সামগ্রিকভাবে সকল উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা সুমহান মর্যাদা এবং অনুপম বৈশিষ্ট্যের অধিকারিনী এবং সম্মানিতা। তবে উনাদের প্রত্যেকেরই পৃথকভাবে কিছু কিছু খাছ খাছ বৈশিষ্ট্য রয়েছেন।
বর্ণিত আছে যে, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ ছিদ্দীকা আলাইহাস সালাম তিনি সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আর রাবিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করতেন। তিনি বলতেন,
إنها إبنة أبيها
অর্থ: উম্মুল মু’মিনীন হযরত হাফছা আলাইহাস সালাম তিনি সত্যিই উনার পিতা উনার মেয়ে অর্থাৎ উনার সম্মানিত পিতা সাইয়্যিদুনা হযরত বাকি অংশ পড়ুন...
বাতিল ফিরকারা বলে থাকে- পবিত্র লাইলাতুম মুবারাকাহ বা লাইলাতুন নিছফি মিন শা’বান পবিত্র শবে বরাত শরীফ বিদয়াত। খইরুল কুরুনে কেউ পবিত্র শবে বরাত শরীফ পালন করেন নাই। কেউ এ রাতে ইবাদত-বন্দেগী করেন নাই। নাউযুবিল্লাহ! নাউযুবিল্লাহ! নাউযুবিল্লাহ!
অথচ ইতিহাস সাক্ষী- খাইরুল কুরুনে পবিত্র লাইলাতুম মুবারাকাহ বা লাইলাতুন নিছফি মিন শা’বান পবিত্র শবে বরাত শরীফ পালন হয়েছে। আজ থেকে প্রায় ১২শ বছর আগে মুহম্মদ ইবনে ইসহাক আল মক্কী আল ফাকেহী রহমতুল্লাহি আলাইহি (ওফাত ২৭২ হিজরী) কর্তৃক পবিত্র মক্কা শরীফ উনার আমল ও ইতিহাস নিয়ে রচিত কিতাব “আখবারুল ম বাকি অংশ পড়ুন...
এটা খুব ফিকির করতে হবে। এরা অজান্তেই সুক্ষ্মভাবে মুসলমানদের ঈমানটা নষ্ট করে দিচ্ছে। মুসলমানরা সেটা ফিকির করে না। সেটাই মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেছেন যে দেখো, কুফরী করলে কোন রেহাই নেই। কুফরী করার পর যদি মারা যাও যমীন থেকে আসমান পরিমাণ স্বর্ণও যদি কাফফারা দাও, যেটা তোমাদের পক্ষে কখনও সম্ভব নয় তারপরেও যদি তোমরা দাও সেটা কিন্তু গ্রহণ করা হবে না। খুব ফিকির করতে হবে। মুসলমানকে মুসলমান হিসেবে ফিকির করতে হবে। একজন মুসলমানের জন্য ইসলামের যে বিষয়টা রয়েছে সেটা তাকে ফিকির করতে হবে। একটা শিখ ইন্ডিয়ার প্রেসিডেন্ট হয়, তাদের জেনারেল হয়, তাদের বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি যে উনার কালাম পাক উনার প্রিয়তম রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি নাযিল করেছেন উনার হিফাযতের জিম্মাদারী স্বয়ং তিনি নিজে গ্রহণ করেছেন। এ পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ যমীনে নাযিল হওয়ার পূর্বে আসমানে “লওহে মাহফূযে” হিফাযত করেছেন। অতঃপর সেখান থেকে পৃথিবীর আকাশে “বাইতুল ইজ্জতে” অতঃপর সেখান হতে কোনরূপ পরিবর্তন-পরিবর্ধন ব্যতিরেকে সম্পূর্ণ অপরিবর্তিত অবস্থায়, হুবহু আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লা বাকি অংশ পড়ুন...
বিশেষ নিয়ামত প্রাপ্তি:
মহান আল্লাহ পাক তিনি যাকে ইচ্ছা তাঁকে বিশেষ নিয়ামত ও অনুগ্রহরাজি দান করে থাকেন। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَاللهُ يَخْتَصُّ بِرَحْمَتِهٖ مَنْ يَّشَاءُ
অর্থ: “মহান আল্লাহ পাক তিনি যাঁকে ইচ্ছা উনাকে উনার খাছ (বিশেষ) রহমত বা দয়া-অনুগ্রহ দিয়ে থাকেন।” (পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১০৫)
মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন-
ذٰلِكَ فَضْلُ اللهِ يُؤْتِيْهِ مَنْ يَّشَاءُ
অর্থ: “এটা মহান আল্লাহ পাক উনার বিশেষ দয়া-অনুগ্রহ। তিনি যাঁকে ইচ্ছা উনাকে তা দান করে থাকেন।” (পবিত্র সূরা মায়িদা শরীফ: পবিত্র বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে- হযরত আবু হুরাইরা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “চোখের ব্যভিচার হলো দৃষ্টি করা, কানের ব্যভিচার হলো শ্রবণ করা, মুখের ব্যভিচার হলো কথা বলা, হাতের ব্যভিচার হলো স্পর্শ করা, পায়ের ব্যভিচার হলো ধাবিত হওয়া, অন্তর চায় ও আকাঙ্খা করে এবং লজ্জাস্থান সেটাকে সত্য অথবা মিথ্যায় প্রতিপন্ন করে। (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ, কানযুল উম্মাল)
অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক উনার কালাম প বাকি অংশ পড়ুন...
ছবি তোলা এবং পর্দা তরক করা মহান আল্লাহ পাক ও উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের প্রকাশ্য নাফরমানী।
এ সম্পর্কে সুস্পষ্টভাবে হাদীছ শরীফ উনার নির্দেশনা মুবারক রয়েছে। হাদীছ শরীফ উনার ব্যাখ্যায়ও ইমাম-মুজতাহিদগণ উনাদের কিতাবে এ বিষয়ে বিস্তারিত উল্লেখ করেছেন।
وَفِي الْبَحْرِ قَالُوا : وَأَشَدُّهَا كَرَاهَةً مَا يَكُونُ عَلَى الْقِبْلَةِ أَمَامَ الْمُصَلِّي ، ثُمَّ مَا يَكُونُ فَوْقَ رَأْسِهِ ثُمَّ مَا يَكُونُ عَنْ يَمِينِهِ وَيَسَارِهِ عَلَى الْحَائِطِ ، ثُمَّ مَا يَكُونُ خَلْفَهُ عَلَى الْحَائِطِ أَوْ السِّتْرِ.
অর্থ: আল্ বাহর” কিতাবে উল্লেখ আছে: মু বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, ইমামুল আউওয়াল মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি বর্ণনা করেন, মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যখন পবিত্র শা’বান শরীফ মাস উনার মধ্য তারিখের রাত তথা পবিত্র শবে বরাত উপস্থিত হবে তখন তোমরা উক্ত রাতে সজাগ থেকে ইবাদত-বন্দেগী করবে এবং দিনের বেলা রোযা রাখবে। নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি উক্ত রাতে সূর্যাস্তের সময় প বাকি অংশ পড়ুন...
মহাপবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার বিশেষ রাতসমূহের মধ্যে একটি রাত হচ্ছে পবিত্র লাইলাতুল বরাত শরীফ উনার রাত। যেটা আমরা পবিত্র শাবান মাস উনার ১৪ তারিখ দিবাগত রাত্রিতে পালন করে থাকি। আর শবে বরাত অর্থ: মুক্তি বা নাজাতের রাত অর্থাৎ ‘শব’ ফার্সী শব্দ যার অর্থ হচ্ছে রাত আর ‘বরাত’ আরবী, উর্দূ, ফার্সী শব্দ যার অর্থ হচ্ছে মুক্তি বা নাজাত। ‘শবে বরাত’ উনাকে পবিত্র কুরআন শরীফ উনার ভাষায় বলা হয় ليلة مبركة" (পবিত্র বরকতময় রজনী) এবং পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার ভাষায় বলা হয় "ليلة النصف من شعبان" (শা’বান মাস উনার চৌদ্দ তারিখ দিবাগত রাত)। সুবহানাল্লাহ!
হযরত মুফাসসিরীনে ক বাকি অংশ পড়ুন...
অথচ মুসলিম শরীফ উনার হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে রয়েছে-
فَانْظُرُوا عَمَّنْ تَأْخُذُونَ دِينَكُمْ
মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজেই বলেন, তোমরা লক্ষ্য করো কার কাছ থেকে পবিত্র দ্বীন শিক্ষা করতেছো। সকলের কাছ থেকে পবিত্র দ্বীন শিক্ষা করো না। ফাসিক-ফুজ্জার কাফির-মুশরিক, বেদ্বীন-বদদ্বীন এদের কাছ থেকে পবিত্র দ্বীন শিক্ষা করো না, গ্রহণ করো না। অথচ মানুষ মনে করে, এখন টিভি চ্যানেলে সে ইসলাম শিক্ষা করে। নাউযুবিল্লাহ! সেতো মনে করতেছে টিভি চ্যানেল হয়তো জায়িয রয়েছে। নাউযুবিল্লাহ!
এই য বাকি অংশ পড়ুন...
(সময়ের ভিন্নতার কারণে যদি ভিন্ন ভিন্ন সময়ে পবিত্র ঈদ পালন ও পবিত্র রোযা শুরু করতে হয়, তাহলে অবশ্যই দিনের পার্থক্যের কারণেও ভিন্ন ভিন্ন দিনে পবিত্র ঈদ পালন করতে হবে ও পবিত্র রোযা শুরু করতে হবে)
সারাবিশ্বে একই দিনে পবিত্র রোযা শুরু করতে হবে এবং পবিত্র ঈদ পালন করতে হবে। এমন কথা পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফের কোথাও বলা হয় নাই। এমনকি হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম, তাবেয়ীন, তাবে-তাবেয়ীন রহমতুল্লাহি আলাইহিমসহ সম্মানিত চার মাযহাবের এমন একজন ইমাম মুজতাহিদ কখনো এমন কথা বলেন নাই যে, “সারাবিশ্বে একই দিনে পবিত্র বাকি অংশ পড়ুন...












