শিশু পালন ও পরিচর্যা:
ভুমিষ্ট শিশু সন্তানের কানে আযান-ইক্বামত দেয়া সুন্নত
, ২৩ রবীউছ ছানী শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২৯ খ্বমিস , ১৩৯২ শামসী সন , ২৭ অক্টোবর , ২০২৪ খ্রি:, ১১ কার্তিক, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) মহিলাদের পাতা
সন্তান ভ‚মিষ্ট হওয়ার পর তার কানে আযান-ইক্বামত দেয়া একটি পবিত্র সুন্নতী আমল এবং ইসলামী তাহযীবের অন্তর্ভুক্ত।
ছেলে সন্তান ও মেয়ে সন্তান প্রত্যেকের জন্মগ্রহণের পর নাড়ী কেটে, গোসল করিয়ে তারপর ডান কানে আযান ও বাম কানে ইক্বামত দিতে হয়।
সন্তান দুনিয়ায় আগমনের পরমুহূর্তে তার নিকট তার যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহূ ওয়া তায়ালা উনার মহিমা এবং উনার যিনি শ্রেষ্ঠতম রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহিমা ঘোষণা করার উদ্দেশ্যেই আযান ও ইক্বামত বলার নির্দেশ মুবারক দেয়া হয়েছে। দুনিয়ায় এসেই শিশুর কানে মহান আল্লাহ পাক উনার তাওহীদ মুবারক ও নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার রিসালাত মুবারক ধ্বণিত হলো যাতে করে দুনিয়ায় অবস্থানকালে এবং দুনিয়া হতে বিদায় গ্রহণকালে সর্ব অবস্থায় তার মুখে মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের নাম মুবারক ও উনাদের ছানা ছিফত মুবারক উচ্চারিত হয়। অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মুবারক নামে বান্দা ও উম্মতের জীবনের সূচনা এবং উনাদের মুবারক নামেই জীবনের অবসান এটাই সম্মানিত ইসলামী বা মুসলমানী জিন্দেগীর রূপরেখা।
ক্বীমিয়ায়ে সাআদাত কিতাবে শিশু সন্তানের কানে আযান ও ইক্বামত বলার ফায়দা সম্পর্কে আরো বর্ণিত রয়েছে যে, পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে রয়েছে, শিশুরা সাধারণত রোগ প্রবণ হয়ে থাকে। তাদের কানে আযান ও ইক্বামত বলা হলে উনাদের বরকতে তাদের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং মহান আল্লাহ পাক উনার রহমতে তারা নানারকম রোগ-বিমারী হতে নিরাপদ থাকে। সুবহানাল্লাহ!
উল্লেখ্য, শিশু সন্তানের কানে যে আযান-ইক্বামত বলা হয় এটাকে তা’যীন বলে। এ আযান-ইক্বামত উনাদের বাক্যসমূহ আর সম্মানিত নামায উনার আযান ও ইক্বামত উনাদের বাক্যসমূহের মধ্যে সামান্য পার্থক্য রয়েছে। যেমন এ আযানের বাক্যসমূহ ফজরের আযানের মতো না হয়ে অন্যান্য ওয়াক্তের আযানের বাক্যসমূহের ন্যায় হবে। আর এ ইক্বামত উনার মধ্যে “ক্বদ ক্বামাতিছ ছলাহ” বলতে হবে না। তদ্রæপ বলার ক্ষেত্রেও কিছুটা পার্থক্য রয়েছে। অর্থাৎ সম্মানিত নামায উনার আযান ও ইক্বামত যেভাবে উচ্চস্বরে দিতে হয় সেভাবে উচ্চস্বরে সন্তানের কানে আযান ও ইক্বামত বলতে হয় না। বরং স্বাভাবিক ও অল্প স্বরে আযান ও ইক্বামত বলতে হবে। আযান উনার বাক্যসমূহ ইক্বামত অপেক্ষা কিছুটা দীর্ঘ ও স্বাভাবিক স্বরে বলতে হবে যেনো আযান ও ইক্বামত উনাদের মধ্যে পার্থক্য বোঝা যায়।
মহান আল্লাহ পাক তিনি সকলকে পবিত্র সুন্নত মুবারক মুতাবিক জীবন গড়ার তাওফিক দান করুন। আমীন!
-উম্মু মুদ্দাসসির।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
প্রসঙ্গ মহিলা জামাত নাজায়িজ
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
শৈশবকাল থেকেই সন্তানকে দ্বীনদার হওয়ার শিক্ষা দান করতে হবে
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সম্মানিতা মহিলা আউলিয়া-ই কিরাম উনাদের পরিচিতি
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
স্বচক্ষে দেখা কিছু কথা
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পারিবারিক তা’লীমের গুরুত্ব ও তারতীব
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সুন্নতী খাবার সম্পর্কিত হাদীছ শরীফ : মেথি
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
খাবার বিষয়ে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
জন্মের প্রথম মাস
১৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের অনুসরণে মু’মীনদের জীবন গড়ে তোলা দায়িত্ব-কর্তব্য
১৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের বেমেছাল দানশীলতা মুবারক (৩)
১৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নারীবাদী বলে কথা........
১৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)