন মেয়ে উনার কাছে নিসবতে ‘আযীম শরীফ উনার বিষয়ে প্রস্তাব মুবারক দিবেন, যিনি হবেন সর্বশ্রেষ্ঠা, সর্বোত্তম চরিত্র মুবারক উনার অধিকারিণী, অতি উত্তম জিসম মুবারক উনার অধিকারিণী, সুদর্শনা, ন্যায়পরায়ণী, উজ্জ্বল দীপ্তিময়ী, সর্বদিক থেকে পরিপূর্ণতার অধিকারিণী, বেমেছাল মান-সম্মান-ইজ্জত মুবারক উনার অধিকারিণী, সর্বশ্রেষ্ঠা ও সুউচ্চ বংশীয়া। সুবহানাল্লাহ! উনার মহাসম্মানিত মাতা আলাইহাস সালাম তিনি উত্তরে বললেন, হে আমার স্নেহের আওলাদ! আপনার জন্য সম্মানিত মুহব্বত মুবারক ও সম্মান-ইজ্জত মুবারক। সুবহানাল্লাহ! অতঃপর সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত আম্মাজান আলাইহাস সালাম তিনি সম্মানিত কুরাইশ বংশ উনার ও আরবের সকল গোত্রের সমস্ত কুমারী মেয়ে উনাদের ব্যাপারে অত্যন্ত নিখুঁতভাবে সংবাদ নিলেন। কিন্তু তিনি একমাত্র সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ব্যতীত অন্য কাউকে উপরোক্ত সমস্ত গুণাবলী মুবারক উনাদের অধিকারিণী পেলেন না। সুবহানাল্লাহ! অতঃপর সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, হে আমার মহাসম্মানিত আম্মাজান আলাইহাস সালাম! আপনি দ্বিতীয়বারের মতো আবারো উনাকে দেখুন। তারপর তিনি পুনরায় দেখতে গেলেন এবং উনার দিকে তাকালেন। তখন তিনি উনাকে এমতাবস্থায় দেখলেন যে, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যেন মুক্তা সাদৃশ্য তারকার ন্যায় নূর মুবারক বিচ্ছুরণ করছেন।” সুবহানাল্লাহ!
‘আল বারাহীনুল ক্বিত্ব‘ইয়্যাহ ফী মাওলিদি খইরিল বারিয়্যাহ’ উনার মধ্যে উল্লেখ রয়েছে যে,
আর সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিও তখন উনার সম্মানিত আওলাদ সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনাকে মহাসম্মানিত নিসবতে ‘আযীম শরীফ করানোর জন্য এমন একজন মেয়ে অনুসন্ধান করছিলেন, যিনি হবেন সর্বোচ্চ বংশীয়া এবং সম্মান-ইয্যত, পবিত্রতা ও চারিত্রিক নিষ্কলুষতার দিক থেকে সর্বশ্রেষ্ঠত্বের অধিকারিণী। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে এই সকল গুণে গুণান্বিতা পেলেন।” সুবহানাল্লাহ!
‘নিহায়াতুল ঈ’জাযে’ বর্ণিত রয়েছেন,
سَيِّـدَتُنَـا حَضْرَتْ اُمُّ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَفْضَلُ امْرَاَةٍ فِىْ قُرَيْشٍ حَسَبًا وَّنَسَبًا وَّجَمَالًا
অর্থ: “সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ছিলেন কুরাইশ বংশীয় অর্থাৎ কায়িনাতের সকল মহিলাদের মধ্যে মান-সম্মান, মর্যাদা, বংশ ও সৌন্দর্যগত দিক থেকে সর্বশ্রেষ্ঠা।” সুবহানাল্লাহ!
কিতাবে আরো বর্ণিত রয়েছেন-
وَهِىَ يَوْمَئِذٍ اَفْضَلُ امْرَاَةٍ فِىْ قُرَيْشٍ نَسَبًا وَّمَوْضِعًا
অর্থ: “সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ছিলেন কুরাইশ অর্থাৎ কায়িনাতের সমস্ত মহিলাদের মধ্যে মুবারক বংশগত ও অবস্থানগত অর্থাৎ পিতা-মাতা উভয়ের দিক থেকে সামগ্রিকভাবে সর্বশ্রেষ্ঠা।” সুবহানাল্লাহ! (ইবনে হিশাম, আর রওদ্বুল উন্ফ, দালাইলুন নুবুওওয়াহ, সুবুলুল হুদা ওয়ার রশাদ, শরহুয যারক্বানী ‘আলাল মাওয়াহিব, শরফুল মুস্ত¡ফা ইত্যাদি)
মূলত মহান আল্লাহ পাক তিনি সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত আম্মাজান আলাইহাস সালাম হিসেবে, সর্বপ্রকার সর্বোত্তম ছিফত মুবারক অর্থাৎ গুণাবলী মুবারক, খুছূছিয়াত বা বৈশিষ্ট্য মুবারক ও শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক হাদিয়া মুবারক করেই সৃষ্টি মুবারক করেছেন। সুবহানাল্লাহ! যার কারণে তিনি ছিলেন যাহিরী-বাতিনী সৌন্দর্য মুবারক, সুমহান চরিত্র মুবারক ও শ্রেষ্ঠত্ব মুবারক উনার দিক থেকে কায়িনাতের বুকে অদ্বিতীয়া। উনার কোন মেছাল নেই। উনার মেছাল তিনি নিজেই। সুবহানাল্লাহ!
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে হালাল ও হারাম উভয়ের গুরুত্ব সম্পর্কে (১৩)
২৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
২৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার ঈমানদীপ্ত ঐতিহ্য (৪৭)
২৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সম্মানিত মুসলমানদের সবচেয়ে বড় শত্রু কাফির-মুশরিকরা
২৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ইসলামী শরীয়ত মুতাবিক- ছবি তোলা হারাম
২৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন হাসান চীশতী আজমিরী সাঞ্জারী রহমতুল্লাহি আলাইহি (৩৯)
২৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
২৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কতিপয় সম্মানিত মশহূর লক্বব মুবারক এবং এই সম্পর্কে কিছু আলোচনা
২৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কতিপয় বেমেছাল খুছূছিয়ত বা বৈশিষ্ট্য মুবারক
২৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)