সম্পাদকীয় (১)
‘কবর’ ‘জাহান্নাম’ ‘জান্নাত’ ইত্যাদি ইসলামী শব্দের কথা বললেই শুধু হবেনা। শুধুমাত্র প্রসঙ্গ টানলেই হবেনা। এখন দেশে ইসলামী আবহের বাস্তবায়ন ঘটিয়ে বিশেষত মহাসমারোহে সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করে মুসলমানদের জান্নাতে ভালো জায়গায় থাকার ব্যবস্থা করতে হবে। ইনশাআল্লাহ!
, ১৬ যিলহজ্জ শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২৫ আউওয়াল, ১৩৯২ শামসী সন , ২৩ জুন, ২০২৪ খ্রি:, ০৯ আষাঢ়, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) সম্পাদকীয়
সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য; যিনি সকল সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক।
সরকারিভাবে জান্নাত-জাহান্নাম আলোচনা ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। ভালো থাকাকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জান্নাতের সহিত তুলনা করেছে। বিগত সময়ে ১৫ আগষ্টে তৎকালীন সাবকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ভুল করে বলেছে, ‘আমরা কায়মনোবাক্যে দোয়া করি মহান আল্লাহ পাক তিনি যেন বঙ্গবন্ধুকে জাহান্নামের ভালো জায়গায় স্থান করে দেন। ’ অবশ্য বক্তব্যের সাথে সাথে মন্ত্রী সংশোধন করে জাহান্নামের পরিবর্তে জান্নাতের কথা উল্লেখ করে। অর্থাৎ জাহান্নাম যে ভীষণ লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তির অবস্থান তাতে যাওয়া যে মোটেও সম্মানজনক ও সুখের নয় এই ভাব প্রতিমন্ত্রীর কথায় যথারীতি প্রকাশ পেয়েছে। এর জন্যই যারা টাকা পাচার করেছে তাদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করতে গিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেছে, ‘যারা ঘুষখোর তাদের জায়গা হবে জাহান্নামে। ’ নাউযুবিল্লাহ!
মুলত; মুসলমান মাত্রই জান্নাত-জাহান্নামের উচ্চারণ এবং অনুভূতির সহিত অভ্যস্ত ও বিশ্বস্ত।
প্রসঙ্গত, পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, কবর হলো পরকালের প্রথম মঞ্জিল। এই জন্য কবর দেখলে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার তৃতীয় খলীফা সাইয়্যিদুনা হযরত যূন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনার দাড়ি মুবারক কান্নার পানিতে ভিজে যেতো। পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, তোমরা বেশি বেশি কবর যিয়ারত করো। এতে তোমাদের দিল জিন্দা থাকবে।
কবর একটি বিশেষ ইসলামী চেতনা সম্পৃক্ত শব্দ। মন্ত্রীরা জান্নাত-জাহান্নামের কথা বলেছে। কিন্তু স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেছে কবরের কথা। বিগত বছর তিনি ব্যক্ত করেছেন, কোভিড মানুষকে একটি শিক্ষা দিয়ে গেছে যে, ধন-সম্পদ-অর্থ এগুলো কিছুই না। মরলে তো সব রেখেই যাবে। কবরে কিছুই নিয়ে যেতে পারবে না। কাজেই সম্পদের পিছু ছুটে নিজেকে মানুষের কাছে অসম্মানের জায়গার কোনো মানে হয় না।
প্রসঙ্গত, আমাদের কথা হল কবর, জাহান্নাম, জান্নাতের উদাহরণ সরকারের প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, এমপিরা দিতেছে। সাংবিধানিকভাবে বিধিবদ্ধ রাষ্ট্রদ্বীন ইসলামের এই দেশে, ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানের এই দেশে এইসব ইসলামী শব্দের ব্যবহার খুবই প্রাসঙ্গিক ও আবশ্যিক।
কিন্তু কথা হল জনগণকে জাহান্নাম হতে পানাহ চাওয়ার, জান্নাত যাওয়ার আরজি এবং কবরের হিসেব থেকে মাফ পাওয়ার জন্য সরকারের দায়িত্বশীলরা দায়িত্ব পালন করতেছে কী? পথ ও পরিক্রমা উপহার দিতেছে কি? জাহান্নামের আমলগুলো হতে বিরত থাকার জন্য সতর্ক করছে কী? হালাল-হারামের চেতনাবোধ জাগরিত করছে কী?
গান-বাজনা, সিনেমা, খেলাধুলা, সুদ-ঘুষ ইত্যাদি সব হারাম অনুষঙ্গ রাষ্ট্রীয়ভাবে চালালে জনগণতো তাতে প্ররোচিত হবেই। নাজায়েয কাজে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা থাকলে জনগণ সেইসব কাজ করবেই। অতঃপর জাহান্নামে যাবেই। নাউযুবিল্লাহ! কিন্তু একথা অনিবার্য সত্য, রাষ্ট্রযন্ত্র তথা সরকারের কর্তাব্যক্তিরা এদেশের জাহান্নামী ব্যক্তিদের দায়ভার হতে মুক্তি পেতে পারেনা।
প্রধানমন্ত্রী কবর সম্পর্কে দেশবাসীকে সতর্ক করেছে। কিন্তু কবরের আযাব হতে নিরাপত্তা লাভ করে জনসাধারণকে জান্নাতে যাওয়ার পথকে প্রধানমন্ত্রীর সরকারকেই প্রশস্ত করতে হবে। সব হারাম কাজ বন্ধের বিপরীতে নেক কাজের মনন, মানসিকতা, আবহ ও পরিবেশ তৈরি করতে হবে। যথাযথ ইসলামী ইলিম ও আমলের চেতনার বিকাশ ঘটাতে হবে। ইনশাআল্লাহ!
বিশেষ করে সব নেক কাজের সমাহার বা তদুর্ধ্ব সম্মানিত সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালনের ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। জনগণকে স্বত:স্ফূর্তভাবে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। ইনশাআল্লাহ!
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। আমীন!
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
নাটক-সিনেমার মাধ্যমে মুসলিম প্রজন্মকে দ্বীন ইসলাম থেকে দূরে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। পরকালের কথা স্বরণ করে মুসলিম উম্মাহকে বিধর্মীদের এসব ষড়যন্ত্র থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
কৃষি যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে আরো সোনালী সমৃদ্ধি সম্ভব ইনশাআল্লাহ
২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
প্রসঙ্গ : পারিবারিক বন্ধন ধ্বংস, পর্নোগ্রাফির রাজত্ব এবং ইসলামী মূল্যবোধের গুরুত্ব।
২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
প্রসঙ্গ : পারিবারিক বন্ধন ধ্বংস, পর্নোগ্রাফির রাজত্ব এবং ইসলামী মূল্যবোধের গুরুত্ব।
২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
প্রসঙ্গ : পারিবারিক বন্ধন ধ্বংস, পর্নোগ্রাফির রাজত্ব এবং ইসলামী মূল্যবোধের গুরুত্ব।
২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
প্রসঙ্গ : পারিবারিক বন্ধন ধ্বংস, পর্নোগ্রাফির রাজত্ব এবং ইসলামী মূল্যবোধের গুরুত্ব।
২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
রাবার চাষ সাদা সোনা আখ্যা পেলেও বাংলাদেশে শুধুই অবহেলা রাবার আমদানী বন্ধ এবং রাবার চাষীদের সঠিক সহযোগিতায় সক্রিয় হোন
২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
দেশের উদ্যোক্তারা ব্যাংক ঋণসহ বহুবিধ সমস্যায় জর্জরিত
২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সুদ ব্যয়ের কারণে আকার বাড়লেও সুফল নেই বাজেটের।
২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
দেশে মারাত্মকভাবে বাড়ছে বিষন্নতা তথা আত্মহত্যার প্রবণতা প্রতিরোধে ইসলামী মূল্যবোধের বিস্তারে বিকল্প নেই
২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
নগরের সুবিধা বিকেন্দ্রীকরণ করতে পারলেই কেবল নগরমুখী জনস্রোত ঠেকানো যাবে
২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মুসলমানকে ‘মুসলমানিত্ব’ বুঝতে হবে। ‘আশহাদু আন্না মুহম্মাদার রসূলুল্লাহ’ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাক্বীক্বীভাবে বলতে হবে ও আমলে আনতে হবে।
২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)