কৃষিতে বিপ্লব ঘটলেও হিমাগার ও খাদ্য সংরক্ষণাগারের অভাবে সুফল পাচ্ছে না কৃষক
পর্যাপ্ত খাদ্য সংরক্ষণাগার আর হিমাগারের ব্যবস্থা করলে বাংলাদেশে ইনশাআল্লাহ কখনও দুর্ভিক্ষ হবে না। বরং ইনশাআল্লাহ সব সময়ই বাংলাদেশ গোটা বিশ্বের খাদ্য ভান্ডারের সম্মান পাবে।
, ২২শে রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ১৬ তাসি, ১৩৯০ শামসী সন , ১৪ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ খ্রি:, ০১ ফাল্গুন, ১৪২৯ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) সম্পাদকীয়
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) পরিসংখ্যান বলছে, জিডিপিতে অবদান কম হলেও ৪০ শতাংশ মানুষ এখনো কৃষির ওপর নির্ভরশীল। এর অর্থ হচ্ছে, এককভাবে এখনো সবচেয়ে বেশি মানুষ কৃষির সঙ্গে আবদ্ধ। বাংলাদেশের গত কয়েক দশকের যে অর্জন, তাতে কৃষকের ভূমিকা অভাবনীয়। ধান ও পাটকেন্দ্রিক উৎপাদন থেকে বেরিয়ে এসে কৃষিতে বৈচিত্র্য এনে ও নিজস্ব নানা উদ্ভাবনের মাধ্যমে ২৫ কোটি মানুষের খাদ্য ও পুষ্টির জোগান দিচ্ছেন তারা।
ঠাকুরগাঁওয়ে গত মৌসুমে রেকর্ড পরিমাণ আলু উৎপাদন করেও লাভবান হতে পারেননি চাষি ও ব্যবসায়ীরা। হিমাগারে পচেছিল সংরক্ষিত আলু। এ নিয়ে মহাসড়ক অবরোধও হয়েছিল।
গতবারের মতো এ বছরের সংকটও অনেকটা একই। তাই জেলায় কমেছে আলুর আবাদ। এ ছাড়া আলু সংরক্ষণ নিয়েও তৈরি হয়েছে শঙ্কা।
ঠাকুরগাঁওয়ের কৃষক সোহরাব বলেন, ‘এবারে আলুর ফলন ভালো হবে আমার। কিন্তু এত আলু উৎপাদন করেও ভয় হয়। কারণ আমাদের জেলায় যে পরিমাণে আলু উৎপাদন হয়, সে পরিমাণে হিমাগার নেই। ফলে হিমাগার মালিকরা অধিক মুনাফার জন্য ধারণক্ষমতার বাইরে আলু সংরক্ষণ করেন, আর আলু পচিয়ে ফেলেন। এবারও তাই হয়েছে।
জেলাতে হিমাগার রয়েছে ১৬টি। এসব হিমাগারের ধারণক্ষমতা ১ লাখ ৩৬ হাজার ৫৫০ টন আলু। কিন্তু জেলাতে আলু উৎপাদন হয় এর চেয়ে বিশ গুণ বেশি।
শুধু ঠাকুরগাও নয়, জানা গেছে দেশের হাট-বাজার গুলোতে প্রায় সময় কৃষকদের উৎপাদিত কৃষি পন্য রক্ষনা বেক্ষনের অভাবে খোলা আকাশের নিছে স্তুপ দিয়ে বসে থাকতে হচ্ছে। পাশাপাশি অনেক সময় প্রখর রোদও বৃষ্টিতে ভিজে কৃষি পন্য গুলো নষ্ট হয়ে গো-খাদ্য হিসাবে ব্যবহার হচ্ছে। কৃষিপন্য রক্ষনাবেক্ষনে একাধিক হিমাগার স্থাপন করা প্রয়োজন।
ঢাকার সবচেয়ে বড় কাচাবাজার- কারওয়ানবাজারের ব্যবসায়ী ও ট্রাক চালকেরা জানান, বিভিন্ন ধরনের ফসল নষ্টের মাত্রাও ভিন্ন ভিন্ন হয়। যেমন আলুর ক্ষেত্রে প্রতি ৬০ কেজির বস্তায় ১২ কেজি পর্যন্ত নষ্ট হয়। পেঁয়াজের প্রতি মণে (৪০ কেজি) তা সর্বোচ্চ ১৫ কেজি পর্যন্ত হতে পারে।
পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যমতে, শস্যক্ষেত থেকে স্থানীয় বাজার পর্যন্ত ফসল নিতে দেশের ৪৫.৭১ শতাংশ কৃষককে এখনও ভগ্নপ্রায় ও কাচা রাস্তা ব্যবহার করতে হয়।
দেশে বেসরকারি কোল্ড স্টোরেজ আছে ৪১৪টি, যার ৯৫ শতাংশ সক্ষমতা ব্যবহার হয় আলু সংরক্ষণে। বাকি ৫ শতাংশ ফল ও মাছ সংরক্ষণে ব্যবহৃত হয় বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশন।
গত কয়েক বছরে পেঁয়াজ সংরক্ষণের জন্য হিমাগার করেন কিছু উদ্যোক্তা। কিন্তু, লোকসানের শিকার হওয়ায় তাদের অনেকেই এখন সেগুলো বন্ধ করে দিয়েছেন। এমন একজন বিনিয়োগকারী রাজশাহীর ফজলুর রহমান জানান, টানা দুই বছর ধরে লোকসান গুনে তিনি পেঁয়াজ সংরক্ষণ বন্ধ করে দিয়েছেন।
দেশব্যাপী খাদ্য অধিদফতরের বিভিন্ন গুদামে মোট ১৮ লাখ টন চাল ও গম সংরক্ষণের ক্ষমতা রয়েছে। এসবের অধিকাংশই এখন ভগ্নদশার, ভেতরের স্যাঁতসেঁতে পরিবেশের কারণে গোডাউনের ভেতরেই অনেক খাবার পচে যাচ্ছে। বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে খাদ্য অধিদফতরের আধুনিক খাদ্য সংরক্ষণাগার নির্মাণ প্রকল্পের প্রস্তাবনায়।
এতে বলা হয়, সরকারি এসব গুদামে ইঁদুরের উপদ্রুপেও অনেক খাবার নষ্ট হচ্ছে।
এই সমস্যার সমাধানে আটটি ইস্পাতের সাইলো নির্মাণের কাজ শেষ হয়নি ৮ বছরেও। গোডাউন সংস্কারের কাজেও আসেনি গতি।
জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাসমূহের (এসডিজি)'র একটি হলো- কৃষি উৎপাদনে টেকসইতা বাড়িয়ে ২০৩০ সাল নাগাদ খাদ্য অপচয় অর্ধেকে নামিয়ে আনা।
এর সাথে সঙ্গতি রেখে সরকারের অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় ফসল সংগ্রহ, প্রক্রিয়াকরণ, সংরক্ষণ, প্যাকেজিং ও পরিবহনে বিভিন্ন উন্নয়নের সুপারিশ করা হয়।
২০২০ সালে অনুমোদন পায় এসংক্রান্ত মাস্টারপ্ল্যান। এতে সংরক্ষণাগারের ঘাটতি, কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াকরণ ও বাজারজাতকরণ, উৎপাদন পরবর্তী ব্যবস্থাপনা, রেফ্রিজেরেটর ভ্যান ও হিমাগারকে প্রধান সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করে কৃষি প্রক্রিয়াকরণকে শক্তিশালী করার তাগিদ দেওয়া হয়।
কিন্তু, গত কয়েক বছরে পুরো কৃষি সরবরাহ চক্রে কোনো পরিবর্তন দেখা যায়নি।
গত দেড় দুই দশকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শাক-সবজি, ফলমূলসহ কৃষিজাত পণ্য উৎপাদনে দারুণ বিপ্লব ঘটেছে। বিভিন্ন জেলায় কৃষিজাত পণ্যের উৎপাদন কয়েকগুণ বেড়েছে। কৃষকের হাত ধরে এগিয়ে যাচ্ছে কৃষি। কিন্তু উৎপাদন বাড়লেও মৌসুম ছাড়া সহজলভ্য হয় না বাজারে শাক-সবজি ফলফলাদি। এক মৌসুমের সবজিও ফলের জন্য অপেক্ষা করতে হয় আরেক মৌসুম পর্যন্ত। উৎপাদন সূচক ঊর্ধ্বগামী হলেও দামের বেলায় আকাশ-পাতাল পার্থক্য দেখা যায়। সাধারণ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ করে পার্বত্য জেলাগুলোতে আজকাল প্রচুর পরিমাণে শাক-সবজি, ফলমূল উৎপাদন হচ্ছে। সেখানে উৎপাদিত কৃষি পণ্য সংরক্ষণের জন্য হিমাগার না থাকায় বাধ্য হয় উৎপাদনকারীদের অবিশ্বাস্য কম মূল্যে পণ্য বিক্রি করতে হচ্ছে। দীর্ঘসময় ধরে সাধারণভাবে থাকার কারণে সবজি ও ফলমূল পচে যায়। ফলে সেগুলোর মান অনেক নষ্ট হয়। তখন লোকসান গুনতে হয় সংশ্লিষ্ট কৃষক এবং বাজারজাতকরণে নিয়োজিত ব্যবসায়ী ও রপ্তানিকারকদের। তখন তাদের সবাইকে লোকসান গোনা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকে না। এভাবেই অনেক কৃষক, উৎপাদনকারী চাষি ও ব্যবসায়ী পুঁজি হারিয়ে সর্বস্বান্ত হয়ে যাচ্ছেন।
দেশে কৃষি বিপ্লব ঘটেছে তাতে কোনো সংশয় কিংবা সন্দেহ নেই। কিন্তু খাদ্য সংরক্ষণাগার আর হিমাগারের অভাবে কৃষি বিপ্লবের সুফল পাচ্ছে না কৃষক। সঙ্গতকারণেই কৃষি বিপ্লবের সুফল কৃষক যাতে পায় তার জন্য সরকারকে অতিসত্ত্বর পর্যাপ্ত হিমাগারের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
ছহিবে সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। (আমীন)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
খাবারে ঢুকছে প্লাস্টিক কণা, বিপর্যয়ের মুখে জনস্বাস্থ্য। স্থায়ী বিকলাঙ্গতা ও স্বাস্থ্যহানির শঙ্কায় দেশের জনগণ। বিষয়টি ভয়াবহ- সত্বর গুরুত্বের সাথে নজর দিন।
২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
নাটক-সিনেমার মাধ্যমে মুসলিম প্রজন্মকে দ্বীন ইসলাম থেকে দূরে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। পরকালের কথা স্বরণ করে মুসলিম উম্মাহকে বিধর্মীদের এসব ষড়যন্ত্র থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
গৎবাঁধা আবহে আবদ্ধ থাকার কারণে অতীতের মত বর্তমান সরকারও রপ্তানী বহুমুখীকরণের উদ্যোগ নিচ্ছে না। কেবলমাত্র খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র পরিক্রমায় রপ্তানী বহুমূখীকরণের প্রজ্ঞা নেয়া সম্ভব ইনশাআল্লাহ।
২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বর্তমান সরকারের অরাজাকতায় মধ্যবিত্তরাও এখন পুষ্টি সঙ্কটে ভূগছে মহান আল্লাহ পাক উনার রহমতমূখী প্রবণতার অভাবই এর মূল কারণ কেবলমাত্র খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র পরিক্রমায় খোদায়ী রহমতে সব কিছুতে সচ্ছলতা হাছিল সম্ভব ইনশাআল্লাহ
২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
দেশের ১০ কোটিরও বেশী শীতার্ত দরিদ্র জনসাধারণের জন্য মাত্র ১৫ কোটি টাকার কম্বল বরাদ্দ করা চরম বৈষম্য এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন পাশাপাশি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনের চেতনার সাথে চরম সাংঘর্ষিক খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র চেতনা ও জজবা ধারণ করে এর অবসান ঘটাতে হবে ইনশাআল্লাহ
২০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ঢাকা শহরে ২ কোটি ভাড়াটিয়া বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধির জুলুমে জর্জরিত তন্ত্র-মন্ত্রের সরকারের পর অন্তর্বর্তী সরকারও নীরব দর্শক কেবলমাত্র খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র পরিক্রমায়ই বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধির জুলুমবাজি বন্ধ হওয়া সম্ভব ইনশাআল্লাহ
২০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহা ভুল পরিকল্পনার এবং মহা বিড়ম্বনার উড়াল সেতু বা ফ্লাইওভার নির্মাণেরও বিচার করতে হবে এবং শাস্তি দিতে হবে। কেবলমাত্র খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র চেতনায়ই সঠিক পরিকল্পনা সম্ভব। সে পথেই চলতে হবে ইনশাআল্লাহ
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
নিজেদের ক্যাশিয়ারদের সুযোগ করে দেয়ার জন্য পতিত সরকার দেশের চিনি শিল্পকে ধ্বংস করেছিল। (নাউযুবিল্লাহ) যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করলে অতীতের মত চিনি রফতানী করা যাবে ইনশাআল্লাহ খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র পরিক্রমায় চললেই সে প্রজ্ঞা পাওয়া সম্ভব ইনশাআল্লাহ
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
বাজারে বিদেশী পণ্যের আধিপত্য। সরকারের উচিত বাজারে শতভাগ দেশীয় পণ্যের নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করা।
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
শিক্ষার্থীদের মাঝে ব্যাপক আত্মহত্যা প্রবণতারোধে সরকারকে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মহান বিজয় দিবসে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সত্যিকার উপলব্ধি জাগ্রত হোক সবার অন্তরে। সংস্কারের দাবীদার সরকারকে উপলব্ধিতে সক্ষমতা আনতেই হবে- যে, সত্যিকার ইসলামী অনুপ্রেরণাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং সংস্কারের পরিক্রমা
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম, মহাসম্মানিত রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার মহিমান্বিত, মহাপবিত্র ১২ তারিখ উনার সাথে সম্পর্কযুক্ত মহাসম্মানিত ১২ই জুমাদাল উখরা শরীফ আজ। সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার শান মান মুবারক অনুভব করা, মর্যাদা-মর্তবা মুবারক জানা, দয়া-ইহসান মুবারক উপলব্ধি করা সর্বোপরি নেক ছায়াতলে উপনীত হওয়া বর্তমান যামানায় সবার জন্যই ফরজ।
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)