উত্তরবঙ্গে এক বছরে চায়ের উৎপাদন বেড়েছে ৩২ লাখ কেজি
, ১২ই রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ০৬ তাসি, ১৩৯০ শামসী সন, ৪ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ খ্রি:, ২১ই মাঘ, ১৪২৯ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) তাজা খবর
উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলায় (পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, লালমনিরহাট ও নীলফামারী) একবছরে চায়ের উৎপাদন ৩২ লাখ কেজি বেড়েছে।
উত্তরবঙ্গের এ পাঁচ জেলায় ১২ হাজার ৭৯.০৬ একর সমতল জমিতে ৩০টি চা বাগান এবং ৮ হাজারেরও অধিক ক্ষুদ্রায়তনের চা বাগান রয়েছে। সদ্য সমাপ্ত (২০২২) মৌসুমে এসব বাগানে এক কোটি ৭৭ লাখ ৫৯ হাজার ২২৬ কেজি চা উৎপাদন হয়েছে। যা বিগত বছরের তুলনায় ৩২ লাখ ১৯ হাজার ২২৬ কেজি বেশি উৎপাদনের মাধ্যমে অতিতের সকল রেকর্ড ছাড়িয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে পঞ্চগড়ের বাংলাদেশ চা বোর্ডের আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
চা বোর্ড জানায়, এক বছরে এসব বাগান থেকে ৯ কোটি দুই লাখ ৭৪ হাজার ৬৩২ কেজি সবুজ কাঁচা চা পাতা উত্তোলন করা হয়। যা পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও ও লালমনিরহাটের চলমান ২৫ টি কারখানায় প্রক্রিয়াজাত করে এক কোটি ৭৭ লাখ ৫৯ হাজার ২২৬ কেজি চা উৎপাদন হয়েছে। এই উৎপাদন জাতীয় উৎপাদনের ১৮.৯২ শতাংশ।
চা বোর্ড জানিয়েছে, ২০২১ সালে এ অঞ্চলে চা আবাদের পরিমাণ ছিলো ১১ হাজার ৪৩৩.৯৪ একর। উৎপাদন হয়েছিলো এক কোটি ৪৫ লাখ ৪০ হাজার কেজি। সেই তুলনায় গত এক বছরে আবাদ বেড়েছে ৬৪৫.১২ একর। আর উৎপাদন বেড়েছে ৩২ লাখ ১৯ হাজার ২২৬ কেজি।
চা বোর্ড আরো জানিয়েছে, সিলেট অঞ্চলের পর দ্বিতীয় বৃহত্তম চা উৎপাদন অঞ্চল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে পঞ্চগড়। পঞ্চগড়কে অনুসরণ করে চা চাষে এগিয়ে যাচ্ছে পার্শ্ববর্তী ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, নীলফামারী ও লালমনিরহাট জেলা। এক সময়ের পতিত গো-চারণ ভূমি এখন চায়ের সবুজ পাতায় ভরে উঠছে। আন্তর্জাতিক মানের চা উৎপাদন হওয়ায় দেশের গ-ি পেরিয়ে এ অঞ্চলের চা যাচ্ছে আন্তর্জাতিক বাজারেও। চা-বাগানের পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকায় চা প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা গড়ে উঠায় সৃষ্টি হয়েছে মানুষের কর্মসংস্থান।
তথ্য মতে, উত্তরবঙ্গের ৫ জেলার মোট ১২ হাজার ৭৯.০৬ একর সমতল জমির চা আবাদের মধ্যে পঞ্চগড়েই রয়েছে ১০ হাজার ২৩৯.৮০ একর। এছাড়া ঠাকুরগাঁওয়ে এক হাজার ৪৫৭.২৯ একর, লালমনিরহাটে ২২২.৩৮ একর, দিনাজপুরে ৮৯ একর এবং নীলফামারীতে ৭০.৫৯ একর আবাদ রয়েছে।
বাংলাদেশ চা বোর্ডের আঞ্চলিক কার্যালয়ের উন্নয়ন কর্মকর্তা আমির হোসেন বলেন, ‘সমতল ভূমিতে চা চাষের জন্য পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, লালমনিরহাট, দিনাজপুর ও নীলফামারী জেলা অত্যন্ত সম্ভাবনাময়। ১৯৯৬ সালে সর্বপ্রথম পঞ্চগড়ে চা চাষের পরিকল্পপনা হাতে নেওয়া হয় এবং ২০০০ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষুদ্র পর্যায়ে চা চাষ শুরু হয়। দিনদিন এ অঞ্চলে চা চাষ ও উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘চা চাষ সম্প্রসারণে চাষিদের বিভিন্ন সহায়তার মাধ্যমে উদ্বুদ্ধ করে স্বল্পমূল্যে উন্নত জাতের চারা সরবরাহ করা হচ্ছে। ‘ক্যামেলিয়া খোলা আকাশ স্কুলে’র মাধ্যমে কর্মশালা হচ্ছে। চাষিদের সমস্যা সমাধানে ‘দুটি পাতা একটি কুঁড়ি’ নামে একটি মোবাইল অ্যাপস চালু করা হয়েছে। এছাড়া আঞ্চলিক কার্যালয়ে একটি পেস্ট ম্যানেজমেন্ট ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হয়েছে। যেখানে চাষিদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান, রোগবালাই ও পোকা দমনে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক সহায়তা দেওয়া হয়।’
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ডেঙ্গুতে একদিনে ১১ জনের মৃত্যু
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
২১২৪ মাসে উন্নয়ন ব্যয় কমেছে ১০ হাজার কোটি টাকা
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
“উগ্রহিন্দুদের ৮ দফা দাবীর মধ্যে বাংলাদেশকে অখণ্ড ভারতের অংশ বানানোর পরিকল্পনা লুকিয়ে আছে”
০২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
দখলদারদের উপর চালানো এম্বুশ হামলার তথ্য প্রকাশ করেছেন মুজাহিদগণ
০২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মমতার বক্তব্য তার জন্য সঠিক পদক্ষেপ নয় -পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
০২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
ঋণ পরিশোধে ৮ বছর সময় পাবেন আমদানিকারকরা
০২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
ডিসেম্বরেও উৎপাদনে যাচ্ছে না রূপপুর
০২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
ডেঙ্গুতে কর্মক্ষম মানুষের মৃত্যু বেশি
০২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সরকারি চাকরির পৌনে ৫ লাখ শূন্য পদ পূরণের নির্দেশনা
০২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নারিকেল দ্বীপগামী যাত্রীদের তল্লাশি ও হয়রানি
০২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
‘কোনো বিদ্যুৎ উৎপাদককে আমাদের ব্ল্যাকমেল করতে দেব না’
০২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
পিলখানা হত্যাকাণ্ড- পুনঃতদন্তে স্বাধীন কমিশন গঠন
০২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)