পবিত্র হজ্জ ও পবিত্র উমরাহ করার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নতী তারতীব মুবারক-১১
, ২৭ যিলক্বদ শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ১৮ আউওয়াল, ১৩৯১ শামসী সন , ১৭ জুন, ২০২৩ খ্রি:, ০২ আষাঢ়, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) সুন্নত মুবারক তা’লীম
اَلسَّعْيُ مِنَّا وَالْاِتْـمَامُ مِنَ اللهِ
অর্থ: চেষ্টা বান্দার তরফ থেকে মহান আল্লাহ পাক তিনি সেটা পূরা করে দেন। সুবহানাল্লাহ!
এ প্রসঙ্গে আমরা দেখতে পাই, খলীফাতুল মুসলিমীন, আমীরুল মু’মিনীন সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার খিলাফত মুবারককালে নাহ্ওয়ান্দের একটা জিহাদ হয়েছিল, সেই জিহাদের মধ্যে মুসলমানগণ কাফিরদের বিরুদ্ধে জিহাদ করছিলেন। পবিত্র জুমু‘য়ার দিন পবিত্র জুমু‘য়ার নামাযের সময় খলীফাতুল মুসলিমীন, আমীরুল মু’মিনীন সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি খুতবা মুবারক উনার মধ্যেই হঠাৎ করে বললেন-
يَا سَارِيَةُ! اَلْـجَبَلَ اَلْـجَبَلَ اَلْـجَبَلَ
অর্থ: ‘ইয়া সারিয়াতু আল জাবাল, আল জাবাল, আল জাবাল’।
কোন প্রসঙ্গ ছাড়াই তিনি খুতবার মধ্যে বললেন। এখন যারা শ্রোতা উনারা সকলেই ফিকির করলেন ব্যাপারটা কি, এখানেতো কোন প্রসঙ্গ নেই, তিনি হঠাৎ খুতবার মধ্যে এ কথা কেন বললেন? উনার জালালিয়াত হোক, রোবের কারণে হোক কেউ কিছু জিজ্ঞাসা করেননি। তবে উনাদের জানা ছিল যে, নাহ্ওয়ান্দের জিহাদ যে হচ্ছে সেখানে হযরত সারিয়াহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি সেখানে সেনাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেছেন। কয়েকদিন পরে একজন সংবাদ বাহক আসলেন, এসে বললেন, হে খলীফাতুল মুসলিমীন, আমীরুল মুসলিমীন সাইয়্যিদুনা হযরত ফারুক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম! একটা আশ্চর্য ঘটনা ঘটেছে, সেটা কি? কয়েকদিন পূর্বে এক পবিত্র জুমু‘য়াতে আমরা যখন জিহাদে মশগুল ছিলাম, একটা পাহাড়ের মধ্যে আড়ালে আমরা ছিলাম কিন্তু পাহাড়ের অপর দিক থেকে শত্রু সৈন্য যারা ছিল তারা পাহাড়ে উঠার চেষ্টা করতেছিল। তারা যদি উঠতে পারতো তাহলে হয়ত আমাদের পক্ষে এই জিহাদে কামিয়াবী হাছিল করা অত্যন্ত কঠিন হতো। হঠাৎ দেখা গেল, আপনার আওয়াজ মুবারকের মতো একটা আওয়াজ মুবারকে বলা হচ্ছে, আমাদেরকে বলা হচ্ছে-
يَا سَارِيَةُ! اَلْـجَبَلَ اَلْـجَبَلَ اَلْـجَبَلَ
অর্থ: হে সারিয়াতু! আল জাবাল আল জাবাল আল জাবাল।
হে হযরত সারিয়াহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু! পাহাড় পাহাড় পাহাড়। যখন এ কথা শুনা হলো আমরা শুনলাম, আমরা তাড়াতাড়ি পাহাড়ে উঠে গেলাম, উঠে দেখতে পেলাম। শত্রু সৈন্যরা বিপরীত দিক থেকে উঠার কোশেশ করতেছে। আমরা তাদেরকে সহজেই পরাস্ত করলাম। সুবহানাল্লাহ!
এখন বিষয়টা হলো সাইয়্যিদুনা হযরত খলীলুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি হচ্ছেন মহান আল্লাহ পাক উনার খলীল, উনি মহাসম্মানিত নবী ও রসূল। উনার সেই ডাকটা মহান আল্লাহ পাক তিনি সারা কায়িনাতে ছড়িয়ে দিলেন, আলমে আরওয়াহ পর্যন্ত। কিন্তু আমীরুল মু’মিনীন, খলীফাতুল মুসলিমীন সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উম্মত এবং খলীফা। তিনি হযরত খুলাফায়ে রাশিদীন আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্তর্ভুক্ত। তিনিও কিন্তু সেইভাবে সম্বোধন করলেন, মহান আল্লাহ পাক উনার আওয়াজটা শত শত মাইল দূরে পৌঁছিয়ে দিলেন। সুবহানাল্লাহ!
এখন বলার বিষয় হচ্ছে, যে সমস্ত বদ মাযহাবের লোকেরা, বদ আক্বীদার লোকেরা বলে থাকে তারা নানান মাধ্যমে, চ্যানেলের মাধ্যম দিয়ে সম্মানিত ইসলাম প্রচার করার জন্য কোশেশ করে যাচ্ছে, তারা হালাল হারাম তমীজ করে না। এখন সেটা তারা ভিডিওর মাধ্যমে হোক, টিভি চ্যানেলের মাধ্যমে হোক সেটা তারা প্রচার করার কোশেশ করে থাকে। নাউযুবিল্লাহ! এরা বলে থাকে, সেটা হচ্ছে ইসলাম প্রচারের একটা মাধ্যম। নাউযুবিল্লাহ! অথচ সেটা সম্মানিত শরীয়তে নিষিদ্ধ। ছবি তোলা আঁকা রাখা এবং টিভি এবং তার চ্যানেল দেখা তার প্রত্যেকটাই নাজায়িয, হারাম ও কুফরীর অন্তর্ভুক্ত। তারপরও তারা ইসলাম প্রচারের নাম দিয়ে সেখানে অনুষ্ঠান করে থাকে। নাউযুবিল্লাহ! এখন যদি কেউ খালিছ বান্দা-বান্দি উম্মত হতে পারে, তাহলেতো তার সেই ডাকটা এবং তার সেই বিষয়টা মহান আল্লাহ পাক তিনি কুদরতীভাবেই উনার মহাসম্মানিত হাবীব ও মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানার্থে পৌঁছিয়ে দিবেন। সুবহানাল্লাহ! এর মাধ্যম দিয়ে বিষয়টা স্পষ্ট করে দেয়া হলো যে, মুসলমানদের জন্য বেদ্বীনি-বদদ্বীনি, কুফরী-শিরকী রসম রেওয়াজের প্রয়োজন নেই।
আহমদ হুসাইন
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
বিবাহ-শাদীর গুরুত্ব-ফযীলত ও খাছ সুন্নতী তারতীব (২)
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
‘আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন বিভিন্ন প্রকারের সুন্নতী খাবার ‘খেজুর’
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
বিবাহ-শাদীর গুরুত্ব-ফযীলত ও খাছ সুন্নতী তারতীব (১)
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
‘আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন মাথায় ব্যবহার করার সুন্নতী ‘কেনায়া’
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ইমামাহ বা পাগড়ী পরিধানের মহাসম্মানিত সুন্নতী তারতীব
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন কালোজিরা ও কালোজিরার তেল
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নতী খাবার মধু
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন সুন্নতী লিবাস ‘জুব্বা’
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নতী খাবার মাঠা (লাবান)
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন সুন্নতী খাদ্য ‘যব’
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
ঠান্ডা ও মিঠা পানি পান করা মহাসম্মানিত মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক
১৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন সুন্নতী খাবার যব ও যবের রুটি
১৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)