ছহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
দুনিয়ার বুরায়ী বা খারাবী (২৬)
, ০৩ রা শা’বান শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ০৬ তাসি’, ১৩৯২ শামসী সন , ০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রি:, ২০ মাঘ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে রয়েছে উত্তম জায়গার ঠিকানা।
قُلْ أَؤُنَبِّئُكُمْ بِخَيْرٍ مِنْ ذَلِكُمْ
এখানে মহান আল্লাহ পাক তিনি প্রশ্ন করতেছেন, قُلْ أَؤُنَبِّئُكُمْ بِخَيْرٍ مِنْ ذَلِكُمْ “আপনি বলে দিন যে, আমি কি সংবাদ দিয়ে দিব? আমি কি তোমাদেরকে জানাবো? উনার থেকে উত্তম যা রয়েছে, অর্থাৎ সেটা সম্পর্কে? উনার থেকে উত্তম যা রয়েছে সে সম্পর্কে আমি তোমাদেরকে সংবাদ দিয়ে দিব কি?
لِلَّذِينَ اتَّقَوْا عِنْدَ رَبِّهِمْ جَنَّاتٌ تَجْرِي مِنْ تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ خَالِدِينَ فِيهَا وَأَزْوَاجٌ مُطَهَّرَةٌ وَرِضْوَانٌ مِنَ اللَّهِ وَاللهُ بَصِيرٌ بِالْعِبَادِ
সেটা যারা তাক্বওয়া হাছিল করেছে।
لِلَّذِينَ اتَّقَوْا عِنْدَ رَبِّهِمْ
অর্থাৎ “যারা তাক্বওয়া হাছিল করেছে, মহান আল্লাহ পাক উনার মতে মত হয়েছে, মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পথে পথ হয়েছে। ” (পবিত্র সূরা আলে ইমরান শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১৪-১৫)
যারা তাক্বওয়া হাছিল করেছে, তাদের সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক তিনি বলতেছেন-
إِنَّ أَكْرَمَكُمْ عِنْدَ اللهِ أَتْقَاكُمْ
অর্থাৎ “নিশ্চয় মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট সে ব্যক্তি অধিক সম্মানিত, যে ব্যক্তি অধিক মুত্তাক্বী বা তাক্বওয়াধারী। ” (পবিত্র সূরা হুজুরাত শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১১)
তাদের জন্য রয়েছে মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে, কি রয়েছে?
جَنَّاتٌ تَجْرِي مِنْ تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ خَالِدِينَ فِيهَا وَأَزْوَاجٌ مُطَهَّرَةٌ
এমন বেহেশত রয়েছে, যার নীচে প্রবাহিত হচ্ছে নহর, বাগান রয়েছে এবং তাদের জন্য পবিত্রা সঙ্গিনী রয়েছে এবং সর্বোপরি
وَرِضْوَانٌ مِنَ اللهِ
মহান আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টি রয়েছে।
وَاللهُ بَصِيرٌ بِالْعِبَادِ
এবং মহান আল্লাহ পাক তিনি বান্দাদের প্রতি লক্ষ্য রাখেন বা লক্ষ্য করতেছেন বা দেখতেছেন বান্দাদের। তারা কি আমল করে, তাদের কি আখলাক, কি সীরত, কি ছূরত।
কাজেই দুনিয়াবী সম্পদ যা রয়েছে, এগুলি মানুষের মনকে আসক্ত করেছে। এই আসক্তি থাকার কারণেই মানুষ মহান আল্লাহ পাক উনার মুহব্বত থেকে গাফিল হয়ে গিয়েছে।
সেজন্য মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেছেন, “আমি কি সংবাদ দিয়ে দিব? উনার চাইতে উত্তম যা রয়েছে, তোমরা দুনিয়ার মোহে মোহগ্রস্ত হয়োনা। উনার চাইতে উত্তম সম্পদ রয়েছে, মাল রয়েছে, সামানা রয়েছে, সমস্ত কিছু রয়েছে তোমাদের জন্য। অর্থাৎ সেটা হলো তাক্বওয়া, যদি তোমরা তাক্বওয়া হাছিল করতে পারো। ”
অতএব, দুনিয়ার মোহে মোহগ্রস্ত না হয়ে মহান আল্লাহ পাক উনার মুহব্বতে গরক বা মশগুল থাকতে পারলে, তোমাদের জন্য উনার চেয়ে উত্তম জিনিস রয়েছে, যেটা আমি রেখেছি তোমাদের জন্য পরকালে। জান্নাতে গেলে তোমরা সেটা পাবে এবং সর্বোপরি তোমরা সেখানে পাবে মহান আল্লাহ পাক উনার রেজামন্দী, মহান আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টি, যেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। সেখানে মহান আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টি এবং রেজামন্দী পাওয়া যাবে।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
হযরত আব্বাস ইবনে মিরদাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যাকাত সম্পর্কিত আহকাম, মাসায়িল ও ফাযায়িল (৪)
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
প্রাণীর ছবি তোলা হারাম ও নাফরমানীমূলক কাজ
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
অ্যান্টার্কটিকা নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় বিজ্ঞানীরা
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত আব্বাস ইবনে আবদুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম (৪)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা অবশ্যই সত্যের মাপকাঠি; অস্বীকারকারীরা কাট্টা কাফির (১)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ উনাদের আলোকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দু‘আ বা মুনাজাত (১১তম অংশ)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত আব্বাস ইবনে আবদুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম (৩)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দুনিয়ার যমীনে অবস্থানকালীন সময়ে ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ যে রোযা মুবারক রাখতেন সে রোযা মুবারক মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই শরীফ উনার দিনে হওয়াটা ছিলো একটি বিরল ঘটনা (২)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)












