সমাবেশে বক্তারা:
জরায়ুমুখ ক্যান্সার টিকা দেয়ার কার্যক্রম বন্ধসহ ৩ দফা দাবি
, ২৫ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০:০০ এএম ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) তাজা খবর
কিশোরীদের জরায়ুমুখ ক্যান্সার টিকা দেয়ার কার্যক্রম বন্ধ করা, দ্রব্যমূল্য ও চিকিৎসা সেবামূল্য হ্রাস করা এবং পলিথিন নিষিদ্ধ নয় রিসাইক্লিং পদ্ধতি চালু করা- এই ৩ দফা দাবিতে সমাবেশ করেছে ‘সচেতন নাগরিক সমাজ’। গতকাল ইয়াওমুল খামীস (বৃহস্পতিবার) রাজধানীর মালিবাগ মোড় ফালইয়াফরাহু চত্বরে এক সমাবেশে তারা এই তিনটি দাবি উত্থাপন করেন।
জরায়ুমুখ ক্যান্সারের টিকা কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে :
সচেতন নাগরিক সমাজের বক্তাগণ বলেন, সম্প্রতি স্কুল ও মাদ্রাসাগুলোতে ছাত্রীদের জরায়ুমুখ ক্যান্সারের (এইচপিভি) টিকা দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী ৬২ লক্ষের বেশী কিশোরীকে এই টিকা দেয়া হবে। বক্তাগণ বলেন, করোনার টিকার সময় দেখা গেছে, টিকা দিলে করোনা হবে না, এই কথা প্রচার করা হয়েছিলো। কিন্তু টিকা দেয়ার পর দেখা গেলো, টিকা দেয়ার পরই করোনা শুরু হচ্ছে। আমাদের প্রশ্ন হচ্ছে, এইচপিভি টিকা দেয়ার পর যদি মহিলাদের জরায়ুমুখ ক্যান্সার দেখা দেয়, তবে তার দায়িত্ব নেবে কে? বক্তাগণ বলেন, করোনার টিকার দেয়া পর কম বয়সীদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোক দেখা দেয়। ঠিক একইভাবে এইচপিভি টিকা দেয়ার পর স্ট্রোকের প্রমাণ আছে। ২০১২ সালে টিকা নেয়ার পর দুই কিশোরীর মৃত্যু হলে তাদের ময়না তদন্ত করে দেখা যায়, এইচপিভি টিকাতে যে এন্টিজেন ব্যবহার করা হচ্ছে, তা কিশোরীদের মস্তিষ্কের রক্তনালীতে রক্ত জমাট তৈরী করছে যা থেকে কিশোরীদের ব্রেন স্ট্রোক হয়ে রক্তনালী ছিড়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি ঐ সময় রিসার্চ জার্নাল ও মিডিয়ায় বেশ আলোচিত হয়। কিন্তু এখন সেগুলো এড়িয়ে গিয়ে ফের কিশোরী মেয়েদের গিনিপিগ বানানো হচ্ছে। বক্তাগণ বলেন, জরায়ুমুখ ক্যান্সারের মূল কারণ হিউম্যান পেপিলোমা ভাইরাস। এই ভাইরাসটি বাহিত হয় শারীরিক সম্পর্কের মাধ্যমে। নারী-পুরুষ যখন অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পরে, তখন পুরুষের মাধ্যমে নারীর শরীরে এই ভাইরাসটি প্রবেশ করে। এ কারণে এ ভাইরাসের বিরুদ্ধ যদি প্রতিরোধ গড়তে হয়, তবে সর্ব প্রকার অবৈধ সম্পর্ক বন্ধ করতে হবে। বিশেষ করে দেশে যত পতিতালয়, রিসোর্ট আর হোটেল ব্যবসা আছে, সেগুলো বন্ধ করতে হবে। এছাড়া পশ্চিমা ও ভারতীয় সংস্কৃতিতে বাংলাদেশের প্রবেশ করানো হচ্ছে বয়ফ্রেন্ড-গার্লফ্রেন্ড-জাস্টফ্রেন্ড-বেস্টটি-পরকীয়া কালচার। এগুলো মাধ্যমেই মূলত জরায়ুমুখ ক্যান্সার ভাইরাস ছড়ায়। তাই এগুলো বন্ধ করলেই জরায়ুমুখ ক্যান্সারের আসল প্রতিরোধ সম্ভব।
বক্তাগণ আরো বলেন গবেষণায় দেখা যায়, যে সমস্ত নারী জন্মনিরোধকরণ পিল খায়, তাদের জরায়ুমুখ ক্যান্সার হওয়ার সম্ভবনা ১৯৫% বেড়ে যায়। পাশাপাশি যে সমস্ত নারী ধূমপান করে তাদেরও জরায়ুমুখ ক্যান্সার হওয়ার সম্ভবনা বেড়ে যায়।
বক্তাগণ বলেন, পৃথিবীতে আমেরিকাতে এইসব টিকা-ভ্যাকসিন মানুষকে বেশি নিতে দেখা যায়। কিন্তু আমেরিকাতেই দেখা যায়, ক্যান্সার আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা অত্যধিক বেশি। ক্যান্সারের কেমো ও রেডিও থেরাপির ব্যবসা করে কোটি কোটি টাকা কামাচ্ছে বড় বড় ওষুধ কোম্পানিগুলো।
অভিজ্ঞমহল মনে করেন, আসলে এই টিকা দেয়ার নেপথ্যে মূল ষড়যন্ত্র হচ্ছে জনসংখ্যা হ্রাস করা। বর্তমানে বাংলাদেশের জনসংখ্যা ৪০ কোটি ছাড়িয়ে গেছে। এই জনসংখ্যা বাংলাদেশের একটা বিরাট সম্পদ। এই জনসম্পদকে ধ্বংস করার লক্ষে তারা জরায়ু টিকার নামে মেয়েদের বন্ধ্যা করার কুটকৌশল শুরু করেছে। ইউরোপ, আমেরিকা, রাশিয়া এবং অন্যান্য অমুসলিম দেশে বেশী সংখ্যক সন্তান জন্ম দিলে পুরষ্কার ঘোষণা করা হয়। যে নারী ৫ এর অধিক সন্তান জন্ম দেয় তাকে মাদার হিরোইন উপাধিতে ভূষিত করা হয়। বাংলাদেশের মেয়েরা যাতে আগামীতে বন্ধ্যা হয়ে যায় তার জন্যই এই টিকা। এই টিকার মাধ্যমে পশ্চিমারা আগামী প্রজন্মকে নির্বংশ করার ঘড়যন্ত্র করেছে।
তাই এদের কার্যকলাপ থেকে সবাইকে সাবধান থাকা জরুরী। বিশেষ করে অভিভাবকদের সচেতন থাকতে হবে, যেন স্কুল বা মাদ্রাসাগুলো কিশোরীদের এসব টিকা না দিতে পারে। সরকারকেও এসব টিকা দেয়ার কর্মসূচি প্রত্যাহার করতে হবে। বিদেশীদের টাকা খেয়ে কোনো মতেই দেশের জনগণের স্বাস্থ্য হুমকির মুখে ফেলা যাবে না। সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে অতিসত্বর এই এইচটিভি টিকা দেয়া কার্যক্রম এবং পরিবার পরিকল্পনা বন্ধ করে দেয়া।
নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য এবং চিকিৎসা সেবা মূল্য হ্রাস করুণ, জীবন বাঁচান:
খাদ্য-পানীয়সহ নিত্য প্রয়োজনীয় সকল পণ্যসামগ্রীর দ্রব্যমূল্য এবং চিকিৎসা সেবা ও ওষুধপত্রের মূল্য কমাতে হবে। দ্রব্যমূল্যের ও সেবামূল্যের উর্ধগতি রোধ করে তা জনসাধারণের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখতে হবে। বর্তমানে বাজারে আগুন লেগেছে। চাল, ডাল, আটা, তেল, শাক-সবজি, ফল-মূল, মাছ-গোশত, ডিম সব কিছুই এখন মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। যার ফলে নিম্ন আয়ের এবং মধ্যবিত্ত জনগণসহ দেশের অনেক মানুষ এখন পেটে ক্ষুধা নিয়ে জীবনযাপন করছে। তাই রাষ্ট্র সংস্কারের পূর্বে চাই মানুষের ক্ষুধা নিবারণ করা। অতিসত্ত্বর এই জুলুম বন্ধ করতে হবে। সিন্ডিকেটের অজুহাতে দ্রব্যমূল্য না বাড়িয়ে, নতুন নতুন করের বোঝা জনগণের উপর না চাপিয়ে দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আনতে হবে। এটা সরকারের প্রথম দায়িত্ব। খাদ্য না পেলে ক্ষুধার্ত নির্যাতিত মানুষ পূর্বের সরকারের মতই আবারো এই সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করবে। তাতে দেশে নতুন করে দেশে বিশৃঙ্খলা দেখা দিবে। এই বিষয়ে সরকারকে সতর্ক থাকতে হবে।
পলিথিন নিষিদ্ধ নয় রিসাইক্লিং পদ্ধতি চালু করতে হবে:
সচেতন নাগরিক সমাজের বক্তাগণ বলেন, কোন শিল্প কারখানা বন্ধ করার আগে দেখা প্রয়োজন, ঐ শিল্পের সাথে জড়িত মানুষের বিকল্প জীবিকার কোন ব্যবস্থা হয়েছে কী না। কিন্তু সেটা না করে হুট করে কোটি কোটি মানুষের মানুষের জীবন জীবিকা বন্ধ করে দেয়া কখন মানবিক বিষয় হতে পারে না। পলিথিন কারখানায় হাত দিতে হলে আগে এর সাথে জড়িত ২ কোটি মানুষের নতুন জীবিকার ব্যবস্থা করতে হবে, এর আগে নয়।
সচেতন নাগরিক সমাজের বক্তারা বলেন, বিশ্বজুড়ে পলিথিন ও পলিপ্রপাইলিনের ব্যবহার রয়েছে। এর ক্ষতি থেকে বাঁচতে পলিথিন নিষিদ্ধ নয়, বরং তার রিসাইক্লিং এর ব্যবস্থা করেছে সবাই। বাংলাদেশে পলিথিনের ক্ষতি থেকে বাচতে এর রিসাইক্লিং এর উদ্যোগ নিতে হবে। এতে পরিবেশ বাঁচানোর সাথে সাথে মানুষের জীবন জীবিকাও বাঁচবে, সাথে নতুন মানুষের কর্মসংস্থানও তৈরী হবে।
রাষ্ট্রের বিভিন্ন পরিকল্পনা বা কার্যক্রম গ্রহণ করা যেমন কিশোরীদের টিকা প্রদান, পলিথিন নিষিদ্ধ করা বা জনগণের জন্য কোনো প্রকল্প গ্রহণ করা যেখানে জনগণের মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণের বিষয় রয়েছে ইত্যাদি করা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাজ নয়, এটা নির্বাচিত সরকারের কাজ। এই সরকারের প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করে আম মানুষের জীবনযাত্রা সহজ করা এবং দ্রুততম সময়ে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। (প্রেস বিজ্ঞপ্তি)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
এক বছরে ২ সরকার, বিলম্ব’ পিছু ছাড়েনি ট্রেনের
২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
এক বছরে ২ সরকার, বিলম্ব’ পিছু ছাড়েনি ট্রেনের
২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
স্বতন্ত্র বিচার বিভাগ ও বিচারক নিয়োগ কাউন্সিল গঠন দ্বারপ্রান্তে
২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ইসকন এবং উগ্র হিন্দু সন্ত্রাসীদের মৃত্যুদ-, ধর্মব্যবসায়ী মুনাফিক ওলামায়ে ছূ’দের সমাজচ্যুতকরণ, শিক্ষা ও চিকিৎসা সংস্কারসহ সমসাময়িক বিভিন্ন প্রেক্ষিতে ১৩ দফা দাবীতে প্রতিবাদ সমাবেশ
২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সয়াবিন তেলের বাজার অস্থির করছে কারা?
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
এনজিও’র কিস্তি পরিশোধ না করায় ২ সন্তানসহ নারী গ্রেপ্তার
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
খালেদা জিয়ার অসুস্থতায় মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ স্থগিত
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
‘বিডিআর বিদ্রোহ নয়, এটি পরিকল্পিত হত্যাকা-’
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
রাজধানীর কড়াইল বস্তিতে আগুন
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ইজতেমা মাঠে জনসাধারণের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা -মাঠ ছাড়ছেন মুসল্লিরা
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
গৌরবান্বিত বিজয়ের মাস উপলক্ষে দেশের স্বাধীনতা ও বিজয় অক্ষুণ্য রাখতে চলমান জাতীয় সমস্যা সমাধানে ১৩ দফা দাবি
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
বাংলাদেশ থেকে কমেছে, বেড়েছে ভিয়েতনাম ও ভারত থেকে
১৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)