লাইলাতুম মুবারকাহ বা মশহুর শবে বরাত উনার ফাযায়িল-ফযীলত
, ১৪ শা’বান শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ০৭ ‘আশির, ১৩৯০ শামসী সন , ০৭ মার্চ, ২০২৩ খ্রি:, ২১ ফাল্গুন, ১৪২৯ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
‘শব’ ফার্সী শব্দ। যার অর্থ হচ্ছে, “রাত্র”। আর “বরাত” আরবী শব্দ যা উর্দূ, ফার্সী ইত্যাদি সব ভাষাতেই ব্যবহার হয়ে থাকে। যার অর্থ “মুক্তি ও নাযাত” ইত্যাদি।
পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের মধ্য থেকে শবে বরাতের প্রমাণ :
স্মর্তব্য যে, পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে “শবে বরাতকে” “লাইলাতুম মুবারাকাহ বা বরকতময় রজনী” হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। আর পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার ভাষায় শ’বে বরাতকে “লাইলাতুন নিছফি মিন শা’বান” বা শা’বান মাসের চৌদ্দ তারিখ দিবাগত রাত্রি” বলে উল্লেখ করা হয়েছে। যেমন, মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন-
انا انزلنه فى ليلة مبركة انا كنا منذرين . فيها يفرق كل امر حكيم .امرا من عندنا انا كنا مرسلين.
অর্থ: “নিশ্চয়ই আমি বরকতময় রজনীতে (পবিত্র শবে বরাতে) পবিত্র কুরআন শরীফ নাযিল করেছি অর্থাৎ নাযিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আর আমিই ভীতি প্রদর্শনকারী। আর উক্ত রাত্রিতে আমার পক্ষ থেকে সমস্ত প্রজ্ঞাময় কাজ গুলো ফায়ছালা করা হয়। আর নিশ্চয়ই আমিই প্রেরণকারী।” (পবিত্র সূরা দুখান শরীফ, ৩-৫)
আর পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عن حضرت عائشة عليها السلام قالت فقدت رسول الله صلى الله عليه وسلم ليلة فاذا هو بالبقيع فقال اكنت تخافين ان يخيف الله عليه ورسوله قلت يا رسول الله انى ظننت انك اتيت بعض نسائك فقال ان الله تعالى ينزل ليلة النصف من شعبان الى السماء الدنيا فيغفر لاكثر من عدد شعر غنم كلب.
অর্থ: হযরত উম¥ুল মু’মিনীন আছ ছালিছা ছিদ্দীকা আলাইহাস সালাম উনার হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে কোন এক রাত্রিতে অবস্থান মুবারক করছিলাম। এক সময় উনাকে পবিত্রতম বিছানায় না পেয়ে আমি মনে করলাম যে, তিনি হয়ত অন্য কোন মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের সম্মানিত হুজরা শরীফ উনার মধ্যে তাশরীফ মুবারক নিয়েছেন। অতঃপর আমি তালাশ করে উনাকে সম্মানিত জান্নাতুল বাক্বী শরীফে পেলাম। সেখানে তিনি উম্মতের জন্য মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা মুবারক করছেন। উনাকে এ অবস্থায় দেখে আমি পুনরায় সম্মানিত হুজরা শরীফ উনার মধ্যে ফিরে আসলাম। তিনিও ফিরে এসে আমাকে বললেন, আপনি কি মনে করেছেন আমি অন্য কোন মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মহাসম্মানিত হুজরা শরীফে তাশরীফ মুবারক নিয়েছি। আমি বললাম, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! জ¦ী, আমি এমনটাই ধারণা করেছিলাম যে, আপনি হয়তো কোন মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মহাসম্মানিত হুজরা শরীফে তাশরীফ মুবারক নিয়েছেন।
অতঃপর নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র শা’বান শরীফের ১৫ তারিখ রাত্রিতে পৃথিবীর আকাশে অবতরণ করেন অর্থাৎ সম্মানিত রহমতে খাছ মুবারক নাযিল করেন, অতঃপর তিনি বণী ক্বালবের মেষের গায়ে যত পশম রয়েছে তার চেয়ে অধিক সংখ্যক বান্দাকে ক্ষমা করে থাকেন।” সুবহানাল্লাহ! (পবিত্র তিরমিযী শরীফ, পবিত্র ইবনে মাজাহ শরীফ, পবিত্র রযীন শরীফ, পবিত্র মিশকাত শরীফ)
অতএব, পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের মধ্যে পবিত্র শ’বে বরাতের কথা স্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে। তবে পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে বরাতের রাত্রকে “লাইলতুম মুবারকাহ” আর পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে এ রাতকে “লাইলাতুন নিছফি মিন শা’বান বলা হয়েছে।
ফায়ছালার রাত্র :
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
فيها يفرق كل امر حكيم.
অর্থাৎ “উক্ত রজনীতে (পবিত্র লাইলাতুম মুবারকাহ বা শবে বরাতে) সকল প্রকার প্রজ্ঞাময় বিষয়গুলো ফায়ছালা করা হয়ে থাকে।” (পবিত্র সূরা দুখান শরীফ-৪)
উক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ উনার সমর্থনে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
فيها ان يكتب كل مولود من بنى ادم فى هذه السنة وفيها ان يكتب كل هالك من بنى ادم فى هذه السنة وفيها ترفع اعمالهم وفيها تنزل ارزاقهم.
অর্থাৎ এই মহাসম্মানিত বরাত উনার রাত্রিতে ফায়ছালা করা হয় কতজন সন্তান এ বৎসর জন্ম গ্রহণ করবে এবং কত সংখ্যক বনী আদম এবছর মৃত্যু বরণ করবে। এ সম্মানিত রাত্রিতে বান্দাদের আমলগুলো উপরে উঠানো হয় এবং এ সম্মানিত রাত্রিতে বান্দাদের রিযিকের ফায়ছালা করা হয়। সুবহানাল্লাহ! (পবিত্র বায়হাক্বী শরীফ, পবিত্র মিশকাত শরীফ)
সম্মানিত বরাতের রাতে ইবাদত-বন্দেগী, তওবা- ইস্তেগফার, রোযা রাখার নির্দেশ :
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
عن حضرت على عليه السلام قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم اذا كانت ليلة النصف من شعبان فقوموا ليلها وصوموا يومها فان الله تعالى ينزل فيها لغروب الشمس الى السماء الدنيا فيقول الا من مستغفر فاغفرله الا مسترزق فارزقه الا مبتلى فاعافيه الا كذا الا كذا حتى يطلع الفجر.
অর্থ: হযরত ইমামুল আউওয়াল কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যখন পবিত্র শা’বান শরীফ মাসের ১৫ তারিখ রাত্রি অর্থাৎ সম¥ানিত বরাতের রাত্রি উপস্থিত হয়; তখন তোমরা উক্ত রাত্রিতে ইবাদত-বন্দেগী করতে মশগুল থাকো এবং দিনে রোযা রাখো। কেননা নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি উক্ত রাত্রিতে সূর্যাস্তের সময় পৃথিবীর আকাশে অবতরণ মুবারক করেন অর্থাৎ উনার রহমতে খাছ মুবারক নাযলি করেন। অতঃপর ঘোষণা করেন- কোন ক্ষমা প্রার্থনাকারী আছে কি? আমি তাকে ক্ষমা করে দিবো। কোন রিযিক্ব প্রার্থনাকারী আছে কি? আমি তাকে রিযিক্ব দান করব। কোন মুছীবতগ্রস্থ ব্যক্তি আছে কি? আমি তার মুছীবত দূর করে দিব। এভাবে ফজর পর্যন্ত ঘোষণা করতে থাকেন। সুবহানাল্লাহ! (পবিত্র ইবনে মাজাহ শরীফ,পবিত্র মিশকাত শরীফ)
লাইলাতুল বরাত উনার ফযীলত :
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করা হয়েছে-যে ব্যক্তি এই রাতে বরাতের দু’ রাকায়াত নামায আদায় করবে তাকে চারশত বছর ইবাদত-বন্দেগীর সমপরিমাণ ফযীলত দেয়া হবে।
এই রাতে ইবাদত-বন্দেগী করলে বিশটি কবুল হজ্জের ছওয়াব দেয়া হবে।
শবে বরাত উনার রোযার ফযীলত :
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করা হয়েছে- যে ব্যক্তি শবে বরাত উপলক্ষে তিনটি রোযা রাখবে তার জীন্দেগীর সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে।
আরো বর্ণিত রয়েছে-যে ব্যক্তি শবে বরাত উপলক্ষে তিনটি রোযা রাখবে মহান আল্লাহ পাক তাকে জান্নাতের উটনীতে করে জান্নাত ঘুরাবেন। আরো বলা হয় যে, পবিত্র শবে বরাতের রোযাদারকে জাহান্নামের আগুন স্পর্শ করবে না।
আর নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন কেউ যদি ইফতারের পূর্বে আমার সম্মানিত শান মুবারকে (খালিছ নিয়তে) মাত্র তিনবার পবিত্র দরূদ শরীফ পাঠ করে মহান আল্লাহ পাক তিনি তার অতীত জীন্দেগীর সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দিবেন এবং তার রিযিক্ব বৃদ্ধি করে দিবেন। সুবহানাল্লাহ!
গুনাহ খাতা ক্ষমা করার রাত্রি হচ্ছেন পবিত্র শবে বরাত উনার রাত :
عن حضرت كعب رضى الله تعالى عنه ان الله تعالى يبعث حضرت جبريل عليه السلام الى الجنة ليلة النصف من شعبان ليأمر ان تزين ويقول ان الله تعالى قد اعتق فى ليلتك هذه عدد نجوم السماء و عدد ايام الدنيا ولياليها و عدد اوراق الشجر و زنة الجبال و عدد الرمال
অর্থ : হযরত কা’ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম উনাকে ১৫ই শাবান শরীফ রাতে অর্থাৎ পবিত্র শবে বরাতে জান্নাতে পাঠান। যেন জান্নাতকে তিনি সেচ্ছায় সুসজ্জিত হওয়ার নির্দেশনা মুবারক দেন এবং এ কথা বলেন যে, মহান আল্লাহ পাক তিনি আজকের এ রাতে আকাশের তারকারাজি , পৃথিবীর দিবা-রাত্রি, বৃক্ষের পাতা সমূহ, পর্বতের ওজন এবং বালি রাশির সমপরিমাণ বান্দাদেরকে জাহান্নাম থেকে নাযাত বা মুক্ত দিয়ে থাকেন। সুহবানাল্লাহ! (আত তাবসারা-পৃ:৬৩, মা ছাবাতা বিস্ সুন্নাহ)
এ রত্রিতে মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট কান্না-কাটি করতে হবে। জিন্দেগীর সমস্ত গুনাহ-খাতার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে। রিযিক বৃদ্ধির জন্য আরজি করতে হবে। বান্দা- বান্দির যত ধরণের মুছীবত রয়েছে সমস্ত প্রকার মুছীবত থেকে মুক্তি লাভের আরজি পেশ করতে হবে। সমস্ত ফায়ছালাগুলো যাতে রিযামন্দি-সন্তুষ্টি অনুযায়ী সেজন্য বেশী বেশী দোয়া-আরজু করতে হবে। সারা রাত ব্যাপী ইবাদত- বন্দেগীতে মশগুল থাকতে হবে। আর দিনে রোযা রাখতে হবে এবং ইফতারের পূর্বে ৩বার পবিত্র দরূদ শরীফ পাঠ করতে হবে। কাজেই মহান আল্লাহ পাক তিনি যেন আমাদের সকলকে মহাসম্মানিত লাইলাতুম মুবারকাহ উনার সর্ব প্রকার নাজ-নিয়ামত হাছীল করার তৌফিক মুবারক দান করেন এবং উনার যেভাবে আদেশ মুবারক করেছেন সেভাবে যাতে সন্তুষ্টি মাফিক পবিত্র শবে বরাত উদযাপন করতে পারি সেই তৌফিক মুবারক উনারা আমাদেরকে দান করুন। আমিন!
-মুহম্মদ হুসাইন রুকন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
“আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম” কিতাবের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে বিরোধিতাকারীদের আপত্তির জবাব
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পর্দা রক্ষা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া ব্যভিচারের সমতুল্য
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা (৪)
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সারাবিশ্বে একই দিনে ঈদ পালন ও রোযা শুরু করার কথা বলার উদ্দেশ্য পবিত্র ঈদ ও পবিত্র রোযাকে নষ্ট করা, যা মূলত মুনাফিকদের একটি ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত (৬৩)
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে হালাল ও হারাম উভয়ের গুরুত্ব সম্পর্কে (১২)
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িজ
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা আঙ্গুলের ছাপ শরীয়তসম্মত, নিখুঁত, ব্যবহারে সহজ এবং রহমত, বরকত, সাকীনা লাভের কারণ (৫)
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সম্মানিত মুসলমানদের সবচেয়ে বড় শত্রু কাফির-মুশরিকরা
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)