নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘হযরত নবী ও রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের পর সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ হচ্ছেন হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি, অতঃপর হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি।’ সুবহানাল্লাহ!
আজ সুমহান বরকতময় ২২শে জুমাদাল ঊখরা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! খলীফাতু রসূলিল্লাহ সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ! পাশাপাশি খলীফায়ে ছানী, আমীরুল মু’মিনীন, সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত খিলাফত মুবারক উনার দায়িত্ব গ্রহণের সুমহান দিন। সুবহানাল্লাহ!
তাই সকলের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- উনাদের পবিত্র সাওয়ানেহ উমরী বা জীবনী মুবারক জেনে উনাদেরকে যথাযথ মুহব্বত ও অনুসরণ করার লক্ষ্যে এ মহান দিবসটি যথাযথ তা’যীম-তাকরীমের সাথে পালন করা। আর সরকারের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- উনাদের পবিত্র সাওয়ানেহ উমরী মুবারক সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সিলেবাসের অন্তর্ভুক্ত করা ও উক্ত দিবসে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা।
, ২২ জুমাদাল ঊখরা শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০৭ সামিন, ১৩৯১ শামসী সন , ০৫ জানুয়ারি, ২০২৪ খ্রি:, ২১ পৌষ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) মহাপবিত্র ক্বওল শরীফ-১
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, আফদ্বালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার আখাছ্ছুল খাছ লক্ষ্যস্থল। সর্বপ্রকার ইলম, হিকমত এবং নিয়ামতে পরিপূর্ণ করেই উনাকে প্রেরণ করা হয়। তথাপি তিনি ইলম অর্জনের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন। কিতাবে উল্লেখ করা হয় যে, আইয়ামে জাহিলিয়াতে হাতে গোনা যে সমস্ত লোক ইলম ও হিকমতে পারদর্শী ছিলেন, উনাদের মধ্যে তিনি অন্যতম। আরবদের নসবনামা ও গোত্র পরিচিতি উনার নখদর্পণে ছিলো। সুবহানাল্লাহ!
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যখন আনুষ্ঠানিকভাবে নবুওওয়াত মুবারক ও রিসালত মুবারক উনাদের বিষয়টি প্রকাশ করেন, তখন হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি ব্যবসায়িক কাজে সিরিয়া বা ইয়ামেনে অবস্থান করছিলেন। পবিত্র মক্কা শরীফে ফেরত এসে আত্মীয়-স্বজনকে নতুন সংবাদ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেন। তারা বললো, একটি নতুন ও আশ্চর্যজনক সংবাদ রয়েছে। খাজা আবু তালিব উনার সম্মানিত ভাতিজা তিনি নবুওওয়ত মুবারক প্রকাশ করেছেন। তা শুনে হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাক্ষাৎ মুবারক লাভ করার জন্য অস্থির হয়ে পড়েন। দ্রুত নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাক্ষাৎ মুবারক গ্রহণ করেন এবং তৎক্ষণাত সম্মানিত দ্বীন ইসলাম গ্রহণের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন। সুবহানাল্লাহ!
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, সম্মানিত দ্বীন ইসলাম গ্রহণের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করার পর হতে হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খিদমত মুবারকে একনিষ্ঠভাবে আঞ্জাম দেন। শারীরিক, মানসিক, অর্থনৈতিক সর্ব দিকেই উনার খিদমতের আঞ্জাম বিস্তৃতি ছিলো। অর্থাৎ সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার প্রাথমিক যুগে হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি যে খিদমত মুবারক উনার আঞ্জাম দিয়েছেন, তা অন্য কারো পক্ষেই সম্ভব হয়নি।
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, বলার অপেক্ষাই রাখেনা যে, হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি হিজরত মুবারক উনার জন্য যে ত্যাগ স্বীকার করেছেন, তা সাধারণ মানুষের পক্ষে কস্মিনকালেও সম্ভব নয়। আর এজন্যই পুরো উম্মতের মাঝে উনাকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফে মহান আল্লাহ পাক উনার তা’রীফ মুবারক করেছেন। হাদীছ শরীফেও উনার ফযীলত মুবারকের বর্ণনা রয়েছেন। সুবহানাল্লাহ!
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, উম্মুল মু’মিনীন হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার সূত্রে আল-ওয়াক্বিদী এবং আল-হাকিম বর্ণনা করেন যে, হযরত ছিদ্দীক্বে¡ আকবর আলাইহিস সালাম তিনি ৭ই জুমাদাল ঊখরা শরীফ ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ বা সোমবার গোসল মুবারক করেন। এরপর ১৫ দিন ধরে মারীদ্বী শান মুবারক প্রকাশ করেন। এ সময় তিনি বেশ কয়েক ওয়াক্ত নামায মসজিদে গিয়ে জামায়াতে পড়তে পারেননি। হিজরী ১৩ সনের পবিত্র ২২শে জুমাদাল ঊখরা শরীফ ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ বা সোমবার দিবাগত রাতে অর্থাৎ ইয়াওমুছ ছুলাছা বা মঙ্গলবার রাতে ৬৩ বছর ২৪ দিন বয়স মুবারকে তিনি পবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ!
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, পাশাপাশি সুমহান ২২শে জুমাদাল ঊখরা শরীফ হচ্ছেন- খলীফায়ে ছানী হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত খিলাফত মুবারক গ্রহণ দিবস। সুবহানাল্লাহ! খলীফাতু রসূলিল্লাহ সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশের পর হিজরী ১৩ সনের ২২শে পবিত্র জুমাদাল ঊখরা শরীফ তিনি সম্মানিত খিলাফত মুবারক উনার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তারীখুল খুলাফাতে এসেছে, সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনাকে ডেকে বলেন, লিখুন, “বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম। নিশ্চয়ই আমি আমার পর হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনাকে খলীফা মনোনীত করলাম। আপনারা উনার কথা শুনবেন এবং উনার ইতায়াত তথা অনুসরণ-অনুকরণ করবেন অতঃপর হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার হাত মুবারকে সম্মানিত খিলাফত উনার বাইয়াত গ্রহণ করেন এবং পরবর্তীতে উনাকে ‘আমীরুল মু’মিনীন’ লক্বব মুবারকে সম্বোধন করেন। সুবহানাল্লাহ!
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, খলীফাতুল মুসলিমীন, আমীরুল মু’মিনীন হযরত ফারুক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার খিলাফত মুবারককাল ১৩ হিজরীর পবিত্র ২২শে জুমাদাল ঊখরা শরীফ হতে ২৩ হিজরীর পবিত্র ৩০শে যিলহজ্জ শরীফ পর্যন্ত। অর্থাৎ উনার সম্মানিত খিলাফত মুবারক কাল হচ্ছে ১০ বৎসর ৬ মাস ৮ দিন তথা সাড়ে ১০ বছর। সুবহানাল্লাহ!
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, হিজরী ২৩ সনের ২৪শে পবিত্র যিলহজ্জ শরীফ, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) দিন মসজিদে নববী শরীফ-এ ফজরের নামাযে ইমামতী করার জন্য দাঁড়ালে হযরত মুগিরা ইবনে শু’বা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার একজন দাস, যার নাম ছিলো আবু লুলু, সে বিষাক্ত তরবারি বা খঞ্জর দ্বারা সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনাকে মারাত্মকভাবে আঘাত করে। আহত অবস্থায় তিন দিন অতিবাহিত হওয়ার পর পবিত্র ২৭শে যিলহজ্জ শরীফ, ইয়াওমুস্ সাব্ত বা শনিবার তিনি পবিত্র শাহাদাতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। হযরত ছুহাইব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি উনার জানাযা নামায পড়ান। রওযায়ে নববী শরীফ উনার মধ্যে সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার বাম পাশে উনাকে দাফন মুবারক করা হয়। পবিত্র শাহাদাতী শান মুবারক প্রকাশকালে উনার বয়স মুবারক হয়েছিল ৬৩ বছর ১৫ দিন। সুবহানাল্লাহ!
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, খলীফায়ে ছানী সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি প্রায় সাড়ে দশ বছরের মুবারক খিলাফতকালে অপূর্ব দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। যা ইতিহাসে সত্যিই বিরল, মিছালহীন। তিনিই সর্বপ্রথম বাইতুল মাল বা রাজকোষ স্থাপন করেন, আদালত ক্বায়িম করেন, বিচারক নিযুক্ত করেন, হিজরী সন তারিখের প্রচলন করেন, সামরিক দফতরের ব্যবস্থা করেন, স্বেচ্ছাসেবকদের বেতন নিশ্চিত করেন, ভূমি জরিপ ব্যবস্থা চালু করেন, আদম শুমারির প্রচলন করেন। অধিকৃত দেশগুলিকে বিভিন্ন রাজ্যে বিভক্ত করেন। এক কথায় খলীফায়ে ছানী হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার মুবারক খিলাফত আমল ছিল ইসলামী ইতিহাসের সোনালী যুগ, আদর্শ যুগ। সুবহানাল্লাহ!
-০-
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
আজ সুমহান বরকতময় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২১শে জুমাদাল ঊলা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! রবীবাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মী বা’দা উম্মী আছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ! তাই উনার সম্মানার্থে উনার পবিত্র সাওয়ানেহ উমরী মুবারক আলোচনা করা অর্থাৎ পবিত্র ওয়াজ শরীফ, পবিত্র মীলাদ শরীফ ও দোয়ার মাহফিলের আয়োজন করা মুসলিম উম্মতের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য।
২৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মহাসম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে- ‘যে ব্যক্তি পর্দা করে না ও অধীনস্থদের পর্দায় রাখে না, সে দাইয়্যূছ। ’ নাউযুবিল্লাহ! ছবি, টিভি চ্যানেল, সিনেমা, নাটক, ফ্যাশন শো, সৌন্দর্যের প্রতিযোগিতা, সেলফি, গান-বাজনা, খেলাধুলা এগুলো মুসলমানদেরকে ‘দাইয়্যূছ’ বানানোর অর্থাৎ বেপর্দা-বেহায়া করার বিধর্মীয় বা বিজাতীয় সূক্ষ্ম ষড়যন্ত্র। নাউযুবিল্লাহ!
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাপবিত্র সাওয়ানেহ উমরী মুবারক বা মহাপবিত্র জীবনী মুবারক জানা ও বেশি বেশি সর্বত্র আলোচনা করা এবং প্রতিক্ষেত্রে উনাকে পরিপূর্ণরূপে অনুসরণ-অনুকরণ করার মাধ্যমে দায়িমীভাবে অনন্তকালব্যাপী মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করা ফরয।
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রত্যেক মুসলমানের দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- সর্বাবস্থায় নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ইতায়াত বা অনুসরণ-অনুকরণ করা। অর্থাৎ মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক মুতাবিক চলে শতভাগ সুন্নতী জিন্দেগী বাস্তবায়ন করার সাথে সাথে সুন্নতী পোশাক পরিধান করে হাক্বীক্বী মুত্তাক্বী হওয়ার কোশেশে মশগুল থাকা।
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক মর্যাদা ও শ্রেষ্ঠত্বের পরিপূর্ণ মিছদাক হচ্ছেন উনার মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা। সুবহানাল্লাহ!
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রত্যেক মুসলমান জ্বিন-ইনসান পুরুষ-মহিলা সকলের জন্য ফরযে আইন হচ্ছে- মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদেরকে সর্বাধিক মুহব্বত করা, উনাদের প্রতি সর্বোচ্চ হুসনে যন বা সুধারণা পোষণ করা এবং উনাদেরকে অনুসরণ করা। সুবহানাল্লাহ!
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
বিশেষ আইয়্যামুল্লাহ শরীফ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২২শে জুমাদাল ঊলা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! যা আসতে আর মাত্র ৬ দিন বাকি। এ মহান দিন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনার মহাপবিত্র মহাসম্মানিত আযীমুশ্শান নিসবাতুল আযীমাহ শরীফ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন নাবিয়্যীন, রহমতুল্লিল আলামীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি স্বয়ং নিজেই বাল্যবিবাহ মুবারক করেছেন। যা মূলতঃ মহান আল্লাহ পাক উনার পবিত্র ওহী মুবারক উনার অন্তর্ভুক্ত। সুবহানাল্লাহ! ইসলামী শরীয়ত উনার ফতওয়া অনুযায়ী-
১৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনাদের বিশুদ্ধ আক্বীদাহ হলো- সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিই অর্থাৎ উনার মহাসম্মানিত নূরুল কুদরত মুবারক বা নূর মুবারকই মহান আল্লাহ পাক উনার সর্বপ্রথম সৃষ্টি। সুবহানাল্লাহ! উক্ত মহাসম্মানিত নূর মুবারক উনার থেকেই কায়িনাতের সমস্ত কিছু সৃষ্টি করা হয়েছে। এমনকি আগুন, পানি, মাটি, বাতাস ইত্যাদি উপাদানসমূহও উনার থেকে এবং উনার বহু পরে সৃষ্টি হয়েছে।
১৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আজ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ। সুবহানাল্লাহ! অর্থাৎ মহাসম্মানিত মহাপবিত্র ১২ই জুমাদাল ঊলা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! মালিকুত তামাম, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যেহেতু “মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই শরীফ” মহাসম্মানিত বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সেহেতু প্রতি আরবী মাসের এ মুবারক তারিখটি হচ্ছেন- সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ এবং সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার অন্তর্ভুক্ত। সুবহানাল্লাহ!
১৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
আজ সুমহান বেমেছাল ফযীলতপূর্ণ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১১ই জুমাদাল ঊলা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছালিছাহ আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
১৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ঈমানদার হিসেবে দাবিকারী প্রত্যেকের জন্য ফরয হচ্ছে- সম্মানিত শরীয়ত উনার প্রতিটি বিষয়ে আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত অনুযায়ী আক্বীদা পোষণ করা এবং প্রতিটি আমল পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ অনুযায়ী করা।
১৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)