মৃত ব্যক্তির কবরে তালক্বীন দেয়া খাছ সুন্নত মুবারক (১)
, ১৩ শাওওয়াল শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ০৪ ছানী ‘আশির, ১৩৯০ শামসী সন , ০৪ মে, ২০২৩ খ্রি:, ২১ বৈশাখ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) মহিলাদের পাতা
মৃত ব্যক্তির কবরে তালক্বীন দেয়া সুন্নত; মৃত ব্যক্তির কবরে আযান দেয়া জায়িয নেই বরং কবরে আযান দেয়া বিদ্য়াত ও গোমরাহীর অন্তর্ভুক্ত। যা পবিত্র কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ উনার প্রকাশ্য খিলাফ। মৃত ব্যক্তিকে দাফন করার পর তার কবরে “তালক্বীন” দিতে হবে। যা পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনার নির্দেশ তথা মুস্তাহাব-সুন্নত।
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنِ حضرت ابْنِ عَبَّاسٍ رضي الله تعالي عنه قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَقِّنُوا مَوْتَاكُمْ شَهَادَةَ أَنْ لا إِلَهَ إِلا اللَّهُ
অর্থ: হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আখিরী রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, তোমরা তোমাদের মৃত ব্যক্তিকে তালক্বীন দিবে। (এই কথা বলে যে, তুমি বলো)- “আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ্ পাক তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ্ (মা’বুদ) নেই”। (মুসলিম শরীফ, তিরমিযী শরীফ, নাসাঈ শরীফ, আবূ দাউদ শরীফ, সুনানু ইবনু মাজাহ শরীফ, মুসনাদে আহমদ শরীফ, ইবনে আবি শায়বা, বাইহাক্বী শরীফ, বাগবী, আবূ নাইম, আল মু"জামুল কাবীর লিত ত্ববরানী ১০/৩৯৬, ত্ববরানী ১২/২৫৪, কানযুল উম্মাল, মাজমাউয যাওয়ায়িদ ওয়া মামবাউল ফাওয়ায়িদ ৩/৬৫)
উপরোক্ত পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে-لَقِّنُوا مَوْتَاكُمْ لاإِلَهَ إِلا اللَّهُ তোমরা “লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ্” শব্দ মুবারক বলে মৃত ব্যক্তিকে তালক্বীন দাও” এ পবিত্র হাদীছ শরীফ মৃতপ্রায় বা মুমূর্ষ ব্যক্তির ক্ষেত্রেও প্রজোয্য এবং ইন্তিকাল করার পরে মৃত ব্যক্তির জন্যও প্রজোয্য। মূলত: এ বর্ণনার দ্বারাই কবরে তালক্বীন দেয়ার কথা বলা হয়েছে। অর্থাৎ এই পবিত্র হাদীছ শরীফখানা মৃত্যুবরণ করার পূর্বে, মৃতপ্রায় বা মুমূর্ষ ব্যক্তির ক্ষেত্রে এবং ইন্তিকাল করার পরে মৃত ব্যক্তির উদ্দেশ্যে তালক্বীন দেয়ার জন্য বলা হয়েছে। যাতে মৃতপ্রায় বা মুমূর্ষ ব্যক্তিকে সেই কঠিন মূহূর্তে শয়তান ধোকা দিয়ে ঈমানহারা করে দিতে না পারে। মৃতপ্রায় ব্যক্তি যেন পবিত্র কালিমা শরীফ পাঠ করে মৃত্যুর সময়ও ঈমানের স্বীকৃতি দিয়ে ইন্তিকাল করতে পারে। আবার ইন্তিকাল করার পরে মৃত ব্যক্তিকে কবরে রেখে তালক্বীন করার মাধ্যমে তার কবরে সুওয়াল জাওয়াব যেন সহজ হয় এবং কবরে শান্তি লাভ করতে পারে। কারণ মৃত ব্যক্তি তার ইন্তিকালের পর থেকেই জীবিতদের কাছে দোয়া প্রত্যাশা করে।
এ সম্পর্কে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত হয়েছে-
عَنْ حضرت عَبْدِ اللهِ بْنِ عَبَّاسٍ رضي الله تعالي عنه قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَيِّتُ فِي الْقَبْرِ كَالْغَرِيقِ الْمُتَغَوِّثِ يَنْتَظِرُ دَعْوَةً تَلْحَقُهُ مِنْ أَبٍ أَوْ أُمٍّ أَوْ أَخٍ أَوْ صَدِيقٍ، فَإِذَا لَحِقَتْهُ كَانَتْ أَحَبَّ إِلَيْهِ مِنَ الدُّنْيَا وَمَا فِيهَا، وَإِنَّ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ لَيُدْخِلُ عَلَى أَهْلِ الْقُبُورِ مِنْ دُعَاءِ أَهْلِ الْأَرْضِ أَمْثَالَ الْجِبَالِ، وَإِنَّ هَدِيَّةَ الْأَحْيَاءِ إِلَى الْأَمْوَاتِ الِاسْتِغْفَارُ لَهُمْ
অর্থ: হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আখিরী রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, মৃত ব্যক্তি আশ্রয়প্রার্থী ডুবন্ত ব্যক্তির ন্যায়। সে তার পিতা, মাতা, ভাই ও বন্ধুদের কাছে দোয়ার প্রত্যাশা করতে থাকে। যখন জীবিতদের দোয়া মৃত ব্যক্তির কাছে পৌঁছে তখন সেটা তার কাছে দুনিয়া ও তার মধ্যস্থিত সমস্ত কিছুর চেয়েও বেশী পছন্দনীয় হয়। নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি কবরবাসীদের নিকট দুনিয়াবাসীদের দোয়াসমূহ পাহাড়ের ন্যায় বহুগুণ বৃদ্ধি করে পৌঁছে দেন। আর নিশ্চয়ই জীবিতদের পক্ষ থেকে মৃতদের জন্য সর্বোত্তম হাদিয়া হলো মৃত ব্যক্তিদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা। (শুয়াবুল ঈমান ১০/৩০১, মেশকাতুল মাসাবীহ, দায়লামী শরীফ, তাফসীরে মাযহারী, তাফসীরে রুহুল বয়ান, তাফসীরে হাক্কী)
কাজেই কোন ব্যক্তির ইন্তেকালের পরে তার আত্মীয় স্বজন যারা জীবিত রয়েছে তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য হলো, মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া করা, ছওয়াব রেসানী করা, তার ক্ষমার বন্দবস্ত করা। আর কবরের তালক্বীন তারই একটি অন্যতম মাধ্যম।
তালক্বীন করার নিয়ম
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنِ حضرت أَبِي أُمَامَةَ الْبَاهِلِيِّ رضي الله تعالي عنه قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إذَا مَاتَ أَحَدٌ من إخْوَانِكُمْ فَسَوَّيْتُمْ التُّرَابَ على قَبْرِهِ فَلْيَقُمْ أحدكم على رَأْسِ قَبْرِهِ ثُمَّ لِيَقُلْ يا فُلَانُ بن فُلَانَةَ فإنه يَسْمَعُهُ وَلَا يُجِيبُ ثُمَّ يقول يا فُلَانُ بن فُلَانَةَ فإنه يَسْتَوِي قَاعِدًا ثُمَّ يقول يا فُلَانُ بن فُلَانَةَ فإنه يقول أَرْشِدْنَا رَحِمَك اللَّهُ وَلَكِنْ لَا تَشْعُرُونَ فَلْيَقُلْ اُذْكُرْ ما خَرَجْت عليه من الدُّنْيَا شَهَادَةَ أَنْ لَا إلَهَ إلَّا اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ وَأَنَّك رَضِيت بِاَللَّهِ رَبًّا وَبِالْإِسْلَامِ دِينًا وَبِمُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَبِيًّا وَبِالْقُرْآنِ إمَامًا فإن مُنْكَرًا وَنَكِيرًا يَأْخُذُ كُلُّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا بِيَدِ صَاحِبِهِ وَيَقُولُ انْطَلَق بِنَا ما يُقْعِدُنَا عِنْدَ من لُقِّنَ حُجَّتَهُ فقال رَجُلٌ يا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَإِنْ لم يَعْرِفْ أُمَّهُ قال فَلْيَنْسِبْهُ إلَى أُمِّهِ حَوَّاءَ عَلَيْها السَلَّام يا فُلَانُ بن حَوَّاءَ عَلَيْها السَلَّام -
অর্থ: হযরত আবূ উমামা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আখিরী রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “যখন তোমাদের কোন মুসলমান ভাই ইন্তিকাল করবে, তখন তাকে কবরে রেখে তার উপর ভালভাবে মাটি দিয়ে অর্থাৎ দাফন করে তার মাথার নিকট দাঁড়িয়ে বলবে- “হে অমুকের (মায়ের নাম) সন্তান অমুক” তখন মৃত ব্যক্তি এটা শুনবে কিন্তু কোন জবাব দিবে না। তারপর বলবে- “হে অমুকের সন্তান অমুক” এটা শুনে মৃত ব্যক্তি উঠে বসবে। অতঃপর আবার বলবে- “হে অমুকের সন্তান অমুক” এটা শুনে মৃত ব্যক্তি বলবে, মহান আল্লাহ পাক তিনি আপনাকে দয়া ও ইহসান করুন, বলুন! কি বলতে চাচ্ছেন? যদিও তার কথা শুনা যাবে না। তখন তোমরা বলবে- যে বিষয়ের উপর দায়িম ক্বায়িম থেকে তুমি দুনিয়া থেকে এসেছো সে বিষয়ে তুমি এই সময় স্বরণ করো। অর্থাৎ (তুমি সাক্ষ্য দাও যে,) মহান আল্লাহ্ পাক তিনি ব্যতীত কোন মা’বুদ নেই। আর আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহান আল্লাহ্ পাক উনার মহাসম্মানিত নবী ও রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অর্থাৎ মহাসম্মানিত হাবীব ও মাহবূব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। আর নিশ্চয়ই তুমি মহান আল্লাহ্ পাক উনাকে রব হিসেবে, পবিত্র ইসলাম উনাকে দ্বীন হিসেবে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে মহাসম্মানিত নবী ও রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হিসেবে, পবিত্র কুরআন শরীফ উনাকে পথ প্রদর্শক হিসেবে, সন্তুষ্ট চিত্তে মেনে নিয়েছো।” এ সময় মুনকার এবং নাকীর ফেরেশতা আলাইহিমাস সালাম উনারা একে অপরের হাত ধরে বলেন - এখান হতে চলুন, এর নিকট বসে কি করব? এই ব্যক্তিকে তো আখিরাতের দলীল শিখিয়ে দেয়া হয়েছে। অতঃপর এক ব্যক্তি উঠে জিজাসা করলেন, ইয়া রসূলাল্লাহ্ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! যদি তার মাতার নাম জানা না থাকে তখন উপায় কি? তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, তাহলে হযরত মা হাওওয়া আলাইহাস সালাম উনার নাম মুবারক উল্লেখ করে বলবে, হে হযরত হাওওয়া আলাইহাস সালাম উনার পুত্র অমুক। (ত্ববরানী শরীফ, আছনাল মাত্বালিব ফী শরহে রওদ্বিত ত্বালিব ১/৩২৯, কাশফুল ক্বিনা’ আ’ন মাতানিল ইক্বনা’ ৪/৪০৩)
অত্র পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মূল বিষয় হলো, মৃতব্যক্তির কবরে তালক্বীন করা জায়েজ ও সুন্নত এবং “যখন মৃত ব্যক্তির উদ্দেশ্যে কবরে তালক্বীন দেয়া হয় তখন মুনকার ও নাকীর ফেরেশতাদ্বয় আলাইহিমাস সালাম উনারা পরস্পর পরস্পরের হাতে ধরে বলেন যে, তাকে প্রশ্ন করে কি হবে, তাকে তো সব শিখিয়ে দেয়া হয়েছে। চলুন আমরা চলে যাই। অর্থাৎ তালক্বীনের কারণে মৃত ব্যক্তি সুওয়াল-জাওয়াব থেকে নিস্কৃতি বা নাযাত লাভ করে।” সুবহানাল্লাহ!
উপরোক্ত পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার বর্ণনা দ্বারা মৃত ব্যক্তিকে দাফন করার পর কবরে তালক্বীন দেয়া মুস্তাহাব-সুন্নত প্রমাণিত হয়েছে।
তালক্বীন সম্পর্কে কিতাবে উল্লেখ করা হয়েছে-
أما عند أهل السنة فالحديث أي لقنوا موتاكم لا إله إلا الله محمول على حقيقته لأن الله تعالى يحييه على ما جاءت به الآثار وَقَدْ رُوِيَ عَنْهُ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ أَنَّهُ أَمَرَ بِالتَّلْقِينِ بَعْدَ الدَّفْنِ فَيَقُولُ يَا فُلَان بْن فُلَانٍ اُذْكُرْ دِينَك الَّذِي كُنْت عَلَيْهِ مِنْ شَهَادَةِ أَنْ لَا إلَهَ إلَّا اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَنَّ الْجَنَّةَ حَقٌّ وَالنَّارَ حَقٌّ وَأَنَّ الْبَعْثَ حَقٌّ وَأَنَّ السَّاعَةَ آتِيَةٌ لَا رَيْبَ فِيهَا وَأَنَّ اللَّهَ يَبْعَثُ مَنْ فِي الْقُبُورِ وَأَنَّك رَضِيت بِاَللَّهِ رَبًّا وَبِالْإِسْلَامِ دِينًا وَبِمُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَبِيًّا وَبِالْقُرْآنِ إمَامًا وَبِالْكَعْبَةِ قِبْلَةً وَبِالْمُؤْمِنِينَ إخْوَانًا
অর্থ: অতঃপর আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনাদের মতে- لَقِّنُوا مَوْتَاكُمْ لا إِلَهَ إِلا اللَّهُ তোমরা তোমাদের মৃত ব্যক্তিকে “লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ্” শব্দ মুবারক বলে তালক্বীন দাও। এ পবিত্র হাদীছ শরীফখানা প্রকৃতপক্ষে শাব্দিক অর্থেই ব্যবহৃত হবে। কেননা মহান আল্লাহ পাক তিনি মৃত ব্যক্তিকে কবরে তার রূহ ফিরিয়ে দেন। যে বিষয়ে অনেক পবিত্র হাদীছ শরীফ বর্ণিত রয়েছে। “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি দাফনের পর তালক্বীন দেয়ার নির্দেশ মুবারক দিয়েছেন। কবরের পাড়ে দাঁড়িয়ে বলবে, হে অমুকের পুত্র অমুক, তুমি যে দ্বীনের উপর ছিলে সে দ্বীনকে স্মরণ করো।” আর তা হলো- এই সাক্ষ্য দেয়া যে, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ্ পাক তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ্ (মা’বুদ) নেই। আর নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহান আল্লাহ্ পাক উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। নিশ্চয়ই জান্নাত সত্য, জাহান্নাম সত্য, মৃত্যুর পর পুনরুত্থান সত্য। আর নিশ্চয়ই ক্বিয়ামত সংঘটিত হবেই এতে কোন প্রকার সন্দেহ নেই; এবং নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ্ পাক তিনি কবরবাসীকে উঠাবেন। সুতরাং নিশ্চয়ই তুমি মহান আল্লাহ্ পাক উনাকে রব হিসেবে, পবিত্র ইসলাম উনাকে দ্বীন হিসেবে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্মানিত নবী ও রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হিসেবে, পবিত্র কুরআন শরীফ উনাকে পথ প্রদর্শক হিসেবে, পবিত্র কা’বা শরীফ উনাকে ক্বিবলা হিসেবে এবং মু’মিনগণ উনাদেরকে ভাই হিসেবে সন্তুষ্ট চিত্তে মেনে নিয়েছো।” (রদ্দুল মুহতার ৬/২২০, আল ফিক্বহুল ইসলামী ওয়া আদিল্লাতুহূ, হাশিয়ায়ে রদ্দুল মুহতার আলাদ দুররিল মুখতার ২/১৯১, শরহে তানবীরুল আবছার) (চলবে)
-হাফিযুল হাদীছ মুহম্মদ ফজলুল হক্ব
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সন্তানদের ও পরিবারের সকলকে সালাম দেয়া শিক্ষা দান করুন
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের বেমেছাল দানশীলতা মুবারক (৪)
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
কাফের বিশ্বে নারীরা শুধু কি এখন নির্যাতনের শিকার হচ্ছে?
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
একজন দ্বীনদার পরহেযগার আল্লাহওয়ালী মহিলা উনার পর্দা পালনের বেমেছাল দৃষ্টান্ত
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রসঙ্গ মহিলা জামাত নাজায়িজ
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
শৈশবকাল থেকেই সন্তানকে দ্বীনদার হওয়ার শিক্ষা দান করতে হবে
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সম্মানিতা মহিলা আউলিয়া-ই কিরাম উনাদের পরিচিতি
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
স্বচক্ষে দেখা কিছু কথা
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পারিবারিক তা’লীমের গুরুত্ব ও তারতীব
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সুন্নতী খাবার সম্পর্কিত হাদীছ শরীফ : মেথি
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
খাবার বিষয়ে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)