দেশীয় চিনিকল বন্ধের সিদ্ধান্ত ছিল জনগণের স্বার্থবিরোধী-৩

, ০৬ যিলক্বদ শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ২৭ ছানী ‘আশার, ১৩৯০ শামসী সন , ২৭ মে, ২০২৩ খ্রি:, ১৪ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) আপনাদের মতামত

আজ থেকে ২ বছর আগে দেশের সরকারি ১৫টি চিনিকলের মধ্যে ৬টি চিনিকলের উৎপাদন বন্ধ করে দেয়া হয় লোকসানের অজুহাতে। আমরা তখন এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করে বলেছিলাম- এতে দেশে চিনির বাজারকে অস্থির করে তুলবে র-সুগার থেকে চিনি প্রক্রিয়াজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। চিনির দাম সয়াবিন তেলের মতো বেড়ে প্রতি কেজিতে ১০০ টাকা অতিক্রম করবে। চিনিকল বন্ধ হলে ওই এলাকা থেকে আখের আবাদ উঠে যাবে। ফলে আখের অভাবে দেশের অবশিষ্ট চিনিকলগুলোরও মরণদশা হবে। গুড়ের দাম বেড়ে হবে দ্বিগুণ। ফলে অবৈধ পাওয়ার ক্রাশারের মাধ্যমে গুড় প্রস্তুতকারকরা সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে টাটকা, সতেজ, রোগ ও পোকামাকড়মুক্ত আখগুলো কিনে গুড় উৎপাদন করবে এবং আখের অভাবে চিনিকলগুলো নির্ধারিত সময়ের আগেই বন্ধ হয়ে যাবে এবং চিনি আহরণ হার ও চিনি উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা কোনোটাই অর্জিত হবে না। আমাদের ভাবনাগুলো ২ বছর পরে হলেও যে সত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে, তা বলার আর অপেক্ষা রাখে না।

মুহম্মদ আবু ইয়াকুব ইসহাক রাসেল

সাবেক শিক্ষার্থী, এ টি আই, শেরপুর।

ট্যাগসমূহঃ