জন্য পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন-
عَنْ حَضْرَتْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ عَنْ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهٗ قَالَ وَالَّذِىْ نَفْسُ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِيَدِهٖ لاَ يَسْمَعُ بِىْ أَحَدٌ مِّنْ هٰذِهِ الْأُمَّةِ يَهُودِىٌّ وَلاَ نَصْرَانِىٌّ ثُمَّ يَمُوْتُ وَلَمْ يُؤْمِنْ بِالَّذِىْ أُرْسِلْتُ بِهٖ إِلاَّ كَانَ مِنْ أَصْحَابِ النَّارِ
হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম বাকি অংশ পড়ুন...
১. ইমাম মুহম্মদ ইবনে সীরীন রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন-
اِنَّ هٰذا الْعِلْمَ دِيْنٌ فَانْظُرُوْا عَمَّنْ تَأْخُذُوْنَ دِيْنَكُمْ
অর্থ: এই ইলিম (হাদীছ শরীফ) হচ্ছে সম্মানিত দ্বীন। কাজেই লক্ষ করুন কার কাছ থেকে দ্বীন গ্রহণ করছেন। (মুকাদ্দিমাতুল ছহীহ মুসলিম-১/১৪, সুনানুদ দারেমী-১/১২৪, আত তামহীদ-১/৪৬)
২. আমীরুল মু’মিনীন ফিল হাদীছ হযরত সুফিয়ান সাওরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন-
اَلْاِسْنَادُ سِلَاحُ الْمُؤْمِنِ اِذَا لَـمْ يَكُنْ مَّعَهٗ سِلَاحٌ فَبِاَىِّ شَىْءٍ يُّقَاتِلُ
অর্থ: সনদ মু’মিনের হাতিয়ার। সুতরাং তার কাছে যদি হাতিয়ারই না থাকে তাহলে সে কি দ্বারা জিহাদ করবে বা মোকাবেলা কর বাকি অংশ পড়ুন...
বিশিষ্ট আনছারী ছাহাবী হযরত কাতাদাহ্ বিন নু’মান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ছিলেন বাইয়াতে আকাবায় অংশগ্রহণকারীদের অন্যতম একজন। তিনি ঐতিহাসিক বদর জিহাদসহ দ্বীন ইসলামের পরবর্তী সকল জিহাদেই বীরত্বের সাথে অংশগ্রহণ করেন।
উহূদের জিহাদ প্রসঙ্গে তিনি বর্ণনা করেন- সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে কোন এক সৌভাগ্যবান ব্যক্তি একটি তীর হাদিয়া করেছিলেন। উহূদের জিহাদের সময় তিনি তীর মুবারকটি আমার হাতে দিয়েছিলেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ:
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল হাদিয়াহ আশার আলাইহাস সালাম তিনি সম্মানিত নুবুওওয়াত মুবারক প্রকাশের ১৭ বছর পূর্বে, ২৯ মাহে জুমাদাল ঊলা শরীফ, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। (ইছাবা, দৈনিক আল-ইহসান শরীফ)
দ্বীন ইসলাম গ্রহণ ও হিজরত:
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল হাদিয়াহ আশার আলাইহাস সালাম উনার প্রথম শাদী হয়েছিল উবায়দুল্লাহ বিন জাহাশের সঙ্গে (তার ঔরসেই হযরত হাবীবাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন)। অতঃপর দ্বীন ইসলাম উনার প্রা বাকি অংশ পড়ুন...
বর্তমানে সালাফী ওহাবীরা বলে, পবিত্র শবে বরাতে বা লাইলাতুল বরাতে রোযা রাখার কোন দলীল নেই, এ দিন নির্দিষ্ট করে রোযা রাখা বিদয়াত। নাউযুবিল্লাহ! অথচ ছিহাহ সিত্তাহর অন্যতম ছহীহ কিতাব “মুসলিম শরীফে” এই দিনে রোযা রাখার স্পষ্ট দলীল বিদ্যমান রয়েছে। যেমন পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ رَضِىَ اللهُ تَـعَالى عَنْـهُمَا اَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَه اَوْ لِآخَرَ اَصُمْتَ مِنْ سُرَرِ شَعْبَانَ قَالَ لَا قَالَ فَاِذَا اَفْطَرْتَ فَصُمْ يَـوْمَيْنِ
অর্থ: হযরত ইমরান ইবনু হুসাইন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণ বাকি অংশ পড়ুন...
বান্দা কিভাবে ভালাই বা কল্যান লাভ করবে, সে সম্পর্কে পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
لَنْ تَـنَالُوا الْبِرَّ حَتّٰي تُـنْفِقُوْا مِـمَّا تُـحِبُّـوْنَ
অর্থ: “মহান আল্লাহ পাক উনার পবিত্র রাস্তায় তোমরা তোমাদের সবচেয়ে প্রিয় বস্তু খরচ না করা পর্যন্ত কস্মিনকালেও কোন নেকী (ভালাই, ভালো ফায়সালা, ভালো প্রতিদান) হাছিল করতে পারবে না।” (পবিত্র সূরা আল ইমরান শরীফ, পবিত্র আয়াত শরীফ ৯২)
আর সখী বা সাখাওয়াতির মাধ্যমে হাবীবুল্লাহ হলে দুয়া কবুল হয়। কেননা, পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
اَلسَّخِىُ حَبِيْبُ اللهِ وَلَوْ كَانَ فَاسِقًا
অর্থ: দানশ বাকি অংশ পড়ুন...
সাধারণত তিনভাবে দোয়া কবুল হয়। এ প্রসঙ্গে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, দুয়া তিনভাবে কবুল হয়ে থাকে। (১) বান্দা যা চেয়ে থাকে মহান আল্লাহ পাক তিনি তাকে সরাসরি সেটা দিয়ে দেন। তখন বান্দা সহজেই বুঝতে পারে যে তার দোয়া কবুল হয়েছে। (২) বান্দা যেটা চেয়ে থাকে, মহান আল্লাহ পাক তিনি সরাসরি সেটা দেন না বরং বান্দার জন্য তার চেয়েও যেটা বেশি জরুরী সেটা দিয়ে থাকেন, যার কারণে বান্দা বুঝতে পারে না যে তার দোয়া কবুল হলো বা হলো না। (৩) মহান আল্লাহ পাক তিনি বান্দা-বান্দির দুয়ার ফলে দুনিয়াতে কোনো বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র শবে বরাত শরীফ হচ্ছে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার বিশেষ রাত্রিসমূহের মধ্যে একটি ফযীলতপূর্ণ রাত্রি। যা পবিত্র শা’বান মাস উনার চৌদ্দ তারিখ দিবাগত রাত্রি। শবে বরাত (شب برات) শব্দ উনার অর্থ হচ্ছে ভাগ্য রজনী, মুক্তির রাত বা নাজাতের রাত।
شب ফার্সী শব্দ, যার অর্থ রাত বা রজনী। আর برات শব্দটি আরবী, ফার্সী ও উর্দূ ভাষাতে ব্যবহৃত হয়। আরবীতে بَـرَاءَةٌ শব্দের অর্থ নাজাত বা মুক্তি। ফার্সীতে برات শব্দের অর্থ ভাগ্য। شب برات অর্থ ভাগ্য রজনী বা মুক্তির রাত।
‘শবে বরাত’ বাক্যাংশটি যদিও বাহ্যত আরবী ও ফার্সীর সমন্বয়ে গঠিত। তবুও তা ফার্সী ভাষা। কেননা, ফা বাকি অংশ পড়ুন...
ছহীহ হাদীছ শরীফ দ্বারা শবে বরাত প্রমাণিত। রেজালবিদগণ সনদ ছহীহ হওয়ার ব্যাপারে একমত। বিশ্ববিখ্যাত হাদীছ শরীফের কিতাব “ইবনে হিব্বানে” ছহীহ সনদসহ বর্ণনা করেছেন-
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُعَافَى الْعَابِدُ بِصَيْدَا ، وَابْنُ قُتَيْبَةَ وَغَيْرُهُ ، قَالُوا: حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ خَالِدٍ الأَزْرَقُ ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو خُلَيْدٍ عُتْبَةُ بْنُ حَمَّادٍ، عَنِ الأَوْزَاعِيِّ، وَابْنِ ثَوْبَانَ، عَنْ أَبِيهِ ، عَنْ مَكْحُولٍ، عَنْ مَالِكِ بْنِ يُخَامِرَ، عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: يَطْلُعُ اللهُ إِلَى خَلْقِهِ فِي لَيْلَةِ النِّصْفِ مِنْ شَعْبَانَ فَيَغْفِرُ لِجَمِيعِ خَلْقِهِ إِلاَّ لِمُشْرِكٍ أَوْ مُشَاحِنٍ
অর্ বাকি অংশ পড়ুন...
মুহম্মদ ইবনে ইসহাক আল মক্কী আল ফাকেহী রহমতুল্লাহি আলাইহি (ওফাত ২৭২) মক্কা মদীনায় যে শবে বরাত পালন হতো তা তদীয় আখবারে মক্কা গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন:
"وأهل مكة فيما مضى إلى اليوم إذا كان ليلة النصف من شعبان ، خرج عامة الرجال والنساء إلى المسجد ، فصلوا ، وطافو¬¬ا ، وأحيوا ليلتهم حتى الصباح بالقراءة في المسجد الحرام ، حتى يختموا القرآن كله ، ويصلوا ، ومن صلى منهم تلك الليلة مائة ركعة يقرأ في كل ركعة بـ الحمد ، و قل هو الله أحد عشر مرات ، وأخذوا من ماء زمزم تلك الليلة ، فشربوه ، واغتسلوا به ، وخبؤوه عندهم للمرضى ، يبتغون بذلك البركة في هذه الليلة ، ويروى فيه أحاديث كثيرة" (أخبار مكة للفاكهي أبو عبد الله محمد بن إسحاق بن العباس المكي الفاكهي
অর্থ: অতীত থেকে বর্তমানকাল মক্কাবাসী নারী পুরু বাকি অংশ পড়ুন...












