এবারের ঈদযাত্রায় ভয়ংকর পরিস্থিতির শঙ্কা। প্রতিদিন ৩০ লাখ মানুষ ঢাকা ছাড়লেও পরিবহন সক্ষমতা রয়েছে মাত্র ১৬ লাখ লোকের। বাড়তি ১৪ লাখ লোককে বাড়ি ফিরতে হবে ঝুঁকিপূর্ণ পন্থায়। সরকারের উচিত, ঈদযাত্রা সাবলীল করতে বিকেন্দ্রীকরণ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা, সরকারি ছুটি বৃদ্ধি করা।
, ১৯ রমাদ্বান শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ৩১ আশির, ১৩৯১ শামসী সন , ৩০ মার্চ, ২০২৪ খ্রি:, ১৬ চৈত্র, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) সম্পাদকীয়
ঈদুল ফিতর পরিবার-পরিজনের সাথে পালন করতে পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাসের শেষের দিকে রাজধানী ছাড়ে প্রায় দেড় কোটি মানুষ। তবে প্রতি বছরই ঈদযাত্রায় যানবাহন স্বল্পতা, রাস্তাঘাটের বেহাল দশা, প্রবল যানজট, সড়ক দুর্ঘটনায় চরম ভোগান্তিতে পড়ে মানুষ। এবারের ঈদযাত্রাতে অন্যবারের চাইতে দুর্ভোগ বেশি হবে বলে মনে করছে পর্যবেক্ষক মহল।
গবেষণায় দেখা গেছে, এবার সড়কের ব্যবস্থাপনা কোমায় চলে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ঈদযাত্রায় এবার ১ কোটিরও বেশি মানুষ রাজধানী ছাড়বে। এক জেলা থেকে অন্য জেলায় আরও প্রায় ৫ কোটি মানুষ যাতায়াত করবে। গ্রামের বাড়ি যাতায়াতসহ নানা কারণে দেশের বিভিন্ন শ্রেণির পরিববহনে বাড়তি প্রায় ৬০ কোটি ট্রিপ যাত্রীর যাতায়াত হতে পারে।
জানা গেছে এবার ঈদের আগে চার দিনে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৩০ লাখ মানুষ ঢাকা ছাড়বে। কিন্তু বাস, ট্রেন, লঞ্চ এবং ব্যক্তিগত যানবাহনের পরিবহন সক্ষমতা রয়েছে মাত্র ১৬ লাখের। বাকী ১৪ লাখ মানুষকে খুজতে হবে বিকল্প পন্থা। ঝুঁকি নিয়ে তাদেরকে ট্রেন, লঞ্চের ছাদে-ভেতরে অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে এবং ট্রাক, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও লেগুনায় ভ্রমণ করতে হবে। শিমুলিয়া-বাংলাবাজার, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়াসহ বিভিন্ন ফেরিঘাটে যানবাহন চলাচল ৫০% বাড়লেও ফেরির সংখ্যা কমেছে। ফলে এই ঈদে শত শত যানবাহন উভয় পাড়ে আটকা পড়বে। এতে করে দেখা যাবে, ঈদের দিনেও কেউ গন্তব্যে পৌছুতে পারবে না।
সরকার হুঁশিয়ারি দিলেও দৃষ্টান্তমূলক কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে ব্যর্থতার কারণে এবারের সব পথে দ্বিগুণ-তিনগুণ অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের সম্ভাবনা রয়েছে। অনলাইনে রেলের টিকিট বিক্রির বিষয়টি সুরাহা না হওয়ায় কাউন্টার থেকে টিকিট কালোবাজারিদের হাতে চলে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। ঈদ উপলক্ষ্যে লঞ্চের স্পেশাল সার্ভিস (ডাবল ট্রিপ) কবে থেকে শুরু হবে তা এখনো ঠিক করেনি বিআইডব্লিউটিএ। দীর্ঘ ছুটি এবং লঞ্চের আকার বৃদ্ধি, যাত্রী ধারণক্ষমতা বেশি এবং লঞ্চের সংখ্যা বেশি থাকার কারণে অধিকাংশ লঞ্চ মালিক স্পেশাল সার্ভিস (ডাবল ট্রিপ) দিতে আগ্রহী হচ্ছে না।
ঈদযাত্রা নিয়ে এসব শঙ্কার বিপরীতে দেশের দায়িত্বশীল মহল সড়কের লেন বাড়ানো, কাজ শেষ করা, ব্রিজ নির্মাণ, বাড়তি ট্রেন সংযোগ, ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা ইত্যাদির কথা বলছে। কিন্তু বাস্তবিকপক্ষে এগুলো কোনো সমাধানই নয়। এগুলো দিয়ে জনগণের সামান্য দুর্ভোগও লাঘব হবে না। কারণ দেশের সড়কের যে সক্ষমতা রয়েছে তার চেয়ে অনেক বেশি যানবাহন ও মানুষ এক সঙ্গে চলাচল করে ঈদের সময়। আর বাংলাদেশের মানুষ শুধুই ঢাকামুখী। তাই যতক্ষন পর্যন্ত ঢাকামুখী একক জনচাপ কমানো না যাবে ততদিন পর্যন্ত ঈদযাত্রায় জনদুর্ভোগ কমবে না।
উল্লেখ্য, উত্তরবঙ্গ, দক্ষিণবঙ্গের মানুষ জীবিকা নির্বাহের উদ্দেশ্যে রাজধানীতে আসে। বছরে ২ ঈদের সময়সহ সরকারি ছুটির সময় তারা বাড়ির উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। ফলে সড়ক দুর্ঘটনা ওই সময়ে সবচেয়ে বেশি হয়। যদি সরকার সব চাকরি প্রতিষ্ঠান ভাগ করে দেয়, তাহলে দেখা যাবে, যে ব্যক্তি যে জেলা বা বিভাগের সেই বিভাগেই জীবিকা নির্বাহ করতে পারবে এতে করে বিভিন্ন ছুটিতে দুর্ঘটনা ব্যতিতই তারা স্বজনদের কাছে পৌঁছাতে পারবে। ঢাকা থেকে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে তাকে আর বাড়িতে যেতে হবে না এবং দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে তাকে কর্মস্থলেও আসতে হবে না। তবে এক্ষেত্রে সরকার যতদিন বিকেন্দ্রীকরণ করতে পারছে না ততদিন সব অফিস আদালতে ছুটির পরিমাণ বাড়িয়ে ১৫ দিন ছুটি করলেও এভাবে পুরোপুরি আসা যাওয়ার প্রবণতা তৈরী হতো না, এত দুর্ঘটনাও ঘটতো না।
প্রসঙ্গত, আমীরুল মু’মিনীন, খলীফাতুল মুসলিমীন, খলীফায়ে ছানী, সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন, “ফোরাতের তীরে যদি একটি কুকুরও না খেয়ে মারা যায়, তাহলে তার জন্য মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে আমাকে জবাবদিহি করতে হবে।” অথচ বর্তমান সরকারের আমলে প্রতি বছরই ঈদযাত্রায় সীমাহীন ভোগান্তির মুখে পড়ছে লাখ লাখ মানুষ। সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হচ্ছে বহু মানুষ। ঝুঁকিপূর্ণ পন্থায় ঈদযাত্রা করতে গিয়ে পঙ্গু হচ্ছে হাজার হাজার মানুষ। ঈদের আনন্দ বিষাদে পরিণত হচ্ছে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট মহলের গৎবাধা বিবৃতি এবং আশ্বাস ছাড়া সক্রিয় কোনো পদক্ষেপ নেই। এমন অবস্থা চলতে থাকলে রাষ্ট্র কাঠামোর ওপর থেকে আস্থা হারিয়ে ফেলবে জনগণ। যা অভিসম্ভাবী একটি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সূচনা করবে।
আমরা মনে করি, ঈদযাত্রায় এই ভোগান্তি নিরসনে সরকারকে বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে স্থায়ীভাবে এর সমাধান করতে হবে। জেলাপর্যায়ে কর্মসংস্থান এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধি করতে হবে। যতদিন বিকেন্দ্রীকরণ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন না হয় ততদিন প্রতি ঈদের সময় ছুটির পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়া। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানেও যাতে ছুটি বৃদ্ধি করা হয় সে বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করা।
মূলত, আইন-কানুন দিয়ে কখনই দেশের কোনো জাতীয় সমস্যার পরিপূর্ণ সমাধান সম্ভব নয়। এর জন্য প্রয়োজন সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার চেতনা অনুভূতি জনগণের মধ্যে প্রচার-প্রসার। বিশেষ করে নেক ছোহবত মুবারক।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। আমীন!
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
পাঁচ হাজার পৃষ্ঠার বিশাল নথিতে ২ লাখ ৫৭ হাজার একর বনভূমি দখলদার ১ লাখ ৬০ হাজার নাম এসেছে শুধু নাম সর্বস্ব না করে বনভূমি উদ্ধারের বাস্তব নজীর চাই
০৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ফুটপাতের প্রান্তিক হকারদের কাছ থেকে অসৎ ও লুটেরা মহল প্রতি মাসে চাঁদা আদায় করছে শত শত কোটি টাকা; অথচ সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ অর্থ দিয়ে বারবার উচ্ছেদ হওয়া হকারদের পুনর্বাসন সম্ভব; অন্যদিকে এই অর্থ যোগ হতে পারে জাতীয় অর্থনীতিতে। সরকারের আশু নজর কাম্য।
০৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
দ্রব্যমূল্যের আগুনে ঝলসে যাচ্ছে মানুষ। মূল্যস্ফীতির চাপে পিষ্ট হচ্ছে জনসাধারণ। সরকারের কর্তাব্যক্তিদের রকমফের চটকদার কথার পরিবর্তে এক্ষনি মূল্যস্ফীতিকে সংকুচিত করে দেশবাসীকে বাঁচাতে হবে ইনশাআল্লাহ।
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
৭ হাজার ৮০০ মিলিয়ন টন কয়লা মজুদের দেশে কয়লার ঘাটতিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র বন্ধ কেন? বিগত মাফিয়া সরকারের পথ থেকে সরে এসে কয়লা উত্তোলন শুরু করুন।
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
প্রসঙ্গঃ মোবাইল ফোনের ব্যবহার ও অপব্যবহার।
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
হোল্ডিং ট্যাক্স ছাড়, তাপ মুক্তি নিরাপদ ফল-সবজি প্রাপ্তি, পরিবেশ উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় শহরের প্রতিটি বাড়ির ছাদ হোক একটুকরো বাগান
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
৪০ শতাংশের বেশি ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প বন্ধ হয়েছে যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করলে ইনশাআল্লাহ ঘুরে দাঁড়াবে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প
০৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মুদি দোকান, স্টেশনারি দোকান, শপিং মল, পার্লার, সুপার শপ সবখানেই ভেজাল কসমেটিক্স। মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ব্যবহারকারীরা। সরকারের কঠোর নজরদারী ও নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন।
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
দেশের ৪ কোটি মানুষ না খেয়ে থাকে। অথচ দেশে মাথাপিছু খাদ্য অপচয় হয় প্রায় ৯০ কেজি। বছরে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা।
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আজ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২৮শে রবীউছ ছানী শরীফ! সাইয়্যিদাতুনা উম্মুর রদ্বাআহ আল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত আওলাদ, আখু রসূলিল্লাহ মিনার রদ্বাআহ সাইয়্যিদুনা হযরত মাসরূহ্ আলাইহিস সালাম উনার বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
০১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
শিক্ষা খাতে পতিত সরকারের বাজেটে নিম্নবিত্ত-মধ্যবিত্তদের স্বার্থ সংরক্ষিত হয়নি শিক্ষার্থীরা যাতে ঝরে না পড়ে- শিক্ষা উপকরণের দাম কমিয়ে বর্তমান সরকারকে তা নিশ্চিত করতে হবে ইনশাআল্লাহ
৩১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
শব্দ দূষণ এখন শব্দ সন্ত্রাস ও নীরব ঘাতকে পরিণত হয়েছে। নারিকেল দ্বীপ নয় শব্দ দূষণে বিপর্যস্থ ঢাকাকে উপযোগী করার জন্য ঢাকার জনযট সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে হবে।
৩১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)