খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখ আছে, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যখন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মি’রাজ শরীফ উনার রাত্রিতে আরশে আযীম শরীফে তাশরীফ মুবারক নিচ্ছিলেন, তখন তিনি স্বীয় পবিত্র নূরুল ফখর (না’লাইন শরীফ) খুলবেন কিনা ফিকির করছিলেন, সেই মুহূর্তে খলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র ওহী মুবারক করে বললেন, আমার মহাসম্মানিত হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আপনি আপনার মহাপবিত্র নূরুল ফখর (না’লাইন শরীফ) খুলবেন না! আপনার মহাপবিত্র নূরুল ফখর (না’লাইন শরীফ) এবং মহাপবিত্র নূরুল ফখর (না’লাইন শরীফ) উনার সাথে লেগে থাকা পবিত্র নূরুশ শারাফাহ (ধুলো-বালি) মুবারকগুলো আপনার পবিত্রতম পরশ মুবারক পাওয়ার কারণে এতো পবিত্রতম মর্যাদায়-মার্যাদাবান হয়েছেন যে, তা যদি পবিত্র আরশে আযীম মুবারক উনাকে স্পর্শ করে, তাহলে পবিত্র আরশে আযীম মুবারক আরো লক্ষ-কোটিগুণ মর্যাদায় মর্যাবান হয়ে যাবেন। সুবহানাল্লাহ!

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, উক্ত মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার দ্বারা প্রতিভাত হয় যে, মহাসম্মানিত হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাপবিত্র নূরুল ফখর (না’লাইন শরীফ) উনার স্পর্শে যদি মহান আল্লাহ পাক উনার আরশে আ’যীম আরো ধন্য ও মর্যাদাবান হওয়ার কারণ হয়; তাহলে মহাসম্মানিত হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মাস উনার মাঝে যমীনে তাশরীফ মুবারক আনলেন, সেই মহাপবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার ফযীলত যে কত লক্ষ-কোটিগুণ বেশি ও সেই মাস যে কত বেমেছাল মর্যাদাবান ও সম্মানিত হবে- তা বর্ণনা করার অপেক্ষাই রাখে না। তাই এ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মাস উনাকে মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আসইয়াদ শরীফ, সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ বলা হয়। সুবহানাল্লাহ!

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূল কথা হলো- যে মাসে মহাসম্মানিত রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যমীনে মুবারক তাশরীফ আনেন- সেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মাস উনার মুবারক নামকরণ করা হয়েছে সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আসইয়াদ শরীফ, সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ পবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ। সুবহানাল্লাহ! যা আসতে আর মাত্র ১৬ দিন বাকি। অতএব, সকলের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- সেই মহাসম্মানিত মাস উনাকে সর্বোচ্চ পর্যায়ের তা’যীম-তাকরীম ও মুহব্বত করা। আর সরকারের জন্যও দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- আগত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মাস উনাকে সর্বোচ্চ তা’যীম-তাকরীম ও জাঁকজমকের সাথে রাষ্ট্রীয়ভাবে বরণ করার জন্য এখন থেকেই সর্বোচ্চ প্রস্তুতি, বাজেট ও ব্যবস্থা গ্রহণ করা। যা সকলের জন্যই ইহকাল ও পরকাল উভয়কালে নাজাত লাভের কারণ হবে। সুবহানাল্লাহ!

-০-