হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা অবশ্যই সত্যের মাপকাঠি; অস্বীকারকারীরা কাট্টা কাফির (১০)
, ২১ ছফর শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২৯ ছালিছ, ১৩৯২ শামসী সন , ২৭ আগষ্ট, ২০২৪ খ্রি:, ১২ ভাদ্র , ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
উনাদের সমালোচনাকারীদেরকে লা’নত দেয়া ফরয:
এদেরকে লা’নত দেয়ার জন্য আদেশ মুবারক করা হয়েছে। মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছেন-
عَنِ حَضْرَتْ ابْنِ عُمَرَ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا رَأَيْتُمُ الَّذِينَ يَسُبُّونَ أَصْحَابِي فَقُولُوا لَعْنَةُ اللهِ عَلَى شَرِّكُمْ
অর্থ : হযরত ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, তোমরা যখন কাউকে দেখবে আমার হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদেরকে গালমন্দ করছে, দোষারোপ করছে। তখন তাকে বলে দিবে, এই খারাপ কাজের জন্য তোর উপর মহান আল্লাহ পাক উনার লা’নত। (তিরমিযী শরীফ, তুহফাতুল আহওয়াযী, ফাইযুল ক্বাদীর, মিরকাত শরীফ ৯/৩৮৮১, জামিউছ ছগীর লিস সুয়ূতী ১/৪৮, আছ ছওয়ায়িকুল মুহরিক্বাহ ১/১৫ ইত্যাদি)
এখানে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সরাসরি আদেশ মুবারক করেছেন, যারা হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদেরকে গালমন্দ করবে তাদেরকে লা’নত দেয়ার জন্য। আর উছূল হচ্ছে الامر بالوجوب আদেশ দ্বারা কোনো কাজ ফরয সাব্যস্ত হয়ে যায়। কাজেই যারা উনাদেরকে গালমন্দ করবে তাদেরকে লা’নত দেয়া ফরয।
পরবর্তী উম্মতের সমস্ত আমল উনাদের সামান্য আমল মুবারক উনার সমানও না:
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন-
عَنْ حَضْرَتْ اَبِـىْ سَعِيْدِ ۣ الْـخُدْرِىِّ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ النَّبِـىُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا تَسُبُّوْا اَصْحَابِـىْ فَلَوْ اَنَّ اَحَدَكُمْ اَنْفَقَ مِثْلَ اُحُدٍ ذَهَبًا مَّا بَلَغَ مُدَّ اَحَدِهِمْ وَلَا نَصِيْفَهٗ
অর্থ : হযরত আবূ সা‘ঈদ খুদরী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, তোমরা আমার হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদেরকে গালমন্দ করো না, দোষারোপ করো না। কারণ উনারা মহান আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় এক মুদ বা অর্ধ মুদ গম বা যব খরচ করে যে ফযীলত মুবারক লাভ করেছেন, (পরবর্তী উম্মত) তোমাদের কেউ উহুদ পাহাড় পরিমাণ স্বর্ণ খরচ করলেও সেই পরিমাণ ফযীলত মুবারক লাভ করতে পারবে না। সুবহানাল্লাহ! (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ, শু‘আবুল ঈমান ৩/৯০, মুসনাদে আহমদ ৩/৬৩, সুনানুল কুবরা লিন নাসায়ী ৭/৩৭২, আল মু’জামুছ ছগীর লিত্ ত্ববারনী ২/১৭৬, আল মাদখাল ইলাস সুনানিল কুবরা ১/২৬, ফাদ্বায়িলুছ ছাহাবা লিন নাসায়ী ১/৬২, উমদাতুল ক্বারী ২৪/২৭২, আল খুলাছাহ্ ১/৭১, মিশকাত শরীফ ইত্যাদি)
অন্য বর্ণনায় রয়েছেন-
عَنْ حَضْرَتْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى الله عَليْهِ وسَلَّمَ لاَ تَسُبُّوا أَصْحَابِي فَوَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَوْ أَنَّ أَحَدَكُمْ أَنْفَقَ مِثْلَ أُحُدٍ ذَهَبًا مَا أَدْرَكَ مُدَّ أَحَدِهِمْ وَلاَ نَصِيفَهُ
অর্থ : হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, তোমরা আমার হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদেরকে গালমন্দ করো না, দোষারোপ করো না। ঐ মহান সত্ত্বা মুবারক উনার ক্বসম! যাঁর মহাসম্মানিত কুদরতী হাত মুবারকে আমার মহাসম্মানিত প্রাণ মুবারক রয়েছেন। উনারা এক মুদ বা অর্ধ মুদ গম বা যব খরচ করে যে ফযীলত মুবারক লাভ করেছেন, (পরবর্তী উম্মত) তোমাদের কেউ উহুদ পাহাড় পরিমাণ স্বর্ণ খরচ করলেও সেই পরিমাণ ফযীলত মুবারক লাভ করতে পারবে না। সুবহানাল্লাহ! (মুসলিম শরীফ, ইবনে মাজাহ শরীফ, আল আহকামুশ শরইয়্যাহ্ লিল ইসিবীলী ৪/৪৬১, মুখতাছার ছহীহ মুসলিম ২/৪৬৫ ইত্যাদি)
উপরোক্ত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের মধ্যে স্বয়ং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদেরকে দোষারোপ করতে, উনাদের দোষ তালাশ করতে নিষেধ করেছেন। এখন কেউ যদি সেটা করে তাহলে সে কত বড় কাট্টা কাফির হবে তা বলার অপেক্ষাই রাখে না।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
তরজমাতুল মুজাদ্দিদিল আ’যম আলাইহিস সালাম পবিত্র কুরআন শরীফ উনার ছহীহ্ তরজমা
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পর্দা পালন করা পুরুষ মহিলা সবার জন্য ফরজ
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার দৃষ্টিতে লেবাস বা পোশাকের হুকুম-আহকাম (১)
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ওহাবীদের চক্রান্ত উন্মোচন
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িয
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
হালালকে হারাম করা নিষেধ
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা আঙ্গুলের ছাপ শরীয়তসম্মত, নিখুঁত, ব্যবহারে সহজ এবং রহমত, বরকত, সাকীনা লাভের কারণ (৬)
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
“আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম” কিতাবের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে বিরোধিতাকারীদের আপত্তির জবাব
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পর্দা রক্ষা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া ব্যভিচারের সমতুল্য
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)