ফিলিস্তিনের মুক্তিকামীরা কেন সফল হয়, অন্যরা কেন সফল হয় না? (২)
, ০৬ শাবান শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১৯ তাসি’, ১৩৯১ শামসী সন , ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ খ্রি:, ০৪ ফাল্গুন, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) আপনাদের মতামত
প্রথমত, তারা দুনিয়াকে পাত্তা দেয় নাই। মানুষ কি মনে করলো, কাফিররা কি বললো, কাফিরদের কত ক্ষমতা আছে, এগুলো তারা বিন্দুমাত্র হিসেব করে নাই। তাদের কাছে দুনিয়াবী ধন সম্পদের থেকে বেশি মূল্যবান বায়তুল মুকাদ্দাস শরীফ। সেই বায়তুল মুকাদ্দাস শরীফের খিদমতে তারা নিজেদের উজার করেছেন।
দ্বিতীয়ত, হামাসসহ বিভিন্ন মুক্তিকামী ফিলিস্তিনিরা মৃত্যু ভয়কে ভুলে গেছে। তারা মৃত্যুকে বরণ করে নেয়ার জন্য প্রস্তুত। কাফিররা শহীদ করলে করুক, দখলদার ইসরাইলীদের ধ্বংস করতে হবে, এটাই তাদের ব্রত।
অর্থাৎ মুক্তিকামীরা দুনিয়ার মুহব্বতকে ছেড়ে দিয়েছে আর মৃত্যুকে বরণ করতে শিখেছে। এই দুই কারণে তাদের অন্তরের ওহান উঠে গেছে আর তাতেই দখলদার ইসরাইলের উপর প্রাধান্য লাভ করেছে।
আবার মহান আল্লাহ পাক ইরশাদ মুবারক করেন, নিশ্চয়ই যারা ঈমানের উপর ইস্তেকামাত থাকেন মহান আল্লাহ পাক তাদের প্রতি ফিরিশতা নাজিল (গায়েবি মদদ) করেন। (সূরা: হামীম সিজদাহ-৩০)
গাজার শিশু থেকে বৃদ্ধ সবার মুখে একটাই কথা– “হাসবুনাল্লহ্ ওয়া নি’মাল ওয়াকিল”- তারা মহান আল্লাহ পাক ছাড়া কারো উপর নির্ভর করে না, তাই তাদের জন্য আল্লাহ পাক তিনি যথেষ্ট। তারা ইসরাইলের দখলদায়িত্ব মেনে নেয়নি, ইস্তেকামাত থেকে যুদ্ধ করেছে। ফলে তাদের জন্য এসেছে মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে এসেছে সাহায্য ও গায়েবী মদদ। দেখা গেছে, ইসরাইলের আধুনিক প্রযুক্তি ঠিক মত কাজ করছে না, অত্যাধুনিক মারকাভা ট্যাংক, যার মূল্য ৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, তা ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে মাত্র ৩০০ ডলারের রকেট দিয়ে। মুক্তিকামী সেনারা দৃশ্য-অদৃশ্য হয়ে দখলদার ইসরাইলীদের হত্যা করছে, ফলে হামাসকে ‘ভূত’ বলে উল্লেখ করেছে ইসরাইলী দখলদাররা। অনেক দখলদার ইসরাইলী সেনা পাগল হচ্ছে, মানসিক বিকৃতি হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছে। অনেক হামাস যোদ্ধা বর্ণনা করেছেন, অদৃশ্য থেকে আগত যোদ্ধাদেরকে তাদের সাথে যুদ্ধ করতে পর্যন্ত তারা দেখছেন। এগুলো মহান আল্লাহ পাক উনার গায়েবী মদদ ছাড়া কি হতে পারে?
এজন্য বর্তমান ফিলিস্তিন ও দখলদার ইসরাইলের মধ্যে সংঘাত সারা বিশ্বের মুসলমানদের জন্য এক বিরাট শিক্ষা। এ থেকে মুসলমানদের জন্য শিক্ষা হচ্ছে, যদি মুসলমানরা যদি দুনিয়ার মুহব্বত বাদ দিতে পারে, ভুলে যেতে পারে মৃত্যুভয়, তবে পৃথিবীর কোন কাফির, সে যত বড় শক্তিশালী হোক, মুসলমানদের কোন ক্ষতি করতে পারবে না। পাশাপাশি একজন মুসলমান যখন ঈমান আনবে এবং ইস্তেকামাত থাকবে, তখন তার জন্য মহান আল্লাহ পাক গায়েবী মদদ করবেন এবং কুদরতি সাহায্য করবেন। ফলে মুসলমানরা সফল হবে। অপরদিকে মুসলমানরা যদি দুনিয়ার মুহব্বত ছাড়তে না পারে, মৃত্যুর ভয় করে সাহস করে এগিয়ে না যায়, তবে কাফিরদের সাথে পেরে উঠবে না। আবার ঈমান আনার পর যদি ইস্তাকামাত না থাকে তবেও আল্লাহ পাক উনার থেকে সাহায্য বা গায়েবী মদদ পাবে না। ফলে সে সফলও হতে পারবে না। মহান আল্লাহ পাক আমাদের সবাইকে এ বিষয়গুলো অনুধাবন করার তৌফিক দান করুন। আমিন।
-ইঞ্জিনিয়ার মুহম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
এ সকল মুখোশধারীদের আসল পরিচয় অনেকেরই অজানা!
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
১০ ব্যক্তি শয়তানের বন্ধু
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যুব সমাজকে খেলাধুলার প্রতি ঝুঁকিয়ে দেয়া একটি ভয়াবহ চক্রান্ত
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
উন্নয়নের বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে, তাহলেই রাজধানী হবে সমস্যামুক্ত
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
জুলুমতন্ত্র থেকে খালিছ ইস্তিগফার-তওবা করুন
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
উপজাতিদের যেভাবে উস্কানি দিচ্ছে এনজিওগুলো
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
হিন্দুদের পূর্বপুরুষরাও একসময় মুসলমান ছিলো
১৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
খাবার খাবেন কোথায়?
১৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ভারতে মুসলিম নির্যাতনের রক্তাক্ত ইতিহাস, যার ধারাবাহিকতা এখনও চলমান
১৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
জায়নবাদী ইহুদী পরিকল্পনার গোপন দস্তাবেজ
১৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
বিধর্মীরা কখনোই চায়নি, এখনও চায় না মুসলমানদের উন্নতি
১৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ব্রিটিশ স্টাইলের শাসকগোষ্ঠী দিয়ে উন্নয়ন নয়, লুটপাটই হবে
১২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)