চিকিৎসা বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে ইনজেকশন:
, ০৯ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০:০০ এএম ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা

রোগ নিরাময়ের জন্যে আমরা বিভিন্ন পদ্ধতিতে ওষুধ সেবন করি। বিভিন্ন Dosage Form (Dosage Form বলতে বোঝায়- ওষুধ গ্রহণের যত রকম পদ্ধতি আছে যেমন- ট্যাবলেট, ক্যাপসুল, সাসপেনশান, সিরাপ, ইনজেকশন ইত্যাদি)-এর মধ্যে ইনজেকশনও একটি পদ্ধতি। ইনজেকশন পদ্ধতিটি মূলতঃ Parenteral পদ্ধতির একটি অংশ। Parenteral পদ্ধতি সম্পর্কে বলা হয়-
The term Parenteral (Gk. Para enteron = beside the intestine) refers to the route of administration of drugs by injection under or through one or more layers of skin or mucous membrane. অর্থাৎ পেরেনটারাল পদ্ধতিটি হচ্ছে সেই পদ্ধতি, যেখানে এক অথবা বেশী সংখ্যক শরীরের ত্বকের স্তর অথবা মিউকাস মেমব্রেনের স্তরের মধ্য দিয়ে ইনজেকশনের মাধ্যমে শরীরে ওষুধ প্রবেশ করানো হয়।
ইনজেকশনকে ৫টি সাধারণ শ্রেণীতে ভাগ করা হয়েছে-
১. দ্রবণ জাতীয় ইনজেকশন (Soution ready for injection)
২. শুষ্ক দ্রব্য, কিন্তু শরীরে ইনজেকশন পদ্ধতিতে দেয়ার পূর্বে কোন দ্রবণে দ্রবীভূত করে নেয়া যায়। যেমন- (Dry, soluble products ready to be combined with a solvent just prior to use)
৩. সাসপেনশন জাতীয়। (Suspensions ready for injection)
৪. শুষ্ক, অদ্রবণীয় দ্রব্য কিন্তু কোন ঠবযরপষব (মাধ্যম)-এ মিশিয়ে দেয়া হয়। (Dry, insoluble products ready to be combined with a vehicle just prior to use)
৫. ইমালশান জাতীয়। (Emulsion type)
এই পাঁচ প্রকার ইনজেকশন আবার বিভিন্ন পথে শরীরে প্রবেশ করানো হয় এবং কোন পথে কোন ইনজেকশন দেয়া হবে, তা নির্ভর করে সাধারণতঃ ওষুধের গুণাগুনের ওপর। যেমন সাসপেনশন জাতীয় ইনজেকশন সরাসরি রক্তে দেয়া হয়না, কেননা সেখানে বড় বড় দানা রক্ত জালিকা (blood capillaries) বন্ধ করে দিতে পারে।
আবার দ্রবণ জাতীয় ইনজেকশন ত্বকের স্তর দিয়ে দিতে হলে Tonicity adjustment খুব গুরুত্বপূর্ণ। নতুবা ত্বকে জ্বালাপোড়া (Irritation) হতে পারে। সে কারণেই ইনজেকশন আবার বিভিন্ন পদ্ধতিতে দেয়া হয়। এর মধ্যে নিচের মাধ্যমগুলি উল্লেখযোগ্য-
১. ইন্ট্রাভেনাস (Intravenous)
২. সাবকিউটেনিয়াস (Subcutaneous)
৩. ইন্ট্রাডার্মাল (Intradermal)
৪. ইন্ট্রামাসকিউলার (Intramuscular)
৫. ইন্ট্রাথিকাল (Intrathecal)
৬. ইন্ট্রা আরটারিয়াল (Intra areterial)
ইন্ট্রাভেনাস (Intravenous) : এ পদ্ধতিতে শিরা (vein)-এর মাধ্যমে রক্তে ওষুধ প্রয়োগ করা হয়। এ পদ্ধতিতে ওষুধ সরাসরি রক্তে মিশে যায়।
সাবকিউটেনিয়াস (Subcutaneous) : শরীরে ত্বকের এবং মিউকাস মেমব্রেনের এক বা একাধিক স্তরের মধ্য দিয়ে এ পদ্ধতিতে ওষুধ প্রয়োগ করা হয়। তবে এ পদ্ধতিতেও ওষুধ রক্ত স্রোতে মিশে যায়।
ইন্ট্রামাসকিউলার (Intramuscular) : এ পদ্ধতিতে ওষুধ শরীরের পেশীসমূহের মধ্য দিয়ে প্রবেশ করানো হয় এবং কিছু সময় পর ওষুধ রক্ত গিয়ে মিশে।
ইন্ট্রাথিকাল (Intrathecal) : অনেক সময় কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র (Central Nervous System ev CNS)-এ ওষুধ অন্যান্য পদ্ধতিতে প্রয়োগ করলে বিলম্বে পৌঁছে, আর সে কারণেই এখন এ পদ্ধতি ব্যবহার করলে ওষুধ সহজেই কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে পৌঁছে।
এটা সহজেই বোঝা যায় যে, ইনজেকশনের যে কোন পদ্ধতিতেই শরীরে ওষুধ প্রয়োগ করা হোক না কেন শরীরে ওষুধের শোষনের কিছু সময় পরেই রক্ত স্রোতের মধ্যে সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে।
এ ব্যাপারে Goodman Gilman Pharmacology -তে বলা হয়েছে-
“Heart, liver, kidney, brain and other highly perfused organs receive most of the drug during the first fwe minutes after absorption. অর্থাৎ ওষুধের শোষনের কয়েক মিনিটের মধ্যেই হৃৎপিন্ড, যকৃৎ, কিডনী, মগজ এবং অন্যান্য অঙ্গে বেশীরভাগ ওষুধ চলে যায়।
ওষুধ মূলতঃ রক্তস্রোতের মাধ্যমেই শরীরের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে থাকে, কেননা রক্তকে বলা হয় সংযোগ কলা (connective tissue)। রক্তের সংজ্ঞায় বলা হয়-
ÒBlood is vehicle for transport of food nutrients oxygen, water and all others essentials to the tissue, cells and their waste products are carried away. It (blood) is a special type of connective tissue. অর্থাৎ রক্ত হচ্ছে এমন একটি মাধ্যম, যার মধ্য দিয়ে খাদ্য, অক্সিজেন, পানি এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপাদান টিস্যুসমূহে পৌঁছে এবং বর্জ দ্রব্যসমূহ বহন করে নিয়ে আসে। এটা এক ধরণের সংযোগ কলা।
সুতরাং রক্তে পৌঁছে ওষুধ শরীরের সর্বাংশে ছড়ায়, অর্থাৎ মগজে পৌঁছে। আলোচনার প্রয়োজনে মগজে ওষুধ প্রবেশের পথটি বর্ণনা করা হবে, তবে তার পূর্বে মগজের গঠন নিয়ে একটু আলোচনা করা যাক।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িয
১৭ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৭ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
কাফির-মুশরিকদেরকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করা জায়েয নেই
১৭ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সারাবিশ্বে এক দিনে ঈদ পালন সম্ভব কি? একটি দলীলভিত্তিক বিশ্লেষণ.... (৮)
১৭ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে গরুর গোস্ত শি‘আরুল ইসলাম {এবং গরুর গোস্ত নিয়ে সকল বিভ্রান্তির খ-নমূলক জবাব} (৩)
১৬ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
১৬ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৬ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সম্মানিত ইসলামী শরীয়তে রজম বা ছঙ্গেছারের বিধান (৪)
১৬ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত বড়পীর ছাহিব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সাওয়ানেহ উমরী মুবারক (১৩)
১৬ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
শরীয়তের দৃষ্টিতে কোন রোগই ছোঁয়াচে নয়, ছোঁয়াচে বিশ্বাস করা কুফরী
১৬ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাইয়্যিদুল কায়িনাত, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, রহমাতুল্লিল আলামীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুহব্বতে পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠ করা ও তা’যীমার্থে ক্বিয়াম শরীফ করা সুন্নত হওয়ার অকাট্য প্রমাণ
১৪ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িজ
১৪ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)