এশিয়ায় শিক্ষক প্রশিক্ষণে সবচেয়ে পিছিয়ে বাংলাদেশ।
প্রশিক্ষিত শিক্ষকের অভাবে দেশের শিক্ষার্থীরা বিষয়ভিত্তিক দুর্বলই থেকে যাচ্ছে। ছাত্র সমাজ দুর্বলই থেকে যাচ্ছে মানসম্পন্ন শিক্ষার অভাবে। দেশের শিক্ষক সমাজকে অপ্রশিক্ষিত রেখে সরকারের শিক্ষার উন্নয়নের কর্মপরিকল্পনা কখনই সফল হবেনা।
, ২৫ নভেম্বর, ২০২২ ১২:০০:০০ এএম ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) সম্পাদকীয়
সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য; যিনি সকল সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হযরত নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, হযরত রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক।
পূর্বে বিশ্বব্যাপী
স্লোগান
ছিলো “সবার জন্য শিক্ষা”। কিন্তু বর্তমানে সেই স্লোগান পরিবর্তন হয়েছে এখন রূপান্তরিত হয়েছে “সবার জন্য মানসম্মত শিক্ষা”। আর সাধারণ শিক্ষা বলতেই বোঝায় প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা। আর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা বলতেই সর্বাগ্রে ভাবতে হয়, প্রতিষ্ঠান যাদের ঘিরে আবর্তিত হয়, সে শিক্ষকবৃন্দকে। যেহেতু প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা সম্পর্কিত সব উদ্যোগ, সব প্রক্রিয়া শ্রেণিকক্ষে সঞ্চারণ করার অদ্বিতীয় সঞ্চারক হচ্ছেন শিক্ষক, সেহেতু শ্রেণিকক্ষে যুগোপযোগী শিক্ষা সঞ্চারণ করার জন্য শিক্ষককে নিতে হয় প্রতিনিয়ত নিত্যনতুন প্রস্তুতি। এসব প্রস্তুতির জন্য সহায়ক মাধ্যম হচ্ছে প্রশিক্ষণ। সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে জানা গেছে যে, শিক্ষক প্রশিক্ষণের দিক দিয়ে সবচেয়ে পিছিয়ে বাংলাদেশ।
উল্লেখ্য, শ্রেণীকক্ষে গুণগত পাঠের বিষয়টি নির্ভর করে শিক্ষকের দক্ষতার উপর। বেশিরভাগ দেশেই শিক্ষকতা পেশায় যোগদানের পর পরই তাই বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ নিতে হয় শিক্ষকদের। কোনো কোনো দেশে শিক্ষকতা পেশায় প্রবেশের শর্তই থাকে প্রশিক্ষণ। কিন্তু বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষা পাঠদানে নিয়োজিত শিক্ষকদের অর্ধেকেরই প্রশিক্ষণ নেই। প্রশিক্ষণ ছাড়াই পাঠদান করছে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদেরও বড় অংশ। ‘গ্লোবাল এডুকেশন মনিটরিং (জিইএম) প্রতিবেদনে জানা গেছে, বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষায় প্রশিক্ষিত শিক্ষক রয়েছে মাত্র ৫০ শতাংশ। প্রতিবেদনের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, প্রাথমিকের মতো মাধ্যমিকেও প্রশিক্ষিত শিক্ষকের পেছনের সারিতে বাংলাদেশ। দেশের মাধ্যমিক শিক্ষকদের ৬৬ শতাংশই অপ্রশিক্ষিত।
বাংলাদেশের প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যায়ে প্রশিক্ষণের বিষয় সবসময় শিক্ষকদের চাহিদাভিত্তিক নয়। সাধারণত শিক্ষকদের যেসব প্রশিক্ষণ দেয়া হয়, সেসব প্রশিক্ষণে তাদের আগ্রহ বা প্রয়োজন আছে কিনা তা যাচাই-বাছাই করা হয় না। এমনকি কোন ধরনের প্রশিক্ষণ দরকার সেটা নিয়েও কোনো গবেষণা করা হয়না। দৃশ্যমান যা তা হলো, চাকরির শুরুর দিককার সেই বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ মূলত যা রুটিন ওয়ার্ক ছাড়া কিছুই নয়। নিয়ম অনুসারে নিয়োগের সঙ্গে সঙ্গে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষকদের জন্য দুই মাসের বুনিয়াদি ও কলেজ শিক্ষকদের জন্য চার মাসের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের ব্যবস্থা। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষকদের কাজে যোগদানের ৩ বছরের মধ্যে যথাক্রমে সার্টিফিকেট ইন এডুকেশন ও বিএড কোর্স সম্পন্ন করার কথা।
বর্তমানে মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষক প্রশিক্ষণের জন্য ১৪টি সরাসরি প্রশিক্ষণ কলেজ, জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমি (নায়েম), মাদরাসা শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, উচ্চমাধ্যমিক কলেজের শিক্ষকদের বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণের জন্য পাঁচটি এইচএসটিটিআই এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন উচ্চতর প্রশিক্ষণ ও গবেষণার জন্য একটি শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট রয়েছে। উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ও দূরশিক্ষণের মাধ্যমে প্রতি বছর বিএড ডিগ্রি প্রদান করছে। এছাড়া ১০৬টি বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে। কিন্তু এসব কেন্দ্রের ভৌত ব্যবস্থা, প্রশিক্ষণের মান এবং প্রদত্ত প্রশিক্ষণ অনেক ক্ষেত্রে খুবই নিম্নমানের। অন্যদিকে, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের জন্য ৫৩টি সরকারি ও দুইটি বেসরকারি প্রাইমারি ট্রেনিং ইনস্টিটিউট রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে এক বছর মেয়াদি প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। বর্তমানে যে শিক্ষক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে তা অপ্রতুল, চাহিদার তুলনায় অপর্যাপ্ত এবং যুগোপযোগী নয়।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ অমিত সম্ভাবনার একটি দেশ। বাংলাদেশ সব ক্ষেত্রেই স্বয়ংসম্পূর্ণতার দ্বারপ্রান্তে পৌছে যাচ্ছে। এমন অবস্থায় যদি একটি দেশের মেরুদন্ড শিক্ষা খাতের মূল নিয়ামক শিক্ষকদের মান উন্নয়নব্যবস্থা অবহেলিত থাকে তাহলে খুব শীঘ্রই বাংলাদেশ উন্নয়নের পথে একটি বড় হোচট খাবে। কারণ, যখন দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম মানসম্মত শিক্ষায় শিক্ষিত হবে তখন তারা দেশের উন্নয়নে কাজে লাগবে, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। আর এই ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে মানসম্মত শিক্ষা দিবে শিক্ষক। কিন্তু সেই শিক্ষকই যদি প্রশিক্ষণপ্রান্ত না হয় তাহলে হাজার চেষ্টা করলেও দেশে মানসম্মত শিক্ষা প্রদান করা সম্ভব নয়। শিক্ষকের প্রশিক্ষণের অভাবে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বিষয়ে দুর্বলতা থেকে যাচ্ছে।
দৈনিক আল ইহসান শরীফের গবেষণায়, শিক্ষকদের যথোপযুক্ত প্রশিক্ষণের অভাবেই এমনটা হচ্ছে। শিক্ষানীতি ২০১০ এ উল্লেখ রয়েছে, “শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের বিভিন্ন কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং কর্মকালীন প্রশিক্ষণের সুযোগ সৃষ্টি করা হবে। দেশে প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানগুলোর দক্ষতা ও প্রশিক্ষণ ক্ষমতা বাড়ানো হবে।” কিন্তু এসব শুধু শিক্ষানীতির পাতায় বন্দি হয়ে রয়েছে। যা বর্তমানে বাস্তবায়ন জরুরী হয়ে পড়েছে।
প্রসঙ্গত আমরা মনে করি, “যদি সরকার দেশের শিক্ষা ও শিক্ষার্থীদের মানসম্মত করতে চায় তাহলে সরকারের জন্য অবশ্য কর্তব্য হলো, আগে ইসলামী আঙ্গিকে সিলেবাস প্রনয়ন করে ইসলামী রীতিতে দেশের শিক্ষকবৃন্দদের প্রশিক্ষিত করা।”
মূলত, এসব অনুভূতি ও দায়িত্ববোধ আসে পবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ অনন্তকালব্যাপী পালন করার ইলম ও জজবা থেকে। আর তার জন্য চাই নেক ছোহবত মুবারক তথা মুবারক ফয়েয-তাওয়াজ্জুহ।
ছহিবে পবিত্র সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। (আমীন)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
যা উম্মু আবীহা, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, ত্বাহিরাহ, ত্বইয়িবাহ, বিনতু রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার সাথে সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনার মহাপবিত্র নিসবাতুল আযীম শরীফ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
২২ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
বিশ্বের বিভিন্ন দেশ বর্জ্য সম্ভাবনাকে কাজে লাগালেও বাংলাদেশ এখনো বহু পিছিয়ে। অথচ বাংলাদেশে বর্জ্য থেকে হাজার হাজার মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব; রয়েছে বায়োফুয়েল উৎপাদনের সম্ভাবনা। সরকারের উচিত- দেশের বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে সমৃদ্ধির উৎসে পরিণত করা।
১৯ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
উৎপাদনে বিশ্বের তৃতীয় হলেও পেয়াজ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে ব্যর্থতার দায়ভার শুধুই সরকারের।
১৯ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
শিল্প-কলকারখানায় এক্ষুনি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে ইনশাআল্লাহ!
১৮ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
৮২ ভাগ এলাকা কংক্রিটে ঢাকা- তপ্তনগরী ‘ঢাকার’ উত্তাপ কমাতে হলে ঢাকার সুযোগ-সুবিধা সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে হবে। যথাযথ বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে ইনশাআল্লাহ
১৮ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
দ্রব্যমূল্যের আগুনে ঝলসে যাচ্ছে মানুষ। মূল্যস্ফীতির চাপে পিষ্ট হচ্ছে জনসাধারণ।
১৭ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
প্রসঙ্গ: ভাসমান সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প শুধুমাত্র ভাসমান সৌরবিদ্যুৎ দিয়েই পূরণ হবে বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে রফতানির সম্ভাবনাও সৌর-সম্ভাবনাকে বিকশিত করলে বাংলাদেশ হবে নবায়নযোগ্য জ্বালানিসমৃদ্ধ দেশ।
১৭ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম, মহাসম্মানিত রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার মহিমান্বিত, মহাপবিত্র ১২ তারিখ উনার সাথে সম্পর্কযুক্ত পবিত্র ১২ই রবীউছ ছানী শরীফ আজ। সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার শান মান মুবারক অনুভব করা, মর্যাদা-মর্তবা মুবারক জানা, দয়া-ইহসান মুবারক উপলব্ধি করা সর্বোপরি নেক ছায়াতলে উপনীত হওয়া বর্তমান যামানায় সবার জন্য ফরয।
১৬ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
বন্যা পরবর্তী পূণর্বাসন বন্যায় দুর্ভোগের চেয়েও কঠিন বন্যা দুর্গতদের এ কঠিন লড়াইয়ে সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে হবে ইনশাআল্লাহ
১৫ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
আসন্ন অর্থনৈতিক মহা বিপর্যয় ঠেকাতে গার্মেন্টস অস্থিরতা এক্ষনই বন্ধ করতে হবে ইনশাআল্লাহ
১৫ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
খাবারে ঢুকছে প্লাস্টিক কণা, বিপর্যয়ের মুখে জনস্বাস্থ্য। স্থায়ী বিকলাঙ্গতা ও স্বাস্থ্যহানির শঙ্কায় দেশের জনগণ। বিষয়টি ভয়াবহ- সত্বর গুরুত্বের সাথে নজর দিন।
১৪ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
খাবারে ঢুকছে প্লাস্টিক কণা, বিপর্যয়ের মুখে জনস্বাস্থ্য। স্থায়ী বিকলাঙ্গতা ও স্বাস্থ্যহানির শঙ্কায় দেশের জনগণ। বিষয়টি ভয়াবহ- সত্বর গুরুত্বের সাথে নজর দিন।
১৪ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)