নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার তরফ থেকে সম্মানিত কুরবানী মুবারক দেয়া প্রত্যেক উম্মতের জন্য ফরযে আইন (৩)
, ০৫ যিলক্বদ শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১৫ ছানী আশার, ১৩৯১ শামসী সন , ১৪, মে, ২০২৪ খ্রি:, ৩১ বৈশাখ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) সুন্নত মুবারক তা’লীম
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “ইমামুল আউওয়াল সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি হচ্ছেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ওয়ারিছ। যার কারণে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইমামুল আউওয়াল সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনাকে উনার তরফ থেকে আবাদুল আবাদ অর্থাৎ অনন্তকাল ধরে অর্থাৎ প্রতি বছর সম্মানিত কুরবানী মুবারক করার জন্য সম্মানিত নির্দেশ মুবারক দিয়েছেন, সম্মানিত ওয়াছিয়ত মুবারক করেছেন। সুবহানাল্লাহ! মূলত নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইমামুল আউওয়াল সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার মাধ্যম দিয়ে সমস্ত উম্মতদেরকেই উনার তরফ থেকে আবাদুল আবাদ অর্থাৎ অনন্তকাল ধরে অর্থাৎ প্রতি বছর সম্মানিত কুরবানী মুবারক করার জন্য সম্মানিত নির্দেশ মুবারক দিয়েছেন, সম্মানিত ওয়াছিয়ত মুবারক করেছেন। আর উনার এই সম্মানিত নির্দেশ মুবারক এবং সম্মানিত ওয়াছিয়ত মুবারক মূলত মহান আল্লাহ পাক উনারই সম্মানিত নির্দেশ মুবারক। সুবহানাল্লাহ! কেননা মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
وَمَا يَـنْطِقُ عَنِ الْـهَوٰى. اِنْ هُوَ اِلَّا وَحْىٌ يُّـوْحٰى
অর্থ: “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত ওহী মুবারক ছাড়া কোনো কথা মুবারক বলেন না, কোনো কাজ মুবারক করেন না, কোনো সম্মতি মুবারক প্রকাশ করেন না। ” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা নজম শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৩-৪)
তাই সমস্ত উম্মতের জন্য ফরযে আইন হচ্ছে- সব সময় অর্থাৎ দায়িমীভাবে প্রতি বছর অর্থাৎ অনন্তকালধরে বংশ পরস্পরায় একজনের ইন্তেকালের পর তার পরবর্তী বংশধরগণ অবাদুল আবাদ অর্থাৎ ক্বিয়ামত পর্যন্ত ফরজ কুরবানী করে যেতেই থাকবে অর্থাৎ আবাদুল-আবাদ জারী রাখবে। কোন মতেই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার তরফ থেকে সম্মানিত কুরবানী মুবারক করা বন্ধ রাখতে পারবে না বা বন্ধ করতে পারবে না। সুবহানাল্লাহ! শুধু তাই নয়; উম্মতের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের তরফ থেকে কোটি-কোটি সম্মানিত কুরবানী মুবারক করা। আর যাদের সামর্থ নেই, তাদের জন্য দায়িত্ব হচ্ছে- ১০ জন, ২০ জন, ৩০ জন, ৪০ জন, ৫০ জন মিলে হলেও নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার তরফ থেকে সম্মানিত কুরবানী মুবারক করা। ” সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!
সেটাই আমরা দেখতে পাচ্ছি- আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি প্রতি বছর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের তরফ থেকে হাজার হাজার পশু অর্থাৎ গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া সম্মানিত কুরবানী মুবারক করে যাচ্ছেন। সুবহানাল্লাহ! এছাড়া তিনি ১ লক্ষ ২৪ হাজার মতান্তরে ২ লক্ষ ২৪ হাজার হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম, সমস্ত হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম, লক্ষ লক্ষ হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম এবং সমস্ত উম্মতে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের পক্ষ থেকে প্রতি বছর অসংখ্য সম্মানিত কুরবানী মুবারক দিয়ে যাচ্ছেন। আর তিনি প্রতিদিন সম্মানিত মক্ববুল মুনাজাত শরীফ উনার মধ্যে বলে থাকেন যে, ‘আয় বারে এলাহী! নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্মানার্থে কোটি-কোটি সম্মানিত কুরবানী মুবারক করার তাওফীক্ব দান করুন। ’ আমীন!
তাই সকলের জন্য আবশ্যক হচ্ছে, এই কোটি-কোটি সম্মানিত কুরবানী মুবারক-এ আর্থিক আনজাম দেয়াসহ সার্বিকভাবে সম্মানিত গোলামী মুবারক উনার আনজাম মুবারক দেয়া। সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!
-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আল আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
বিবাহ-শাদীর গুরুত্ব-ফযীলত ও খাছ সুন্নতী তারতীব (৪)
২৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন সুন্নতী লেবাছ সুন্নতী কোর্তা
২৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বিবাহ-শাদীর গুরুত্ব-ফযীলত ও খাছ সুন্নতী তারতীব (৩)
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন সুন্নতী খাবার ‘কিস্সা’
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বিবাহ-শাদীর গুরুত্ব-ফযীলত ও খাছ সুন্নতী তারতীব (২)
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
‘আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন বিভিন্ন প্রকারের সুন্নতী খাবার ‘খেজুর’
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
বিবাহ-শাদীর গুরুত্ব-ফযীলত ও খাছ সুন্নতী তারতীব (১)
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
‘আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন মাথায় ব্যবহার করার সুন্নতী ‘কেনায়া’
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ইমামাহ বা পাগড়ী পরিধানের মহাসম্মানিত সুন্নতী তারতীব
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন কালোজিরা ও কালোজিরার তেল
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নতী খাবার মধু
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন সুন্নতী লিবাস ‘জুব্বা’
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)